দেখে নিন কি হতে পারে।
রাহু লগ্নে থাকলে জাতক শত্রুজয়ী, অসাধু বুদ্ধিসম্পন্ন, স্বজন বঞ্চক, কামপ্রবণ, রুগ্নদেহী, ও শিরোরোগী হতে পারে। তার উদ্দাম যৌন কামনাভোগ স্পৃহা থেকেই যায়, স্ত্রীহেতু সে সন্তাপ ভোগ করে থাকে। "হোরারত্ন" গ্রন্থমতে, মেষ, কর্কট ও সিংহ লগ্নস্থ রাহু স্বর্ণ জাতীয় মূল্যবান সম্পদ লাভ করায়, পঞ্চম-নবম বা চতুর্থ-দশম ভাবগত বলবান শুভগ্রহের অবস্থানে লগ্নগত রাহুর অশুভ ফল কিছুটা কম হয়। রাহু রাজযোগের কারক হলেও নৈসর্গিক পাপহেতু লগ্নে থাকলে পরপীড়ণের মধ্যে দিয়ে রাজযোগের ফল লাভ করে ক্ষণকাল ক্ষমতার দম্ভ প্রকাশের পর নিস্তেজ হয়ে পড়ে। শুভগ্রহের প্রভাব ব্যাতিত রাহু অশুভ প্রভাব প্রশমন করা সম্ভবপর নয়। মেষ থেকে কন্যা লগ্নে রাহু থাকলে গ্রহরিষ্টি নাশ হয়। কিন্তু অন্য লগ্নে থাকলে রাহু কারক ব্যাধির সম্ভাবনা। রাহুর ব্যাধি যথা- আত্মহত্যার ইচ্ছা, অজীর্ণরোগে, শুলপীড়া ও আকস্মিক পীড়া।
গ্রহদোষ কাটিয়ে কিভাবে সুস্থ থাকবেন ?
জ্যোতিষশাস্ত্রে নয়টি গ্রহই রোগের কারক। জন্মকুণ্ডলীতে ষষ্ঠ স্থানকে রোগের কারক হিসেবে ধরা হয়। এবং অন্যান্য গ্রহ যখন ষষ্ঠভাবের সঙ্গে যুক্ত হয় তখন বিভিন্ন রোগ ঘটার সম্ভাবনা থাকে। শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়।
এবার দেখে নেওয়া যাক কি উপায়ে আপনি রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
১. স্নান করে প্রত্যহ ইষ্ট দেবতার ধ্যান করুন নিষ্ঠা মেনে।
২. সকালে উঠে প্রত্যহ প্রাণায়াম করুন।
৩. দীর্ঘদিন কোনো রোগে ভুগলে, একটি ছোট শঙ্খের মধ্যে সৌন্ধক লবন নিয়ে বালিশের নিচে রেখে দিন। এতে রোগী দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠে।
৪. প্রতিদিন সকালে উঠে মহামৃত্যঞ্জয় মন্ত্র জপ করুন।
৫. সিদ্ধিপাতা দিয়ে প্রতি সোমবার মহাদেবকে স্নান করিয়ে রোগ মুক্তির প্রার্থনা করুন।
৬.এক ঘটি জল রাতে শোয়ার সময় খাটের নীচে রাখতে হবে। প্রতিদিন ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠে সেই জল সবুজ গাছের গোড়ায় দিলে মন-প্রাণ সতেজ থাকবে।৭. পঞ্চমুখী রুদ্রাক্ষ প্রতিদিন তামার পাত্রে ভিজিয়ে রেখে খালি পেটে সেই জল খেলে শরীর ভালো থাকবে।
৮. মহা মৃত্যুঞ্জয় কবচ, দেহ রক্ষা কবচ বা বিভিন্ন রোগের কবচ ধারণ করা যেতে পারে রোগ মুক্তির জন্য।
৯. রত্ন সহকারে গ্রহের প্রতিকার করলেও উপকার পাবেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন