দ্বাদশ রাশির অবস্থান
মেষরাশি - ০ ডিগ্রি থেকে ৩০ ডিগ্রি পর্যন্ত।
বৃষরাশি - ৩১ ডিগ্রি থেকে ৬০ ডিগ্রি পর্যন্ত।
মিথুনরাশি - ৬১ ডিগ্রি থেকে ৯০ ডিগ্রি পর্যন্ত।
কর্কটরাশি - ৯১ ডিগ্রি থেকে ১২০ ডিগ্রি পর্যন্ত।
সিংহরাশি - ১২১ ডিগ্রি থেকে ১৫০ ডিগ্রি পর্যন্ত।
কন্যারাশি - ১৫১ ডিগ্রি থেকে ১৮০ ডিগ্রি পর্যন্ত।
তুলারাশি - ১৮১ ডিগ্রি থেকে ২১০ ডিগ্রি পর্যন্ত।
বৃশ্চিকরাশি - ২১১ ডিগ্রি থেকে ২৪০ ডিগ্রি পর্যন্ত।
ধনুরাশি - ২৪১ ডিগ্রি থেকে ২৭০ ডিগ্রি পর্যন্ত।
মকররাশি - ২৭১ ডিগ্রি থেকে ৩০০ ডিগ্রি পর্যন্ত।
কুম্ভরাশি - ৩০১ ডিগ্রি থেকে ৩৩০ ডিগ্রি পর্যন্ত।
মীনরাশি - ৩৩১ ডিগ্রি থেকে ৩৬০ ডিগ্রি পর্যন্ত।
লগ্ন থেকে দ্বাদশ ভাবের কারকতা
প্রথম ঘর অর্থাৎ লগ্নভাবের কারকতা
দৈহিক রূপ, বর্ণ, আকৃতি, প্রকৃতি, দৈহিক চিহ্ন, যশ, গুন্, নির্গুণ, দৈহিক সুখদুঃখ, প্রবাস, স্বদেশবাস, সবল ও দুর্বল দেহ, মূলপ্রকৃতি, চরিত্র, স্বভাব, রোগমুক্তি,ইন্দ্রিয়নিগ্রহ, আয়ুর স্টুল পরিমান,জাতি, ক্লেশ, প্রশংসা, সন্তানের ভাগ্য, শত্রুর মৃত্যু, পিতামহের সম্পত্তি, মস্তক প্রভৃতি বিচার করা হয়। এছাড়া আত্মীয় গণনার ক্ষেত্রে -
পিতামহী,মাতামহ, শশুড়বাড়ির সম্পর্ক, দীক্ষা গুরু পরিবার বিচার্য।
দ্বিতীয় ভাবের কারকতা
ধন, সঞ্চিত অর্থ, মনিমুক্তা, রত্ন, সর্বপ্রকার ধাতুদ্রব্বো, আত্মীয় ও পোষ্যবর্গ, ভোজন, খাদ্যদ্রব্বো, বিদ্যা, ক্রয়বিক্রয়, হঠাৎ ধনলাভ, সন্তানলাভ, অস্থাবর সম্পত্তি, গুপ্তশত্রু, স্ত্রীর শুভাশুভ, ডানচক্ষু, বাক্য, বাক্কের মধুরতা, বক্তৃতা, মুখ হতে কাঁধ পর্যন্ত স্থান বিচার করা হয়। এছাড়া অন্ননালী, স্বরনালী, ও মস্তিষ্কের নিম্নভাব দ্বিতীয় ভাব হতে বিচার করা হয়। আত্মীয় গণনার ক্ষেত্রে-
পোষ্যবর্গ, সর্বশ্রেণীর আত্মীয়, মাতার অগ্রজ, মাতুল, জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা ভগিনী বিচার্য।
তৃতীয় ভাবের কারকতা
সাহস, পরাক্রম, স্ত্রীর ভাগ্য, অধীনস্ত কর্মচারী, কণ্ঠ, কণ্ঠস্বর, ডান কর্ণ, ধৈর্য , বল, দাসদাসী, উত্তমভূষণ, সর্বপ্রকার বস্ত্র, উপদেশ, পিতার শত্রু, পিতার স্বাস্থ্য, যাত্রা, জ্ঞাতি, প্রতিবেশী, আশ্রিত ব্যাক্তি, মনের সংশয়, মনের বহিঃপ্রকাশ, আত্মপ্রচার, স্থানচ্যুতি, আকস্মিক ঘটনা, দুর্নাম, ধর্মীয় অনুষ্ঠান, নাটক, কাব্যগ্রন্থাদি রচনা, রোগবৃদ্ধি, শত্রুর অভ্যুদয়, ঔষধ, ফুসফুস, হাত, নিশ্বাসপ্রস্বাস ও গলদেশ থেকে বক্ষ পর্যন্ত বিচার করা হয়ে থাকে। আত্মীয় গণনার ক্ষেত্রে -
জাতকের কনিষ্ঠ অনুজ বা অনুজা, দৌহিত্র দৌহিত্রী , পৌত্র বধূ।
চতুর্থ ভাবের কারকতা
মন, হৃদয়, হৃদপিন্ড, মনোবৃত্তি, বিদ্যা, গুন্, আত্মবৃদ্ধি, গৃহ সজ্জা, রাজার অনুগ্রহ, সামাজিক কর্ম, বাহন সুখ, ভূমি, ক্ষেত্র , বাস্তুভূমি, যানবাহন, ভোজ্যদ্রব্য, উদ্যান, পানীয়, সুখ, ভূগর্ভস্থ ধন, সর্বপ্রকার শস্য, পাতাল, বিশ্রাম স্থান, ঔষধ, গ্রাম , নগর, দুগ্ধ, দৈব ওষুধ, দেব মন্দির, নির্মল বুদ্ধি প্রভৃতি বিচার করা হয়। আত্মীয় গণনার বিচারে -
মাতা, বন্ধুবর্গ এবং জাতকের শ্বশুর।
পঞ্চম ভাবের কারকতা
দেবভক্তি, পুত্রকন্যা, বিদ্যাবুদ্ধি, পুন্য , মন্ত্রাদি সিদ্ধি, গুপ্ত মন্ত্রণা, বিনয়, নীতি, সঞ্চয়, প্রবন্ধ রচনা, অস্ত্রনির্মান, প্রতিভা, বিবেকশক্তি, অনুসন্ধানী জ্ঞান, শিষ্য, স্বভাব, অনুগতজন, প্রণয়, তৃতীয় ভ্রাতাভগিনী, মাতার ধন, দূরদৃষ্টি, ধন উপায়ের পথ, ভাবাবেগ, অনুকম্পা, দয়াদাক্ষিণ্য, উদ্ভাবনী শক্তির বিকাশ, উদর, অন্ত্র রোভিটি বিচার করা হয়।
আত্মীয় গণনায় - দ্বিতীয় অনুজ বা অনুজা, প্রথম সন্তান, গুরু, জ্যেষ্ঠ ভ্রাতার স্ত্রী, জ্যেষ্ঠ ভগ্নিপতি, জ্যেষ্ঠ জামাতা।
ষষ্ঠ ভাবের কারকতা
রোগ, রিপু, শত্রু, বাধাবিগ্ন, ক্ষত, প্রতিরোধশক্তি, ভয়, আশংকা, বিমাতা, বিষাদ, চতুস্পদ হিংস্র জন্তু, চোর, ক্লেশ, উপদংশ পীড়া, পুত্রের ধন, দুশ্চিন্তা, মামলা মোকদ্দমা, সংগ্রাম, পরাশ্রয়, ক্রোধ, লোভ, মাৎসর্য ও নাভি বিচার করা হয়। আত্মীয় গণনায় -
মাতুল, মাতার অনুজ ও অনুজা, পিতার গুরু।
সপ্তম ভাবের কারকতা
কাম, বিবাহ, বিবাহিত জীবন , আহার্য ব্যাঞ্জনাদি, গমনাগমন, গর্ব, মত্ততা, পদপ্রাপ্তি, নষ্টধন, বিবাদ, মামলা মোকদ্দমা, বাণিজ্য, ব্যাবহারিক কর্ম, ক্রয়, চৌর্য, অস্থিরতা, শোক, রাত্রি, মৃত্যু, যুদ্ধক্ষেত্র, শত্রুর ধন, অংশীদারি অজ্ঞতা, বিস্মৃত বস্তুর স্মরণ, আন্দোলন, বস্তি, দেহাঙ্গ বিচার করা হয়। আত্মীয় গণনার ক্ষেত্রে -
স্ত্রী, তৃতীয় ভ্রাতা ভগিনী, দ্বিতীয় সন্তান, ভ্রাতুষ্পুত্র, পিতামহ, মাতামহী, জ্যেষ্ঠা কন্যার দেবর, ননদ, স্ত্রীর অগ্রজ ভ্রাতা ভগ্নী, প্রভাতী বিচার করা হয়।
অষ্টম ভাবের কারকতা
জীবনীশক্তি, আয়ু, মৃত্যস্থান, মরণের হেতু, বন্ধন, অপবাদ, জয় পরাজয়, মনোব্যাথা, কারাবরণ, মোকদ্দমায় অর্থব্যয়, নদী পারাবার, পথের বাধা, জলযানে বিপদ, দাঙ্গা হাঙ্গামা, দুর্ঘটনা, বন্ধু বিচ্ছেদ, শোক, ভয়, উদ্বেগ, ব্যাকুলতা, পরলোকের বিশাসী গণের সম্পর্কে মৃতের বার্তা, ঋণদান, ঋণগ্রহণ, অস্ত্রশস্ত্র, আকস্মিক বিপদ, ব্যাধির উৎপত্তি, পুনর্জন্ম, প্রাণবায়ু, গুহ্যস্থান ও শিশুর বিচার করা হয়। আত্মীয় গণনার ক্ষেত্রে -
জেষ্ঠতাত, মাতার দ্বিতীয় অনুজ বা অনুজা, জ্যেষ্ঠ কন্যার শাশুড়ি।
নবম ভাবের কারকতা
ভাগ্য, ধর্ম, ধর্মানুষ্ঠান, উচ্চশিক্ষা, আদর্শ, দেবগৃহ, দীক্ষা, গুরু, বেদপাঠ, তপস্যা, তীর্থযাত্রা, দূরদেশে বার্তা, পবিত্র মন, সুখস্বপ্ন, স্বপ্নে অন্তর্দৃষ্টির জ্ঞানলাভ, গুহ্যবিদ্যা, ঋণদান, ভাগ্যদোয়, পূর্বজন্ম, সমুদ্রযাত্রা। নবম ভাবের ফলদাতা বৃহস্পতি অতএব নবমভাব ও বৃহস্পতি বলাবল থেকে এইসকল কারকতা বিচার করতে হবে। আত্মীয় গণনার ক্ষেত্রে - দীক্ষাগুরু, পৌত্র পৌত্রীর প্রথম সন্তান, দৌহিত্র পত্নী, সালোক শালিকা প্রভৃতি।
দশম ভাবের কারকতা
পিত, জীবিকা, কর্মজ্ঞান, কর্মস্থল, বিদ্যাজনিত যশ, বিজ্ঞান শিক্ষা, আকাশীয় বিদ্যা, বৃত্তি, জ্যোতিষ বিদ্যা, আগম জ্ঞান, ঐশী, সম্পদ, প্রব্রজ্যা, স্বর্গীয় সম্পদ, প্রবাস, প্রবৃত্তি, পদলাভ, মুদ্রা, কীর্তি, প্রতিষ্ঠা, প্রতিপত্তি, পূর্বজন্মের জ্ঞান, বার্তা, সর্গ গমন, পরম পুন্য, সম্ভ্রান্ত ব্যাক্তির অনুকুলতা ও প্রতিকূলতা লাভ। আত্মীয় গণনার ক্ষেত্রে-
পিত ও মাতার তৃতীয় অনুজ বা অনুজা এবং শাশুড়ি।
একাদশ ভাবের কারকতা
আয়, লাভালাভ, বিষয়ে, উপার্জিত ধন, গুন্, সম্পদ, ধান্যমূল্য, অর্থ, বুদ্ধির প্রকাশ, যাত্রা, পরিচিত বন্ধুবর্গ, শান্তি, আশা আকাঙ্খা, সুবর্ণজাত দ্রব্য, যানবাহন লাভ, অলংকার, পিতার ধন, ভ্রাতার ভাগ্য, পত্নীর গর্ভ, পত্নীর বুদ্ধি, ইষ্টসিদ্ধি, জঙ্ঘাদ্বয় প্রভৃতি। আত্মীয় গণনার ক্ষেত্রে - জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা ভগিনী, কন্যা, জামাতা, পুত্রবধূ, স্ত্রীর দ্বিতীয় অনুজ বা অনুজা ও জ্যেষ্ঠ পুত্রবধূ।
দ্বাদশ ভাবের কারকতা
সদ্ব্যায়, কারাগার, অধঃপতন, কঠিন রোগ, আত্মীয় বিরোধ, পত্নীর রোগ, সন্তানের আয়ু ও মৃত্যু, নরকবাস, রাজদণ্ড, মানসিক অশান্তি, বিরস, ব্যাবসায়ে ক্ষতি, দৈহিক ক্ষতি, ক্রোধ, স্ত্রীর মৃত্যু, রাজদ্বারে অর্থহানি, ঋণগ্রহণ, দুর্গমন, দুর্গতি, পরাভব, রুদ্ধ অহংকার, আধ্যাত্মিক চেতনার পুনর্জন্ম এবং মোক্ষ বিচার করা হয়। আত্মীয় গণনায় - দ্বিতীয়া স্ত্রী ও খুল্লতাত ও বিচার করা হয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন