বৃহস্পতিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

জন্মসংখ্যা অনুযায়ী ভাগ্যফল :

 জন্মসংখ্যা অনুযায়ী ভাগ্যফল :

সংখ্যা -১

যাঁদের জন্ম তারিখ ইংরাজীর যেকোনো মাসের ১,১০,১৯,অথবা ২৮ তারিখ তাঁরা ১ সংখ্যার অধীন। এটি সবচেয়ে শক্তিশালী সংখ্যা। এটি নির্দেশ করে তাপ, আলো, লাভ, প্রাচুর্য, বৃদ্ধি, উন্নতি, দীপ্তিময়তা, আনন্দ, অগ্রগতি ও জীবনের চরম সাফল্য বা প্রবল উন্নতি। এছাড়া -
১ সংখ্যটি হলো রবির প্রতীক। হিন্দুধর্মে এক ব্রম্ভ দ্বিতীয় নাস্তি। খ্রিষ্টানদের কাছে ঈশ্বর এক। ইসলাম ধর্মে আল্লাহ এক। এবং আমাদের কাছে সূর্য এক ও সর্বশক্তি অফুরন্ত ভাব্দের। ১ সংখ্যার জাতক একরোখা, ব্যাক্তিত্বপূর্ণ, সামঞ্জস্যযুক্ত, ধীরস্থির কিন্তু দ্রুত সংকল্প নিতে পটু। এই সংখ্যার জাতক সবার উপর কর্তৃত্ব করবার ইচ্ছা, ভ্রমণে সদা উৎসুক, কথাবার্তায় শানিত ভাব, অন্যায়ের বিরুদ্ধে সজাগ থাকেন। এরা কারুর অধীনে থাকতে চায়না। সংগঠনমূলক কাজে এঁদের ক্ষমতা অসীম। এরা বেশ জেদি হয়ে থাকেন। নিজের মনোবল, বিশ্বাস ও গর্ব প্রচন্ড। দীর্ঘস্থায়ী কাজে এঁরা মন না দিয়ে যেকোনো মুহূর্ত কাজে এঁরা খুবই উৎসাহী। যেকোনো বিড়াল বিরাট পরিকল্পনায় এঁদের চিন্তাধারা জনমনে প্রাধান্য বিস্তার করে। আবার নিজেরা সব ভালো বোঝেন, এই খামখেয়ালীতে অনেক সময়ে এঁদের দ্বারা ক্ষতি হবার সম্ভাবনা থাকে। এঁরা পৃথিবীতে এসে গভীর ছাপ রেখে যেতে চান। 
১- সংখ্যার জাতক জাতিকারা প্রেমের ব্যাপারে নিজেদের হৃদয়কে কোনো প্রকার চিন্তা না করে দান করেন। আবার সামান্য আঘাতে ভালোবাসার মানুষটিকে চিরতরে ত্যাগ করতে বিন্দুমাত্র দ্বিধাবোধ করেননা। অনেকক্ষেত্রে এঁরা একাধিক প্রেমে জড়িয়ে পড়েন। কিন্তু চতুর হবার জন্য সবাইকে বোকা বানাতে এঁরা পটু। সন্তান প্রেম এঁদের নিবিড়। বলবার ও লিখবার ক্ষমতা আছে। অন্যের প্রশংসা এঁরা খুব ভালোবাসে। 
১-সংখ্যার মানুষদের চেহারার ভিতর এমন আকর্ষণী শক্তি আছে যে তার ফলে সবাই আকৃষ্ট হন। এঁরা যত সহজে লোকের মন জয় করতে পারেন অন্যে তা সহজে পারেনা। 
১-সংখ্যার জাতক বিশেষ আকর্ষণী সংখ্যা হলো ৪ ও ৮। এদের মধ্যে প্রেম, বন্ধুত্ব, পার্টনারশিপ প্রভৃতি বেশ ভালো হয়। এই সংখ্যার বিকর্ষণীয় সংখ্যা ৪ ও ৭। এদের থেকে সাবধান থাকা কর্তব্য। এদের থেকে ক্ষতি ছাড়া লাভ হয়না কখনো। 
এঁদের শুভ বার -রবি ও সোমবার। শুভ রং-হলুদ, সাদা, গোলাপি ও সোনালী। 
শুভ খাদ্য হলো - কমলালেবু, খেজুর, আদা, লবঙ্গ, বার্লি, যবের রুটি প্রভৃতি। 
সৌভাগ্যদায়ক রত্ন হলো - মানিক্য, টোপাজ ও amber .
সৌভাগ্যদায়ক ধাতু - সোনা। 
সৌভাগ্যদায়ক মূল - বিল্বমুল। 



সংখ্যা -২

যাঁদের জন্ম তারিখ ইংরেজি যেকোনো মাসের ২,১১,২০,অথবা ২৯ তারিখ, তাঁরা ২ সংখ্যার অধীন। এঁরা দোষে গুনে মিশ্রিত উচ্চ আদর্শের মানুষ হন। এই সংখ্যার নির্দেশ করে প্রেম, রোমান্স, বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ। উদ্ধত মনোভাব। শিল্পে রুচি ও আকর্ষণ। 
২ সংখ্যা চন্দ্রের প্রতীক। চন্দ্র যদি প্রবল হয় তা হলে জাতক জাতিকা কল্পনাপ্রবণ হবেন। বিপরীতে এঁদের জীবনে সহজে শান্তি আসেনা। এঁদের বুদ্ধির অভাব, চরিত্রের কলুষতা ও সামাজিক জীবনে ব্যর্থতা বয়ে বেড়াতে হয়। 
২-সংখ্যার জাতক জাতিকা সহজেই ১ সংখ্যার প্রতি আকৃষ্ট হন। এই সংখ্যার জাতকের হৃদয় খুবই নরম কল্পনাপ্রিয় হয়ে থাকে। এঁদের মনের জোর এতো প্রবল যে সেই জোর দ্বারা জগৎ জয় করবার প্রয়াস দেখান। ভাবপ্রবণতার জন্য জীবনযাত্রা পথে বারংবার আঘাত পান। এঁদের মন ও চিন্তা দ্বিধারায় প্রবাহিত হয়। যেকোনো ব্যাপারে এঁরা নিজেদের ভুল দশ দ্বিকার করেন। লাজুক বলে অনেক সময় নিজেদের ভাব প্রকাশ করতে কুন্ঠিত হন। জীবনের সুখের চেয়ে কষ্টটাই সহজাত হয়ে দাঁড়ায়। আত্মসম্মান জ্ঞান প্রচন্ড। সামাজিক রীতিনীতির প্রতি আকৃষ্ট থাকেন। অন্যের বক্তব্য শোনার জন্য আগ্রহী। জীবন ও ঘর এঁদের কাছে প্রিয়। 
মনের স্থিরতা নেই, ভাবধারার দ্রুত পরিবর্তন, কথাবার্তায় আকস্মিক সতর্কতা ও দুর্বল প্রকৃতির। 
এই সংখ্যার জাতকের জীবন কখনো না কখনো জনসাধারণের কাছে একটা সজীব ইমেজ হয়ে ওঠে। এঁরা জনতার দ্বারা পুরস্কৃত হন আবার জনতার দ্বারা লাঞ্ছিতও হতে পারেন। 
এঁরা ঈশ্বর বিশ্বাসী, সু-সাহিত্যিক, দার্শনিক ও নেতা হতে পারেন। এঁদের দাম্পত্যজীবন সচারচর সুখের হয়। 
এই সংখ্যার জাতকেরা অন্ত্রের গোলযোগ, কণ্ঠ, জিহ্বা,কান,যক্ষা,টিউমার, ক্যান্সার ও মস্তিকের বিকৃতি রোগে আক্রান্ত হন। 
২ সংখ্যার বিশেষ আকর্ষণী সংখ্যা হলো ৭ এবং ৯, এঁদের মধ্যে প্রেম, বন্ধুত্ব, পার্টনারশিপ প্রভৃতি ভালোই হয়। এই সংখ্যার বিকর্ষনীয় সংখ্যা ৫। এদের থেকে সাবধান থাকা কর্তব্য। 
এঁদের শুভবার - রবি, সোম ও বৃহস্পতি। 
শুভ রং - হালকা লাল, সাদা ও ক্রীম। 
শুভ রত্ন - মুক্ত, চুনি, শ্বেতপ্রবাল এবং মুনস্টোন। 
সৌভাগ্যদায়ক মূল - ক্ষিরিকা ও শ্বেত করবীর মূল। 
শুভ খাদ্য - লাউ, পেঁপে, বাঁধাকপি, লেটুস, শালগম, শশা, কলা ইত্যাদি। 


সংখ্যা - ৩

যাঁদের জন্ম তারিখ ইংরাজীর যেকোনো মাসের ৩,১২,২১ বা ৩০ তারিখ, তাঁরা ৩ সংখ্যার অধীন। এঁরা ধার্মিক হন, মনে প্রাণে ঈশ্বরকে ভালোবাসেন। একান্তভাবে সহজ পথের অনুসারী হয়ে চলতে চান। ৩ সংখ্যা নির্দেশ করে সহজ বোধশক্তি, দৃঢ মনোবল ও বুদ্ধিমত্তা। গতি, শক্তি, আনন্দ, উচ্চাকাঙ্খা, অর্থ প্রভৃতি। ৩ সংখ্যা হলো বৃহস্পতির প্রতীক এবং মানুষের জীবনযাত্রার এঁর ক্রিয়াকলাপ অসীম। যেকোনো সংখ্যার জাতকের ভেতর এই সংখ্যাটি কখনো প্রত্যক্ষ আবার কখনো পরোক্ষভাবে প্রভাব বিস্তার করে থাকে। চাকরিতে বলুন, ব্যাবসায়ে বলুন, অথবা কোনো ধর্মসভার পৃষ্ঠপোষকতাকে বলুন এঁরা প্রভূত কর্মদক্ষতা দেখান। ধীর, স্থীর, স্নিগ্ধ ও নিয়মানুবর্তিতার এঁদের মন উপযুক্ত মানুষ পাওয়া ভার। এঁদের জীবনে উত্থানপতন কম। এঁদের মধ্যে একটা আধ্যাত্মিক চেতন শক্তি বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে দেখা যায়। সৃষ্টি, স্থিতি ও প্রলয় নিহিত আছে ৩ সংখ্যার ভেতর। যীশুর পুনরুত্থান তৃতীয় দিনে। বাংলা প্রবাদে আছে বার বার তিন বার। 
এই সংখ্যার জাতকের জেদও প্রচন্ড। তবে তা প্রকাশ পায়না -অন্তরে গুমরাতে থাকে। এঁরা বিশিষ্ট সাহিত্যিক, বিজ্ঞানী, শিক্ষক ও অফিসের বড়োবাবু হন। 
এঁদের উচ্চাকাঙ্খা তীব্র ও বুদ্ধি তীক্ষ্ণ, হৃদয় আকাশ উদার। টুকরো টুকরো কথা দিয়ে ঠাট্টা করতে এঁরা অদ্বিতীয়। আবার একদিকে এঁরা অন্তঃমুখীন। অনেক্ষেত্রে এঁদের বেশি কথা বলার জন্য সব কথার মধ্যে সামঞ্জস্য থাকেনা। এঁদের শত্রূ হয় এবং তারা সবাই প্রায় বুদ্ধিমান শত্রূ। 
প্রেমের ব্যাপারে এঁদের ইন্দ্রিয়শক্তি গুলি প্রকটিত হয়। ভালোবাসার সবটাই তাঁরা চান। দাম্পত্যজীবনে এঁরা "গৃহকোণে" আশ্রয় নেন। কিন্তু এঁদের বিদ্যাবত্তার তীব্র্যানুপাতে বিপরীত লিঙ্গ অতটা শক্তিশালী হয় না। অনেকক্ষেত্রে ব্যার্থতার বোঝা এঁদের জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলে। 
এঁদের অতিরিক্ত পরিশ্রম করবার জন্য দুর্বলতা, স্নায়বিক ক্লান্তি, বাত, পেতে অস্ত্র চিকিৎসা, জন্ডিস, মূত্রাশয় গোলযোগ ও চর্মরোগ হতে পারে। 
৩ সংখ্যার বিশেষ আকর্ষণীয় সংখ্যা হলো ৫,৭, এবং ৮, এদের মধ্যে প্রেম, বন্ধুত্ব পার্টনারশিপ প্রভৃতি ভালো হয়। এই সংখ্যার বিকর্ষনীয় সংখ্যা ৪ এবং ৮। এদের থেকে সাবধান থাকা অবশ্য কর্তব্য। 
এঁদের শুভ বার - সোম, মঙ্গল ও বৃহস্পতি। 
শুভ রং - সাদা, হলুদ ও গাঢ় গোলাপি। 
এঁদের শুভ রত্ন হলো - চুনি ও পোখরাজ। 
সৌভাগ্যদায়ক মূল - ব্রম্ভযষ্ঠী। 
সুখাদ্য হলো - নোনা, বীট, গাজর, আপেল,আতা, আঙ্গুর, গম ও লবঙ্গ। 


সংখ্যা ৪

যাঁদের জন্ম তারিখ ইংরেজি যেকোনো মাসের ৪,১৩,২২ বা ৩১ তারিখ, তাঁরা ৪ সংখ্যার অধীন। জীবন এঁদের বিচিত্রতায় ভরা। শত বাধা বিঘ্ন তুচ্ছ করে এগিয়ে যেতে এঁরা ভালোবাসেন। এঁদের জীবনে সুখ ভাগ্য খুব কম। এই সংখ্যা নির্দেশ করে ধৈর্য, জ্ঞান ও বিচারশক্তি। কাজকর্ম, ফললাভ, অর্থ, আনন্দ প্রভৃতি। 
৪ সংখ্যার সূর্যের ছায়ার প্রতীক। অনেকে রাহু ও পাশ্চাত্য মতে ইউরেনাস গ্রহও বলেন। 
এই সংখ্যার জাতকেরা নির্দিষ্ট ব্যাক্তিত্ব নিয়ে জন্মে থাকেন। এঁদের পরিষ্কার ভাবে বোঝা সাধারণের কাছে অসুবিধাজনক। উল্লেখযোগ্য স্বাতন্ত্রতাবোধের জন্য এঁদের গম্ভীর, গর্বিত ও তীক্ষ্ণ বলে মনে হয়। সাধারণ ঘটনার এঁরা জড়িত না থেকে যেকোনো বৃহত্তর ব্যাপারে মাথা ঘামান। রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, পারিবারিক ও আধ্যাত্মিক জীবনে এঁরা বিপ্লব আনার পক্ষপাতী। এঁদের প্রতিভা বহুমুখী- চিন্তা সীমাহীন, আশা মাত্রাতিরিক্ত। কুসংঙ্কার মানেন না। অপরের মতামত গ্রাহ্য করেন না। কিন্তু নিজের প্রশংসা শুনতে ভালোবাসেন। আবার নিজের পাওনা ষোলো নাই বুঝে নিতে চান। প্রচন্ড সুখী হবার চেষ্টা করেন ও রুচিবোধটা আকর্ষণীয়। পারিবারিক জীবনে সুখী হতে পারেন না। চাকরিতে উন্নতি করেন বেশি বয়সে। ব্যবসা বাণিজ্যে এঁদের প্রখর দক্ষতা জন্মে। টাকা জমানোর স্পৃহাও যথেষ্ট। প্রিয়জন প্রীতি বিস্ময়কর। যেকোনো কাজে এঁদের দক্ষতার পরিচয় পাওয়া যায়। 
শ্রমিক আন্দোলন ও সংগঠনে এঁরা যথেষ্ট সুনাম অর্জন করেন আবার বিপাকে পড়লে মুহূর্তে নিজেদের পাল্টেও ফেলেন। টাকা পয়সা লেনদেনের ব্যাপারে অনর্থক দেরি করেন। প্রেমের ক্ষেত্রেও ইন্দ্রিয়াতীত ভালোবাসা ও দেহগত প্রেম-এই দুটোর মধ্যে সামঞ্জস্য রফা করতে প্রয়াসী। ভালোবাসার মানুষটিকে পলকে হারান। আবার মাঝে মাঝে পেয়েও বিষন্ন হয়ে ওঠেন। 
জীবনে বন্ধুবান্ধব এঁরা অনেক পান। শত্রূ এঁদের সর্বদা সক্রিয় থাকলেও ক্ষতি করতে পারেনা তারা। এই সংখ্যার জাতক সবরকম সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। এই সংখ্যার জাতকেরা হতাশা, বিষন্নতা, পাকস্থলী প্রদাহ, টাইফয়েড, দাঁত, চর্মরোগ প্রভৃতিতে আক্রান্ত হন। বহুমূত্র রোগেও আক্রান্ত হতে পারেন। 
এঁদের শুভবার - রবি ও সোমবার। 
শুভ রং - লাল, সাদা, ও চকলেট রং। 
শুভ রত্ন - চুনি, মুনস্টোন এবং গোমেদ। 
সৌভাগ্যদায়ক মূল - দোলনচাঁপা, শ্বেত জবা ও সাত চন্দন। 
সুখাদ্য হলো - জলপাই, আমড়া, পালংশাক, বাঁধাকপি প্রভৃতি। 
মাছ, মাংস বা মশলাজাত আহার অনুচিত। 

সংখ্যা -৫

যাঁদের জন্মতারিখ ৫,১৪ বা ২৩, তাঁরা ৫ সংখ্যার অধীন। এঁরা মানসিকভাবে খুবই সতর্ক মানুষ। উচ্চচিন্তাশীল  আদর্শীবাদী হন। এঁরা বাস্তবে  মতো নানা পথে প্রচুর ধ্যানধারণা বুদ্ধি থাকে। সব দিকটায় অগ্রসর হতে গিয়ে হতে গিয়ে কোনও দিকেই বিশেষ পূর্ণতা প্রাপ্ত হয়না। পাঁচসংখ্যা নির্দেশ বিচার, উদার, মনোভাব, সহানুভূতি, আডভেঞ্চারি, অপ্রত্যাশিত সুপল লাভ প্রভৃতি। 
বুধের প্রতীক সংখ্যা ৫। এবং জগতের কাছে প্রচন্ড কৌতুক। অবিস্মরণীয় মুহূর্তে আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাতের মত এই সংখ্যার জাতক আবির্ভূত হন। এঁদের চরিত্র সহজে বোঝা যায়না। এঁদের স্বভাব হয় বালকের মতো চঞ্চল। জ্ঞান-বিজ্ঞানের নানাদিকে যথেষ্ট ক্ষমতা দেখতে সক্ষম। 
তীক্ষ্ণবুদ্ধি, প্রভূত প্রতিভা, মিঠেকড়া কথাবার্তা এবং অধরের মিঠি হাসির জন্য এই সংখ্যার জাতক সহজেই ওপরের উপর কর্তৃত্ব করতে পারেন।  জীবনটা এঁদের কাছে পঞ্চম অংকের নাটক, ঘাতপ্রতিঘাত, জয়পরাজয়, হাসিকান্না, প্রাপ্তি আবার বঞ্চনা সবার সমন্বয়ে গড়ে ওঠে এঁদের জীবন। অত্যন্ত ভাবপ্রবণ বলে মাঝে মাঝে নুয়ে পড়েন। কিন্তু ঝুঁকি নিতে এদের তুলনা নেই। সবার আগে এগিয়ে যাবেন, সবার মধ্যে থেকেও উজ্বল হয়ে থাকবে। সবার প্রিয় হবেন, আবার শাসন করবেন- এই হলো এঁদের স্বভাব। ছোটোবড়ো সব কাজে আগ্রহী। নিত্য নতুন পরিকল্পনা এঁদের মাথায় ভীড় করে। হঠাৎ কিছু করবার প্রলোভন বেশি। বিপ্লবের আগুন এঁরাই জ্বালেন এবং নিজেদের প্রাণের মূল্য এঁদের কাছে সামান্য। এঁরা কখনো বাস্তববাদী, কখনো নানা কল্পনার রঙে মন ভরান। 
কর্মক্ষেত্রে এঁদের উন্নতিতে কেউ রোধ করতে পারবেন না। এবং কর্মের পরিবর্তন হবেই। বাবসাবাণিজ্যে এরা হঠাৎ ধনী হতে চায় ও শেয়ার, ফাটকা প্রভৃতিতে বেশি মন দেন। অর্থাভাব না থাকলেও অর্থের সঞ্চয় এঁরা করতে পারেননা। এঁরা ভালোর ভালো, মন্দের মন্দ। মিষ্টি কথায় জল হয়ে যান, ওপরের জন্য সব বিলিয়ে দিতে প্রস্তুত। আধ্যাত্বিক জীবনে খাঁটি বৈদান্তিক কারুর চোখের জল সহ্য করতে পারেন না। গৃহে এঁদের সুখ নেই। বাইরে এঁদের সুনাম বেশি। এই সংখ্যার জাতকের চোখে ও মুখে একটা বিশেষ আকর্ষণী শক্তি আছে। এবং বিপরীত লিঙ্গ থেকে বিপদ বেশি। 
দাম্পত্য জীবনে সুখ নেই। ঘর থেকে বাহির ভালো -এই এঁদের মত। প্রেমের ব্যাপারে স্বার্থত্যাগ করলেও একসঙ্গে একাধিক ভালোবাসায় জড়িয়ে পড়েন। 
এঁরা চট করে রেগে ওঠেন ও নিজেদের সমালোচনা শুনবার ধৈর্য রাখেন না। এঁদের মনে বিশালতার সুযোগ সবাই নেয়। ভ্রমণে বিশেষ আনন্দ পান। বহু বিষয়ে এঁদের জ্ঞান খুব। এঁরা সাহিত্যিক, বিজ্ঞানী, শিল্প, ডাক্তার, আইনবিদ ও নেতা হন। 
এঁরা হৃদরোগ, রক্তচাপ, জন্ডিস, যক্ষা, স্নায়বিক দুর্বলতা ও অনিদ্রা রোগে আক্রান্ত হন। এঁদের অকাল বার্ধক্য আসাও সম্ভব। 
৫ সংখ্যার জাতক জাতিকার আকর্ষণীয় সংখ্যা হলো ৩ এবং ৯, এঁদের মধ্যে প্রেম, বন্ধুত্ব, আত্মীয়তা, পার্টনারশিপ প্রভৃতি বেশ ভালো হয়। এই সংখ্যার বিকর্ষনীয় সংখ্যা হলো ৩, এঁদের থেকে ক্ষতি ছাড়া লাভ হয়না বিশেষ। এঁদের থেকে সাবধান থাকা কর্তব্য। 
এঁদের শুভবার হলো - বুধ ও শুক্রবার। 
শুভ রং - সবুজ, সাদা বা ধূসর অথবা যেকোনো হালকা রং। 
শুভ রত্ন - শ্বেতপ্রবাল, হীরা, পান্না বা সবুজ পোখরাজ। 
সৌভাগ্যদায়ক মূল - বৃদ্ধদায়ক। 
শুভ খাদ্য - বীট, গাজর, বার্লি, কুমড়ো, টমেটো, বাদাম, দুধ এ ছানা প্রভৃতি।   


সংখ্যা- ৬

যাঁদের জন্মতারিখ ইংরাজীর যেকোনো মাসের ৬,১৫ কিংবা ২৪ তারিখ তাঁরা ৬ সংখ্যার অধীন ব্যাক্তি। এঁরা মস্তিষ্কের চেয়েও বেশি হৃদয় দ্বারা পরিচালিত হয়ে থাকেন। এঁদের জীবনের কোনো ঐকতান নেই। তাই মাঝে মাঝেই সমতার অভাব দেখা যায়। আনন্দ প্রিয়তা এঁদের স্বভাব এবং এতেই এঁদের সুখ। এঁরা বিপরীত লিঙ্গের খুব প্রিয় হয়। 
৬ সংখ্যা নির্দেশ করে শান্তি, তৃপ্তি, আনন্দ এবং আশা মতো ফললাভ। শুক্র গ্রহের প্রতীক ৬ সংখ্যা। মানুষের জীবন- সৌন্দর্যবোধ জেগে ওঠে এই "৬" এর ভেতর দিয়ে। সূক্ষ্যরুচি ও তার সঙ্গে সম্মান, প্রেম ও প্রীতির বিপুল আলোড়ন সৃষ্টি করে চলে "৬" সংখ্যা। ভোগবিলাস ও ভালোবাসার স্বর্গীয় ইশারা খুঁজে পাওয়া যায় "৬" সংখ্যার ভেতর। 
এই সংখ্যার জাতক একাধারে প্রেমিক, নিপুন শিল্পী, ভোজন বিলাসী, নিজ সংকল্পে অটল কর্মে দৃঢ়। এঁরা জীবনকে ঊষর মরুজ্ঞান করেন না - বসন্তের সুবাসিত কুসুমরেণুময় বা শরতের রসাল ফলের মতো আস্বাদন করেন জীবনকে। এঁরা হলো চুম্বকের মতো এবং খুব সহজে অন্যকে আকৃষ্ট করতে পারে। 
এঁরা সবার ভেতর রসের সন্ধান করেন। কাজ করতে ভালোবাসেন, ভালোবাসেন গান শুনতে, ছবি আঁকতে ও প্রেমের উপন্যাস পাঠ করতে। এঁরা হলো রোমান্টিক ও আদর্শবাদী। 
এঁরা অতি দ্রুত লয়ে যাত্রা করেন। আঘাত পান অত্যাধিক। ক্ষমা এঁদের প্রধান গুন্। সংসার যুদ্ধে ক্লান্ত হন- আবার পূর্ণ উৎসাহ নিয়ে সংগ্রামে রত হন। এঁরা খুব আশাবাদী, জীবনে কখনো আশা ত্যাগ করেন না। 
"৬" সংখ্যার জাতক নিমেষের মধ্যে যেকোনো শ্রেণীর জাতকের সাথে মিশতে পারেন ও তাঁদের অন্তরের অন্তরতম স্থানে পৌঁছান। এঁরা স্বার্থহীন, অল্পে সন্তুষ্ট। একটা সুর ঝংকারের ভেতর দিয়ে সংসার ধর্ম পালন করেন। এঁরা ঝগড়া কলহ পছন্দ করেন না। 
এই সংখ্যার জাতক কণ্ঠ, নাক, কান, হৃদয়, আন্ত্রিক ও বহুমূত্র রোগে আক্রান্ত হন। এঁদের যৌনাঙ্গে নানা রোগ হওয়াও অসম্ভব নয়। ৬ সংখ্যার জাতক জাতিকার বিশেষ আকর্ষণী সংখ্যা হলো ৩ এবং ৯। এঁদের মধ্যে প্রেম আত্মীয়তা ও বন্ধুত্ব ভালো হয়। এই সংখ্যার বিকর্ষণী সংখ্যা ১ এবং ৮। এঁদের থেকে সাবধান থাকা অবশ্য কর্তব্য। 
এঁদের শুভদিন হলো - বুধ, শুক্র ও শনিবার। 
শুভ রং - নীল, সাদা, গোলাপি ও সবুজ। 
শুভ রত্ন - স্ফটিক, ইন্দ্রনীলা, টারকুইজ, হীরা, জারকোন, পান্না ও শ্বেতপ্রবাল। 
সৌভাগ্যদায়ক -মূল  কদম্ব বা রামবাসক মূল। 
শুভ খাদ্য - বরবটি, মটরশুঁটি, লালশাক, লাউ, কুমড়ো, শশা, বিভিন্ন ফল, মাংসের মজ্জা বা মেটে প্রভৃতি। 


সংখ্যা- ৭

যাঁদের জন্মতারিখ ইংরাজীর যেকোনো মাসের, ৭,১৬ বা ২৫ তারিখ, তাঁরা ৭ সংখ্যার অধীন। এধরণের ব্যাক্তিরা বাস্তববাদী এবং জীবনকে একটা চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখেন। এঁদের মধ্যে এক ধরণের দৈব ক্ষমতা বা আধ্যাত্মিক শক্তি থাকে। এঁরা স্বপ্নকে বাস্তবে রূপায়িত করতে পারেন। এঁরা অন্তর থেকে প্রাপ্ত এক উদ্দমের বশে কাজ করে চলেন। অন্তরের ওই উদ্দম বা অন্তরের আলোই এঁদের জীবনের শ্রেষ্ঠ সম্পদ বলা হয়ে থাকে। 
৭ সংখ্যা নির্দেশ করে বিপদ, অন্ধকার এবং মৃত্যু বা বিশ্রাম। চন্দ্রের ঋণাত্মক সংখ্যার প্রতীক "৭" সংখ্যা। অনেকে আবার এই সংখ্যাকে কেতু গ্রহের চিহ্নও বলেন। চন্দ্র অথবা কেতু যেকোনো একটি গ্রহের প্রতীক হলেও এই সংখ্যাটি সুখ সমৃদ্ধি ও সৌভাগ্যের চিহ্ন। এই সংখ্যার জাতক খুবই মিষ্টি, সুন্দর, নম্র ও ভদ্র হয়ে থাকে। এবং এঁদের বাহির দেখে মনের খবর পাওয়া ভার। চাওয়া-পাওয়ার বহির্প্রকাশ নেই চোখে, মুখে ও কথায়। সবকিছু তা যতই উজ্জ্বল বা শোকাবহ হোক না কেন-এঁরা সহজে চেপে রাখতে পারেন। যেকোনো পরিবর্তনের ভেতর নিজেদের খাপ খাওয়াতে এরা পটু। এঁদের জীবনে উত্থানপতন লেগেই থাকে। 
এঁরা আনন্দ-আহ্লাদের মধ্যে নিজেদের স্বাতন্ত্র বজায় রেখে চলেন, যুক্তিপূর্ণ কথা মাত্ৰিত কিন্তু তীক্ষ্ণ ভাষায় বলেন। ভালোবাসার ব্যাপারে একটা কৌতুক আবহাওয়া সৃষ্টি করেন। এঁদের জ্ঞান তৃষ্ণা অপরিসীম। স্বল্প সময়ের ভেতর কঠিন বস্তুরও সার গ্রহণ করেন। অর্থ সঞ্চয় করেন। আবার অতিথি সেবাও করেন। স্নেহ নিবিড় এবং ক্রমশ প্রকাশ্য। এঁদের স্বপ্ন ও ভাব উচ্চ হয়। 
ভ্রমণে এঁরা যথেষ্ট আনন্দ পান। শিল্পীসুলভ মন থাকাতে সৌন্দর্যের পূজারী। স্বপ্নিল জীবন কাটাতে চান। বন্ধু নির্বাচনের উপরেই এঁদের জীবনের সাফল্য অনেকটা নির্ভর করে। 
এই সংখ্যার জাতকের চর্মরোগ, রক্তপাত, অস্ত্রোপচার, চোক্কুরোগ, বদহজম প্রভৃতি রোগ হয়। এঁদের পক্ষে দেহের ভেতরের মিউকাস-মেমব্রেনের রোগ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। 
৭ সংখ্যার আকর্ষণী সংখ্যা ২ এবং ৬। এঁদের সঙ্গে প্রেম, বন্ধুত্ব এবং আত্মীয়তা শুভ হয়। বিকর্ষণী সংখ্যা ১ এবং ৯। এঁদের থেকে সতর্ক থাকা কর্তব্য। 
এঁদের শুভদিন হলো - রবি ও সোমবার। 
শুভ রং - সাদা ও গোলাপি। 
শুভ রত্ন - বৈদুর্যোমনি, মুক্ত, মুনস্টোন ও গোলাপি চুনী। 
শুভ মূল - অশ্বগন্ধা। 
শুভ খাদ্য - আঙ্গুর, আপেল, বাঁধাকপি, লেটুস, টমেটো, আতা এবং নোনা ফল। 

সংখ্যা ৮

যাঁদের জন্মতারিখ ইংরাজি যেকোনো মাসের ৮,১৭ অথবা ২৬ তারিখ, তাঁরা ৮ সংখ্যার অধীন। শনির প্রভাব হেতু এই সকল জাতক জাতিকা নিঃসঙ্গ ও একাকী থাকতে ভালোবাসেন। মানসিক ভাবে অটল, মন সব সময় স্থির থাকে। এঁরা জীবনে কঠোরতা অবলম্বন করে চলেনা। খুব কর্তব্য পরায়ণ হন। দায়িত্বজ্ঞান, নীতিজ্ঞান প্রভৃতি এঁদের ভেতর খুব বেশি দেখা যায়। কোনোরকম অন্যায়ের সঙ্গেই এঁরা আপোষ করে চলেনা। 
আট সংখ্যা নির্দেশ করে বিদ্রোহ, পার্থক্য, বিপথগামিতা, লোকসান, ক্ষয়ক্ষতি এবং অনর্থক ভুল কাজে সময় নষ্ট করা। 
মহাদুঃখ দাতা শনি গ্রহের প্রতীক ৮ সংখ্যা। ধীর.স্থির, কর্তব্যকার্যে অটল, বহু বাধা বিপত্তিতেও অচল, তীক্ষ্ণ বুদ্ধি, তীক্ষ্ণ আত্মসম্মান বোধ, প্রবল তাপ প্রভৃতি। এঁদের সম্পর্কে সাধারণ মানুষ জীবনভর ভুল বোঝে। হয়তো ভেবে বসেন স্বার্থপর, পরশ্রীকাতর, অহংকারী ও ভীতু। আসলে এই সংখ্যার জাতকেরা হলেন আত্মকেন্দ্রিক, উদারহৃদয়, পরদুঃখকাতর, বৈশিষ্টময় স্বতন্ত্রতা, তপ্ত তেজ, স্বল্পবাক -ই স্বভাব ধর্ম। 
এঁদের জীবনে নিঃশব্দে নেমে আসে নিঃসঙ্গতা। এঁদের মনের মানুষ কেউ নয়- সুফী বা বাউলদের মত অপার্থিব স্পর্শসুখ পাবার জন্য ব্যাকুল থাকেন এঁরা। 
এঁরা যদি ঈশ্বর বিশ্বাসী হন, যদি সত্যাশ্রয়ী হন, তবে এঁদের সমকক্ষ মানুষ পাওয়া ভার। জীবনের যতোকিছু প্রিয়- সব শ্রেয় দেবতার চরণে সমর্পন করতে কুন্ঠিত হননা। আবার যদি নাস্তিক ও কুকর্মে মন দেন, তবে এঁরা সাপের চেয়েও ভয়ঙ্কর। একাধারে প্রেমিক ও নির্দয়- এই দুয়ের সমন্বয়ে গড়ে ওঠেন। একটা সত্য এঁরা উপলব্ধি করতে পারেন অতি সহজেই যে, জীবনটা পুষ্পশয্যা নয়। 
৮ সংখ্যার জাতকের সংগ্রামময় জীবনে প্রতিষ্ঠা আসে অতি দেরিতে এবং স্থায়ী হয় অনেকদিন। দারিদ্রের কষাঘাত, সমাজের পীড়নে, শত্রুদের আক্রমণে এঁদের জীবন জর্জরিত। অতি সহজে কিছুই পান না। এঁদের জীবনে সফলতা চাইলে নির্জনতা, আলস্য ও দীর্ঘসূত্রিতা ছেড়ে কর্মপথে এগিয়ে যেতে হবে সব সময়। 
যাঁদের জন্মতারিখ বা নাম সংখ্যা ৮ হয় তাদের লিভারের অসুখ ও নানা আন্ত্রিক রোগ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি দেখা যায়। এঁদের বাত এবং রক্তদুষ্টির সম্ভাবনাও থাকে। 
৮ সংখ্যার আকর্ষণীয় সংখ্যা যথাক্রমে ১ এবং ৪। এঁদের সঙ্গে প্রেম, বন্ধুত্ব, আত্মীয়তা বা পার্টনারশিপ শুভ হয়। এই সংখ্যার বিকর্ষনীয় সংখ্যা ৩ এবং ৬। এঁদের থেকে দুরুত্ব বজায় রাখা কর্তব্য। 
এঁদের শুভদিন - .শনিবার 
শুভ বর্ণ - বাদামি, কালো ও ঘন নীল। 
শুভ রত্ন - মুক্ত ও আমেথিস্ট। 
সৌভাগ্যদায়ক মূল - ক্ষিরিকা ও শ্বেতবেড়েলা। 
শুভ খাদ্য - আখ, কলা, বেল, গাজর, শশা, পটল, মানকচু প্রভৃতি।  


সংখ্যা ৯

যাঁদের নাম সংখ্যা বা জন্মতারিখ ইংরেজি যেকোনো মাসের ৯,১৮ কিংবা ২৭ তারিখ, তাঁরা ৯ সংখ্যার অধীন। এরা বাল্যবয়স থেকেখুব সাহসী ও তেজি হন। নিজের মতো চলতে ভালোবাসেন। যুদ্ধের গল্প, বীরপুরুষদের কাহিনী প্রভৃতি শুনতে বেশি পছন্দ করেন। সেই ছোটবেলা থেকেই এঁরা স্বপ্ন দেখেন বড় বিয়ার হবার। এঁরা সমালোচনা একেবারে অপছন্দ করেন। তাহলে রেগে ওঠেন। প্রশংসায় এঁরা খুবই খুশি হন। ৯ সংখ্যা নির্দেশ করে অপ্রত্যাশিত সুখ, বিরাট উঁচু মাপের কাজ, উন্নতি, সামনে এগিয়ে চলা, শুভ পরিবর্তন প্রভৃতি। 
৯ সংখ্যা হলো মঙ্গলের প্রতীক। এঁরা জন্মগত ভাবে যোদ্ধা। যুদ্ধবিগ্রহ বা বীরত্বের পরিচয় দিয়েও এঁরা বিখ্যাত হতে পারেন। এঁদের দুর্ঘটনা, অগ্নিভয় থাকে। ৯ সংখ্যা ধাঁধার মতো। এটি বেশি করে বিপরীত ভাবকেই প্রতিফলিত করে থাকে। এটি সংখ্যাতত্ত্বের শেষ সংখ্যাও বটে। 
৯ সংখ্যার অধীনে যাঁরা জন্মেছেন ইংরাজীবনে অনেক বাধা ও আঘাত পেয়ে অবশেষে জয়ী হয়ে থাকেন। দায়িত্ব নিলে অনেক ঝামেলাতে জড়িয়ে পড়তে হয় জীবনে। কিন্তু আদর্শ ও লক্ষ্যে এঁরা অবিচল স্থির থাকেন। এঁরা ভীষণ পরিশ্রমী ও উদ্যমশীল হন। এঁরা খুবই কৌশলী, সচেতন, উপস্থিত বুদ্ধিযুক্ত এবং খুব উচ্চাশাবাদী মানুষ। কোন অবস্থায় কিভাবে চলতে হয় সেই জ্ঞান এঁদের যথেষ্ট আছে। এঁরা যেমন হুকুম করতে জানে- হুকুম পালনও করে। যেকোনো সৃজনশীল কাজে এঁরা প্রায়ই সফল হন। এঁদের উদার মন ও বিরাট অন্তঃকরণ। এঁদের যখন ধ্বংসের কাজে প্রবৃত্তি জন্মায় - তখন এঁরা নির্দয় ও নিষ্ঠূর। নানা অবস্থায় এঁদের জীবনে অনেক বিপদ ও দুর্ঘটনা ঘটতে দেখা যায়। 
উচ্চআদর্শ, আকাঙ্খা ও উচ্চ লক্ষ্যের জন্য এঁদের অনেকেই বিখ্যাত হয়ে উঠতে পারেন জীবনে। 
পূর্বেই বলা হয়েছে ৯ সংখ্যা মঙ্গলের প্রতীক। মঙ্গল হলো প্রভুত্ব, তেজস্বীতা, যুদ্ধবিগ্রহ, ভূমি, সম্পদ প্রভৃতির প্রতীক। মঙ্গল শুভ ও প্রবল হলে জাতক অল্প বয়স থেকেই খুব তেজি ও সাহসী হয়ে থাকেন। পরবর্তী জীবনে এঁরা সেনাপতি, পাইলট, নৌবিদ্যা বিশারদ, পুলিশ অফিসার প্রভৃতি কর্মে যুক্ত হয়ে পড়েন। এঁরা ভূ -সম্পত্তির মালিক হয়ে উঠতে পারেন। এঁরা চাষবাস ভালোবাসেন। 
মঙ্গল অশুভ হলে এঁরা বড় ডাকাত ও গুন্ডা দলের সর্দার হতে পারেন। জন্মকালে মঙ্গল গ্রহ নীচস্থ হয়ে থাকলে এঁরা ভীরু ও দুর্বল স্বভাবের হয়ে থাকেন। এঁদের জীবনে একাধিক বার হঠাৎ হঠাৎ রক্তপাত হবার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। এঁরা কোনো দুঃসাহসিক কাজে এগিয়ে যেতে পারেন না। এঁরা মনে সব সময় একটা দুর্বলতা পোষণ করে থাকেন। 
যাঁদের জন্মতারিখ বা নাম সংখ্যা ৯, তাঁদের পক্ষে হ্যাম, জ্বর, বসন্ত, বা অন্য সব ভাইরাসঘটিত অসুখ হবার সম্ভাবনা বেশি দেখা যায়। 
৯ সংখ্যার আকর্ষণীয় সংখ্যা ২,৩ এবং ৬। বিকর্ষনীয় সংখ্যা ৭। 
এঁদের শুভদিন : মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার। 
শুভবর্ণ - গাঢ় গোলাপি। 
শুভরত্ন - চুনী, রক্তপ্রবাল বা গার্নেট। 
সৌভাগ্যপ্রদায়ক মূল - অনন্তমূল। 
শুভ খাদ্য - শশা, পেঁয়াজ,আদা, গোলমরিচ, পাকাফল, ফলের রস ও দুধ প্রভৃতি।  








রবিবার, ৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

নমনীয় ও অনমনীয় হাতের বৈশিষ্ট সন্মন্ধে জেনে নিন :

 নমনীয় ও অনমনীয় হাতের বৈশিষ্ট সন্মন্ধে জেনে নিন :

নমনীয় হাত :
এই ধরণের হাতের আঙুলগুলি অনায়াসেই পিছনে নোয়ানো যাবে। যতক্ষণ না ঐভাবে আঙুলগুলি নুইয়ে একটি সুন্দর আর্চ করা সম্ভব হচ্ছে- ততক্ষন পর্যন্ত এই ধরণের হাতের মালিক একটুও ব্যাথা পাবেন না। এই ধরণের হাতের আঙ্গুলগুলো সঞ্চরশীল মনে হবে, এবং আঙুলের হাড়গুলোও অত্যন্ত কোমল মনে হবে। এই ধরণের হাতযুক্ত ব্যাক্তিগন অত্যন্ত তাড়াতাড়ি সিদ্ধান্ত গ্রহণে সক্ষম এবং অত্যন্ত সহজেই সঠিক সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারেন। এঁরা বিশদভাবে না নিজেও পরিবেশ বা অন্য কিছু সন্মন্ধে সম্পূর্ণরূপে এবং সঠিকরূপে ওয়াকিবহাল হতে পারেন। এই ধরণের হাতযুক্ত ব্যাক্তিগন অতি বিচক্ষণ হয়ে থাকেন। এবং সর্ব বিষয়ে বিচক্ষণ হওয়ার ফলে এঁরা সবজান্তা ধরণের হয়ে থাকে। সবজান্তা ভাব এবং অতি বিচক্ষণতা এঁদের জীবনের উন্নতির পথের অন্তরায় - কারণ সব কিছুর ব্যাপারে সহজেই এঁরা দক্ষ হতে পারেন বলে- কোনো বিশেষ ব্যাপারকে বা পেশাকে আঁকড়ে ধরে থাকতে পারেন না। 
যাঁদের হাত নমনীয় -তাঁরা অত্যন্ত সহানুভূতিপ্রবণ, উদার এবং অমিতব্যায়ী হয়ে থাকেন। এঁরা অত্যন্ত ভাবপ্রবণ- অপরের দুঃখের কথা শুনে সহজেই এঁরা বিগলিত হয়ে থাকেন। এই ধরণের হাত যাঁদের- তাঁরা অনায়াসে জীবনে অসাধারণ বা আশ্চর্যজনক কৃতিত্বের অধিকারী হতে পারেন। তাঁরা অনেকদিকে তাঁদের প্রতিভাকে ছড়িয়ে দেন বলে অসামান্য প্রতিভার অধিকারী হয়েও তাঁরা জীবনে শেষ পর্যন্ত তেমন কিছু করতে পারেন না। কিন্তু তাঁরা যদি তাঁদের অসাধারণ প্রতিভাকে সংযমের কাজে লাগান- তবে তাঁরা অনায়াসে অসামান্য কৃতিত্বের অধিকারী হতে পারেন। এই ধরণের হাত যাঁদের- তাঁদের বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠটি যদি লম্বা এবং উত্তম ধরণের হয় - তবে তাঁরা নিশ্চই জীবনে কৃতিত্ব অর্জনে সক্ষম হবে। 

অত্যন্ত নমনীয় ধরণের হাতের বৈশিষ্ট :
আর এক ধরণের হাত আছে, যা অত্যন্ত নমনীয় -পেছন দিকে চেপে ধরলে আঙ্গুলগুলো প্রায় গোড়া থেকেই বেঁকে যায়। সচারচর যন্ত্রসংগীত শিল্পীদের হাত অনুরূপ নমনীয় হয়ে থাকে। এই ধরণের অত্যন্ত নমনীয় হাত যাঁদের- তাঁরা খুবই অমিতব্যায়ী হয়ে থাকে। 
যদি বাঁ হাতটি কারো দৃঢ় ধরনের হয় আর ডানহাত টি নমনীয় হয় - তবে বুঝতে হবে যে উক্ত জাতক মানসিক দিক থেকে উন্নত এবং উদার। আর যদি কারোও বাঁ হাতটি নমনীয় হয় এবং ডানহাতটি দৃঢ় হয় - তবে বুঝতে হবে উক্ত জাতক পূর্বাপেক্ষা মানসিক দিক থেকে সংকীর্ণ ও অনুদায় হয়ে পড়েছেন। 
যাঁদের হাত দৃঢ় তাঁরা সচারচর কৃপণ হয়ে থাকেন, আর যাঁদের হাত নমনীয় তাঁরা সচারচর উদার, সহানুভূতিপ্রবণ এবং অমিতব্যায়ী হয়ে থাকেন। 

অনমনীয় বা দৃঢ় হাত:
এই ধরণের হাত সম্পূর্ণ খুললেই দেখা যাবে যে, আঙ্গুলগুলো হাতের তালুর দিকে যেন একটু নোয়ানো। যাঁদের হাত এই ধরণের দৃঢ়- তাঁরা অত্যন্ত সাবধানী, অনড়, সংকীর্ণমনা এবং কৃপণ স্বভাবযুক্ত হয়ে থাকেন। জীবনের সকল ক্ষেত্রে এঁরা অনড় তথা হীনমন্যতার পরিচয় দিয়ে থাকেন। 
প্রতিকূল অবস্থায় সঙ্গে এরা সহজে নিজেকে খাপ খাইয়ে নিতে পারেন না। নুতন কোনো ভাবধারা বা আদর্শ গ্রহণের ক্ষেত্রেও এঁরা পিছপা হয়ে থাকেন। নুতন ও সঠিক ভাবাদর্শকে এঁরা সহজে গ্রহণ করতে চান না। এঁরা পূর্বতন ধ্যানধারণা আঁকড়ে থাকতে ভালোবাসেন। এঁদের রাজনৈতিক তথা ধর্ম বিশ্বাস, বা চিন্তাধারা গোড়ামিপূর্ণ। নূতনতর যুক্তি বা চিন্তাধারায় বিশ্বাস করেন না। এঁরা সঙ্গীর্ণমনা বলেই সচারচর অনুদার হয়ে থাকেন। এঁরা কঠিন কায়িক পরিশ্রমের কাজে কৃতিত্ব অর্জনে সক্ষম হয়ে থাকেন। এঁরা নিজেদের আত্মাকেও কষ্ট দেন এবং অর্থ সঞ্চয়ের জন্য তৎপর হয়ে থাকেন। এঁরা সচারচর কৃপণ হয়ে থাকেন এবং এঁদের চিন্তাধারা কেবলমাত্র সংকীর্ণ গন্ডির মধ্যেই ঘুরপাক খেতে থাকে। এঁরা অবশ্য কম কথা বলেন, এবং গোপন বিষয়ে গোপন রাখতে হলে- এঁদের ওপর অনায়াসে আস্থা স্থাপন করা চলে। 
















শুক্রবার, ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

হস্তরেখায় সলোমন বন্ধনী ও মণিবন্ধ সন্মন্ধে ব্যাখ্যা

 হস্তরেখায় সলোমন বন্ধনী কি এবং তার গুরুত্ব সন্মন্ধে জেনে নিন -

তর্জনী আঙুলের নিম্নে বৃহস্পতির ক্ষেত্রের অবস্থান করে তর্জনীর মুলকে বেষ্টন করে থাকে তাকে সলোমন বন্ধনী বলে। 
এই রেখাটি শনি বন্ধনীর ঠিক বিপরীত, কারণ এর থেকে অপরের উপর ক্ষমতাবা কর্তৃত্ব করার নির্দেশ প্রদান করে। বৃহস্পতির ক্ষেত্রে সচারচর অর্ধবৃত্তাকারে এই রেখা অবস্থান করে। 
প্রাচীনকালে হাতে সলোমন বন্ধনী পরিলক্ষিত হলে তাকে আধিভৌতিক ক্ষমতার অধিকারী মনে করা হতো। বলা হতো এটি "প্রভুর চিহ্ন"
রাজা সলোমনের হাতে এই চিহ্নটি ছিল। রাজা সলোমন ছিলেন অত্যন্ত জ্ঞানী, বুদ্ধিমান ও বিচারশীল মানুষ। তাঁর নাম থেকেই "সলোমন বন্ধনী" নামকরণ সৃষ্টি হয়েছে। 
যার হাতে এই চিহ্ন বিরাজ করে তাঁর মধ্যে বৃহস্পতির গুণাবলী লক্ষ্য করা। যায় এই রেখা মানসিক উৎকর্ষতাকে আরও বর্ধিত করে। ফলে এই চিহ্নটি করতলে বিরাজ করা মানে খুবই সত্ত্বভাবাপন্ন লোভনীয় ব্যাপার। 
যাঁদের হাতে এই সলোমন বন্ধনী পরিষ্কার অংকিত থাকে তিনি জ্ঞানী, তত্ত্বজ্ঞ ও দার্শনিক ব্যাক্তি হন। এঁরা সময় বিশারদ, যোগ, জ্যোতিষ, প্রকৃতি বিজ্ঞান, চিকিৎসা, রাজনীতি, অর্থনীতি, ইতিহাস এবং ভাষাতত্ত্বে পন্ডিত ও বেশ পারদর্শী হন। এ সকলের মধ্যে কোনো না কোনো বিষয়ে অবশ্যই তাঁদের দক্ষতা স্বাক্ষর থাকবেই। 
সচারচর সলোমন বন্ধনীর অধিকারী ব্যাক্তি জীবনভরই অন্যায়ের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়ে থাকেন। 
এই রেখাটি ছোট সোজা ছড়ির মতো রেখার সঙ্গে গুলিয়ে ফেলা যুক্তিযুক্ত হবেনা। তাহলে জাতকের অভীষ্ট সাধনের পক্ষে বাধাস্বরূপ হয়ে দাঁড়াবে। সলোমন বন্ধনী সুদৃশ্য পরিষ্কার না হয়ে যদি অস্পষ্ট বা ভগ্ন হয়, তাহলে এই রেখার ব্যাক্তিদের মধ্যে উক্ত গুনসমূহের প্রবনতা থাকলেও নানান বাধার কারণে তিনি সেই উচ্চজ্ঞান লাভে বঞ্চিত থেকে যেতে পারেন। 

মণিবন্ধ ও মণিবন্ধ রেখা কি ? এবং তার গুরুত্ব সন্মন্ধে জেনে নিন -

হাতের কব্জিকে ভালো কথায় মণিবন্ধ বলা হয়। যে মানুষের মণিবন্ধ সুগঠিত, সেই মানুষ রাজা বা রাজতুল্য ঐশ্বর্যশালী হন। 
হাত নাড়াচাড়া করলে যদি মণিবন্ধ থেকে শব্দ বের হয় এবং হাতের রেখায় যদি অনেক ছেদ বা কর্তিত অনেক প্রতিকূল রেখা যদি হাতে দৃষ্ট হয়, তবে ব্যাক্তি শ্রমহীন, পরশ্রীকাতর, ভীতু ও অধার্মিক হয়। 
নারীর করতলের ন্যায় যদি মণিবন্ধ সুদৃশ্য ও চকচকে হয় এবং করতলের ও হাতে যদি সমতল বজায় থাকে, তবে সেই নারী প্রবল ঐশ্বর্যশালিনী ও সৌভাগ্যবতী হন। যে নারীর মণিবন্ধ শিরাবহুল ও অসমতল, সেই নারী দুঃখিনী, পাপকার্যে আসক্তা ও কষ্টের জীবনযাপন করে। 
মনিবন্ধরেখা প্রান্ত সীমায় অবস্থিত; এই রেখা কব্জির এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত পর্যন্ত পরিলক্ষিত হয়। কারোর হাতের কব্জিতে একটিমাত্র মণিবন্ধ রেখা পরিদৃষ্ট হয়। আবার কারোর হাতে তিনটি বা তার অধিক মণিবন্ধ রেখা পরিদৃষ্ট হয়। করতলের উপর মনিবন্ধের প্রথম বলয় স্বাস্থ্য, দ্বিতীয় বলয় থেকে অর্থ ও তৃতীয় বলয় থেকে পুত্রসন্তান, লাভাদি এবং চতুর্থ বলয় থেকে জাগতিক সুখভোগের বিচার হয়ে থাকে। প্রাচীন রোমে ও গ্রিসদেশে বিবাহের পূর্বে নারীর হাতের মণিবন্ধ বিচারের রেওয়াজ ছিল। 
যদি মণিবন্ধ বলয়ে শাখা রেখা পরিলক্ষিত হয় এবং তা কোণের সৃষ্টি করে তবে ব্যাক্তি কোনো আত্মীয়ের মৃত্যুর পর উত্তরাধিকার সূত্রে ধনলাভ করেন এবং বৃদ্ধবস্থায় তার যোগ্যতা অনুসারে সম্মান লাভ করে। ব্যাক্তিটি সৎ স্বভাবযুক্ত ও স্বাস্থ্যবান হয়ে থাকেন। 
কারও মণিবন্ধে সুবিন্যস্ত তিনটি বলয় রেখা থাকলে এবং তা অগভীর ও বিসতৃত হলে, সেই ব্যাক্তির ষাট বছর পরমায়ু হয় এবং তিনি প্রচুর সম্পদের অধিকারী হন। কিন্তু যৌবনে দারিদ্র কষ্ট পেয়ে থাকেন। 
যদি প্রথম বলয়ের স্থলে, দ্বিতীয়টি সরু ও তৃতীয়টি ভগ্ন হয়, তবে প্রথম জীবনে ঐশ্বর্য, মধ্যজীবনে অল্পতা ও শেষ জীবনে অর্থ উপার্জন হয়ে থাকে। 
মণিবন্ধে দুটি সরল অভগ্ন রেখা থাকলে আয়ু পঞ্চাশ বছর হয়ে থাকে। ব্যাক্তি রুগ্ন হন। মণিবন্ধে মাত্র একটি রেখা পরিদৃষ্ট হলে জাতকের অল্পায়ু যোগে জন্ম হয়। 
মনিবন্ধের বলয়গুলি একটি অপরকে স্পর্শ না করলে জাতক শ্রেষ্ঠ, প্রতিভাবান, অতি কৌতূহলী, উচ্চস্তরীয় চিন্তা নিমগ্ন, সৎসাহসী, উন্নতিশীল ও উচ্চব্যাক্তি হিসেবে পরিগনিত হন। মনিবন্ধের রেখাসমুখ অবিমিশ্রিত রক্তবর্ণের হলে যুদ্ধে জাতকের সৌভাগ্য সূচনা হয়। 
মনিবন্ধের রেখাসমূহ বিযুক্ত বা শৃংখলাকার হলে জাতককে কৃপণ করে। এবং অনেক পরিশ্রম করে অর্থ উপার্জন করতে হয়। তবে মনিবন্ধের প্রথম রেখাতে যব চিহ্ন থাকলে বা শৃঙ্খলিত হলে জাতককে পরিশ্রমী করে। এঁরা কৃতকার্য ও সফল হন। পরিশ্রমের দ্বারা প্রচুর ধন ও ব্যাবসায়ে প্রচুর লাভ করতে পারেন। 
এক্ষেত্রে মনিবন্ধের শৃঙ্খলিত রেখাগুলি ঈষৎ শুভ্র বা রক্তবর্ণের হলে সামুদ্রিক দ্রব্যের ব্যাবসায়ে প্রভ্যুর ধন উপার্জনের সম্ভাবনা দেখা যায়। 
মণিবন্ধ থেকে রেখা সমান্তরাল ভাবে উর্ধমুখী হয়ে চন্দ্রের ক্ষেত্রের দিকে গমন করলে এবং তা অসমান হলে মানসিক দুর্দশা ও দুর্ভাগ্যের সূচনা করে। শুধু তাই নয় গুপ্তহত্যা ও শত্রূতা ও প্রতারণা এবং সাংঘাতিক কার্য সমূহের নির্দেশ দেয়। 
যদি প্রথম মনিবন্ধরেখাটি গভীর এবং স্পষ্ট হয়, তবে দৈহিক সাংগঠনিক শক্তি প্রবর্ধিত হয়ে থাকে। আয়ুরেখাটি যদি তৎসঙ্গে উত্তম হয়, তবে বুঝতে হবে, ঐ ব্যাক্তি নিশ্চিতরূপেই সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হবেন। 
কিন্তু যদি ঐ রেখা দুর্বল হয়ে ত্রূটি যুক্ত হয়, শৃঙ্খলচিহ্ন অথবা অগভীর এবং চওড়া হয় তবে জাতকের দৈহিক সাংগঠনিক শক্তি তেমন সবল হবেনা। 
যদি মনিবন্ধরেখা থেকে উচ্চমুখী ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রেখাদি নির্গত হয়, তবে উক্ত জাতক জীবনে উন্নতি লাভ করার জন্য বিশেষভাবে সচেষ্ট হবেন।  

করতলের রং বিচারে হস্তবিচার পদ্ধতি

 করতলের রং সাদা হলে:-

ফ্যাসফ্যাসে সাদা রক্তিম আভাও নেই- এই ধরণের হাত স্বল্প রক্তপ্রবাহ সূচিত করে। যাদের হাতের চামড়া খুব ভারী অবশ্য তাঁদের হাতের রংও  এধরণের সাদা হতে পারে- কিন্তু রক্তপ্রবাহ যদি ঠিক থাকে সেক্ষেত্রে সাদার ভেতরে রক্তিম আভা পরিলক্ষিত হবে। নারীর হাত স্বভাবতই অপেক্ষাকৃত একটু বেশি সাদা হয়ে থাকে, কিন্তু শরীর অভ্যন্তরস্থ রক্ত প্রবাহ ঠিক থাকলে -সেক্ষেত্রেও রক্তিম আভা ফুটে উঠবে। কিন্তু হাতের রং যদি একেবারে সাদা হয়- তবে তা রক্তপ্রবাহ জনিত স্বল্পতা ও নির্জীবতা সূচিত করে। হাতের রং যাদের একেবারে সাদা -স্বভাবতই তাঁদের মধ্যে উত্তাপ, সজীবতা এবং আকর্ষণশক্তির অভাব সূচিত হয়ে থাকে। এঁরা সব বিষয়েই নির্জীব ধরণের হয়ে থাকে। রক্ত সরবরাহ জনিত স্বল্পতা বা ত্রূটির জন্য শারীরিক দিক থেকেও দুর্বল হয়ে থাকে। সাদা রঙের হাত যাদের তারা সচারচর স্বপ্নাচারী, রহস্যজনক, উদ্যমহীন, স্বার্থপর, এবং কল্পনাবিলাসী হয়ে থাকেন। দৈহিক মিলন বা ভালোবাসার ক্ষেত্রে এরা অনেকাংশে নির্জীব ধরণের নিষ্ক্রিয়। কবি, সাহিত্যিক হিসেবে অবশ্য কৃতী হতে পারেন। এদের মন কল্পনা রাজ্যে ঘুরে বেড়াবার ব্যাপারে বিশেষ সক্রিয় হলেও দেহের ভূমিকা তেমন সক্রিয় নয়। ধর্মীয় ব্যাপারে এদের ভূমিকা রহস্যজনক, ব্যাবসায়ী হলেও এদের বন্ধুর সংখ্যা কম, সামাজিক মেলামেশারও এঁরা পক্ষপাতী নন। এইধরণের হাতযুক্ত ব্যাক্তিগন যদি বৃহস্পতি প্রভাবাধীন হন - তবে উচ্চাশার সঙ্গে হতাশা, নির্জীবতা, এবং কুসংস্কার মিশ্রিত হয়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করবে। বৃহস্পতির পর্বতটি যদি অত্যন্ত উন্নত ও পুষ্ট হয় - তবে এই ধরণের হাতযুক্ত ব্যাক্তি অত্যাচারী ভূমিকা গ্রহণ করতে পারেন। অন্যান্য গ্রহ প্রভাবাধীন ব্যাক্তির ক্ষেত্রে সাদা ধরণের হাতের রং- অনুরূপ মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করবে।

হাতের করতলের রং লালচে হলে---
হাতের তালুর রং স্বাভাবিক রক্তপ্রবাহ ব্যবস্থা সূচিত করে। এক্ষেত্রে শরীরের অভ্যন্তরস্থ রক্তের শ্রেণী উত্তম বিবেচিত হয়ে থাকে। হাতের তালুর রং যাদের লালচে- তাঁরা সজীব, উদ্দমযুক্ত এবং সতেজ। শারীরিক দিক থেকে এঁরা সবল, রোগব্যাধি এঁদের সহজে কাবু করতে পারেনা। এঁরা উজ্জ্বল, আকর্ষণীয়, ব্যক্তিত্বসম্পন্ন এবং ভালোবাসার ক্ষেত্রেও স্বাভাবিক উপযুক্ত। এঁরা আশাবাদী, সহৃদয়, উদার এবং সহানুভূতিপ্রবণ এবং অপরের দুঃখে কষ্টে বিচলিত হয়ে থাকেন। এঁরা অপরকে উৎসাহিত করেন, অনুপ্রাণিত করেন। লালচে রং যেকোনো গ্রহের প্রভাবাধীন ব্যাক্তির ক্ষেত্রে উত্তম বিবেচিত হয়ে থাকে। যদিও চন্দ্র এবং শনি প্রভাবাধীন ব্যাক্তিগনের ক্ষেত্রে হাতের তালুর সাদা ও পীত রংই স্বাভাবিক, সেক্ষেত্রে হাতের তালুর রং লালচে হওয়ায় তাঁদের নির্জীবতা এবং বিষন্নতার মধ্যে হঠাৎ আলোর ঝলকানি সূচিত হতে পারে, এবং জীবন সন্মন্ধে তাঁদের হতাশা অনেকাংশে বিদূরিত হতে পারে। যেকোনো দৃষ্টিভঙ্গিতেই দেখা যাক- হাতের তালুর এই লালচে রং বিশেষ শুভকর। 

হাতের করতলের রং যদি লাল হয় -
হাতের তালুর রং যদি লাল হয়- তবে তা অতিরিক্ত রক্তপ্রবাহ, অতিরিক্ত উত্তাপ, অতিরিক্ত জীবনীশক্তি ও দৈহিক শক্তি সূচিত। করে যাঁদের হাতের তালুর রং যদি লাল হয় - তাঁদের দৈহিক শক্তি বেশি হওয়া স্বাভাবিক এবং তাঁরা অপেক্ষাকৃত বেশি সতেজ ও সজীব। 
বৃহস্পতির প্রভাবাধীন ব্যাক্তির হাতের তালুর রং যদি লাল হয় - তবে উচ্চাশা, গর্ব এবং প্রভুত্বপ্রিয়তার সঙ্গে এক্ষেত্রে অতিরিক্ত সজীবতা যুক্ত হয়। রবি প্রভাবাধীন ব্যাক্তির হাতের তালুর রং যদি লাল হয়, তবে তার প্রতিভা বিকাশের ক্ষেত্রে উদ্যম থাকলেও সুক্ষ রুচিবোধের অভাব লক্ষিত হবে। শুক্র প্রভাবাধীন ব্যাক্তির হাতের তালুর রং যদি লাল হয় - তবে ব্যাক্তিটি অতিরিক্ত কামাবেগসম্পন্ন হবেন। আর মঙ্গল প্রভাবাধীন ব্যাক্তির হাতের তালুর রং লাল হলে- ঐ ব্যাক্তির ভালোবাসায় আরও বেশি উত্তাপ সংযোজিত হবে এবং লোকটি আরও বেশি যুদ্ধবাজ হয়ে উঠবেন। তাছাড়া অতিরিক্ত ভোজনের ফলে ঐ ব্যাক্তির মাথাঘোরা বা সন্ন্যাসরোগে আক্রান্ত হতে পারে। বৃহস্পতি প্রভাবাধীন ব্যাক্তির হাতের তালুর রং লাল হলেও অনুরূপ রোগ সূচিত হতে পারে। আর নৃশংস ধরণের হাতের শুক্র পর্বতটি বড়, আঙুলগুলি বেঁটে এবং ভারী বা মোটা, হাতের তালু কঠিন, বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠটি গদাকৃতি তালুর রং লাল হয়, তিনি আরও বেশি খুনে বা নৃশংস হয়ে উঠবেন। 

হাতের করতলের রং হলুদ হলে-
রক্তে পিত্তঘটিত দশ থাকার ফলেই হাতের রং হলদে হয়ে যায়। রক্তে অতিরিক্ত পিত্তকণা মিশ্রিত হলে ত্বকের স্তরেও তা জমা হয় এবং সেই জন্যেই হাতের তালুর রং হলুদ দৃষ্ট হয়ে থাকে। কারণ পিত্তের রং হলুদ। পিত্তকণা রক্তে সঞ্চারিত হওয়ায় রক্তপ্রবাহ ধারায় তথা মস্তিষ্কে নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে বিরক্তি সূচিত করে থাকে এবং হৃদযন্ত্রকে দুর্বল করে থাকে। যাঁদের রক্ত পিত্তদোষের দ্বারা দূষিত তাঁরা কখনই উৎফুল্ল তেমন সুখী হতে পারেনা। সর্বদা বিষাদগ্রস্ত অবস্থা বিদ্যমান থাকায় জীবনের অন্ধকার দিকটাই তাঁর সামনে ভেসে ওঠে। ফলে যাঁদের হাতে তালুর রং হলদে- তাঁরা অসামাজিক হয়ে পড়েন। তাঁরা বৃহস্পতি প্রভাবাধীন হলেও কমবেশি বিষাদগ্রস্ত ও হতাশার শিকার অবশ্যই হয়ে থাকেন। অনুরূপভাবে অন্যান গ্রহ প্রভাবাধীন ব্যাক্তিগনের ক্ষেত্রেও হাতের তালুর রং হলদে হলে কমবেশি বিরূপ প্রতিক্রিয়া ঘটবেই। বুধ প্রভাবাধীন ব্যাক্তির হাতের তালুর রং হলুদ হলে তিনি আরো বেশি নার্ভাস হয়ে পড়বেন। শুক্র প্রভাবাধীন ব্যাক্তির দৈহিক শক্তি হ্রাস পাবে, চন্দ্র প্রভাবাধীন ব্যাক্তি আরও বেশি বিপন্ন হবেন। মঙ্গল প্রভাবাধীন ব্যাক্তির হাতের তালুর রং হলদে হলে - তাকে সহ্য করা মুশকিল। (জন্ডিস জনিত কারণে হলদে রং সূচিত হলে তা সাময়িক)

হাতের করতলের রং নীল বেগুনী হলে-
রক্তসরবরাহ জনিত ত্রূটির কারণেই হাতের তালুর রং নীল বা বেগুনি হয়ে থাকে। যাদের হাতের তালুর রং সাদা তাঁরা নির্জীব ধরণের, লালচে রং স্বাভাবিক অবস্থার পরিচায়ক, লাল রং অতিরিক্ত রক্ত সরবরাহ সূচিত করে, হাতের তালুর হলদে রং দূষিত রক্তসূচীত, আর হাতের তালুর রং নীল শ্লথ গতিতে রক্ত প্রবাহ সূচিত করে অতএব যাঁদের হাতের তালুর রং নীল বা বেগুনি তাদের হৃদযন্ত্রটি সচারচর দুর্বল হয়ে থাকে। যাঁদের হাতের তালুর রং নীল বা বেগুনি তাঁদের নখ পরীক্ষা করলে হৃদরোগের সূচক চিহ্নদি দেখা যেতে পারে। 

মঙ্গলবার, ২ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

মণিবন্ধ ও মণিবন্ধ রেখা কি ? এবং তার গুরুত্ব সন্মন্ধে জেনে নিন -

হাতের কব্জিকে ভালো কথায় মণিবন্ধ বলা হয়। যে মানুষের মণিবন্ধ সুগঠিত, সেই মানুষ রাজা বা রাজতুল্য ঐশ্বর্যশালী হন। হাত নাড়াচাড়া করলে যদি মণিবন্ধ থেকে শব্দ বের হয় এবং হাতের রেখায় যদি অনেক ছেদ বা কর্তিত অনেক প্রতিকূল রেখা যদি হাতে দৃষ্ট হয়, তবে ব্যাক্তি শ্রমহীন, পরশ্রীকাতর, ভীতু ও অধার্মিক হয়। নারীর করতলের ন্যায় যদি মণিবন্ধ সুদৃশ্য ও চকচকে হয় এবং করতলের ও হাতে যদি সমতল বজায় থাকে, তবে সেই নারী প্রবল ঐশ্বর্যশালিনী ও সৌভাগ্যবতী হন। যে নারীর মণিবন্ধ শিরাবহুল ও অসমতল, সেই নারী দুঃখিনী, পাপকার্যে আসক্তা ও কষ্টের জীবনযাপন করে। মনিবন্ধরেখা প্রান্ত সীমায় অবস্থিত; এই রেখা কব্জির এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত পর্যন্ত পরিলক্ষিত হয়। কারোর হাতের কব্জিতে একটিমাত্র মণিবন্ধ রেখা পরিদৃষ্ট হয়। আবার কারোর হাতে তিনটি বা তার অধিক মণিবন্ধ রেখা পরিদৃষ্ট হয়। করতলের উপর মনিবন্ধের প্রথম বলয় স্বাস্থ্য, দ্বিতীয় বলয় থেকে অর্থ ও তৃতীয় বলয় থেকে পুত্রসন্তান, লাভাদি এবং চতুর্থ বলয় থেকে জাগতিক সুখভোগের বিচার হয়ে থাকে। প্রাচীন রোমে ও গ্রিসদেশে বিবাহের পূর্বে নারীর হাতের মণিবন্ধ বিচারের রেওয়াজ ছিল। যদি মণিবন্ধ বলয়ে শাখা রেখা পরিলক্ষিত হয় এবং তা কোণের সৃষ্টি করে তবে ব্যাক্তি কোনো আত্মীয়ের মৃত্যুর পর উত্তরাধিকার সূত্রে ধনলাভ করেন এবং বৃদ্ধবস্থায় তার যোগ্যতা অনুসারে সম্মান লাভ করে। ব্যাক্তিটি সৎ স্বভাবযুক্ত ও স্বাস্থ্যবান হয়ে থাকেন। কারও মণিবন্ধে সুবিন্যস্ত তিনটি বলয় রেখা থাকলে এবং তা অগভীর ও বিসতৃত হলে, সেই ব্যাক্তির ষাট বছর পরমায়ু হয় এবং তিনি প্রচুর সম্পদের অধিকারী হন। কিন্তু যৌবনে দারিদ্র কষ্ট পেয়ে থাকেন। যদি প্রথম বলয়ের স্থলে, দ্বিতীয়টি সরু ও তৃতীয়টি ভগ্ন হয়, তবে প্রথম জীবনে ঐশ্বর্য, মধ্যজীবনে অল্পতা ও শেষ জীবনে অর্থ উপার্জন হয়ে থাকে। মণিবন্ধে দুটি সরল অভগ্ন রেখা থাকলে আয়ু পঞ্চাশ বছর হয়ে থাকে। ব্যাক্তি রুগ্ন হন। মণিবন্ধে মাত্র একটি রেখা পরিদৃষ্ট হলে জাতকের অল্পায়ু যোগে জন্ম হয়। মনিবন্ধের বলয়গুলি একটি অপরকে স্পর্শ না করলে জাতক শ্রেষ্ঠ, প্রতিভাবান, অতি কৌতূহলী, উচ্চস্তরীয় চিন্তা নিমগ্ন, সৎসাহসী, উন্নতিশীল ও উচ্চব্যাক্তি হিসেবে পরিগনিত হন। মনিবন্ধের রেখাসমুখ অবিমিশ্রিত রক্তবর্ণের হলে যুদ্ধে জাতকের সৌভাগ্য সূচনা হয়। মনিবন্ধের রেখাসমূহ বিযুক্ত বা শৃংখলাকার হলে জাতককে কৃপণ করে। এবং অনেক পরিশ্রম করে অর্থ উপার্জন করতে হয়। তবে মনিবন্ধের প্রথম রেখাতে যব চিহ্ন থাকলে বা শৃঙ্খলিত হলে জাতককে পরিশ্রমী করে। এঁরা কৃতকার্য ও সফল হন। পরিশ্রমের দ্বারা প্রচুর ধন ও ব্যাবসায়ে প্রচুর লাভ করতে পারেন। এক্ষেত্রে মনিবন্ধের শৃঙ্খলিত রেখাগুলি ঈষৎ শুভ্র বা রক্তবর্ণের হলে সামুদ্রিক দ্রব্যের ব্যাবসায়ে প্রভ্যুর ধন উপার্জনের সম্ভাবনা দেখা যায়। মণিবন্ধ থেকে রেখা সমান্তরাল ভাবে উর্ধমুখী হয়ে চন্দ্রের ক্ষেত্রের দিকে গমন করলে এবং তা অসমান হলে মানসিক দুর্দশা ও দুর্ভাগ্যের সূচনা করে। শুধু তাই নয় গুপ্তহত্যা ও শত্রূতা ও প্রতারণা এবং সাংঘাতিক কার্য সমূহের নির্দেশ দেয়। যদি প্রথম মনিবন্ধরেখাটি গভীর এবং স্পষ্ট হয়, তবে দৈহিক সাংগঠনিক শক্তি প্রবর্ধিত হয়ে থাকে। আয়ুরেখাটি যদি তৎসঙ্গে উত্তম হয়, তবে বুঝতে হবে, ঐ ব্যাক্তি নিশ্চিতরূপেই সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হবেন। কিন্তু যদি ঐ রেখা দুর্বল হয়ে ত্রূটি যুক্ত হয়, শৃঙ্খলচিহ্ন অথবা অগভীর এবং চওড়া হয় তবে জাতকের দৈহিক সাংগঠনিক শক্তি তেমন সবল হবেনা। যদি মনিবন্ধরেখা থেকে উচ্চমুখী ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রেখাদি নির্গত হয়, তবে উক্ত জাতক জীবনে উন্নতি লাভ করার জন্য বিশেষভাবে সচেষ্ট হবেন।