রবিবার, ৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

নমনীয় ও অনমনীয় হাতের বৈশিষ্ট সন্মন্ধে জেনে নিন :

 নমনীয় ও অনমনীয় হাতের বৈশিষ্ট সন্মন্ধে জেনে নিন :

নমনীয় হাত :
এই ধরণের হাতের আঙুলগুলি অনায়াসেই পিছনে নোয়ানো যাবে। যতক্ষণ না ঐভাবে আঙুলগুলি নুইয়ে একটি সুন্দর আর্চ করা সম্ভব হচ্ছে- ততক্ষন পর্যন্ত এই ধরণের হাতের মালিক একটুও ব্যাথা পাবেন না। এই ধরণের হাতের আঙ্গুলগুলো সঞ্চরশীল মনে হবে, এবং আঙুলের হাড়গুলোও অত্যন্ত কোমল মনে হবে। এই ধরণের হাতযুক্ত ব্যাক্তিগন অত্যন্ত তাড়াতাড়ি সিদ্ধান্ত গ্রহণে সক্ষম এবং অত্যন্ত সহজেই সঠিক সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারেন। এঁরা বিশদভাবে না নিজেও পরিবেশ বা অন্য কিছু সন্মন্ধে সম্পূর্ণরূপে এবং সঠিকরূপে ওয়াকিবহাল হতে পারেন। এই ধরণের হাতযুক্ত ব্যাক্তিগন অতি বিচক্ষণ হয়ে থাকেন। এবং সর্ব বিষয়ে বিচক্ষণ হওয়ার ফলে এঁরা সবজান্তা ধরণের হয়ে থাকে। সবজান্তা ভাব এবং অতি বিচক্ষণতা এঁদের জীবনের উন্নতির পথের অন্তরায় - কারণ সব কিছুর ব্যাপারে সহজেই এঁরা দক্ষ হতে পারেন বলে- কোনো বিশেষ ব্যাপারকে বা পেশাকে আঁকড়ে ধরে থাকতে পারেন না। 
যাঁদের হাত নমনীয় -তাঁরা অত্যন্ত সহানুভূতিপ্রবণ, উদার এবং অমিতব্যায়ী হয়ে থাকেন। এঁরা অত্যন্ত ভাবপ্রবণ- অপরের দুঃখের কথা শুনে সহজেই এঁরা বিগলিত হয়ে থাকেন। এই ধরণের হাত যাঁদের- তাঁরা অনায়াসে জীবনে অসাধারণ বা আশ্চর্যজনক কৃতিত্বের অধিকারী হতে পারেন। তাঁরা অনেকদিকে তাঁদের প্রতিভাকে ছড়িয়ে দেন বলে অসামান্য প্রতিভার অধিকারী হয়েও তাঁরা জীবনে শেষ পর্যন্ত তেমন কিছু করতে পারেন না। কিন্তু তাঁরা যদি তাঁদের অসাধারণ প্রতিভাকে সংযমের কাজে লাগান- তবে তাঁরা অনায়াসে অসামান্য কৃতিত্বের অধিকারী হতে পারেন। এই ধরণের হাত যাঁদের- তাঁদের বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠটি যদি লম্বা এবং উত্তম ধরণের হয় - তবে তাঁরা নিশ্চই জীবনে কৃতিত্ব অর্জনে সক্ষম হবে। 

অত্যন্ত নমনীয় ধরণের হাতের বৈশিষ্ট :
আর এক ধরণের হাত আছে, যা অত্যন্ত নমনীয় -পেছন দিকে চেপে ধরলে আঙ্গুলগুলো প্রায় গোড়া থেকেই বেঁকে যায়। সচারচর যন্ত্রসংগীত শিল্পীদের হাত অনুরূপ নমনীয় হয়ে থাকে। এই ধরণের অত্যন্ত নমনীয় হাত যাঁদের- তাঁরা খুবই অমিতব্যায়ী হয়ে থাকে। 
যদি বাঁ হাতটি কারো দৃঢ় ধরনের হয় আর ডানহাত টি নমনীয় হয় - তবে বুঝতে হবে যে উক্ত জাতক মানসিক দিক থেকে উন্নত এবং উদার। আর যদি কারোও বাঁ হাতটি নমনীয় হয় এবং ডানহাতটি দৃঢ় হয় - তবে বুঝতে হবে উক্ত জাতক পূর্বাপেক্ষা মানসিক দিক থেকে সংকীর্ণ ও অনুদায় হয়ে পড়েছেন। 
যাঁদের হাত দৃঢ় তাঁরা সচারচর কৃপণ হয়ে থাকেন, আর যাঁদের হাত নমনীয় তাঁরা সচারচর উদার, সহানুভূতিপ্রবণ এবং অমিতব্যায়ী হয়ে থাকেন। 

অনমনীয় বা দৃঢ় হাত:
এই ধরণের হাত সম্পূর্ণ খুললেই দেখা যাবে যে, আঙ্গুলগুলো হাতের তালুর দিকে যেন একটু নোয়ানো। যাঁদের হাত এই ধরণের দৃঢ়- তাঁরা অত্যন্ত সাবধানী, অনড়, সংকীর্ণমনা এবং কৃপণ স্বভাবযুক্ত হয়ে থাকেন। জীবনের সকল ক্ষেত্রে এঁরা অনড় তথা হীনমন্যতার পরিচয় দিয়ে থাকেন। 
প্রতিকূল অবস্থায় সঙ্গে এরা সহজে নিজেকে খাপ খাইয়ে নিতে পারেন না। নুতন কোনো ভাবধারা বা আদর্শ গ্রহণের ক্ষেত্রেও এঁরা পিছপা হয়ে থাকেন। নুতন ও সঠিক ভাবাদর্শকে এঁরা সহজে গ্রহণ করতে চান না। এঁরা পূর্বতন ধ্যানধারণা আঁকড়ে থাকতে ভালোবাসেন। এঁদের রাজনৈতিক তথা ধর্ম বিশ্বাস, বা চিন্তাধারা গোড়ামিপূর্ণ। নূতনতর যুক্তি বা চিন্তাধারায় বিশ্বাস করেন না। এঁরা সঙ্গীর্ণমনা বলেই সচারচর অনুদার হয়ে থাকেন। এঁরা কঠিন কায়িক পরিশ্রমের কাজে কৃতিত্ব অর্জনে সক্ষম হয়ে থাকেন। এঁরা নিজেদের আত্মাকেও কষ্ট দেন এবং অর্থ সঞ্চয়ের জন্য তৎপর হয়ে থাকেন। এঁরা সচারচর কৃপণ হয়ে থাকেন এবং এঁদের চিন্তাধারা কেবলমাত্র সংকীর্ণ গন্ডির মধ্যেই ঘুরপাক খেতে থাকে। এঁরা অবশ্য কম কথা বলেন, এবং গোপন বিষয়ে গোপন রাখতে হলে- এঁদের ওপর অনায়াসে আস্থা স্থাপন করা চলে। 
















কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন