মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর, ২০১৯

রাশি বিচারে জাতক জাতিকার ফলরচনা (সাধারণ কোষ্ঠী নির্ণয়ের ফলাফল)

রাশি বিচারে জাতক জাতিকার ফলরচনা (সাধারণ কোষ্ঠী নির্ণয়ের ফলাফল)


সিংহরাশি- জাতক উচ্চভিলাষী প্রভুত্ব প্রিয় হবে।  প্রায় সকল ক্ষেত্রেই সকলের উপর থেকে কর্তৃত্ব করার ক্ষমতা থাকবে।  জাতক উদার,বদান্য, উচ্চপ্রকৃতির ব্যাক্তিত্ব নিয়েই জন্মেছে।  সবরকম দুর্নীতির উপর একটা স্বাভাবিক বিরাগ থাকবে।  সাধারণের নিকট সম্মানিত হওয়ার সাধারণের সম্মুখে আসবার একটা প্রবল আকাঙ্খা থাকবে।  জাতকের হৃদয়াবেগ বেশ গভীর বলা যায়।  স্নেহপ্রীতির বিষয়ে সহজেই আবেগ প্রবন হয়ে উঠবে।  জাতক ভোগী প্রকৃতির হবে।  তার মধ্যে বিলাসিতার ভাবও দেখা যায়।  অর্থের ব্যাপারে জাতককে সৌভাগ্যবান বলা চলে।  যদিও অর্থের  সম্পদের ব্যাপারে তার বিশেষ ক্ষমতা দেখা যায় না। খাদ্য হিসেবে নিরামিষ খাদ্য হিতকর। চর্বি উত্তেজক খাবার ক্ষতিকর হবে। 

কন্যারাশি- জাতক প্রশান্ত সদালাপী। মানসিকতা প্রবল এবং স্মৃতিশক্তি খুবই প্রখর। যেকোনো বিষয় সহজেই বুঝে নিতে পারবে।  উচ্চভিলাষের তেমন লক্ষণ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। কর্মবহুল উত্তেজনাপূর্ণ জীবনের চেয়ে শান্তিপূর্ণ জীবনই বেশি বাঞ্চনীয়। জাতক জাতিকা নিজের ব্যাপারে শিথিল প্রকৃতির হবে।  মাতৃস্থানীয়া স্ত্রীলোকদের শত্রূতার জন্য জীবনে বহু অশান্তি বা ঝড়ঝঞ্ঝা বয়ে যেতে পারে, স্বাধীনভাবে কাজ করার চেয়ে পরের অধীনে কাজ করলে বেশি কৃতিত্বের পরিচয় ঘটতে পারে। খাবার হিসেবে মাছ,মাংস,শাকসবজি,ফলমুল দুধ জাতকের পক্ষে হিতকর

তুলারাশি- জাতক বুদ্ধিমান ইঙ্গিতজ্ঞ। বেশ সামাজিক মজলিসী প্রকৃতির। বন্ধুবান্ধবের সংস্রবে আনন্দ পাওয়া পছন্দ করবে।  কাব্য, চিত্র সংগীতের দিকে তার একটা সহজ আকর্ষণ জন্মাবে।  কলাবিদ্যার দিকে ঝোঁক থাকবে।  কৃতিত্বের পরিচয় দিতে পারবে।  জীবনের প্রায় সব কাজই অন্যের সাহচর্যের প্রভাবে তার উপর খুব প্রবলভাবে প্রকাশ পাবে।  বিবাহ তার জীবনে স্মরণীয় ঘটনা হয়ে উঠতে পারে।  জাতক বেশ স্নেহশীল,মিষ্টভাষী এবং দয়ালু প্রকৃতির মানুষ।  নানাবিধ কাজে লিপ্ত থাকা তার পক্ষে সম্ভব।  জাতকের  প্রতি আগ্রহ থাকবে
অধিক জলপান নিরামিষ আহার জাতকের পক্ষে হিতকর

বৃশ্চিকরাশি- জাতক খুব দৃঢ় চিত্ত স্থীর প্রতিজ্ঞপ্রকৃতির। তার মধ্যে আত্মপ্রত্যয় আত্মনির্ভরতা ভাব থাকবে।  সে যথেষ্ট কর্ম পটু পরিশ্রমী হবে।  ভালোভালো জিনিসের প্রতি তার লোভ থাকবে।  সাংসারিক সুখ সাচ্ছন্দ কামনা করবে।  নিজের মতে টলবে না। পুরোমাত্রায় রক্ষণশীল।  কাজ হাসিল করার জন্য যেকোনো পথ নিতে পারে।  সহজে ক্ষমা করতে জানবে না।  দীর্গদিনের প্রতিশোধের স্পৃহা মনের ভিতর পুষে রাখবে।  তার প্রকৃতিতে ক্রোধ অত্যন্ত প্রবল।  যৌন আকর্ষণ প্রবল। সুরুচি শ্লীলতার অভাব লক্ষ করা যাবে। বিবাহিত জীবন বিশেষ সুখকর হয়না। তার মধ্যে অনর্থক ব্যায় ঝোঁক থাকবে।  জীবনে স্বদ্বয় খুব কম   হবে।  পিতামাতার দিক থেকে বড় বেশি সুখলাভ সম্ভব নয়।  নীতিবিরুদ্ধ কাজের জন্য জাতক জাতিকার অপবাদ রটতে পারেযেকোনো পিত্তপ্রশমনকারী খাদ্য ডাব নারকেল প্রভৃতি হিতকর

ধনুরাশি- জাতক জাতিকা ব্যস্ত চঞ্চলপ্রকৃতির।  সবকাজ চটপট শেষ করতে চায়।  ের অত্যন্ত স্বাধীনতা প্রিয়। যেকোনো রকম বন্ধন এদের একেবারেই অপছন্দ। ভ্রমণ ভালোবাসবে এবং জীবনে ভ্রমণ অনেক ঘটবে।  এদের মন উচ্চ সাধুবাদে পূর্ণ।  হৃদয়ে আন্তরিকতা আছে।  ধর্মজ্ঞান বিশ্বাসে  ভরপুর।  অধ্যাত্বিকতা জাতক জাতিকার জীবনে একটা বড়ো অংশ জুড়ে থাকবে।  গুপ্তবিদ্যা , যোগ, সম্মোহন বা অতীন্দ্রিয় বিষয়ের প্রতি যথেষ্ট আগ্রহ থাকতে পারে।  এরা একসঙ্গে একাধিক বিষয়ের কাজে লিপ্ত হতে পারে  শিক্ষা সদসঙ্গের অভাব ঘটলে জাতকের চরিত্রে পাশবিক দিকটার প্রকাশ ঘটতে পারে। খেলাধুলায় ধনুরাশির জাতক জাতিকারা বেশ আনন্দ পেয়ে থাকেন
নিরামিষ খাদ্য, দুধ, ছানা এদের স্বাস্থ্যের পক্ষে হিতকর

মকররাশি - জাতকের জীবনে অসংখ্য বাধা অতিক্রম করতে হয়।  তবে ের যত বাধা পে ততই এদের জেড বাড়তে থাকে। সুখ্যাতি বা অখ্যাতি যাইহোক এদের প্রসিদ্ধিলাভ কিছু পরিমানে হয়েই থাকবে। জাতক বা জাতিকার মধ্যে প্রবল অধ্যাবসায় লক্ষ করা যাবে। তবে মাঝে মাঝেই নৈরাশ্যের ভাব থাকবে আত্মপ্রত্যয়ের অভাব লক্ষ করা যাবে। পারিবারিক ব্যাপারে বা পিতামাতার মধ্যে বনিবনার অভাব বা বিচ্ছেদ প্রভৃতি ঘটতে পারে।  নিজের বিবাহের ব্যাপারে কোনো গুরুজনের সঙ্গে মতভেদ হতে পারে।  বিবাহে শশুর বা শাশুড়ি অমত থাকতে পারে।  চন্দ্র পাপপীড়িত হলে বিবাহ নাও হতে পারে। জাতকের কর্মসংক্রান্ত ব্যাপারে বহু বাধা প্রতিদ্বন্দ্বিতা অতিক্রম করতে হবে। তার জীবনে প্রকাশ্যে বা গুপ্তশতরু থাকবেই। শত্রূ রা তার নামে অপবাদ বা কুৎসা রোটাতে পারে।  জাতক নিতান্ত হিসাবি সাবধানী প্রকৃতির মানুষ। আত্মকেন্দ্রিক প্রকৃতির বটে।  নিজের দিকেই তার লক্ষ বেশি।  অন্যের সুখ সাচ্ছন্দের  দিকে তেমন দৃষ্টিপাত থাকবে না। জাতক ভোগী প্রকৃতির হলেও অমিতাচারী হবেনা

কুম্ভরাশি- জাতককে বোঝা কঠিন। তাকে খেয়ালি লোক বলে মনে হতে পারে।  সবসময় নতুন কিছু অনুভব করার ইচ্ছা খুব বেশি।  মৌলিক অভিনব দিকে ঝোঁক থাকবে।  বর্তমান জগতের চেয়ে বেশি অগ্রসর হওয়ার বাসনা জন্মাতে পারে।  সেইজন্যে সবসময় গূঢ় রহস্যের বিদ্যা তাকে আকৃষ্ট করবে। জাতক উদার সহানুভূতিশীল লোক।  অন্যের সদিচ্ছা কামনা করে তার বাসনা সেইকাৰণে তাকে অনেক সময় নিরীহ ভালোমানুষ সমাজের অবিরোধী বলে মনে হলেও অন্যের সদিচ্ছা কামনার্থে তার মধ্যে স্বাধীনতাপ্রিয় সমাজদ্রোহীতার ভাব লক্ষিত হতে পারে।  প্রকৃত অর্থে এদের জন্মটা নিজের জন্য হয়না। অন্যের সদিচ্ছার কারণেই এরা  পৃথিবীতে জন্মে থাকে।  তাই অধিকাংশ সাধু সন্ন্যাসীর এই রাশিতেই জন্ম হতে দেখা যায়।  স্ত্রীলোক বা মাতৃস্থানীয় কারুর কাছে এরা প্রিয় হয়ে থাকে।  তাদের থেকে কিছু প্রাপ্তির সম্ভাবনাও রয়েছে।  তবে তা সম্ভব যদি চন্দ্র শুভ হয়ে থাকে।  চন্দ্র পাপপীড়িত হলে স্ত্রীলোকের দ্বারা প্রাপ্তির বদলে তাদের দ্বারা অর্থনাশ,ঋণের দ্বারা অশান্তি প্রভৃতি অশুভফলের সম্ভাবনা। জাতকের বিবাহে গোলযোগ বা বিবাহিত জীবনে অশান্তির সম্ভাবনা রয়েছে

মীনরাশি- জাতকের শরীরে বা মনে চাঞ্চল্য ভাব দেঝা দেবে।  জাতকের দৌড়ঝাঁপ,খেলাধুলা, এবং তাড়াতাড়ি কাজকর্ম করা পছন্দ করে।  ভ্রমণের দিকে ঝোঁক থাকবে।  তার মধ্যে ভাব প্রবণতা থাকবে।  হৃদয় আলোড়নকারি বিষয় পছন্দ করবে।  যুক্তি বুদ্ধির চেয়ে অনুভূতি প্রবল।  কাব্য,চিত্র সঙ্গীতে স্বাভাবিক আকর্ষণ থাকবে।  দরদী মনের অধিকারী।  রোমান্স অদ্ভুত বিষয়ে তাকে বেশি করে টানবে।  সঙ্গ নির্বাচন তার জীবনে প্রধান হয়ে দাঁড়ায়।  সৎসঙ্গে ের স্বর্গবাস করতে পারে আবার অসৎসংগে জীবন বরবাদ হতে পারে।  এদের কথাবার্তা, রচনা, ভাষণ সংযমের বদলে বাহুল্য ভাব বেশি দেখা যায়।  এদের মধ্যে কল্পনা অতিরঞ্জনের চেষ্টা লক্ষ করা যাবে।  এরা  সামান্য আশাতেই উৎফুল্ল হয়ে ওঠে, আবার ক্ষুদ্র বাধা পেয়েই হতাশ হয়ে বসে।  সবসময় এদের মধ্যে সহজ জ্ঞানের অভাব এবং সাধারণ পরিহাস বোধের অভাব লক্ষ্য করা যায়।  সাংসারিক উন্নতির পথে এদের অনেক বাধা বিঘ্ন সহ্য করতে হবে।  তাকে অনেক ভাগ্য বিপর্যয় সহ্য করতে হবে।  চন্দ্র দুর্বল হলে খুব বেশি পারিবারিক সুখ পাবে না।  জীবনে অনেক প্রকাশ্য  বা গুপ্ত শত্রূর মোকাবিলা করতে হতে পারে।  এরা  ভোগী প্রকৃতির হয়ে থাকে।  অর্থসংক্রান্ত ব্যাপারে জাতকের বিশেষভাবে দেখেশুনে চলা প্রয়োজন , তা নাহলে কষ্ট অবসম্ভাবী


1 টি মন্তব্য: