ভাববিচারের সাধারণ নিয়ম
১. জন্মলগ্ন এবং রাশি উভয় হতে ভাববিচার আবশ্যক। তারপর ভাব এবং ভাবপতি গ্রহের কারকতা , ভাবস্থ গ্রহের কারকতা , নৈসর্গিক শুভ এবং পাপগ্রহের কারকতা , ভাবপতির গ্রহগণের চার প্রকার সন্মন্ধজনিত কারকতা, গ্রহবল, ভাববল , গ্রহগণের শত্রুমিত্রাদি ক্ষেত্রে বস্থান ও দৃষ্টি হতে ফল বিচার আবশ্যক।
২. ভাব রাশিগত গ্রহ শুভ বা পাপ যাইহোক না কেন , সেই গ্রহ ভাবে সম্পূর্ণভাবে শুভাশুভ ফল প্রদান করবে। ভাবস্থ গ্রহ অপেক্ষা ভাবদর্শী গ্রহ স্বল্প ফল প্রদান করবে। এবং ভাবদর্শী গ্রহ অপেক্ষা ভাবপতি গ্রহ নূন্যতম ফলদাতা হবে।
৩. ভাবস্থ গ্রহগণের নিজস্ব কারকতা এবং বলাবল অনুসারে ভাবের উপরে আশ্রয়গত ফল দান করবে। গ্রহগণ নৈসর্গিক পাপ, শুভ, শত্রু মিত্রাদি ক্ষেত্রে অবস্থান বা দৃষ্টি ভেদে আশ্রয়গত শুভাশুভ ফল দান করে থাকে। তারপর ভাবাশ্রয়ে গ্রহগণ ভাবপতি জনিত ফল সেই গ্রহের শত্রুমিত্র সম- ভাবাত্মক গ্রহের সঙ্গে সম্মন্ধ করে, সেই শত্রুমিত্রাদি সন্মন্ধের মধ্য হতে যে ভাবে আশ্রয় গ্রহণ করবে, সেইভাবে কারকতাকে অবলম্বন করে শুভাশুভ ফলদান করবে। গ্রহগণের দশাভোগের সময় এবং গোচরে সন্মন্ধ হলে , সেই সময় ওই ফল লাভ হয়। ভাবপতি গ্রহ ভাবাশ্রিত রাশির সন্ধি হলে ডিগ্রিতে থাকলে, সেই সন্ধি ডিগ্রির পূর্বাপর যে ভাব পড়বে , ভাবপতি গ্রহ সেই ভাবেই ফলপ্রদান করবে ; পক্ষান্তরে সন্ধি ডিগ্রিতে অবস্থিত গ্রহগণ রাশিতে নিজস্ব কারকতা অনুসারে মাত্র আশ্রয় ফল প্রদান করবে।
৪. দ্বাদশভাবের মধ্যে যে যেভাবে শুভগ্রহ অবস্থান করবে , সেই সেই ভাবের উপরে স্বকীয় কারকতা বা গুনধর্মানুসারে শুভফলের বৃদ্ধি করবে। এই নিয়মে পাপগ্রহগণ যে যেভাবে অবস্থান করবে - সেই সেই ভাবফলের ক্ষতি করবে। যদি কোনো গ্রহ শুভ ভাবের অধিপতি হয়ে অশুভভাবে অবস্থান করে এবং সেই গ্রহ যদি শুভভাবপতি গ্রহের সঙ্গে সম্মন্ধ স্থাপন করে , তাহলে অশুভভাবে অবস্থান করলেও, ভাবে শুভ ফল প্রদান করবে। অন্যথায় অশুভ ফলদাতা হবে।
৫. নৈসর্গিক পাপগ্রহ এবং অশুভ ভাবপতি গ্রহ উভয়ে বলবান হয়ে নৈসর্গিক শুভগ্রহের বর্গে অবস্থান করলে শুভ ফলদাতা হবে। শুভগ্রহ এবং শুভভাবপতি গ্রহ যদি নৈসর্গিক পাপগ্রহের বর্গে অবস্থান করে পাপগ্রহ কর্তৃক দৃষ্ট বা যুক্ত হয়, তাহলে তারা অত্যধিক অশুভফলদাতা হবে।
৬. প্রত্যেক ভাবের বিষয়সমূহ দেহ, মন ও আত্মাকে অবলম্বন করে বিকাশলাভ করে থাকে। সেই কারণে ভাববিচারে সর্বসময় লগ্ন, লগ্নপতিগ্রহ, জন্মচন্দ্র, ও জন্মরবি এই চারটি বিষয় পরস্পরের সম্মন্ধ বিচার আবশ্যক। তারপর যেকোনো ভাববিচার আবশ্যক হবে, সেই ভাব এবং ভাবপতি গ্রহের উপর শুভ ও পাপগ্রহ এবং শত্রু মিত্র গ্রহের দৃষ্টি লক্ষ্য রেখে বিচার করতে হয়। কারণ উপরি বর্ণিত বিষয় দুটি হতে ভাবপতি গ্রহ তার নিজস্ব কারকতা অনুসারে শুভাশুভ ফল দশা এবং অন্তর্দশা এবং গ্রহ গোচরের মধ্য হতে প্রদান করে থাকে।
৭. নৈসর্গিক শুভগ্রহের রাশিতে যেকোনো নৈসর্গিক শুভগ্রহ অবস্থান করে শুভগ্রহ দৃষ্ট হলে, সেই রাশি সূচিত ভাব অতিশয় বলবান হয়ে শুভ ফলদাতা হবে; পক্ষান্তরে, যদি কোনো ভাব রাশিতে কোনো শুভ গ্রহ অবস্থান করে এবং ওই ভাবপতি গ্রহ দুর্বল হয়, তাহলে সেই ভাবের আংশিক শুভফল লাভ হবে মাত্র। তারপরে ভাবপতি গ্রহ যদি সবল হয় এবং ভাবরাশিতে দুর্বল গ্রহ থাকে, তাহলে সেই ভাবের আংশিক অশুভ ফল লাভ হবে।
৮. যেকোনো ভাবরাশিতে ষষ্ঠ ও অষ্টমতি গ্রহ থাকলে, সেই ভাবপতি গ্রহ যদি বলবান ও হয়, তাহলে সেই ভাবের ফল অশুভ হবে। এইরূপস্থলে ষষ্ঠ ও অষ্টমতি গ্রহদ্বয় যদি মিত্রভাব রাশিতে থেকে মিত্র এবং নৈসর্গিক শুভগ্রহ কর্তৃক দৃষ্ট হয়, তাহলে ভাবফলের আংশিক অশুভ ফল দান করবে। তারপর ষষ্ঠ এবং অষ্টমতি গ্রহ যেভাবে থাকবে - সেই ভাব হতে যদি লগ্নের নবম ভাব তাদিগের দৃষ্টি থাকে, তাহলে ভাবপতি গ্রহ শ্রেষ্ঠ বলী হলেও ভাবফলের সম্পূর্ণ অশুভ ফল প্রদান করবে। ঐ ভাবপতি গ্রহদ্বয়ের যদি লগ্নের নবম দৃষ্টি না থাকে, তাহলে ভাবফলের শুভ হবে। ষষ্ঠ ও অষ্টমতি গ্রহ যদি ষষ্ঠ এবং অষ্টমে অর্থাৎ স্বগৃহে থাকে, তাহলে অশুভ ফলদাতা হবেনা।
৯. নৈসর্গিক পাপগ্রহ যদি কোনো ভাবরাশির উভয় পার্শে থাকে অথবা কোনো ভাবফল হতে চতুর্থ, অষ্টম, পঞ্চম বা নবমে থাকে তাহলে সেই ভাবফল সম্পূর্ণ অশুভ হবে। ঐ নিয়মে যদি শুভগ্রহ অবস্থান করে তাহলে ভাবফলের বৃদ্ধি হয়ে শুভ হবে।
১০. লগ্নাধিপতি, পঞ্চমাধিপতি, নবমপতি ও দশমাধিপতি গ্রহ নৈসর্গিক পাপগ্রহ হোক বা শুভগ্রহই হোক- ওই ভাবপতি গ্রহগণ যেসকল ভাবকে পূর্ণদৃষ্টি প্রদান করবে, সেই সকল ভাবেরই শুভ হবে।
১১. ষষ্ঠ পতি গ্রহ হতে বিপদ, শত্রুবৃদ্ধি, রিপুর উত্তেজনা, ও কর্মে বাধার সৃষ্টি হয়। পক্ষান্তরে, অষ্টমতি গ্রহ দ্বারা জীবনীশক্তি, আয়ু ,মনোব্যাথা, শোক, পথের বাধা, উদ্বেগ ও অপমানের সৃষ্টি হয়। দ্বাদশপতি গ্রহ হতে দারিদ্র, রাজদণ্ড ,সন্তানরিস্টি , পদচ্যুতি, অপব্যয়, স্ত্রী স্বাস্থ, এবং রিপুদোষ সৃষ্টি হয়। এই তিনটি ভাবপতি গ্রহের সঙ্গে কোনো নৈসর্গিক পাপগ্রহের সম্মন্ধ, যুতি বা দৃষ্টির সম্পর্ক হলে, উপরে বর্ণিত ভাবপতি গ্রহ সূচিত কারকতা সম্পূর্ণ অশুভ ফল প্রদান করবে। এই নিয়মে নৈসর্গিক শুভগ্রহের সন্মন্ধে ঐ ভাবপতিগণের বর্ণিত কারকতার সম্পূর্ণ শুভফল দান করবে। অর্থাৎ বিপন্নমুক্তি, রিপুর উত্তেজনা হ্রাস, ইত্যাদি বিষয়ে শুভফল প্রদান করবে। এই ফল বিচারে দশা এবং গ্রহের গোচর ফল -উভয়েরই বিচার প্রয়োজন।
১২. কোনো ভাবপতি গ্রহ, লগ্ন অথবা লগ্নপতির সঙ্গে গোচরে সম্মন্ধ করলে সেই ভাবপতি সূচিত বিষয়সমূহ লগ্ন ও লগ্নপতির প্রকৃতির মধ্য হতে সম্পূর্ণ শুভাশুভ ফল প্রদান করবে।
১৩. লগ্নপতি বা লগ্নের নবাংশ পতি অথবা রাশি পতি গ্রহ এবং প্রয়োজনীয় যেকোনো এবং যেকোনো ভাবপতি গ্রহ যদি জন্মকুন্ডলীতে তুঙ্গগৃহে অবস্থান করে, তবে সেই উক্ত ভাবপতি গ্রহের পূর্ণবল শুভভাবে বিকাশ প্রাপ্ত হয়ে থাকে। এই নিয়মে গ্রহ নীচস্থ হলে সম্পূর্ণ অশুভ ফল জন্মাবে।
১৪. কোনো ভাবপতি গ্রহ এবং ভাবকারক গ্রহ তুঙ্গে, স্বক্ষেত্রে, মূলত্রিকোণে, মিত্রগৃহে, এবং মিত্রবর্গে থেকে লগ্নের অষ্টম ভাবগত হলে সেই ভাবপতি গ্রহ এবং শুভ কারক গ্রহ কোনো ক্রমেই ভাবফেলের শুভ বিকাশ সাধনে শুভ ফল দান করতে পারবেনা। ভাবপতি গ্রহ এবং ভাবকারক গ্রহ যেকোনো অবস্থায় নীচস্থ ও শত্রুগৃহগত হয়েও লগ্নের একাদশ ভাবে থাকলে ভাবফল বৃদ্ধি করবে।
১৫. ভাবপতি গ্রহ এবং ভাবকারক গ্রহ যদি পাপ মধ্যগত, শত্রুগৃহগত, শত্রুদৃষ্ট বা শত্রুযুক্ত হয় তাহলে কোনোক্রমেই ভাবফেলের শুভ করতে পারবেনা। পক্ষান্তরে ভাবপতি গ্রহ এবং ভাবকারক গ্রহ যদি চতুর্থ, অষ্টম ও দ্বাদশভাবগত হয় এবং লগ্নের ত্রিকোনস্থানে নৈসর্গিক নৈসর্গিক পাপগ্রহ বা নীচস্থ গ্রহ থাকে এবং ঐ নীচস্থ গ্রহ যদি নীচভঙ্গ রাজযোগের কারক না হয়, তাহলে সেই ভাবফেলের শুভ কোনোপ্রকারেই হতে পারেনা। নীচস্থ গ্রহের নীচভঙ্গ রাজযোগ থাকলে আংশিক শুভ হবে মাত্র।
১৬. কোনো জাতকের শুভ গ্রহগণ যদি লগ্ন হতে অষ্টমভাবে অবস্থান করে পাপগ্রহগণ দ্বারা দৃষ্ট বা প্রভাবিত হয়, তাহলে সেই ব্যাক্তির জীবনে ও প্রকৃতির পাপপ্রভাব অপেক্ষা শুভপ্রভাব অধিক পরিমানে থাকবে। শাস্ত্রকার অষ্টম ভাবে কেবলমাত্র শুভ গ্রহ অবস্থান এবং দৃস্টিবল প্রভৃতির প্রাধান্য দান করেছেন।
১৭. লগ্নপতি গ্রহ ও যেকোনো ভাবপতি গ্রহ এবং ভাবকারক গ্রহ গোচরে যখন কোনো ভাবগৃহে অথবা জন্মরাশিতে কিংবা ভাবপতির নবাংশে গতিক্রমে অবস্থান করবে তখন সেই ভাবফলের শুভাশুভ ফল সম্পূর্ণ প্রদান করবে।
১৮. যেকোনো ভাবপতি গ্রহ এবং সেই ভাবকারক গ্রহ গোচরে যখন লগ্নে অথবা লগ্নপতির অবস্থিত রাশিতে গমন করবে তখন সেই ভাবের শুভাশুভ ফল সম্পূর্ণ রূপে প্রদান করবে। অথবা ভাবপতি গ্রহ এবং ভাবকারক গ্রহ যখন পরস্পর যুক্ত বা দদৃষ্ট হবে, তখন ভাবফল সম্পূর্ণ রূপে প্রদান করবে।
১৯. বৃহস্পতির গোচরে যখন কোনো ভাবপতি গ্রহের সঙ্গে ভাবগৃহে অথবা ভাবপতি গ্রহের নবাংশে কিংবা ভাবগৃহ হতে ত্রিকোনস্থানে গোচরে অবস্থান করবে তখন সেই ভাবফলের শুভ পূর্ণমাত্রায় প্রদান করবে।
২০. লগ্নপতির নবাংশরাশিতে গোচরে যখন কোনো ভ্যাকারক গ্রহ এবং ভাবপতি গ্রহ গমন করবে, তখন ভাবপতির পূর্ণ শুভাশুভ ফল প্রদান করবে।
২১. অষ্টমতি গ্রহ যখন গোচরে যেকোনো ভাবপতি গ্রহের সঙ্গে সম্মন্ধ করে লগ্নপতির নবাংশরাশিতে গমন করবে, সেই সকল ভাবফলের হানি করবে।
২২. বিভিন্ন গ্রহ যখন একই সময়ে কোনো ভাবরাশিতে গোচরে গমন করে, ঠিক সেই সময় গ্রহগণ সেই ভাবে বিভিন্ন প্রকারের ফল প্রদান করে থাকে। কিনটি ঐসকল গ্রহগণ মধ্যে যে গ্রহের দশাভোগ হবে অথবা যে দশা চলছে সেই দশার দশা পতির মিত্র এবং সহধর্মী যে গ্রহ উহার ভিতরে থাকবে সেই গ্রহের গোচরফল ওই ভাবের উপর সম্পূর্ণ প্রদান করবে। অন্যান্য গ্রহগণ পরস্পরের রশ্মি সম্পর্কের মধ্যে দিয়ে বিভিন্নপ্রকার ফল সৃষ্টি করে থাকে। ফলের সমতার মধ্যে নিজস্ব গুণধর্মানুসারে সম্পূর্ণ শুভাশুভ ফল প্রদান করবে। এইস্থলে দশা পতি বা তার সহধর্মী, মিত্র প্রভৃতি গ্রহগণ ফলের কারক হবে।
২৩. বৃহস্পতি ও শনি এই গ্রহ দুটিকে প্রধান গ্রহ বলা হয়। গোচরে এই দুটি গ্রহ সর্বদাই দশাফলকে অতিক্রম করে স্বকীয় প্রকৃতি এবং অবস্থান অনুসারে ভালোমন্দ ফলদান করে থাকে।
২৪. রবির দশাভোগকালে গোচরে চন্দ্রের নবমস্থ শনি তে পিতৃহানি অথবা পিতার ক্লেশভোগ হবে। মঙ্গলের দশায় গোচরে অষ্টমস্থ শনিতে স্বীয় রোগভোগ হয়। এছাড়া উপরে বর্ণিত নিয়মে জন্মসময়ে চন্দ্রের অবস্থান হতে নবমে শনি থাকলে রবির দশাভোগের সময় গোচরে অবস্থা সৃষ্ট হলেও পিতৃহানি হবে।
২৫. জন্মসময়ে যে গ্রহ অস্তমিত, নীচস্থ প্রভৃতি দোষে দুষ্ট থাকবে, গোচরেও সেই গ্রহ যেভাবে গমন করবে-সেই ভাবের অশুভ ফল প্রদান করবে। তারপর যখন যে গ্রহের দশা চলবে, সেই গ্রহের তুঙ্গ এবং মিত্ররাশিতে অথবা দশাকারক গ্রহ হতে তৃতীয়, সপ্তম, দশম ও একাদশ স্থানে গোচরে যখন চন্দ্র গমন করবে তখন শুভ ফল প্রদান করবে। বিপরীতে অশুভ ফল প্রদান করবে।
২৬. জন্মসময়ে লগ্নের দশমে চন্দ্র ও সপ্তমে বৃহস্পতি থাকলে এবং ওই যোগের সঙ্গে লগ্নের নবমে যদি কোনো নৈসর্গিক পাপগ্রহ থাকে তাহলে চন্দ্র ও বৃহস্পতি বলবান হলেও জাতব্যক্তি স্বয়ং তার বংশ ধ্বংসের কারণ হবে। ঐ নিয়মে গোচরে রাশির দশম স্থানে চন্দ্র এবং সপ্তমে বৃহস্পতি থাকাকালীন নবমে যদি কোনো পাপগ্রহ থাকে তাহলে এই যোগ যত সময় ব্যাপী অবস্থান করবে ঠিক ততসময় জাতক স্বকীয় বুদ্ধির দ্বারাই তার কার্যহানী করবে।
২৭. দীর্ঘস্থায়ী বকরী গ্রহগণ বকরি অবস্থায় থাকাকালীন লগ্ন থেকে গোচরফল দান করে। রাশি হতে স্বাভাবিক অবস্থায় সকল গ্রহই ফল দান করে। গ্রহগণ সাধারণত মূলপ্রকৃতি এবং মনের উপর শুভাশুভ ফল প্রদান করে থাকে। লগ্ন হতে প্রকৃতি এবং চন্দ্র হতে মন বিচার করা হয়। বকরি গ্রহগণ দীর্ঘসময় এক রাশিতে তেকে মনকে অতিক্রম করে প্রকৃতির উপরে ফল দান করে থাকে। অতএব বকরি গ্রহগণের গোচরফল,গ্রহগণ বকরি থাকার সময় পর্যন্ত, লগ্ন হতে বিচার করা হয়।
২৮. নষ্টধন, পরিত্যক্ত অর্থ বা অনাদায়ী অর্থলাভের বিচারস্থল লগ্নের অষ্টমে যখন শুভগ্রহ গোচরে গমন করবে এবং যতক্ষণ গোচরে অষ্টমে থেকে লগ্নপতির গ্রহের সহিত সম্মন্ধ করবে, ঠিক সেই সময়ের মধ্যে উপরিবর্নীত বিষয়ের ফললাভ হবে। এইভাবে জন্মগ্রহ সবস্থানে অষ্টমপতি গ্রহের দশায় লগ্নপতি গ্রহের অন্তর্দশা হতে গ্রহগণের পরস্পরের শত্রু-মিত্র, নৈসর্গিক পাপ, শুভ, সমধর্মী ও বিরুদ্ধধর্মী প্রভাবে বিচারপূর্বক উপরিউক্ত বিষয়ের লাভালাভ প্রভৃতি বিচার করা হয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন