মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর, ২০১৯

রাশি বিচারে জাতক জাতিকার ফলরচনা (সাধারণ কোষ্ঠী নির্ণয়ের ফলাফল)

রাশি বিচারে জাতক জাতিকার ফলরচনা (সাধারণ কোষ্ঠী নির্ণয়ের ফলাফল)


সিংহরাশি- জাতক উচ্চভিলাষী প্রভুত্ব প্রিয় হবে।  প্রায় সকল ক্ষেত্রেই সকলের উপর থেকে কর্তৃত্ব করার ক্ষমতা থাকবে।  জাতক উদার,বদান্য, উচ্চপ্রকৃতির ব্যাক্তিত্ব নিয়েই জন্মেছে।  সবরকম দুর্নীতির উপর একটা স্বাভাবিক বিরাগ থাকবে।  সাধারণের নিকট সম্মানিত হওয়ার সাধারণের সম্মুখে আসবার একটা প্রবল আকাঙ্খা থাকবে।  জাতকের হৃদয়াবেগ বেশ গভীর বলা যায়।  স্নেহপ্রীতির বিষয়ে সহজেই আবেগ প্রবন হয়ে উঠবে।  জাতক ভোগী প্রকৃতির হবে।  তার মধ্যে বিলাসিতার ভাবও দেখা যায়।  অর্থের ব্যাপারে জাতককে সৌভাগ্যবান বলা চলে।  যদিও অর্থের  সম্পদের ব্যাপারে তার বিশেষ ক্ষমতা দেখা যায় না। খাদ্য হিসেবে নিরামিষ খাদ্য হিতকর। চর্বি উত্তেজক খাবার ক্ষতিকর হবে। 

কন্যারাশি- জাতক প্রশান্ত সদালাপী। মানসিকতা প্রবল এবং স্মৃতিশক্তি খুবই প্রখর। যেকোনো বিষয় সহজেই বুঝে নিতে পারবে।  উচ্চভিলাষের তেমন লক্ষণ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। কর্মবহুল উত্তেজনাপূর্ণ জীবনের চেয়ে শান্তিপূর্ণ জীবনই বেশি বাঞ্চনীয়। জাতক জাতিকা নিজের ব্যাপারে শিথিল প্রকৃতির হবে।  মাতৃস্থানীয়া স্ত্রীলোকদের শত্রূতার জন্য জীবনে বহু অশান্তি বা ঝড়ঝঞ্ঝা বয়ে যেতে পারে, স্বাধীনভাবে কাজ করার চেয়ে পরের অধীনে কাজ করলে বেশি কৃতিত্বের পরিচয় ঘটতে পারে। খাবার হিসেবে মাছ,মাংস,শাকসবজি,ফলমুল দুধ জাতকের পক্ষে হিতকর

তুলারাশি- জাতক বুদ্ধিমান ইঙ্গিতজ্ঞ। বেশ সামাজিক মজলিসী প্রকৃতির। বন্ধুবান্ধবের সংস্রবে আনন্দ পাওয়া পছন্দ করবে।  কাব্য, চিত্র সংগীতের দিকে তার একটা সহজ আকর্ষণ জন্মাবে।  কলাবিদ্যার দিকে ঝোঁক থাকবে।  কৃতিত্বের পরিচয় দিতে পারবে।  জীবনের প্রায় সব কাজই অন্যের সাহচর্যের প্রভাবে তার উপর খুব প্রবলভাবে প্রকাশ পাবে।  বিবাহ তার জীবনে স্মরণীয় ঘটনা হয়ে উঠতে পারে।  জাতক বেশ স্নেহশীল,মিষ্টভাষী এবং দয়ালু প্রকৃতির মানুষ।  নানাবিধ কাজে লিপ্ত থাকা তার পক্ষে সম্ভব।  জাতকের  প্রতি আগ্রহ থাকবে
অধিক জলপান নিরামিষ আহার জাতকের পক্ষে হিতকর

বৃশ্চিকরাশি- জাতক খুব দৃঢ় চিত্ত স্থীর প্রতিজ্ঞপ্রকৃতির। তার মধ্যে আত্মপ্রত্যয় আত্মনির্ভরতা ভাব থাকবে।  সে যথেষ্ট কর্ম পটু পরিশ্রমী হবে।  ভালোভালো জিনিসের প্রতি তার লোভ থাকবে।  সাংসারিক সুখ সাচ্ছন্দ কামনা করবে।  নিজের মতে টলবে না। পুরোমাত্রায় রক্ষণশীল।  কাজ হাসিল করার জন্য যেকোনো পথ নিতে পারে।  সহজে ক্ষমা করতে জানবে না।  দীর্গদিনের প্রতিশোধের স্পৃহা মনের ভিতর পুষে রাখবে।  তার প্রকৃতিতে ক্রোধ অত্যন্ত প্রবল।  যৌন আকর্ষণ প্রবল। সুরুচি শ্লীলতার অভাব লক্ষ করা যাবে। বিবাহিত জীবন বিশেষ সুখকর হয়না। তার মধ্যে অনর্থক ব্যায় ঝোঁক থাকবে।  জীবনে স্বদ্বয় খুব কম   হবে।  পিতামাতার দিক থেকে বড় বেশি সুখলাভ সম্ভব নয়।  নীতিবিরুদ্ধ কাজের জন্য জাতক জাতিকার অপবাদ রটতে পারেযেকোনো পিত্তপ্রশমনকারী খাদ্য ডাব নারকেল প্রভৃতি হিতকর

ধনুরাশি- জাতক জাতিকা ব্যস্ত চঞ্চলপ্রকৃতির।  সবকাজ চটপট শেষ করতে চায়।  ের অত্যন্ত স্বাধীনতা প্রিয়। যেকোনো রকম বন্ধন এদের একেবারেই অপছন্দ। ভ্রমণ ভালোবাসবে এবং জীবনে ভ্রমণ অনেক ঘটবে।  এদের মন উচ্চ সাধুবাদে পূর্ণ।  হৃদয়ে আন্তরিকতা আছে।  ধর্মজ্ঞান বিশ্বাসে  ভরপুর।  অধ্যাত্বিকতা জাতক জাতিকার জীবনে একটা বড়ো অংশ জুড়ে থাকবে।  গুপ্তবিদ্যা , যোগ, সম্মোহন বা অতীন্দ্রিয় বিষয়ের প্রতি যথেষ্ট আগ্রহ থাকতে পারে।  এরা একসঙ্গে একাধিক বিষয়ের কাজে লিপ্ত হতে পারে  শিক্ষা সদসঙ্গের অভাব ঘটলে জাতকের চরিত্রে পাশবিক দিকটার প্রকাশ ঘটতে পারে। খেলাধুলায় ধনুরাশির জাতক জাতিকারা বেশ আনন্দ পেয়ে থাকেন
নিরামিষ খাদ্য, দুধ, ছানা এদের স্বাস্থ্যের পক্ষে হিতকর

মকররাশি - জাতকের জীবনে অসংখ্য বাধা অতিক্রম করতে হয়।  তবে ের যত বাধা পে ততই এদের জেড বাড়তে থাকে। সুখ্যাতি বা অখ্যাতি যাইহোক এদের প্রসিদ্ধিলাভ কিছু পরিমানে হয়েই থাকবে। জাতক বা জাতিকার মধ্যে প্রবল অধ্যাবসায় লক্ষ করা যাবে। তবে মাঝে মাঝেই নৈরাশ্যের ভাব থাকবে আত্মপ্রত্যয়ের অভাব লক্ষ করা যাবে। পারিবারিক ব্যাপারে বা পিতামাতার মধ্যে বনিবনার অভাব বা বিচ্ছেদ প্রভৃতি ঘটতে পারে।  নিজের বিবাহের ব্যাপারে কোনো গুরুজনের সঙ্গে মতভেদ হতে পারে।  বিবাহে শশুর বা শাশুড়ি অমত থাকতে পারে।  চন্দ্র পাপপীড়িত হলে বিবাহ নাও হতে পারে। জাতকের কর্মসংক্রান্ত ব্যাপারে বহু বাধা প্রতিদ্বন্দ্বিতা অতিক্রম করতে হবে। তার জীবনে প্রকাশ্যে বা গুপ্তশতরু থাকবেই। শত্রূ রা তার নামে অপবাদ বা কুৎসা রোটাতে পারে।  জাতক নিতান্ত হিসাবি সাবধানী প্রকৃতির মানুষ। আত্মকেন্দ্রিক প্রকৃতির বটে।  নিজের দিকেই তার লক্ষ বেশি।  অন্যের সুখ সাচ্ছন্দের  দিকে তেমন দৃষ্টিপাত থাকবে না। জাতক ভোগী প্রকৃতির হলেও অমিতাচারী হবেনা

কুম্ভরাশি- জাতককে বোঝা কঠিন। তাকে খেয়ালি লোক বলে মনে হতে পারে।  সবসময় নতুন কিছু অনুভব করার ইচ্ছা খুব বেশি।  মৌলিক অভিনব দিকে ঝোঁক থাকবে।  বর্তমান জগতের চেয়ে বেশি অগ্রসর হওয়ার বাসনা জন্মাতে পারে।  সেইজন্যে সবসময় গূঢ় রহস্যের বিদ্যা তাকে আকৃষ্ট করবে। জাতক উদার সহানুভূতিশীল লোক।  অন্যের সদিচ্ছা কামনা করে তার বাসনা সেইকাৰণে তাকে অনেক সময় নিরীহ ভালোমানুষ সমাজের অবিরোধী বলে মনে হলেও অন্যের সদিচ্ছা কামনার্থে তার মধ্যে স্বাধীনতাপ্রিয় সমাজদ্রোহীতার ভাব লক্ষিত হতে পারে।  প্রকৃত অর্থে এদের জন্মটা নিজের জন্য হয়না। অন্যের সদিচ্ছার কারণেই এরা  পৃথিবীতে জন্মে থাকে।  তাই অধিকাংশ সাধু সন্ন্যাসীর এই রাশিতেই জন্ম হতে দেখা যায়।  স্ত্রীলোক বা মাতৃস্থানীয় কারুর কাছে এরা প্রিয় হয়ে থাকে।  তাদের থেকে কিছু প্রাপ্তির সম্ভাবনাও রয়েছে।  তবে তা সম্ভব যদি চন্দ্র শুভ হয়ে থাকে।  চন্দ্র পাপপীড়িত হলে স্ত্রীলোকের দ্বারা প্রাপ্তির বদলে তাদের দ্বারা অর্থনাশ,ঋণের দ্বারা অশান্তি প্রভৃতি অশুভফলের সম্ভাবনা। জাতকের বিবাহে গোলযোগ বা বিবাহিত জীবনে অশান্তির সম্ভাবনা রয়েছে

মীনরাশি- জাতকের শরীরে বা মনে চাঞ্চল্য ভাব দেঝা দেবে।  জাতকের দৌড়ঝাঁপ,খেলাধুলা, এবং তাড়াতাড়ি কাজকর্ম করা পছন্দ করে।  ভ্রমণের দিকে ঝোঁক থাকবে।  তার মধ্যে ভাব প্রবণতা থাকবে।  হৃদয় আলোড়নকারি বিষয় পছন্দ করবে।  যুক্তি বুদ্ধির চেয়ে অনুভূতি প্রবল।  কাব্য,চিত্র সঙ্গীতে স্বাভাবিক আকর্ষণ থাকবে।  দরদী মনের অধিকারী।  রোমান্স অদ্ভুত বিষয়ে তাকে বেশি করে টানবে।  সঙ্গ নির্বাচন তার জীবনে প্রধান হয়ে দাঁড়ায়।  সৎসঙ্গে ের স্বর্গবাস করতে পারে আবার অসৎসংগে জীবন বরবাদ হতে পারে।  এদের কথাবার্তা, রচনা, ভাষণ সংযমের বদলে বাহুল্য ভাব বেশি দেখা যায়।  এদের মধ্যে কল্পনা অতিরঞ্জনের চেষ্টা লক্ষ করা যাবে।  এরা  সামান্য আশাতেই উৎফুল্ল হয়ে ওঠে, আবার ক্ষুদ্র বাধা পেয়েই হতাশ হয়ে বসে।  সবসময় এদের মধ্যে সহজ জ্ঞানের অভাব এবং সাধারণ পরিহাস বোধের অভাব লক্ষ্য করা যায়।  সাংসারিক উন্নতির পথে এদের অনেক বাধা বিঘ্ন সহ্য করতে হবে।  তাকে অনেক ভাগ্য বিপর্যয় সহ্য করতে হবে।  চন্দ্র দুর্বল হলে খুব বেশি পারিবারিক সুখ পাবে না।  জীবনে অনেক প্রকাশ্য  বা গুপ্ত শত্রূর মোকাবিলা করতে হতে পারে।  এরা  ভোগী প্রকৃতির হয়ে থাকে।  অর্থসংক্রান্ত ব্যাপারে জাতকের বিশেষভাবে দেখেশুনে চলা প্রয়োজন , তা নাহলে কষ্ট অবসম্ভাবী


সোমবার, ২১ অক্টোবর, ২০১৯

ধনতেরাসের গুরুত্বপূর্ণ টোটকা


ধনতেরাসের গুরুত্বপূর্ণ টোটকা



.ধনতেরাসের দিন সাতমুখী রুদ্রাক্ষ স্নান করে সাদা সুতায় ধারণ করুন।  এবং "ওম হুম জুম স্ব:" ১১ বার জপ করে রুদ্রাক্ষাটি ধারণ করুন। ধনসম্পদ, নাম, যশ ও প্রতিপত্তি দ্রুত বৃদ্ধি পেয়ে থাকবে। 

২. ধনতেরাসের সময়কার লক্ষীপূজার সময় বাজার থেকে কিছু ধান কিনে সেই ধান পূজার সময় দেবীকে উৎসর্গ করুন।  পুডিং সেই ধান বাড়ির কোনো টবে ছড়িয়ে দিন।  যত গাছ তার থেকে বের হবে সুখসমৃদ্ধি গৃহে বাড়বে। ধনসম্পদ উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে। দুশ্চিন্তা কমবে, নতুন নতুন আয়ের  পথ খুলে যাবে। 



১.ধন তেরাস এর দিন নুন কেনা খুব শুভ বলে জ্যোতিষ শাস্ত্রে বলা হয়েছে ।এই দিন নুন কিনে পরের দিন অর্থাৎ কালী পুজোর দিন সেই নুন দিয়ে ঘর মুছতে হয় ।এটা করা খুব শুভ ।এতে ধনের দেবী লক্ষী মাতা প্রসন্ন হন ।এই ছোট একটা কাজ দ্বারা আমরাআমাদের আর্থিক অবস্থার উন্নতি ঘটাতে পারি বলে জ্যোতিষ শাস্ত্রে বলা আছে ।

২ নতেরাস এর দিন অবশই ধনে  কিনতে হয় ।সোনা কেনা শুভ ।কিন্তু ধনে  কেনা আরো শুভ ।এর একটা ছোট নিয়ম আছে ।ধনতেরাসের দিন ধনে কিনে দীপাবলির দিন লক্ষী -গনেশ পুজোর সময় এই ধনের পুজো করতে হয় ।তারপর পরের দিন এই ধনে বাড়ির কোনো খোলা জায়গায় লাগিয়ে দিতে হয় ।বলা হয়ে থাকে এই ধনে থেকে যত গাছ বেরুবে তা যত সবুজ আর সজীব হবে আর্থিক স্থিতি তত ভালো হবে ।

ব্যাবসায় আয় বৃদ্ধি ও সংসারে আয় বৃদ্ধি- স্বচ্ছলতার একটি অপরিহার্য টোটকা-

ধনতেরাসের দিন সন্ধ্যা বেলায়  একটি রুপার টাকা ( একদিকে গণেশ-লক্ষ্মী ও একদিকে স্বস্তিক চিহ্ন যেন থাকে), ৯টি হলুদ কড়ি,৯টি গোটা হলুদ ও কিছুটা হলুদ কাপড় কিনুন ,একটা হরিতকি।এবার বাড়ী বা ব্যবসার স্থানে এসে শুদ্ধ বস্ত্রে ,বস্ত্রটি লাল -হলুদ রঙের হলে ভালো,ওই হলুদ কাপড় টির একটি কোনে রুপার টাকা,হলুদ কড়ি ও গোটা হলুদ ও হরিতকি ইত‍্যাদিগুলি একসাথে রেখে বেঁধে দিন। এবার ঐ দ্রব্যগুলি সমেত কাপড়টি বাড়ীর ঘরের অথবা ব্যবসার জায়গার ঈশান কোনে রেখে দিন গোপন ভাবে যেন কারো চোখে না পড়ে। এবার প্রতিদিন সেখানে সন্ধ্যায় ধূপ প্রদীপ দেখিয়ে নিচের বীজমন্ত্র দুটি১৮ বার করে করবেন।এটি একটি গুপ্ত ও খুবই ফলদায়ী ক্রিয়া এটি করার কিছুদিনের মধ্যে ব্যবসায়ে আয় বৃদ্ধি ও সংসারে অর্থ বৃদ্ধি ও সমৃদ্ধি ঘটবে।
ঔঁ গাং গনেশায় নমঃ
ঔঁ শ্রীং লক্ষী দেবৈই নমঃ

শনিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০১৯

বিষম স্থানদিগত লগ্ন ও ফলাফল :-(নারীর)

বিষম স্থানদিগত লগ্ন ও ফলাফল :-(নারীর)

১. যদি ওজোরাশি অর্থাৎ মেশ,মিথুন,সিংহ,তুলা,ধনু ও কুম্ভরাশি কোনো নারীর জন্মলগ্ন হয় এবং সেখানে চন্দ্র অবস্থান করে তবে নারী দুঃশীলা হতে পারে।

২. যুগ্মরাশি অর্থাৎ বৃষ,কর্কট,কন্যা,বৃশ্চিক,মকর, ও মীন রাশি নারীর জন্মলগ্ন হয় আর সেখানে চন্দ্র অবস্থান করে তবে জাতিকা সুশীলা হয়ে থাকবে।

৩. সপ্তমস্থানে কোনো গ্রহ পতিত না হলে অথবা সপ্তমস্থান বলহীন হলে জাতিকার স্বামী গুণহীন হয়।

৪. যদি কোনো নারীর জন্মলগ্নএর সপ্তম গৃহ চররাশি অর্থাৎ মেষ,কর্কট,তুলা,ও মকর হয় তাহলে জাতিকার স্বামী প্রবাসে বসবাস করার সম্ভাবনা থাকে। অর্থাৎ সে নিত্যপ্রবাসী হতে পারেন।

৫. যদি কোনো নারীর জন্মলগ্ন বা জন্মরাশি যুগ্মরাশি হয় সেই নারী স্ত্রী জনিত কোমল স্বভাবযুক্তা হয়ে থাকবেন। যদি উক্ত লগ্নে বা রাশিতে শুভগ্রহের দৃষ্টি থাকে তবে সেই নারী সুশীল,অলঙ্কারভূষিতা হয়ে থাকেন।

৬. যদি কোনো নারীর জন্মলগ্ন বা জন্মরাশি বিস্মরাশি হয় তবে সেই নারী পুরুষাকৃতি বিশিষ্টা ও পুরুষালি ভাবযুক্ত হয়ে থাকে। উক্ত বিস্মরাশি পাপগ্রহ কর্তৃক দুষ্ট হলে এরূপ নারী গুনহীনা ও ভ্রষ্টা হয়ে থাকতে পারে।

৭. যদি কোনো নারীর জন্মরাশি ও জন্মলগ্ন দুটি পাপগ্রহের মধ্যবর্তি স্থানে অবস্থিত হয় তবে ওই নারী অত্যন্ত অশুভ লক্ষনযুক্তা এবংপিতৃকূল ও শশুরকূলের ধংসকারিনী হয়ে থাকতে পারে। 

নারীর কোষ্ঠীর অশুভ যোগ :-

নারীর কোষ্ঠীর অশুভ যোগ :-

১. জাতিকার সপ্তমস্থান দুর্বল, শুভগ্রহবিহীন ,বা শুভগ্রহের দৃষ্টি বিহীন হলে স্বামী নীচমনা হয়ে থাকে।

২. সপ্তমস্থানে শনি ও বুধ অবস্থান করলে স্বামী জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে।

৩. সপ্তমস্থানে দুর্বল পাপগ্রহ অশুভ গ্রহ দৃশ্য হলে জাতিকার স্বামী পরিত্যক্তা হন।

৪. শুক্র ও মঙ্গল নবাংশ চক্রে ক্ষেত্রবিনিময় করলে নারীর চরিত্রে ত্রুটি থাকবে।

৫. সপ্তমে চন্দ্র, মঙ্গল ও শুক্র থাকলে নারী স্বামীর পরোক্ষ সম্মতিক্রমে পরপুরুষের সঙ্গে নিতে পারে।

৬. জাতিকার জন্মছকে সপ্তম নবাংশ মঙ্গলের ক্ষেত্রে পড়লে এবং ওই ক্ষেত্রে শনির দৃষ্টি পড়লে জাতিকার স্ত্রী অঙ্গে পীড়া
জন্মাবে।

৭. জাতিকার সপ্তমস্থান বা নবাংশ লগ্ন শনির ক্ষেত্রে থাকলে স্বামী একরোখা হবে। মঙ্গলের ক্ষেত্রে থাকলে স্বামী পরস্ত্রী
লোভী ও নিষ্ঠুর হয়ে থাকবে।

৮. লগ্নে চন্দ্র ও শুক্র একত্রে থাকলে নারী প্রেমিকা হিসেবে ঈর্ষাপরায়ণা ও সুখাভিলাষিণী হবে। 

নারীর কোষ্ঠী বিচারে বিশেষ শুভশুভ যোগসমূহ :

নারীর কোষ্ঠী বিচারে বিশেষ শুভশুভ যোগসমূহ :

১. স্ত্রীলোকের কোষ্ঠী অনুসারে সপ্তম নবাংশ শুভ ক্ষেত্রে থাকলে তিনি সুন্দর স্বামী অর্জন করেন ও পতিপ্রাণা হন।

২. সপ্তমস্থান বা নবাংশ লগ্ন শুক্রের ক্ষেত্রে থাকলে জাতিকার স্বামী সুদর্শন ও স্ত্রীগতপ্রাণা হবেন। যদি বুধের ক্ষেত্রে থাকেতবে জাতিকার স্বামী বিদ্বান হবেন।

৩. জাতিকার সপ্তমস্থান কর্কট রাশিস্থ হলেস্বামী কামপরায়ণ ও নম্র হবেন।

৪. নারীর সপ্তমস্থান বৃহস্পতির ক্ষেত্রে অবস্থান করলে স্বামী সৎচরিত্র ,সংযমী ,ও ভাগ্যবান হবেন।

৫. ওই সপ্তমস্থান সিংহরাশিস্থ হলে জাতিকার স্বামী নম্র ও পরিশ্রমী হবেন।

৬. নারীর জন্মোচকে লগ্নে চন্দ্র ও বুধ একত্রে থাকলে নারী শিল্পী,কলাভিজ্ঞ ,সৎচরিত্রা,ও সুখী হন। ওই লগ্নে বুধ ও শুক্র একত্রে থাকলে নারী সুন্দরী, পতিপ্রাণা, ও শিল্পকার্যে নিপুন হন। নারীর লগ্নে তিনটি শুভগ্রহ থাকলে নারী সৎচরিত্র,সুখী ও সৌভাগ্যশালিনী ও ধনবতী হয়।

৭. জাতিকার লগ্নে বৃহস্পতি, সপ্তমে চন্দ্র, এবং দশম শুক্র অবস্থান করলে জাতিকা দরিদ্র ঘরে জন্ম নিলেও অত্যন্ত ধনবান ব্যাক্তির স্ত্রী হন।

৮. নারীর জন্মোচকে কেন্দ্রে শুভগ্রহ অবস্থিত হলে এবং সপ্তমস্থান পুরুষ সঙ্গক রাশিতে পড়লে নারী রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠা লাভ করে।

শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর, ২০১৯

পতি বা পত্নী হানি যোগ



রত্ন ধরণের সাবধানতা

যেকোনো রত্ন বা উপরত্ন ধারণ করার আগে কোনো বিশেষজ্ঞকে দেখিয়ে নেবেন অথবা পরীক্ষা করিয়ে নেবেন।  দূষিত রত্নকে ধারণ করলে লাভের পরিবর্তে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। এদের মধ্যে কিছু রত্ন বাদ দিয়ে নিম্নলিখিত দোষ হলে রত্ন ধারণ না করে মঙ্গল। যেমন :- দাগযুক্ত, সাদাকালো, লালসাদা, চিরকাটা, গর্তযুক্ত, ডোরাকাটা বা ধারযুক্ত, জাল চিহ্ন থাকা, চার পাঁচ রঙের দাগযুক্ত এইসব দোষ  প্রায় সবই রত্ন বা উপরত্নের মধ্যে আছে কিনা ভালোভাবে পরীক্ষা করে নেবেন। তারপর ধারণ করবেন। হীরা বা নীলা তো প্রথমেই কাটাই প্রভৃতিতে দূষিত হয়ে পড়ে। এই প্রকার দূষিত হলে কয়েক ঘন্টার মধ্যেই অশুভ ফল প্রদান করে।
দক্ষিণাবর্ত শঙ্খ এবং পারদ নির্মিত শিবলিঙ্গ ঘরে রাখলে সর্বপ্রকার শুভ ফল প্রদান করে।

পতি বা পত্নী হানি যোগ আপনার জন্ম কুণ্ডলী তে নেইতো ?

১. লগ্নে চতুর্থে, সপ্তমে, অষ্টমে, বা দ্বাদশে মঙ্গল  অবস্থান করলে জাতকের পত্নীহানি হয়।  পক্ষান্তরে ওই যোগসমূহ নারীর স্বামীহানি হয়।
২. ষষ্ঠে মঙ্গল , সপ্তমে রাহু , ও অষ্টমে শনি থাকলে জাতকের স্ত্রীহানি বা নারীর বৈধব্য ভোগ ঘটে।
৩. ষষ্ঠে চন্দ্র ও দশম স্থানে রবি থাকলে জায়া জীবিত থাকে না।
৪.লগ্ন ও চন্দ্রের সপ্তমে বা অষ্টমে পাপগ্রহ থাকলে পত্নীহানি হয়।
৫. সপ্তমে মঙ্গল থাকলে এবং ওই মঙ্গল শনি দৃষ্ট হলে অবশ্যই  পত্নীনাশ হয়।
৬.পঞ্চমে চন্দ্র থাকলে এবং সপ্তম ও দ্বাদশে একাধিক ক্রূর গ্রহ থাকলে জাতক পত্নীহীন হয়ে থাকবে।
৭. সপ্তমপতি ক্রূর  গ্রহ যুক্ত হলে স্বামী  বা স্ত্রীনাশ হয়।
৮. লগ্নে রাহু, রবি, ও মঙ্গল একত্রে থাকলে নারীর বৈধব্য যোগ সূচিত হয়।
৯. লগ্নে রাহু, এবং অষ্টমে দ্বাদশে মঙ্গল থাকলে বৈধব্য দোষ  হয়।
১০. শুভগ্রহ কর্তৃক দৃষ্ট না হয়ে পাপগ্রহ অষ্টমে থাকলে নারীর বৈধব্য দোষ প্রাপ্ত হয়।
১১. লগ্নে রবি, মঙ্গল কিংবা শনির অবস্থানে দাম্পত্য আয়ু বিনাশ ঘটে।
১২. শনি যুক্ত সপ্তমপতি মঙ্গলের দৃষ্টিসহ থাকলে এবং অষ্টমস্থানে চন্দ্র রাহু যুক্ত হলে , নিশ্চই বৈধব্য দোষ ভোগ হয়।
১৩. অষ্টমে রাহু পাপগ্রহের্ সমাবেশ ঘটলে নারী অতি দুঃখে জীবন অতিবাহিত করে ও বৈধব্য দশা  প্রাপ্তি হয়।

বি:দ্রো : তবে ভৌম বা বৈধব্য দোষ  খণ্ডনের ও বিভিন্ন যোগ দেখে তবেই সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।