আর্থিক পরিস্থিতি সকলের সমান থাকেনা। কখনো ধনপ্রাপ্তি ঘটে আবার কখনো সেই ধন ব্যয় হয়ে যায়। তবে জ্যোতিষমতে কিছু সময় ও যোগের উপর অর্থের ধনপ্রাপ্তির সময় গণনা করা যায়। সেই সময় ও যোগ যখন জন্মকুণ্ডলীতে দেখা যাবে বা গ্রহের গোচর ঘটবে তখন ধনপ্রাপ্তি ঘটার সম্ভাবনা থাকবে। আসুন দেখে নেওয়া যাক অর্থলাভের সময় কি হতে পারে।
ধনপতি গ্রহ এবং ধনভাবস্থ গ্রহের দশা-অন্তর্দশা এবং ওই সকল গ্রহের সন্মন্ধযুক্ত ও সহায়ক গ্রহের দশা অন্তর্দশার সময় ধনলাভ হবে। পুনরায় ধনভাবগত গ্রহ এবং আয় ভাবগত ধনপতি গ্রহ এবং আয়পতি ও ভাগ্যপতি গ্রহ বা ভাগ্যপতি কিংবা কর্মভাবগত গ্রহ ও কর্মপতি গ্রহের দশা অন্তর্দশায় অর্থলাভ হবে। এইসকল গ্রহের দশা ও অন্তর্দশায় সময়ে গোচরে বৃহস্পতির সহিত সন্মন্ধের সময় অর্থলাভ ঘটবে।
ধনভাবগত গ্রহ এবং ধনপতি ও আয়ভাবগত গ্রহ, আয়পতি, লগ্ন ও ভাগ্য ভাবপতি গ্রহগণের সহিত যখন যেভাবে গোচরে সম্মন্ধ করবে, সেই সময় ধনলাভ হবে। এই সন্মন্ধের সহিত বৃহস্পতির শুভাশুভ গোচরফল লক্ষ্য রাখতে হবে। গোচরে বৃহস্পতি দুর্বল হলে ধনলাভের বাধার সৃষ্টি হবে। গোচরে বৃহস্পতি সবল হলে ধনলাভের ফল মসৃন হয়ে থাকে।
ভাগ্যসূত্রে অর্থলাভের যোগ :
ভাগ্যসূত্রে অর্থলাভ এই কথাটি আমরা বহু ক্ষেত্রেই শুনে থাকি। আমরা অনেক ক্ষেত্রেই প্রত্যক্ষ করি যে বহু ব্যাক্তি কর্মের জায়গা ঠিক মতো না হয়েও উত্তরাধিকারসূত্রে বা অন্য যেকোনো ভাগ্যের দ্বারা অর্থবান হয়ে থাকে। জ্যোতিষ শাস্ত্রে কিছু যোগ ও শুভ গ্রহের গোচরে এই ধরণের শুভ যোগ সৃষ্টি হয়। যাকে ভাগ্যসূত্রে অর্থলাভ বলা হয়ে থাকে।
রবি হতে আকস্মিক যশ, সম্মান, ও অর্থলাভ হয়। জন্মসময়ে রবি বলবান হয়ে কেন্দ্রে, নবমে ও একাদশে বৃহস্পতি দৃষ্ট থাকলে , কোনো পাপগ্রহের সহিত সম্মন্ধ না থাকলে, ধনপতি কেন্দ্রত্রিকোণে ও ধনভাবগত হলে এবং ভাগ্যপতি ধন অথবা আয়ভাবগত হলে আকস্মিক ধনলাভ হয়। এই ধনলাভ ভাগ্যসূত্রে বিভিন্ন বিষয় হতে হয়ে থাকে। ভাগ্যপতি পাপযুক্ত ও দৃষ্ট হয়ে দুর্বল হলে, সকল গ্রহ বলবান থাকা সত্ত্বেও ভাগ্যসূত্রে ধনলাভের বাধা সৃষ্টি হয়ে থাকে। এই সন্মন্ধযুক্ত গ্রহগণের দশা ও অন্তর্দশার ভোগ এবং গোচর সময়ে ভাগ্যসূত্রে অর্থলাভ হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন