রত্ন ধরণের সাবধানতা
যেকোনো রত্ন বা উপরত্ন ধারণ করার আগে কোনো বিশেষজ্ঞকে দেখিয়ে নেবেন অথবা পরীক্ষা করিয়ে নেবেন। দূষিত রত্নকে ধারণ করলে লাভের পরিবর্তে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। এদের মধ্যে কিছু রত্ন বাদ দিয়ে নিম্নলিখিত দোষ হলে রত্ন ধারণ না করে মঙ্গল। যেমন :- দাগযুক্ত, সাদাকালো, লালসাদা, চিরকাটা, গর্তযুক্ত, ডোরাকাটা বা ধারযুক্ত, জাল চিহ্ন থাকা, চার পাঁচ রঙের দাগযুক্ত এইসব দোষ প্রায় সবই রত্ন বা উপরত্নের মধ্যে আছে কিনা ভালোভাবে পরীক্ষা করে নেবেন। তারপর ধারণ করবেন। হীরা বা নীলা তো প্রথমেই কাটাই প্রভৃতিতে দূষিত হয়ে পড়ে। এই প্রকার দূষিত হলে কয়েক ঘন্টার মধ্যেই অশুভ ফল প্রদান করে।
দক্ষিণাবর্ত শঙ্খ এবং পারদ নির্মিত শিবলিঙ্গ ঘরে রাখলে সর্বপ্রকার শুভ ফল প্রদান করে।
পতি বা পত্নী হানি যোগ আপনার জন্ম কুণ্ডলী তে নেইতো ?
১. লগ্নে চতুর্থে, সপ্তমে, অষ্টমে, বা দ্বাদশে মঙ্গল অবস্থান করলে জাতকের পত্নীহানি হয়। পক্ষান্তরে ওই যোগসমূহ নারীর স্বামীহানি হয়।
২. ষষ্ঠে মঙ্গল , সপ্তমে রাহু , ও অষ্টমে শনি থাকলে জাতকের স্ত্রীহানি বা নারীর বৈধব্য ভোগ ঘটে।
৩. ষষ্ঠে চন্দ্র ও দশম স্থানে রবি থাকলে জায়া জীবিত থাকে না।
৪.লগ্ন ও চন্দ্রের সপ্তমে বা অষ্টমে পাপগ্রহ থাকলে পত্নীহানি হয়।
৫. সপ্তমে মঙ্গল থাকলে এবং ওই মঙ্গল শনি দৃষ্ট হলে অবশ্যই পত্নীনাশ হয়।
৬.পঞ্চমে চন্দ্র থাকলে এবং সপ্তম ও দ্বাদশে একাধিক ক্রূর গ্রহ থাকলে জাতক পত্নীহীন হয়ে থাকবে।
৭. সপ্তমপতি ক্রূর গ্রহ যুক্ত হলে স্বামী বা স্ত্রীনাশ হয়।
৮. লগ্নে রাহু, রবি, ও মঙ্গল একত্রে থাকলে নারীর বৈধব্য যোগ সূচিত হয়।
৯. লগ্নে রাহু, এবং অষ্টমে দ্বাদশে মঙ্গল থাকলে বৈধব্য দোষ হয়।
১০. শুভগ্রহ কর্তৃক দৃষ্ট না হয়ে পাপগ্রহ অষ্টমে থাকলে নারীর বৈধব্য দোষ প্রাপ্ত হয়।
১১. লগ্নে রবি, মঙ্গল কিংবা শনির অবস্থানে দাম্পত্য আয়ু বিনাশ ঘটে।
১২. শনি যুক্ত সপ্তমপতি মঙ্গলের দৃষ্টিসহ থাকলে এবং অষ্টমস্থানে চন্দ্র রাহু যুক্ত হলে , নিশ্চই বৈধব্য দোষ ভোগ হয়।
১৩. অষ্টমে রাহু পাপগ্রহের্ সমাবেশ ঘটলে নারী অতি দুঃখে জীবন অতিবাহিত করে ও বৈধব্য দশা প্রাপ্তি হয়।
বি:দ্রো : তবে ভৌম বা বৈধব্য দোষ খণ্ডনের ও বিভিন্ন যোগ দেখে তবেই সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন