রত্ন ধরণের বিশেষ কিছু নিয়ম আছে। যেকোনো রত্ন ধারণ করলেই ভাগ্য অনুকূল পর্যায়ে ফিরে আসবে সেটা ভাবা একদমই উচিত নয়। এরফলে সৌভাগ্যের বদলে দুর্ভাগ্য আসতে পারে জীবনে। বিভিন্ন রকম ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন আপনি। তাই বিশেষ কিছু নিয়ম মেনে অভিজ্ঞ জ্যোতিষীর পরামর্শ নয় তবেই রত্ন ধারণ করা উচিত। জন্মছকে যে গ্রহ আপনার শুভ সেই গ্রহের রত্ন অবশ্যই আপনি ধারণ করতে পারেন তার বলাবল হিসেবে। কিন্তু অশুভ গ্রহের রত্ন ধারণ করলে জীবনে নেমে আস্তে পারে ঘোর বিপর্যয়।
১. যদি আপনার জন্মকুণ্ডলীতে মঙ্গল অশুভ থাকে সেখানে আপনি যদি রক্তপ্রবাল ধারণ করেন তাহলে জীবন সংকটপূর্ণ হয়ে থাকে। প্রাণসংশয়ের আশঙ্কাও থাকে। পরিবারের বিপদ ও শারীরিক অসুস্থতা কারণ হয়ে উঠতে পারে।
২. রাহু অশুভ হলে গোমেদ ধারণ করলে ভাগ্য বিপর্যয় হয়। আপনি উগ্র স্বভাবের হয়ে পড়তে পারেন।
৩. কেতু অশুভ স্থানে থাকলে ক্যাটস আই ধারণ করলে শত্রু বৃদ্ধি হতে থাকে।
৪. চুনী ধরণের আগে দেখে নিতে হবে রবির অবস্থান, যদি অশুভ অবস্থানে থেকে তবে চুনী ধারণ করলে মাথার যন্ত্রনা, দাম্পত্য কলহ ও হৃদযন্ত্রের সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।
৫. বুধ অশুভ হলে পান্না ধারণ করলে স্নায়বিক সমস্যার দেখা দেয় ও ব্যাবসায়ে ক্ষতি হয়।
৬. শুক্র অশুভ হলে হীরা ধারণে বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ বেড়ে যায়, অর্থ নষ্ট হয়।
৭. নীলা ধারণে বিশেষ কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। শনির অবস্থান, বলাবল ও লগ্নপতির সঙ্গে সম্পর্ক বিভিন্ন কিছু দেখে রত্ন ধারণের আগে তিনদিন বালিশের নিচে রেখে দেখতে হয়। যদি কোনো অশুভ কিছু না ঘটে বা শুভ স্বপ্ন দর্শন হয় অথবা দিনগুলি ভালো কাটে তবেই বিশিষ্ট জ্যোতিষীর পরামর্শে নীলা ধারন করা যেতে পারে।
শৌখিনতার কারণে রত্ন ধারণ করলে পারিবারিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক সমস্ত ক্ষেত্রেই বিপর্জয় নেমে আসতে পারে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন