সংকটের পরিস্থিতি কাকে কীভাবে গ্রাস করতে পারে , তা কেউ বলতে পারে না! কখন বিপদ আসে ,তা ধারণার আগেই বিপদ সমস্ত কিছু তছনছ করে দিয়ে চলে যায়। এমন পরিস্থিতিতে বাস্তুশাস্ত্র কয়েকটি টিপস দিচ্ছে ,ঘরে দেবতার মূর্তি স্থাপন নিয়ে।
কথায় বলে, শিবের পুজো করলে যাবতীয় অশান্তি দূর হয়। মহাসংকটকালে শিবের আরাধনা প্রলয় থামিয়ে দেয়। আর সেই কারণেই বাড়িতে শিবের মূর্তি সঠিক স্থানে স্থাপন করা প্রয়োজন। শাস্ত্রজ্ঞরা বলছেন, শিবের মূর্তি উত্তর বা উত্তরপূর্ব দিকে স্থাপিত করতে। এতে সুখ সমৃদ্ধি বাড়ে।
বাড়িতে প্রবল বিপদেও যেন নেগেটিভ শক্তি গৃহস্থকে হেলায় না হারাতে পারে, তার জন্য চেষ্টা করা প্রয়োজন। শাস্ত্রজ্ঞা বলছেন, হনুমানজির মূ্র্তি যদি ঘরে থাকে, তাহলে বাড়িতে নেগেটিভ শক্তি বিরাজ করে না।
জ্যোতিষবিদরা হনুমানজির মূর্তি বাড়ির দক্ষিণদিকে রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন। এতে বাড়িতে অসুস্থতার প্রবণতা কমে। পাশপাশি সদস্যদের উন্নতি ও লাভ দেখা যায়।
বিদ্যার দেবী মা সরস্বতী। তাঁর সঠিক আরাধনা সমস্ত বাঙালি গৃহস্থেই হয়ে থাকে। তবে এই দেবীর সঠিক অবস্থানেই বাড়িতে আসে সমৃদ্ধি ও উন্নতি। তাই সরস্বতীকে বাড়িতে উত্তরদিক করে প্রতিষ্ঠা করুন। এতে সাফল্য আসবে।
ভাঙা মূর্তি বাড়িতে রাখা পরিবারের অমঙ্গল
অনেকসময়ই দুর্ঘটনাবশত কোনও ভগবানের বিগ্রহ ভেঙে যেতেই পারে। কিন্তু বাস্তুশাস্ত্র অনুযায়ী সেই ভাঙা মূর্তি বাড়িতে রাখলে পরিবারের অমঙ্গল ডেকে আনতে পারে।
অনেকসময়ই বাড়ির মন্দির পরিস্কার করতে গিয়ে ভগবানের মূর্তি অনেকসময়ই হাত থেকে পড়ে যায়। যার ফলে মূর্তিতে ফাটল ধরে যায় বা তা ভেঙে যায়। যদিও অনেকসময়ই কিছু মানুষ ওই ভাঙা বিগ্রহ ফেলে না দিয়ে বাড়িতেই রেখে দেন। কারণ তাঁরা ওই ভগবানের বিগ্রহকে খুব পছন্দ করেন। অথবা তাঁরা হয়ত মূর্তি ভাঙা নিয়ে সেইসময় অতটা মনোযোগ দেননি। কিন্তু বাস্তু শাস্ত্র অনুযায়ী, ভাঙ্গা বা ফাটল ধরা মূর্তি আর কোনওভাবেই ভগবান হিসাবে ধরা হয় না এবং সেই ভাঙা ভগবানের মূর্তি বাড়িতে রাখলে বাড়ির শান্তি ভঙ্গ হতে পারে ও পরিবারের সদস্যদের সমস্যা বাড়তে পারে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন