কেন্দ্র ত্রিকোনাদি সংজ্ঞা :
কেন্দ্র :
চতুর্থস্থান, সপ্তমস্থান, এবং দশমস্থানকে কেন্দ্র আখ্যা দেওয়া হয়। কেন্দ্র হিসেবে লগ্ন অপেক্ষা চতুর্থস্থান, চতুর্থস্থানে অপেক্ষা সপ্তমস্থান, এবং সপ্তমস্থান অপেক্ষা দশমস্থান অধিক বলবান। কেন্দ্রের নামান্তর কণ্টক ও চতুষ্টয়। কেন্দ্রবর্তী শুভগ্রহ বিশেষ শুভফল ও কেন্দ্রস্থ পাপগ্রহ বিশেষ অশুভ ফল প্রদান করে থাকে।
ত্রিকোণ :
লগ্নের পঞ্চমস্থান এবং নবমস্থানকে ত্রিকোণ বা কোণ আখ্যা দেওয়া হয়ে থাকে। নবম কোণ অপেক্ষা পঞ্চম কোণ অধিক শুভপ্রদ। লগ্নের কেন্দ্রত্ব ও কোনত্ব প্রবল বলেই স্বীকৃত। এই জন্যই নবম ও পঞ্চমকে বিশেষভাবে কোণ বলা হয়।
চতুরস্র :
লগ্নের চতুর্থস্থান এবং অষ্টমস্থানকে চতুরস্রও আখ্যা দেওয়া হয়ে থাকে।
পনফর :
লগ্ন থেকে গণনায় দ্বিতীয়, পঞ্চম, অষ্টম ও একাদশস্থানকে পনফর আখ্যা দেওয়া হয়ে থাকে।
আপক্লিম : লগ্ন থেকে গণনায় তৃতীয়, ষষ্ঠ, নবম ও দ্বাদশস্থানকে আপক্লিম আখ্যা দেওয়া হয়ে থাকে।
উপচয় : লগ্ন থেকে গণনায় তৃতীয়, ষষ্ঠ, দশম ও একাদশস্থানকে উপচয় আখ্যা দেওয়া হয়ে থাকে।
দুঃস্থান ;
লগ্ন থেকে গণনায় ষষ্ঠ, অষ্টম, এবং দ্বাদশস্থানকে দুঃস্থান আখ্যা দেওয়া হয়ে থাকে।
যার জন্মকুণ্ডলীর দুঃস্থানে অধিক গ্রহ অবস্থান করে সে জীবনে সহজে শান্তিলাভ করতে পারেনা। দুঃস্থানের ষষ্ঠস্থানে যে কেন গ্রহই কিছু না কিছু অশুভ ফল প্রদান করে। তবে ষষ্ঠ স্থানের অপর নাম শত্রুস্থান। ষষ্ঠস্থানে পাপগ্রহ শত্রু হানি ঘটাতে সক্ষম। তাই ষষ্ঠস্থানে পাপগ্রহ থাকাকে মন্দের ভালো বলা হয়ে থাকে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন