রাশি অনুসারে রুদ্রাক্ষ ধারণ:-
মেষরাশি - তিনমুখী রুদ্রাক্ষ
বৃষরাশি- সপ্তমুখী রুদ্রাক্ষ
মিথুনরাশি- পঞ্চমুখী রুদ্রাক্ষ
কর্কটরাশি- সমস্ত রকম রুদ্রাক্ষ
সিংহরাশি- তিনমুখী বাদে যেকোনো রুদ্রাক্ষ ধারণ শুভ
কন্যারাশি- ছয়মুখী রুদ্রাক্ষ। এছাড়া অন্য যেকনো রুদ্রাক্ষ ধারণ করতে পারে।
তুলারাশি- যেকোনো মুখী রুদ্রাক্ষ ধারণ করতে পারেন।
বৃশ্চিকরাশি- অষ্টমুখী রুদ্রাক্ষ ধারণীয়। তিনমুখী চলবেনা।
ধনুরাশি- যেকোনো রুদ্রাক্ষ
মকররাশি- সপ্তমুখী রুদ্রাক্ষ। পঞ্চমুখী নিষিদ্ধ।
কুম্ভরাশি- পঞ্চমুখীতে বিশেষ ফললাভ হয়। এছাড়া যেকোনো রুদ্রাক্ষ ধারণ করতে পারেন।
মীনরাশি- দশমুখী রুদ্রাক্ষ। এছাড়া যেকোনো মুখী ধারণ করা যায়।
জন্মদিন, বার, তিথি, নক্ষত্র, স্থান অনুযায়ী ধরণের প্রয়োজন হতেই পারে, তবে কোন মুখীর কি গুন্ জানা থাকলে প্রয়োজন বুঝতে পারা যায়।
রুদ্রাক্ষ পরিচিতি :
একমুখী রুদ্রাক্ষ - একমুখী রুদ্রাক্ষাকেই শিবশক্তির কেন্দ্রীভূত রূপ বলা চলে। এটি সাধারণত দুর্লভ। ধারণ,দর্শন,পূজন ও গৃহে স্থাপনের ফলে সর্বপ্রকার ব্যাধি,সংকট,শত্রুর থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। আধ্যাত্মিক জ্ঞান লাভ হয়। এই রুদ্রাক্ষ গোল বা অর্ধেকটা গোলাকার হয়ে থাকে। দুটির গুনাগুন একই থাকে। সাধু-মহাত্মাদের অতিপ্রিয় হয় এই রুদ্রাক্ষ।
দ্বিমুখী রুদ্রাক্ষ - এই রুদ্রাক্ষের মধ্যে সুরক্ষা শক্তি প্রচুর থাকে। এটি বশিকরন প্রভাবের সঙ্গে যুক্ত থাকে। সর্বজন বশীকরণের জন্য বিশেষ প্রভাবশালী। সুখ-সমৃদ্ধিলাভ বহু পাওয়া যায়। এটি চ্যাপ্টা আকারের হয়।
তিনমুখী রুদ্রাক্ষ - কার্যক্ষেত্রে সিদ্ধি প্রযত্নে - সফলতা,বিদ্যাঅর্জন ,জ্ঞানলাভ,সাধনায় অনুকূল ফললাভ,কার্যক্ষেত্রে সিদ্ধিলাভ,দিব্যশক্তি অর্জন প্রভাতী এই রুদ্রাক্ষের মাধ্যমে হয়ে থাকে।
চারমূখী রুদ্রাক্ষ - এই রুদ্রাক্ষের মধ্যে ব্রম্ভার শক্তি সমাহিত থাকে। দিব্যশক্তি প্রভাবশালীতার সকল গুন্ আছে। তন্ত্র ক্রিয়ায় সফলতা পাওয়া যায়।
পঞ্চমুখী রুদ্রাক্ষ- এই রুদ্রাক্ষ তিনটি ধারণ করা প্রয়োজন হয়। এটি ধারণে দেহ ও মন শুদ্ধ থাকে। দুশ্চিন্তা দূর হয়। মনে শান্তি ও কর্ম শক্তি বৃদ্ধি হয়। সঠিক নিয়ম মেনে ধারণ প্রয়োজন।
ছয়মুখী রুদ্রাক্ষ - এই রুদ্রাক্ষ ধরণের ফলে অত্যন্ত শক্তি লাভ করা যায়। নানাবিধ ক্লেশসমূহ,সাংসারিক কষ্ট থেকে মানুষ কে রক্ষা করে। যাদের বৌদ্ধিক শক্তির বিকাশের ইচ্ছা থাকে তারা এর সহিত চারমূখী রুদ্রাক্ষ ধারণ করবেন।
সাতমুখী রুদ্রাক্ষ - অতি সমৃদ্ধকারী। নানাবিধরোগ , ব্যাধি ও দারিদ্র নিবারক। এর ধরণের ফলে বিশেষ মানসিক শক্তি লাভ হয়। গলায় ধারণের ফলে পূজাঅর্চনা, তন্তক্রিয়ায় একনিষ্ঠতা আনে।
আটমুখী রুদ্রাক্ষ- এই জাতীয় রুদ্রাক্ষ টি একমুখী রুদ্রাক্ষের মতোই দুর্লভ। প্রতিটি মানুষ যদি সঠিক নিয়ম নিষ্ঠা মেনে ধারণ করতে পারলে ব্যাক্তি দৈবিক,দৈহিক, ও ভৌতিক কষ্ট থেকে সুরক্ষিত থাকে। এটি ধারণ করলে কোনো নেগেটিভ এনার্জি শরীরে প্রবেশ করতে পারেনা।
নয়মুখী রুদ্রাক্ষ - এই রুদ্রাক্ষাটি যদি আসল হয় তবে শত্রু,অগ্নি,জল,ভূমিকম্প,ঝড় ঝঞ্ঝা,হিংস্র জন্তুর আক্রমণ প্রভৃতি থেকে রক্ষা করে। যাঁরা নির্জন স্থানে বা বিপজ্জনক সস্থানে বসবাস বা কর্ম করেন তাদের এই রুদ্রাক্ষ ধারণ করলে সুফল পেয়ে থাকে।
দশমুখী রুদ্রাক্ষ - শোক, সঙ্কটনাশন,কামনা,বাসনা,রোগনাশক,প্রকৃত নিয়ম ও তন্ত্র মতে মহাযজ্ঞ দ্বারা শোধন করে সিদ্ধভাবে শুদ্ধ করে ধারণ করলে মহা পুণ্যলাভ ঘটে।
এগারমুখী রুদ্রাক্ষ - এই রুদ্রাক্ষাটি ধরণের পূর্বে তান্ত্রিক উপাসনা বিধিতে করতে হয়। কারণ এটি সর্বদাই সর্বোমোহক, এবং সর্বত্র বৈভব সমৃদ্ধিকারী। এই রুদ্রাক্ষাতে স্বয়ং শিবের শক্তি নিহিত থাকে। তাই এটি ধারণে দিব্যশক্তি লাভ ঘটে।
বারমুখী রুদ্রাক্ষ - এটিও অতি শক্তিশালী ও প্রভাবশালী রুদ্রাক্ষ। অনেক তপস্যার ফলে এই রুদ্রাক্ষ পাওয়া যায়। আধ্যাত্মিক জ্ঞান,তর্কশাস্ত্র,নানাবিধ শুভকর্মে উৎসাহ,ভৌতিক সমৃদ্ধি সমস্ত কামনা বাসনা পূরণ করে।
তেরোমুখী রুদ্রাক্ষ - এটি ধরণের ফলে ক্রমশ নানান গুনের অধকারী হওয়া যায়। ভালো চিকিৎসক,সেবামূলক কর্মে যুক্ত,মানব সেবায় নিজেকে নিযুক্ত করা,দেশপ্রেম ও দুর্লভ শক্তির অধিকারী হওয়া যায়।
চোদ্দমুখী রুদ্রাক্ষ - অদ্ভুত ও দুর্লভ এই রুদ্রাক্ষকে দেবমনি বলা হয়। সঠিক ভাবে সঠিক নিয়ম অনুযায়ী ধারণ করলে অশুভ রিষ্টির থেকে নানাভাবে মুক্তি লাভ সম্ভব। কিন্তু আসল রুদ্রাক্ষ ও সঠিক ফলটি পুষ্ট সুলক্ষণযুক্ত নিখুঁত, সঠিক প্রয়োজন মতো রং ও আকৃতি ও সম্পূর্ণ বিধি অনুযায়ী ধারণ করা প্রয়োজন। তবেই কিন্তু সুফল লাভ সম্ভব হয়।
অশুভ ফলের প্রভাব ও প্রতিকার:-
দ্বিমুখী রুদ্রাক্ষ মালা ধরণের ফলে বুধ গ্রহের কুপ্রভাব থেকে উৎপন্ন রক্তচাপ প্রভৃতির মতো বহু রোগ নিরাময় হয়। রবি গ্রহের অশুভ প্রভাবের ফলে যে রোগ উৎপন্ন হয় , পঞ্চমুখী রুদ্রাক্ষ ধারণ করলে তার থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব হেবে যদি জাতক জাতিকা উত্তরাষাঢ়া নক্ষত্রে গোলাপি রঙের সুতোয় গ্রন্থি দিয়ে বেঁধে রবিবার পুষ্যা নক্ষত্রে গলায় ধারণ করতে পারে।
মেষরাশি - তিনমুখী রুদ্রাক্ষ
বৃষরাশি- সপ্তমুখী রুদ্রাক্ষ
মিথুনরাশি- পঞ্চমুখী রুদ্রাক্ষ
কর্কটরাশি- সমস্ত রকম রুদ্রাক্ষ
সিংহরাশি- তিনমুখী বাদে যেকোনো রুদ্রাক্ষ ধারণ শুভ
কন্যারাশি- ছয়মুখী রুদ্রাক্ষ। এছাড়া অন্য যেকনো রুদ্রাক্ষ ধারণ করতে পারে।
তুলারাশি- যেকোনো মুখী রুদ্রাক্ষ ধারণ করতে পারেন।
বৃশ্চিকরাশি- অষ্টমুখী রুদ্রাক্ষ ধারণীয়। তিনমুখী চলবেনা।
ধনুরাশি- যেকোনো রুদ্রাক্ষ
মকররাশি- সপ্তমুখী রুদ্রাক্ষ। পঞ্চমুখী নিষিদ্ধ।
কুম্ভরাশি- পঞ্চমুখীতে বিশেষ ফললাভ হয়। এছাড়া যেকোনো রুদ্রাক্ষ ধারণ করতে পারেন।
মীনরাশি- দশমুখী রুদ্রাক্ষ। এছাড়া যেকোনো মুখী ধারণ করা যায়।
জন্মদিন, বার, তিথি, নক্ষত্র, স্থান অনুযায়ী ধরণের প্রয়োজন হতেই পারে, তবে কোন মুখীর কি গুন্ জানা থাকলে প্রয়োজন বুঝতে পারা যায়।
রুদ্রাক্ষ পরিচিতি :
একমুখী রুদ্রাক্ষ - একমুখী রুদ্রাক্ষাকেই শিবশক্তির কেন্দ্রীভূত রূপ বলা চলে। এটি সাধারণত দুর্লভ। ধারণ,দর্শন,পূজন ও গৃহে স্থাপনের ফলে সর্বপ্রকার ব্যাধি,সংকট,শত্রুর থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। আধ্যাত্মিক জ্ঞান লাভ হয়। এই রুদ্রাক্ষ গোল বা অর্ধেকটা গোলাকার হয়ে থাকে। দুটির গুনাগুন একই থাকে। সাধু-মহাত্মাদের অতিপ্রিয় হয় এই রুদ্রাক্ষ।
দ্বিমুখী রুদ্রাক্ষ - এই রুদ্রাক্ষের মধ্যে সুরক্ষা শক্তি প্রচুর থাকে। এটি বশিকরন প্রভাবের সঙ্গে যুক্ত থাকে। সর্বজন বশীকরণের জন্য বিশেষ প্রভাবশালী। সুখ-সমৃদ্ধিলাভ বহু পাওয়া যায়। এটি চ্যাপ্টা আকারের হয়।
তিনমুখী রুদ্রাক্ষ - কার্যক্ষেত্রে সিদ্ধি প্রযত্নে - সফলতা,বিদ্যাঅর্জন ,জ্ঞানলাভ,সাধনায় অনুকূল ফললাভ,কার্যক্ষেত্রে সিদ্ধিলাভ,দিব্যশক্তি অর্জন প্রভাতী এই রুদ্রাক্ষের মাধ্যমে হয়ে থাকে।
চারমূখী রুদ্রাক্ষ - এই রুদ্রাক্ষের মধ্যে ব্রম্ভার শক্তি সমাহিত থাকে। দিব্যশক্তি প্রভাবশালীতার সকল গুন্ আছে। তন্ত্র ক্রিয়ায় সফলতা পাওয়া যায়।
পঞ্চমুখী রুদ্রাক্ষ- এই রুদ্রাক্ষ তিনটি ধারণ করা প্রয়োজন হয়। এটি ধারণে দেহ ও মন শুদ্ধ থাকে। দুশ্চিন্তা দূর হয়। মনে শান্তি ও কর্ম শক্তি বৃদ্ধি হয়। সঠিক নিয়ম মেনে ধারণ প্রয়োজন।
ছয়মুখী রুদ্রাক্ষ - এই রুদ্রাক্ষ ধরণের ফলে অত্যন্ত শক্তি লাভ করা যায়। নানাবিধ ক্লেশসমূহ,সাংসারিক কষ্ট থেকে মানুষ কে রক্ষা করে। যাদের বৌদ্ধিক শক্তির বিকাশের ইচ্ছা থাকে তারা এর সহিত চারমূখী রুদ্রাক্ষ ধারণ করবেন।
সাতমুখী রুদ্রাক্ষ - অতি সমৃদ্ধকারী। নানাবিধরোগ , ব্যাধি ও দারিদ্র নিবারক। এর ধরণের ফলে বিশেষ মানসিক শক্তি লাভ হয়। গলায় ধারণের ফলে পূজাঅর্চনা, তন্তক্রিয়ায় একনিষ্ঠতা আনে।
আটমুখী রুদ্রাক্ষ- এই জাতীয় রুদ্রাক্ষ টি একমুখী রুদ্রাক্ষের মতোই দুর্লভ। প্রতিটি মানুষ যদি সঠিক নিয়ম নিষ্ঠা মেনে ধারণ করতে পারলে ব্যাক্তি দৈবিক,দৈহিক, ও ভৌতিক কষ্ট থেকে সুরক্ষিত থাকে। এটি ধারণ করলে কোনো নেগেটিভ এনার্জি শরীরে প্রবেশ করতে পারেনা।
নয়মুখী রুদ্রাক্ষ - এই রুদ্রাক্ষাটি যদি আসল হয় তবে শত্রু,অগ্নি,জল,ভূমিকম্প,ঝড় ঝঞ্ঝা,হিংস্র জন্তুর আক্রমণ প্রভৃতি থেকে রক্ষা করে। যাঁরা নির্জন স্থানে বা বিপজ্জনক সস্থানে বসবাস বা কর্ম করেন তাদের এই রুদ্রাক্ষ ধারণ করলে সুফল পেয়ে থাকে।
দশমুখী রুদ্রাক্ষ - শোক, সঙ্কটনাশন,কামনা,বাসনা,রোগনাশক,প্রকৃত নিয়ম ও তন্ত্র মতে মহাযজ্ঞ দ্বারা শোধন করে সিদ্ধভাবে শুদ্ধ করে ধারণ করলে মহা পুণ্যলাভ ঘটে।
এগারমুখী রুদ্রাক্ষ - এই রুদ্রাক্ষাটি ধরণের পূর্বে তান্ত্রিক উপাসনা বিধিতে করতে হয়। কারণ এটি সর্বদাই সর্বোমোহক, এবং সর্বত্র বৈভব সমৃদ্ধিকারী। এই রুদ্রাক্ষাতে স্বয়ং শিবের শক্তি নিহিত থাকে। তাই এটি ধারণে দিব্যশক্তি লাভ ঘটে।
বারমুখী রুদ্রাক্ষ - এটিও অতি শক্তিশালী ও প্রভাবশালী রুদ্রাক্ষ। অনেক তপস্যার ফলে এই রুদ্রাক্ষ পাওয়া যায়। আধ্যাত্মিক জ্ঞান,তর্কশাস্ত্র,নানাবিধ শুভকর্মে উৎসাহ,ভৌতিক সমৃদ্ধি সমস্ত কামনা বাসনা পূরণ করে।
তেরোমুখী রুদ্রাক্ষ - এটি ধরণের ফলে ক্রমশ নানান গুনের অধকারী হওয়া যায়। ভালো চিকিৎসক,সেবামূলক কর্মে যুক্ত,মানব সেবায় নিজেকে নিযুক্ত করা,দেশপ্রেম ও দুর্লভ শক্তির অধিকারী হওয়া যায়।
চোদ্দমুখী রুদ্রাক্ষ - অদ্ভুত ও দুর্লভ এই রুদ্রাক্ষকে দেবমনি বলা হয়। সঠিক ভাবে সঠিক নিয়ম অনুযায়ী ধারণ করলে অশুভ রিষ্টির থেকে নানাভাবে মুক্তি লাভ সম্ভব। কিন্তু আসল রুদ্রাক্ষ ও সঠিক ফলটি পুষ্ট সুলক্ষণযুক্ত নিখুঁত, সঠিক প্রয়োজন মতো রং ও আকৃতি ও সম্পূর্ণ বিধি অনুযায়ী ধারণ করা প্রয়োজন। তবেই কিন্তু সুফল লাভ সম্ভব হয়।
অশুভ ফলের প্রভাব ও প্রতিকার:-
দ্বিমুখী রুদ্রাক্ষ মালা ধরণের ফলে বুধ গ্রহের কুপ্রভাব থেকে উৎপন্ন রক্তচাপ প্রভৃতির মতো বহু রোগ নিরাময় হয়। রবি গ্রহের অশুভ প্রভাবের ফলে যে রোগ উৎপন্ন হয় , পঞ্চমুখী রুদ্রাক্ষ ধারণ করলে তার থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব হেবে যদি জাতক জাতিকা উত্তরাষাঢ়া নক্ষত্রে গোলাপি রঙের সুতোয় গ্রন্থি দিয়ে বেঁধে রবিবার পুষ্যা নক্ষত্রে গলায় ধারণ করতে পারে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন