মঙ্গলবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৩

ন্যাচারাল পান্না (ব্রাজিলিয়ান পান্না) ৪৫০০ করে রতি

 ন্যাচারাল পান্না (ব্রাজিলিয়ান পান্না) ৪৫০০ করে রতি 


প্রয়োজনে হোম ডেলিভারি করা হয়। 

শুক্রবার, ১৪ এপ্রিল, ২০২৩

ভাগ্যস্থানে শনির অবস্থানজনিত ফলাফল:-


ভাগ্যভাবে অবস্থান করলে জাতক চঞ্চল ভাগ্য নিয়ে জন্মে থাকে। জাতব্যক্তি প্রথম বয়সে বিপথগামী  ধার্মিক হয়। কাজেই শৈথিল্য ও জড়তা ভাব থাকে। জাতক সংসার ভোগে বিরতিভাবাপন্ন  থাকবে। জাতক ত্যাগপরায়ণ ও যোগশাস্ত্রজ্ঞ হয়ে থাকবে। তার ভ্রাতা ভগ্নি, আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুগণের নিকট দুঃখ লাভ হয়ে থাকবে। বলবান শনি দুস্থানাধিপতির সঙ্গে সন্মন্ধযুক্ত না হয়ে ভাগ্যভাবস্থ হলে জাতক ধার্মিক, সত্যবাদী বা ত্যাগীপুরুষ হয়। "হোর রত্ন" গ্রন্থে বক্রী শনি নবমভাবগত হলে জাতক ভাগ্যবান হয়; শনি দুর্বল হলে এরূপ জাতক দুর্বলদেহী, মন্দমতি, স্বধর্মত্যাগী ও দরিদ্র হয়ে থাকবে। 

মঙ্গলবার, ১১ এপ্রিল, ২০২৩

মুশকিল আসান যন্ত্র

 ৭৮৬

র                                                                              

ব  

তক  

ম  

৩৯৯

৪১ 

২০১ 

২১ 

৪২ 

৪০২ 

১৮ 

২০০ 

১৯ 

১৯৯ 

৪৩ 

৪০১ 

অনেক সময় কোনও কাজ শুরু করার সময় নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এমন সমস্যা হলে এই যন্ত্রটি ব্যাবহার করা যেতে পারে। এটিও খুব প্রভাশালী যন্ত্র বলে মনে করা হয়। যন্ত্রটি কালো কালী দিয়ে তৈরী করে তাবিজে ঢুকিয়ে নিতে হবে। 

এই তাবিজটি গলায় ধারণ করলে যেকোনও কাজ হয়ে নিশ্চিন্তে শুরু করা যায়। এবং সব বাধা দূর করা যায়। তাবিজের প্রভাবে যেকোনো উদ্যোগ সফল হবে বলেও দাবি করা হয়। এই যন্ত্রের আরেকটি গুন্ হলো শত্রুও দাম্ভিক বাক্তিও যন্ত্র ধারকের সামনে নত হবে বা বশ হবে। যন্ত্র ধারককে সম্মান করবে। মুশকিল আসান যন্ত্রটির জুড়ি নেই। তাই তান্ত্রিক সাধকরা মুশকিল যন্ত্র বলে অভিহিত করেছেন।


সোমবার, ১০ এপ্রিল, ২০২৩

যারা রত্ন ধারণে সমর্থ নন তারা এই যন্ত্রটি বাব্বহার করলে সুফল পাবেন

গ্রহশান্তির জন্য 

         

 ২

৮ 

৫ 

৪ 

৯ 

১ 

৬ 

৭ 

৫ 

৪ 

৯ 

১ 

৬ 

৭ 

৩ 

২ 

৮ 

 ১

৬ 

৭ 

৩ 

২ 

৮ 

৫ 

৪ 

৯ 

৮ 

৩ 

২ 

৯ 

৫ 

৪ 

৭ 

১ 

৬ 

৯ 

৫ 

৪ 

৭ 

১ 

৬ 

৮ 

৩ 

২ 

 ৭

১ 

৬ 

৮ 

৩ 

৯ 

৫ 

৪ 

২ 

৮ 

৩ 

৪ 

৯ 

৫ 

৬ 

৭ 

১ 

৪ 

৯ 

৫ 

৬ 

৭ 

১ 

২ 

৮ 

৩ 

৬ 

৭ 

১ 

২ 

৮ 

৩ 

৪ 

৯ 

৫ 

উপরোক্ত যন্ত্রটিকে ভূর্জপত্রে লাল চন্দন, কেশর এবং গোরোচনা দ্বারা ডালিমগাছের কলমের সাহায্যে লিখে পূজার স্থানে স্থাপন করবেন। প্রতিদিন ধুপ-দিপাদি দিয়ে নবগ্রহ কবজ পাঠ করবেন। এরূপ করলে যন্ত্র শক্তিশালী হবে। 

যদি কোনো ব্যাক্তিকে একসঙ্গে কয়েকটি গ্রহ পীড়া দিতে থাকে, তাহলে এই যন্ত্র প্রয়োগ করবেন। যন্ত্রের প্রভাবে গ্রহের মন্দ প্রভাব শেষ হয়ে যাবে। এই সঙ্গে সেই ব্যাক্তির সর্বপ্রকার গ্রহকষ্ট দূর হয়ে যাবে।  

রবিবার, ৯ এপ্রিল, ২০২৩

সন ১৪৩০ সালের পূর্ণিমা ও অমাবস্যার সময়সূচি


পূর্ণিমা আরম্ভ ও শেষ সময় 

২০-শে বৈশাখ, বৃহস্পতিবার রাত্রি ১১:০৬ ঘটিকা শেষ ২১-শে বৈশাখ রাত ১০:৫০ মিনিট।  

১৯ শে জ্যৈষ্ঠ, শনিবার দিবা ১০:৫০ মিনিট শেষ ২০ শে জ্যৈষ্ঠ দিবা ০৯:০৬ মিনিট। 

১৬-ই আষাঢ়, রবিবার রাত্রি ০৭:২২ মিনিট শেষ ১৭-ই আষাঢ় বিকেল ০৫:২৮ মিনিট।  

১৪-ই শ্রাবন, সোমবার রাত্রি ০৩:০৫ মিনিট শেষ ১৫-ই শ্রাবন রাত্রি ১২:৮৬ মিনিট।  

১২-ই ভাদ্র, বুধবার দিবা ১০:২৭ মিনিট শেষ ১২-ই ভাদ্র দিবা ০৭:৫৯ মিনিট।  

১০-ই আশ্বিন, বৃহস্পতিবার রাত্রি ০৬:৪৫ মিনিট শেষ ১১-ই আশ্বিন বিকাল ০৪:০৬ মিনিট।  

৯-ই কার্তিক, শুক্রবার রাত্রি ০৩:৪২ মিনিট শেষ ১০-ই কাত্তিক রাত্রি ০১:৫৬ মিনিট।  

৯-ই অগ্রহায়ণ, রবিবার দিবা ০৩:১৫ মিনিট শেষ ১০-ই অগ্রহায়ণ দিবা ০২:১৭ মিনিট।  

৮-ই পৌষ, সোমবার শেষ রাত্রি ০৫:১৭ মিনিট শেষ ৯-ই পৌষ শেষ রাত্রি ০৫:২২ মিনিট।  

৯-ই মাঘ, বুধবার রাত্রি ০৯:৩৯ মিনিট শেষ ১০-ইম্যাঘ রাত্রি ১০:৪৭ মিনিট। 

১০-ই ফাল্গুন, শুক্রবার দিবা ০৩:৩০ মিনিট শেষ ১১-ই ফাল্গুন সন্ধ্যা ০৫:২৪ মিনিট।  

১০-ই চৈত্র রবিবার, দিবা ০৯:৪৩ মিনিট শেষ ১১-ই চৈত্র দিবা ১১:৪৮ মিনিট।  


অমাবস্যার আরম্ভ ও শেষ সময় 

৫-ই বৈশাখ বুধবার, দিবা ১১:০২ মিনিট শেষ ৬-ই বৈশাখ দিবা ০৯:৪১ মিনিট।  

৩-রা জ্যৈষ্ঠ, বৃহস্পতিবার রাত্রি ০৯:১৫ মিনিট শেষ ৪-ঠা জ্যৈষ্ঠ রাত্রি ০৯:১৫ মিনিট।  

১-লা আষাঢ় শনিবার, দিবা ০৮:২৭ মিনিট শেষ ২-রা আষাঢ় দিবা ০৯:০৫ মিনিট।  

৩০-শে আষাঢ় রবিবার, রাত্রি ০৯:৩৪ মিনিট শেষ ৩১-শে আষাঢ় রাত্রি ১০:৫৬ মিনিট।  

২৯-শে শ্রাবণ মঙ্গলবার, দিবা ১২:১৮ মিনিট শেষ ৩০-শে শ্রাবন দিবা ০২;১৫ মিনিট।  

২৬-শে ভাদ্র বুধবার, শেষরাত্রি ০৪:৩২ মিনিট শেষ ২৮ শে ভাদ্র দিবা ০৬:৩০ মিনিট।  

২৫-শে আশ্বিন শুক্রবার, রাত্রি ০৯:২৭ মিনিট শেষ ২৬শে আশ্বিন দিবা ০২:৩৩ মিনিট।  

২৫-শে কার্তিক রবিবার, দিবা ০২:০৬ মিনিট শেষ ২৬শে কার্তিক দিবা ০২:৩৩ মিনিট।  

২৪-শে অগ্রহায়ণ সোমবার,শেষরাত্রি ০৫:৩৯ মিনিট শেষ ২৫-শে অগ্রহায়ণ শেষরাত্রি০৫:০৫ মিনিট।   

২৪-শে পৌষ বুধবার, রাত্রি ০৭:৩৫ মিনিট শেষ ২৫-শে পৌষ রাত্রি ০৬:০৭ মিনিট।  

২৫-শে মাঘ শুক্রবার, দিবা ০৭:৩৩ মিনিট শেষ ২৫-শে মাঘ সন্ধ্যা ০৫:৪৩ মিনিট।  

২৫-শে ফাল্গুন শনিবার, সন্ধ্যা ০৫:৪৩ মিনিট শেষ ২৬-শে ফাল্গুন দিবা ০৩:২০ মিনিট।  

২৪-শে চৈত্র রবিবার, রাত্রি ০২:৩৪ মিনিট শেষ ২৫-শে চৈত্র রাত্রি ১২:১৩ মিনিট।  







সন ১৪৩০ সালের লগ্নগত প্রতিকার:-


 

 মেষলগ্ন 

 গোমেদ, নীলা, রক্তপ্রবাল

 শ্বেতচন্দন, শ্বেতবেড়েলা ,অনন্তমূল  

 বৃষলগ্ন 

  নীলা, রক্তপ্রবাল   

 শ্বেতবেড়েলা ,অনন্তমূল  

 মিথুনলগ্ন

 নীলা, রক্তপ্রবাল 

  শ্বেতবেড়েলা ,অনন্তমূল 

 কর্কটলগ্ন

 ক্যাটস আই, রক্তপ্রবাল

 অশ্বগন্ধা, অনন্তমূল

 সিংহলগ্ন

  গোমেদ, হীরা 

  রামবাসক শ্বেতচন্দন

 কন্যালগ্ন

 নীলা, গোমেদ

 শ্বেতচন্দন, শ্বেতবেড়েলা

 তুলালগ্ন   

  গোমেদ, নীলা  

 শ্বেতচন্দন, শ্বেতবেড়েলা

 বৃশ্চিকলগ্ন

 ক্যাটস আই, পান্না 

 অশ্বগন্ধা, বৃদ্ধদ্বারক, শ্বেতচন্দন

 ধনুলগ্ন

  প্রবাল, নীলা   

 শ্বেতবেড়েলা ,অনন্তমূল  

 মকরলগ্ন 

 গোমেদ, প্রবাল 

 শ্বেতচন্দন, অনন্তমূল   

 কুম্ভলগ্ন 

  চুনী, ক্যাটস আই 

  রামবাসক, অশ্বগন্ধা

 মীনলগ্ন  

  নীলা 

 শ্বেতবেড়েলা

 

 

 

                     

    

      

    

     

       

      

সন ১৪৩০ সালের লগ্নগত বর্ষফল


মেষলগ্ন:-

আপনার মনের জোর অতুলনীয়। কিন্তু অন্যেরা প্রায়শই ভুল বুঝে থাকবে। বর্তমান বছরে পারিবারিক ও বৈষয়িক বিষয়ে প্রতিকূলতা দেখা দেবে। চাকুরী ক্ষেত্রে বিরোধিতার মধ্যেও শুভফল পেতে পারেন। বৃহৎ ব্যাবসায়ীদের সমস্যার তীব্রতা লক্ষিত হবে। কৃষিজীবীদের সমস্যার মধ্যে সাফল্য পাওয়া সম্ভব। প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে যুক্তদের বছরটি লক্ষণীয় হতে পারে। বিশেষ কোনো গুনের জন্য বিশেষ স্বীকৃতি আশা করা যায়। আর্থিক ও শারীরিক দিক থেকে দুশ্চিন্তা লক্ষণীয়। পরিস্থিতি মোকাবিলা করে এগিয়ে চলুন, সাফল্য দেখতে পাবেন। উচ্চরক্তচাপ, মস্তিস্ক প্রসূত রোগে সমস্যা তৈরী হতে পারে। 

বৃষলগ্ন:-

আপনার অনুভূতিভাব প্রবল তবুও কঠোর মনোভাব প্রকাশ এবং প্রিয়জনের জন্য স্বার্থত্যাগে আপনি অগ্রণী। বর্তমান বছরের অধিকাংশ সময়ে স্বজনচিন্তা, ব্যবসা বা কর্মক্ষেত্রে জটিলতা বৃদ্ধি পেলেও পদোন্নতি ও আর্থিকভাবে উন্নতির যোগ দেখা যায়। তবে বিশেষ ঝুঁকি ও বেপরোয়া মনোভাবের কাজ থেকে সাবধান থাকতে হবে। ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষার ক্ষেত্রে সাফল্যের সম্ভাবনা। শরীর ও মনের ওপর চাপবৃদ্ধি, রাতে ব্যথাজনিত রোগে কষ্ট পাওয়া স্বাভাবিক। 

মিথুনলগ্ন:-

আপনি উদারমনা এবং চঞ্চলমতি তবে আর্থিক ও ভাগ্য সম্পর্কে অধিক চিন্তায় মগ্ন। ব্যাবসায়ীদের বিভিন্ন অসুবিধার মধ্যে পড়তে হলেও সাহিত্য সংস্কৃতির সঙ্গে যুক্তদের সুযোগ বৃদ্ধির সম্ভাবনা। সন্তান এবং কোনো নিকট আত্মীয়ের জন্য দুর্ভাবনা থাকবে। রক্তিহীনতা, আন্ত্রিক জাতীয় রোগে ভোগার আশংকা। 

কর্কটলগ্ন:-

আপনি কোনোরকম সমালোচনাকে গুরুত্ব না দিয়ে স্বাধীনভাবে এগিয়ে চলতেই ভালোবাসেন। আপনি অবশ্যই অতি স্নেহকাঙ্খী। স্ত্রী ও সন্তানদের পক্ষ থেকে মানসিক আঘাত আস্তে পারে। বর্তমান বছরে আপনি একাধিক সুযোগ পেতে পারেন। সাংস্মৃতিক জগতের মানুষেরা বিরোধীদের কাছ থেকে মানসিক চাপ পাবেন। উচ্চপদাদিকারীদের বিভিন্ন ভাবে সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। ক্রীড়াবিদদের পরিবেশ প্রতিকূল হতে পারে। সর্দিকাশি, হাঁপানি ছাড়াও দুর্ঘটনাজনিত কারণে অস্ত্রোপচারের সম্ভাবনা। 

সিংহলগ্ন:-

আপনি প্রকৃতিগত ভাবে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। নিজের অজান্তেই অন্যের ওপর প্রভাব বিস্তার করে থাকেন এবং পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সরল ভাবে মিশতে পারেন। বুদ্ধিমত্তা ও একাগ্রতার ফলস্বরূপ চাকুরী ও ব্যবসাক্ষেত্রে সাফল্য পাবেন। তবে বিভিন্ন সমস্যার মধ্যেই এগিয়ে যেতে হবে। বিভিন্ন কর্মে যুক্ত এবং ছাত্রছাত্রীদের বিশেষ চিন্তা ভাবনার মধ্যে পদক্ষেপ করতে হবে। রক্তচাপের তারতম্য, মেরুদন্ড সহ হারসংক্রান্ত রোগ দেখা দিতে পারে।

কন্যালগ্ন :-

আপনি সকলকে আপন করে নেওয়ার প্রবল ইচ্ছা নিয়ে এগিয়ে চলেন। বর্তমান বছরে পারিবারিক ক্ষেত্রে নিজের ও ঘনিষ্টদের কারণে সমস্যা তৈরী হতে পারে। চাকুরিজীবীদের আর্থিক উন্নতির সম্ভাবনা। বেকারদের কর্মপ্রাপ্তির সুযোগ আসতে পারে। ব্যাবসায়ীদের নিজ নিজ কেটে সতর্ক থাকা প্রয়োজন। মস্তিষ্কের বিশ্রাম ও সহজপাচ্য খাদ্য গ্রহণ আবশ্যক। রজার সম্ভাবনার চিন্তায় সমস্যার কারণ। 

তুলালগ্ন:-

আপনি কষ্টসহিষ্ণু, পরিশ্রমী এবং চারিত্রিক দিক হতে দৃঢ়। আপনি চাকুরী বা ব্যবসাক্ষেত্রে অবস্থা অনুযায়ী প্রতিষ্ঠালাভ করলেও আপনাকে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। দাম্পত্যজীবনে মন কষাকষি চলবে। আর্থিক ক্ষেত্রে চিন্তা বাড়বে। কোমর, কিডনি সংক্রান্ত অসুখে ভোগার সম্ভাবনা। 

বৃশ্চিক লগ্ন :-

আপনি সংগ্রামী মনোভাবের কারণে প্রতিকূল অবস্থার মধ্যেও ঘুরে দাঁড়াতে সমর্থ। সহযোগী মনোভাব থাকায় ওপরের ভুলত্রুটি ক্ষমা করে দিয়ে অগ্রণী ভূমিকা নিতে প্রস্তুত। বর্তমান বছরে আর্থিক স্বচ্ছলতা বশতঃ সঞ্চয় করা সম্ভব হবে। সাংসারিক শান্তি বজায় থাকবে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে সুসংবাদ পাওয়া স্বাভাবিক। নিদ্রাহীনতা, স্নায়বিক সমস্যা, দাঁত গলার রোগে কষ্ট পাওয়ার সম্ভাবনা। 

ধনুলগ্ন:-

স্নেহ ভালোবাসার দুর্বলতা থাকলেও আপনি আদর্শবাদী, দৃঢ়চেতা বর্তমান বছরে পারিবারিক ও দাম্পত্যজীবনে সমস্যা এবং উদ্বেগ বৃদ্ধি পাবে। সম্পত্তিগত বিষয়ে সজাগ থাকা প্রয়োজন। অর্থনৈতিক দিকে ধীরে ধীরে উন্নতির সম্ভাবনা। চাকুরীক্ষেত্রে স্থানপরিবর্তন হতে পারে। ব্যবসা পুনর্বিনিয়োগ সঠিক হবে না। ক্যান্সার,টিউমার জাতীয় অসুস্থতা দেখা দিতে পারে। 

মকরলগ্ন:-

বর্তমান বছরে পারিবারিক সম্পর্কগত দিকে সমস্যা তৈরী হবে। ভুলবোঝাবুঝি থেকে মনোমালিন্যের সম্ভাবনা। অর্থব্যয় বৃদ্ধি পাবে। যেকোনো বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সজাগ হওয়া বাঞ্চনীয়। চাকুরিজীবীদের চাকরি ক্ষেত্রে জটিলতা বৃদ্ধি পাবে। আর্থারাইটিস। হাড়ভাঙ্গা, বিষাদগ্রস্ততা দেখা দিতে পারে। দুর্ঘটনায় সাময়িক শয্যাশায়ী হওয়া অস্বাভাবিক নয়। 

কুম্ভলগ্ন:-

আপনি তীক্ষ্ণবুদ্ধির অধিকারবশতঃ মেধাবী, ভাবাবেগবশতঃ সমস্ত বাধা বিঘ্ন দূর করে এগিয়ে যেতে প্রস্তুত। পরিশ্রম ও বিচক্ষণতার দ্বারা ব্যবসা বা চাকুরী যেকোনো ক্ষেত্রে সাফল্য পেতে সমস্যা দেখা দেবে। দাম্পত্য কলহ বৃদ্ধি পেলেও পারিবারিক অন্য ক্ষেত্রে ধীরে সাফল্য লাভ হবে। একাকিত্ব, হার্ট, ব্লাডপ্রেশার জনিত রজার আশংকা থাকবে। 

মীনলগ্ন:-

আপনার জীবনে সাফল্যে বৃহস্পতির প্রভাব প্রতিফলিত। বর্তমান বছরে কাজকর্মের বিষয়ে বাধার সম্মুখীন হতে হবে। পরিবারের সকলকে নিয়ে এগিয়ে চলার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। চাকুরী বা ব্যাবসায় সতর্কতা প্রয়োজন। আর্থিক সমস্যা দেখা দেবে। চর্মরোগ, আমাশয়, বাতজ বেদনা বৃদ্ধি পেতে পারে।  










শনিবার, ৮ এপ্রিল, ২০২৩

সন ১৪৩০ সালের রাশিগত বর্ষফল :-


মেষরাশি :-

বর্তমান বছরে আপনাকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে.চাকুরিপ্রার্থীদের সমস্যা থাকবে। পারিবারিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে দুঃখভোগ হতে পারে। দাম্পত্য জীবনে সংযম বাঞ্চনীয়। চাহিদা অনুযায়ী যোগানের ক্ষেত্রে সতর্কতা প্রয়োজন। উত্তেজক পানীয় সেবন এবং মানসিক উত্তেজনা বৃদ্ধি সমস্যার মূল চাবিকাঠি হয়ে উঠতে পারে। ঘনিষ্ট আত্মীয়ের শারীরিক অসুস্থতা বৃদ্ধির সম্ভাবনা থাকবে। মস্তকে আঘাত, রক্তপাত ও জ্বরাদির সম্ভাবনা। 

বৃষরাশি:-

বর্তমান বক্সহরে আপনার আর্থিকভাব ভালো। তবে আশা আকাঙ্খা পূরণ সেই মতো হবেনা। সম্ভাব্য ক্ষেত্রে আর্থিক উন্নতি, প্রোমোশনের আশা থাকলেও চাকুরীক্ষেত্রে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। শুভাকাঙ্খীর সহযোগিতা ও নিজস্ব প্রচেষ্টায় ব্যবসাক্ষেত্রে সুফল লাভের সম্ভাবনা। সৌখিন আসবাব, অলংকার, রত্ন ইত্যাদি ব্যাবসায় সজাগ থাকা উচিত। নিকটজনের বিরোধী মনোভাব প্রবল চাপের সম্মুখীন করে তুলবে। শিক্ষাক্ষেত্রে ভালো ফলের আশা। ঠান্ডা লাগা থেকে সংযত থাকা উচিত। নচেৎ গলা, ঘাড় সংক্রান্ত রোগে ভুগতে হতে পারে। 

মিথুনরাশি:-

রাষ্যাধিপতির প্রভাবে আপনি কর্মক্ষেত্রে সঠিকভাবে মনোনিবেশ না করার ফলে আর্থিকভাবে মাঝে মধ্যেই অসুবিধায় পড়তে হবে। তবে নিজের পরিশ্রম এবং বুদ্ধি দ্বারা আর্থিক সমস্যার সমাধান সম্ভব। পিতামাতার সহযোগিতা না পেলেও ভাইবোনের সঙ্গে সদ্ভাব বজায় থাকায় কিছু সুবিধা পাওয়া যাবে। সন্তানদের শিক্ষাক্ষেত্রে বিঘ্ন দেখা দেওয়ায় অহেতুক সমস্যা তৈরী করবে। শরীরের উপরের অংশ নার্ভের সমস্যা দেখা দিতে পারে। 

কর্কটরাশি:-

রাষ্যাধিপতির প্রভাবে আপনি মাঝে মধ্যেই ক্রোধী হয়ে পড়ার সমস্যা দেখা দেবে। শিক্ষকতা, পানীয় ও জলজট দ্রব্যের ব্যবসা শুভদায়ক হবে। অন্য ব্যাবসায় সতর্কতা প্রয়োজন।প্রেমপ্রীতির সম্পর্কে সমস্যা দেখা দেবে। বিবাহ বিচ্ছেদের বিবাহ এবং বিবাহিতদের সন্তান লাভের সম্ভাবনা। সংস্কৃত মনস্কদের ক্ষেত্রে শুভফলের আশা। কোনো কারণে অর্থনৈতিক ক্ষতি দেখা দেবে। গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা ও মানসিক অবসাদ দেখা দিতে পারে। 

সিংহরাশি:-

রাষ্যাধিপতির প্রভাবে আপনি নেতৃত্বদানের ক্ষেত্রে আশাবাদী। তবে আত্মপ্রত্যয়শীলতা ও বটে। বর্তমান বছরে আর্থিক বছরে আর্থিক অবস্থা স্থিতিশীল থাকবে। ঋণগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে, তবে আত্মবিশ্বাস ও পরিশ্রমী মনোভাব দ্বারা আর্থিক উন্নতি ঘটাতে পারবেন। বহু মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ থাকায় তাদের সহযোগিতা পাওয়া সম্ভব। সাময়িক অশান্তি কাটিয়ে উঠে দাম্পত্যজীবনে সুখের সন্ধান পাবেন। শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার সময়ে অসুস্থতা দেখা দিতে পারে। নিজের পেশা ও চাকুরীক্ষেত্রে উন্নতি। শরীর খুব একটা ভালো থাকবে না। মজ্জা ও হাড়সংক্রান্ত রজার প্রকোপ বৃদ্ধি। 

কন্যারাশি:-

আপনি কর্মদ্দোগী, প্রাণবন্ত, হিসেবি ও নিয়মনিষ্ঠ। বর্তমান বছরটি আপনার কাছে শুভাশুভ মিশ্র ফল নিয়ে আসবে। তবে হঠাৎ কোনোভাবে অপবাদ প্রাপ্তি, কিংবা দুর্ঘটনা প্রাপ্তি স্বাভাবিক। অপ্রয়োজনীয় এবং দূর ভ্রমণ এড়িয়ে চলুন। পুরাতন চাকুরীর ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিলেও নতুন চাকুরী পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। আর্থিক ক্ষেত্রে উত্থানপতন থাকবে। হজমের গোলমাল, অন্ত্রজনিত রোগ দেখা দেবে। 

তুলারাশি:-

আপনি বিনয়ী, ভদ্র ও সৌজন্য প্রিয়। বর্তমান বছরে আর্থিক স্বাচ্ছন্দ থাকলেও ব্যয়বৃদ্ধিজনিত কারণে অসুবিধা দেখা দেবে। পিতা ভাইবোনের প্রতি দয়াশীল হলেও প্রতিদানে বিপরীত ফল পাওয়া অসম্ভব নয়। দাম্পত্য সমস্যা চলবে। সন্তানদের বিষয়ে উদ্বেগ দেখা দেবে। ব্যাবসার ক্ষেত্রে প্রসারিত হলেও চাকুরীর প্রতি অন্তরের টান সমস্যা তৈরী করবে। কোমরের ব্যাথা, কিডনির সমস্যা, যৌনরোগ দেখা দিতে পারে। সতর্ক ভাবে চলাফেরা করবেন, দুর্ঘটনার সম্ভাবনা আছে। 

বৃশ্চিকরাশি:-

আপনি দৃঢ সংকল্প, সফলতা না আসা পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়ে যান। বাধা পেলে উদ্যম বৃদ্ধি হয়। বর্তমান বছরে উপার্জন বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে অর্থ সঞ্চয়ের যোগ দেখা দেবে। ঘনিষ্টদের কাছ থেকেও আর্থিক সহযোগিতা পাবেন। সাংসারিক সমস্যা বৃদ্ধি পাবে। চাকুরী ক্ষেত্রে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে মতবিরোধ হওয়া স্বাভাবিক। ব্যাবসায়ীরা অর্থ বিনিয়োগে লাভ পাবেন। গুপ্তরোগ, দাঁত, গলার রোগ দেখা দিতে পারে। তবে সত্তর সুস্থ হয়ে উঠবেন। 

ধনুরাশি:-

বর্তমান বছরে সাহসী, তেজ, দৃঢ়চেতা ও স্পষ্টবক্তা। আপনার জীবনে আর্থিক সমস্যা সৃষ্টি করবে। গুরুজনের প্রতি কর্তব্যবোধ ও দায়িত্বজ্ঞান অটুট থাকায় স্নেহ ও সহযোগিতা লাভ করবেন। ভাইবোনেরা আপনাকে এড়িয়ে চলবে। দাম্পত্য জীবন আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা মুক্ত হবে। আপনার অধিপতি গ্রহ শুভ ভাবে অবস্থান করলে সামাজিক ও রাজনৈতিক জীবনে আপনি অবশ্যই নেতৃত্ব লাভ করবেন। চাকুরীক্ষেত্রে ও ব্যাবসায় উন্নতিতে কিছু সমস্যা থাকবে। ঊরুদেশ, লিভার সংক্রান্ত রোগে কষ্ট পাওয়া স্বাভাবিক। 

মকররাশি:-

রাষ্যাধিপতির ইচ্ছায় দুঃখ যন্ত্রনা মুক্ত সংগ্রামী জীবনে আপনি বাস্তববাদী, বিচক্ষণ, ধৈর্যশীল ফলস্বরূপ প্রতিষ্ঠান অর্জন করতেও আপনি সক্ষম। পারিবারিক ক্ষেত্রে সম্পর্কগত ভাবে কিছু সমস্যা তৈরী হবেই। কর্মক্ষেত্রে সমস্যা তৈরী হবে। তবে সব ব্যাপারেই সহনশীল হবেন। মাথা ঠান্ডা রেখে এগিয়ে চলার চেষ্টা করবেন। সমস্যা আয়ত্তে চলে আসবে। বিষাদগ্রস্ততা শরীরে নিম্নভাবে নার্ভের রোগ, হাড়ভাঙার সমস্যা প্রবল। বর্তমান বছরে নতুন করে ব্যবসা শুরু করা উচিত নয়। সব সমস্যার সমাধান না করতে পারলেও বিশেষ কিছু সমস্যা সামলে উঠতে চলার পথে ঘিয়ে যাবেন। 

কুম্ভরাশি:-

আপনি গবেষক এবং আধ্যাতিক চরিত্রের ব্যাক্তিত্ব। বর্তমান বছরে সমস্যা প্রবাহমান। ভাইবোনের অন্যায় আচরণের প্রতিবাদ করে সমস্যা বৃদ্ধি পাবে। কোনো সন্তানের কৃতিত্বে যশঃপ্রাপ্তি ঘটবে। বাত, টনসিল, চামড়া, হার্টের রোগ দেখা দেবে। হঠাৎ পতনযোগে শয্যাশায়ী হওয়ার সম্ভাবনা। 

মীনরাশি:-

কল্পনাপ্রবণ, রোমান্টিক জাতক জাতিকার কর্মোন্নতির প্রচেষ্টা বর্তমান বছরে সমস্যা সংকুল হয়ে উঠবে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে সুনামের অভাব দেখা দেবে। উদ্দেশ্য বিহীনভাবে ঘোরাফেরা সঠিক হবে না। আয়ের থেকে ব্যয় বেশি করার প্রবণতা সংযম প্রয়োজন। পেট ও পায়ের তলার অংশের সমস্যা দেখা দিতে পারে। 









রবিবার, ২ এপ্রিল, ২০২৩

গৃহশুদ্ধি প্রক্রিয়া

গৃহশুদ্ধি প্রক্রিয়া 

 যদি আপনার গৃহে দিনের পর দিন ঝগড়া বিবাদ বেড়ে যেতেই থাকে, প্রত্যেক কাজে বাধা বিঘ্ন থাকে, অর্থের অভাব হতে থাকে, গৃহে গৃহদেবতার বাস না হয়, তাহলে নিশ্চই জানবেন যে গৃহ অশুদ্ধ হয়েছে এবং  সেই সঙ্গে গৃহে অপদেবতার প্রভাব পড়েছে। 
২১ দিন পর্যন্ত প্রতিদিন সূর্যাস্তের সময় গরুর আধকিলো কাঁচা দুধ নেবেন। তাতে ৯ ফোঁটা শুদ্ধ মধু মিশিয়ে একটি পরিষ্কার পরিছন্ন বাসনে অর্থাৎ পাত্রে ঢেলে দিন এবং সেটি নিয়ে স্নান করে শুদ্ধ বস্ত্রাদি পরিধান করে বাড়ির ছাদ থেকে আরম্ভ করে, নিচে পর্যন্তপ্রত্তেকটি ঘর, সিঁড়ি, দরজা প্রভৃতিতে সেই দুধের ছিটে দিতে দিতে প্রধান দরজা পর্যন্ত আসবেন এবং দ্বারের বাইরে এসে অবশিষ্ট দুধ সেখানে ঢেলে দেবেন। এই প্রক্রিয়া করতে করতে ইষ্টদেবতাকে স্মরণ করবেন। ২১ দিন এই ক্রিয়া করলে বাড়ির বিভিন্ন প্রকার দোষ প্রভৃতি নষ্ট হয়ে বাড়ি শুদ্ধ হবে।  

শনিবার, ১ এপ্রিল, ২০২৩

জেনে নিন কেমদ্রুম যোগ সম্মন্ধে :



কেমদ্রুম যোগ একটি অশুভ যোগ। এই যোগ জন্মকুন্ডলিতে থাকলে নানা প্রকার সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় জাতক জাতিকাকে। এই যোগে জন্ম হলে জাতব্যাক্তি ধনী বা রাজপরিকারে জন্মগ্রহণ করলেও পরবর্তীকালে দরিদ্র ও দুঃখী হয়ে। থাকে আত্মীয়স্বজন ও পরিবার থেকে ক্রমশ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। যদি জন্মকুণ্ডলীতে চন্দ্রের উভয়স্থানে অর্থাৎ দ্বিতীয় ও দ্বাদশে কোনো গ্রহ না থাকে তবে "কেমদ্রুম" যোগ সূচিত হয়। চন্দ্রের চতুর্থে ও দশম স্থানে গ্রহ না থাকলেও এই যোগ সূচিত হয়। এই যোগে জাতক জাতিকা শারীরিক ও মানসিক দিক থেকে মাঝে মাঝেই বিষন্ন বোধ করবে। এবার দেখে নেওয়া যাক কেমদ্রুম ভঙ্গ যোগ কিভাবে দেখা হয়:-
১. কেমদ্রুম যোগ এবং রাজযোগে উভয়ের প্রভাবে জন্ম হলে - চন্দ্র যদি সকল গ্রহ দ্বারা দৃষ্ট হয়, তাহলে "কেমদ্রুম যোগ" ভঙ্গ হয়। এতে রাজযোগের সম্পূর্ণ  ফল লাভ হয়। 
২.চারটি কেন্দ্রে গ্রহ থাকলে এই যোগ ভঙ্গ হয়। 
৩.তুলারাশি বৃহস্পতি-মঙ্গল যুক্ত, রবি কন্যায় এবং চন্দ্র মেষে ইঁহাকেলে এই যোগ ভঙ্গ হয়। 
৪.চন্দ্র বা শুক্র কেন্দ্রে অবস্থান করে বৃহস্পতি বা শুভগ্রহযুক্ত ও দৃষ্ট হলে কিংবা চন্দ্র ও শুক্র যদি স্বক্ষেত্রে, মূলত্রিকোণে, তুঙ্গে বা মিত্রগ্রহে থাকে তবে "কেমদ্রুম ভঙ্গ যোগ" হয়।  

বিবাহের পূর্বে পাত্রপাত্রীর কুণ্ডলী মেলানোর প্রয়োজনীয়তা কতটা জরুরি ?


পাত্র বা পাত্রীর করোও কোষ্ঠিতে যদু দরিদ্র, অকালমৃত্যু, বৈধব্য, অর্থাৎ অকালে পতি বা পত্নীহানি, চরিত্রহীনতা এবং নিঃসন্তান বা সন্তান জীবিত না থাকার যোগ - এই পাঁচটি দোষের কোনো একটি থাকলে সেই পাত্র বা পাত্রীর বিবাহ বর্জন করা উচিত। পাত্র বা পাত্রীর উভয়ের কোষ্ঠিতে যদি দোষগুলি না থাকে তাহলে জ্যোতিষশাস্ত্র মতে বিবাহ অনুমোদনীয়। অতঃপর পাত্র ও পাত্রীর মধ্যে অষ্টকূট বিচারে মিল হলে তবেই বিবাহে দাম্পত্য জীবন মসৃন হয়ে থাকে। অর্থাৎ পাঁচটি মূল দোষ হলো :
১. দারিদ্রাদোষ - উভয়ের কোষ্ঠিতে ধনযোগ আছে কি না তার বিচার প্রয়োজন। 
২.অকালমৃত্যু দোষ - নিধনভাব বা অযুভাব বিচার করে অকালমৃত্যু যোগ বিচার প্রয়োজন। 
৩.পতি-পত্নীহানি দোষ - ভৌম বা মাঙ্গলিক দোষের বিচার করে বৈধব্য দোষ বিচার প্রয়োজন। 
৪.চরিত্রহীনতার যোগ - সপ্তমভাব বিচার করে স্বামী বা স্ত্রীর চরিত্রহীনতার যোগ বিচার প্রয়োজন। 
৫.অনপত্যতা দোষ - বিবাহিত জীবনে সন্তান স্থানের গুরুত্ব অপরিসীম। উভয়ের পঞ্চমভাবের বিচার প্রয়োজন। 
এবার আসা যাক যোটক বিচারের ব্যাপারে -
বিবাহের পূর্বের পাত্র ও পাত্রীর পরস্পরের জন্মরাশ্যদি হতে যে শুভাশুভ বিচার করা হয় তাকে যোটক - বিচার বলা হয়। এটিকে আটটি ভাগে ভাগ করা হয় - (১) বর্ণকূট , (২) বষ্যকূট , (৩) তারাকুট, (৪) যোণিকূট, (৫) গ্রহমৈত্রীকূট, (৬) গণমৈত্রীকূট , (৭) রাশিকুট, (৮) ত্রিনারিকুট। দৈবজ্ঞ মনোহর গ্রন্থে গুন্ সন্মন্ধে লিখিত আছে যে ত্রিনারীকূটে ৮, রাশিকুটে ৭, গনকূটে ৬, গণমৈত্রীকূটে ৫, যোনিকুটে ৪, তারাকুটে ৩, বশ্যকুটে ২, এবং বর্ণকুটে ১; মোট ৩৬ গুন্ সমষ্টির মধ্যে রাজযোটকাদি শুভ রাশিকুট ১৮ থেকে ২০ গুন্ হলে মধ্যম, ৩০ পর্যন্ত শ্রেষ্ঠ এবং ৩০ গুনের উপর হলে বিবাহ মিলন শ্রেষ্ঠতর হয়।   

আপনার রাশি অনুযায়ী কোন দেবদেবীর জপ বা স্ত্রোত্র পাঠ উপযুক্ত :


১. মেষরাশি :
হনুমান চালিশা পাঠ করুন প্রত্যহ দুবেলা। 
রবি প্রণাম মন্ত্র জপ স্নানের পর। বা সূর্যদেবকে প্রত্যহ অর্ঘ্য প্রদান করুন। 

২.বৃষরাশি ;
প্রতিদিন সকাল সন্ধ্যা আদ্দা স্ত্রোত্র পাঠ করুন। 
মহামৃত্যুঞ্জয় স্ত্রোত্র পাঠ করুন প্রত্যহ দু-বেলা। 

৩. মিথুনরাশি :
নবগ্রহ স্ত্রোত্র পাঠ প্রত্যহ দু-বেলা। 
মহামৃত্যঞ্জয় মন্ত্র পথ করুন। 

৪. কর্কটরাশি :
হনুমান চালিশা পাঠ করুন প্রত্যহ দু-বেলা। 
গণেশের ধ্যান করুন যেকোনো সময়ে স্নানের পর। 

৫. সিংহরাশি :
রবি প্রণাম মন্ত্র প্রতিদিন স্নানের পর পাঠ করুন। 
নবগ্রহ স্ত্রোত্র পাঠ করুন প্রত্যহ দু-বেলা। 

৬. কন্যারাশি :
প্রতি শুক্রবার দূর্গা স্ত্রোত্র পাঠ করুন। 
নবগ্রহ স্ত্রোত্র পাঠ করুন প্রত্যহ দু-বেলা। 

তুলারাশি :
নবগ্রহ স্ত্রোত্র পাঠ করুন প্রত্যহ দু-বেলা। 
মহামৃত্যুঞ্জয় স্ত্রোত্র পাঠ করুন প্রত্যহ দু-বেলা। 
মহামৃত্যঞ্জয় মন্ত্র পথ করুন। 

বৃশ্চিকরাশি :
প্রতি বৃহস্পতিবার লক্ষ্মীদেবীর ধ্যান ও প্রণাম মন্ত্র পাঠ করুন। 
আদ্দা স্ত্রোত্র পাঠ করুন প্রত্যহ দুবেলা। 

ধনুরাশি :
নবগ্রহ স্ত্রোত্র পাঠ করুন প্রত্যহ দু-বেলা। 
গণেশের ধ্যান করুন যেকোনো সময়ে স্নানের পর। 

মকররাশি :
নবগ্রহ স্ত্রোত্র পাঠ করুন প্রত্যহ দু-বেলা। 
সংকটা স্ত্রোত্র পাঠ করুন প্রত্যহ দু-বেলা। 

কুম্ভরাশি :
প্রতি বৃহস্পতিবার লক্ষ্মীদেবীর ধ্যান ও প্রণাম মন্ত্র পাঠ করুন। 
আদ্দা স্ত্রোত্র পাঠ করুন প্রত্যহ দুবেলা। 

মীনরাশি :
হনুমান চালিশা পাঠ করুন প্রত্যহ দু-বেলা। 
গণেশের ধ্যান করুন যেকোনো সময়ে স্নানের পর। 

দগ্ধরাশি রাশিজ্ঞান কি বিশদে জানুন


তিথি সাপেক্ষে রাশির দগ্ধ হয়ে থাকেন। ফলে সেই রাশি, রাশি পতি এবং সেই রাশিঃস্থিত গ্রহ দুর্বল হয়ে যায় যদি না তারা বক্রী থাকে। সেই জন্য রাজযোগকারী গ্রহের দশাও তিথি সাপেক্ষে নিষ্ফল প্রদান করেন। এর কিছু ব্যাতিক্রম আছে। যেমন- দগ্ধ রাশি বা রাশি পতি লগ্ন থেকে তৃতীয়ে, ষষ্ঠে, অষ্টমে বা দ্বাদশে থাকলে  বা অশুভ গ্রহযুক্ত হলে কিংবা বক্রী হলে, তবে অশুভ না হয়ে শুভই হবে। কিন্তু তৃতীয়ে, ষষ্ঠে, অষ্টমে অথবা দ্বাদশে থেকেও যদি গ্রহ দগ্ধরাশি গ্রহের নক্ষত্রে থাকে তবে অশুভ ফলই হবে। দ্বিতীয়, চতুর্থ, পঞ্চম, সপ্তম, নবম, দশম ও একাদশপতি  ও দগ্ধরাশির নক্ষত্রে অবস্থান করলে অশুভ ফল লাভ হবে। আসুন দেখে নেওয়া যাক কোন তিথি সাপেক্ষে কোন রাশি দগ্ধ অবস্থা প্রাপ্ত হয় তার তালিকা দেওয়া হলো :

তিথি      দগ্ধরাশি 

প্রতিপদ-তুলা, মকর 

দ্বিতীয়া- ধনু ও মীন 

তৃতীয়া- সিংহ ও মকর 

চতুর্থী - বৃষ ও কুম্ভ 

পঞ্চমী - মিথুন ও কন্যা 

ষষ্ঠী- মেষ ও সিংহ 

সপ্তমী - কর্কট ও ধনু  

তিথি ও        দগ্ধরাশি 

অষ্টমী - মিথুন ও কন্যা 

নবমী - সিংহ ও বৃশ্চিক 

দশমী - সিংহ ও বৃশ্চিক 

একাদশী - ধনু ও মীন 

দ্বাদশী - তুলা ও মকর 

ত্রয়োদশী - বৃষ ও সিংহ 

চতুর্দশী - মিথুন, কন্যা, ধনু ও মীন।