রবিবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৮

কোষ্ঠী বানানোর নিয়ম

মানব জীবনে বিভিন্ন সময় রাশি ও  লগ্ন অনুযায়ী - এক এক গ্রহ এক এক স্থানে  থাকেন।  কুষ্ঠিতে রাশিচক্র অংকিত করার সময় তাতে রাশি ও লগ্ন স্থান দেওয়া হয়।  তা থেকে যেকোনো নির্দিষ্ট সময়ে কোন গ্রহ রাশি বা লগ্ন থেকে কতটা দূরে আছেন তা বিচার করা হয়। গ্রহদের  এইভাবে রাশিস্থন ও ঘর পরবর্তন অনুযায়ী বিভিন্ন সময়ে ফল জানা যায়।


 রাশিচক্র 

রাশি ও লগ্ন অনুযায়ী দুটির শুভ ও অশুভ বিচার করলে মোট হিসাব  দেখা  যাবে।  আগেই বলা হয়েছে রাশি মোট ১২ টি , তা হলো, মেষ , বৃষ ,  মিথুন , কর্কট , সিংহ, কন্যা, তুলা , বৃশ্চিক , ধনু , মকর, কুম্ভ ও মীন। এই ১২ টি রাশি বৃত্তাকারে ৩৬০ ডিগ্রি জুড়ে অবস্থান করেন বলে প্রতিটি রাশিতে অবস্থান হয় ৩৬০/১২= ৩০ ডিগ্রি। উপরের রাশিচক্রের চিত্র দেখলেবুঝতে পারবেন কিভাবে রাশিগুলি অবস্থান করে আছে।
এক একটি  রাশির অধিপতি এক বা একাধিক গ্রহ থাকে।  যে গ্রহের ঘর যে রাশিতে, সেই রাশিতে তিনি বেশি ফল দিতে সমর্থ হন ও সুফল দেন।   আবার একটি গ্রহ বিপরীত গ্রহের (অর্থাৎ ঘরে) থাকলে ভালোভাবে ক্রিয়া করতে পারেনা।
 যেমন  মীন রাশি ও ধনু রাশি বৃহস্পতির ঘর। ওই রাশিতে শনি এল ততটা কুফল দিতে পারেনা।  কিন্তু মকর ও কুম্ভ শনির নিজ ঘর। ওই ঘরে সে বেশি সুফল দিতে পারে। ঠিক  লগ্ন বিচারের  সময় একই হিসাব দেখা যায়।  এখন কোন রাশির অধিপতি গ্রহ কে তা  বর্ণনা করা হলো।

মেষ ও বৃশ্চিক রাশির অধিপতি হলেন মঙ্গল।
বৃষ ও তুলা       ''             ''         ''    শুক্র।
মিথুন ও কন্যা   ''            ''          ''    বুধ।
ধনু ও মীন       ''             ''          ''    বৃহস্পতি।
মকর ও কুম্ভ     ''            ''           ''    শনি।
সিংহ               ''            ''           ''     রবি।
কর্কট              ''            ''           ''     চন্দ্র।



প্রথম ঘর - মঙ্গল। 
দ্বিতীয় ঘর - শুক্র। 
তৃতীয় ঘর - বুধ। 
চতুর্থ ঘর - চন্দ্র। 
পঞ্চম ঘর - রবি। 
ষষ্ঠ ঘর - বুধ। 
সপ্তম ঘর - শুক্র। 
অষ্টম ঘর- মঙ্গল। 
নবম ঘর- বৃহস্পতি। 
দশম ঘর - শনি। 
একাদশ ঘর- শনি। 
দ্বাদশ ঘর- বৃহস্পতি। 

এইভাবে জ্যোতিষ শাস্ত্রের ধারা  যুগ যুগ ধরে মানুষের দেহ , মন, ভাগ্য, চিন্তা, কর্ম প্রভৃতি কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করে চলে তার আলোচনা আমরা এই ব্লগ থেকে জানতে পারবো। 

লগ্ন ও রাশি থেকে যে সব ঘর গুলিকে কোনও গ্রহ থাকে না , ঐসব ঘরের নিজ নিজ অধিকর্তা তার  অবস্থা অনুযায়ী সুফল ও কুফল দেয়।  বিস্তৃত জানতে হলে যোগাযোগ করুন।

দেবার্পন চক্রবর্তী
বারুইপুর, কলকাতা ৭০০১৪৪
৮০১৩৭০৬৮৯২।





মঙ্গলবার, ২৩ অক্টোবর, ২০১৮

লগ্নের বিচারে জাতক ও জাতিকার ভাববিচার

লগ্নের বিচারে জাতক ও জাতিকার ভাববিচার

এখানে আমরা ১২টি লগ্নের জাতক জাতিকার কর্মস্থান ও বিবাহ বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো। তারপরে সমগ্র বিষয় নিয়ে পর্যালোচনা করবো।

মেষ লগ্নের জাতক ও জাতিকার কর্মজীবন 

মেষের কর্মপতি হলেন শনি।  কর্মজীবনে মেষের লোকেরা সজাগ হয়।  শনির সঙ্গে মঙ্গলের সম্পর্ক ভালো নয় তাই কর্মজীবনে মেষের লোকেরা একটু সেন্টিমেন্টাল হয়।  তাই কথায় কথায় চাকরি বা কর্মস্থান ছেড়ে আবার নতুন কর্মে লিপ্ত হয়ে পড়ে। সিভিল ইঞ্জিনিয়ার , বিল্ডিং কন্ট্রাক্টর, ইট প্রস্তুতকারক , কৃষি ও মৃত গবেষণাকেন্দ্রে, ঐতিহাসিক খনন কার্য , মনোবিজ্ঞানী, ঔষধ প্রতুত্কারক ইত্যাদি বিভাগের সাথে যুক্ত হয়ে  এরা জীবিকা অর্জন করে থাকে। তবে এদের জেদি মনোভাবের জন্যে কর্মজীবন পরিবর্তনশীল হয়।  এবং সাময়িক বেকার হতে পারে।  সরকারি ও বেসরকারি উভয় প্রকার কাজে এদের দেখা যায়।

বিবাহ 

শুক্র হলেন পত্নিকারক গ্রহ।  মেষের সপ্তমে তুলা আর তুলার অধিপতি হলেন শুক্র।  শুক্র শুভ হলে জাতক সুন্দরী , তন্নী, সাস্থবতী, লাবণ্যযুক্তা, গৃহকর্মে নিপুনা, সঙ্গীত , সাহিত্য , নৃত্য , গীত , বাদ্য , বিলাসী পত্নী লাভ করে। এদের দাম্পত্য জীবন ভালোই কাটে। তবে শুক্র অশুভ হলে দাম্পত্য জীবন সুখের হয় না।  মেষের জাতকের একাধিক বিবাহ হতে পারে।  তবে বিবাহের সময় এদের অশান্তি হতে পারে। ২৭ বছর বয়সের মধ্যে বিবাহ হলে শুভ।

বৃষ লগ্নের জাতক জাতিকার কর্মজীবন

বৃষলগ্নের অধিপতি হলেন শুক্র।  শুক্র আবার শনির বন্ধু।  বৃষলগ্নের জাতকদের কর্মস্থান হলো কুম্ভু রাশি। আর কুম্ভের অধিপতি হলেন শনি।  তাই বৃষের জাতক জাতিকারা যদি বিদ্যাদেবীর কৃপা লাভ করে তাহলে তারা দার্শনিক, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার , প্রফেসর , গবেষক ইত্যাদি হয়ে জীবনে কৃতিত্ব লাভ করতে পারে।  আর এই শ্রেণীর জাতকদের শিক্ষায় যদি তেমন উন্নতি না হয় তাহলে তারা সৃষ্টি ধর্মী কাজে নিযুক্ত হতে পারে।  মেকানিক, শ্রমজীবী, কৃষিকার্যে অনুরক্ত হন।  আর এরা ধাতু, কয়লা, লোহালক্কড় , চা, টায়ার, খনিজ দ্রব্য প্রভৃতির ব্যাবসায় উন্নতি করতে পারে।  তবে শুক্র ও শনি অনুকূল হলে।  তাই এরা জীবনে কখনো বেকার বসে থাকেনা। কোনো না কোনো কাজের দ্বারা জীবিকা অর্জন করে।

বিবাহ

এই লগ্নের জাতক ও জাতিকার সপ্তম ঘরের মালিক হলেন মঙ্গল। বৃষের সপ্তম হলো বৃশ্চিক রাশি। এই রাশিতে মঙ্গল থাকলেও দশ হয় না।  এবং সুখে শান্তিতে দাম্পত্য জীবন কাটাতে পারে।  কারণ মঙ্গল ও শুক্রের যোগ ভালো এবং সম্পর্ক এতে ভালো হয়।  তবে এই শ্রেণীর জাতকের প্রণয় ঘটিত বিবাহ ও একাধিক বিবাহ জীবনে হতে পারে।  কিন্তু বৃশ্চিক রাশিতে শনি ভিন্ন অন্য পাপগ্রহ থাকলে বিবাহিত জীবন বিষময় হয়ে উঠতে পারে।  পাপগ্রহ বলতে শনি, মঙ্গল, রাহু, কেতু ও রবি কে বোঝায়।

মিথুন লগ্নের জাতক জাতিকার কর্মজীবন

মিথুনের কর্মপতি হলেন বৃহস্পতি। তিনি ধনু ও মীনের অধিপতি।  বুধ ও বৃহস্পতির সম্পর্ক ভালো নয়।  তাই মিথুনের কর্মজীবন বৈচিত্রময় হতে পারে। এরা একই কর্মে বেশিদিন টিকে থাকতে পারেনা। কর্ম ত্যাগের পূর্বেই আবার নতুন কর্ম পেয়ে যায়।  তাই এদের কর্মজীবনে তেমন অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়না।

বিবাহ
মিথুন লগ্নের সপ্তমপতি হলেন বৃহস্পতি। আবার বুধ বৃহস্পতি কে মোটেই দেখতে পারে না। তাই এই লগ্নের জাতক যদি পুরুষ হয় তাহলে সে তার স্ত্রী কে সহ্য করতে পারেনা আবার এই লগ্নের জাতক যদি স্ত্রী হয় তাহলে সে স্বামীকে সহ্য করতে পারেনা।  ের যেকোনো নিজেরই হোক না কেন একাধিক প্রেম এবং একাধিক নারী পুরুষের প্রতি আকৃষ্ট হয়। কখনো বা প্রণয় ঘটিত কপট প্রেমে বদনাম ও পতিত হতে পারে।

কর্কট লগ্নের জাতক জাতিকার কর্মজীবন

কর্কটের কর্মস্থানের অধিপতি মঙ্গল।  তাই কর্কট জাতকদের পক্ষে মঙ্গল কোনপতি।  মঙ্গল তাই জাতক জাতিকার একদিকে কোনপতি।  তাই মঙ্গলের একটা প্রভাব জাতক জাতিকার জীবনে পড়ে।  মঙ্গল যদি পুষ্টি , স্বক্ষেত্রী , অথবা মিত্রগৃহজাত হয় তাহলে জাতকের কর্মজীবন শুভ হয়।  মঙ্গলের আনুগত্য পেলে ের জল পুলিশ , নাবিক, জাহাজ , জলজ দ্রব্যের ব্যাবসায়ী , শাসন বিভাগের কাজ প্রভৃতির একটি ধারণ করে জীবিকা নির্বাহ করতে পারে।  মঙ্গল অশুভ থাকলে বৃত্তির পরিবর্তন হয়।

বিবাহ

কর্কটের জাতক জাতিকার বেশিরভাগ ক্ষেত্রে প্রণয় ঘটিত অসবর্ণ বিবাহ হয়ে থাকে।  তবে যদি সপ্তম স্থানে মাকার রাশিজাত  বৃহস্পতির শুভ দৃষ্টি থাকলে সামাজিক বিবাহ হতে দেখা যায়। চন্দ্রের কোনো শত্রু নেই।  কিন্তু শনি চন্দ্রকে বিশেষ সুনজরে দেখে না।  তাই দাম্পত্য জীবনে উল্লেখযোগ্য কিছু না হলেও মাঝে মাঝে অশান্তি হতে পারে। এদের সাধারণত ২২ থেকে ২৮ বছরের মধ্যে বিবাহ শুভ বলে মনে করা হয়।

সিংহ লগ্নের জাতক জাতিকার কর্মস্থান

সিংহের জাতক জাতিকাদের কেন্দ্র ও কোনপতি হলেন শুক্র ও বৃহস্পতি। তাই এদের রাশিচক্রে বৃহস্পতি যেভাবেই থাকুক না কোনো এদের কিছু সুফল সিংহের জাতক জাতিকারা পাবেনই। শুক্র হলেন এদের কর্মদাতা। আবার শুক্রের সঙ্গে রবির সম্পর্ক ভালো নয়।  তাই ের সামান্য ভুল বোঝাবুঝি হলে কর্মস্থল, কর্মস্থলের বন্ধুবান্ধব ও কর্মের ধারা পাল্টিয়ে।  ফেলে।  এরা ভীষণ সেন্টিমেন্টাল ও জেদি হয়।  আবার এদের মধ্যে সরলতা ও পরোপকারী মনোভাব এত বেশি হয় যে জীবনে বহুবার এদেরকে নানা ভাবে কর্ম ও পারিপার্শিক জীবনে ঠকতে হয়।  মিল, কারখানার  পরিচালক,এডমিনিস্ট্রেটর দক্ষ কর্মী হিসেবে খ্যাতি  অর্জন করতে পারে। সৃষ্টিমূলক কাজেও ভালো ভূমিকা গ্রহণ করতে পারে। এরা ভালো পোশাক ও পরিচালক ও বটে।  তাই তারা আশ্রিত বৎসল হয়।

বিবাহ

সিংহের সপ্তম হলো কুম্ভরাশি। কুম্ভ পতি হলেন শনি, শনি রবির সুত হলেও শত্রু।  তাই সিংহের দাম্পত্য জীবন বিশেষ সুখকর হয়না।  সপ্তমে শুভগ্রহের  প্রভাব থাকলে সামাজিক বিয়ের হয়।  অন্যথায় প্রণয় ঘটিত অসবর্ণ বিবাহ হতে পারে।  কখনও বা লগ্নে, দ্বিতীয়, সপ্তমে ও অষ্টমে পাপগ্রহ থাকলে একাধিক বিবাহ হওয়ার সম্ভাবনা দেখা যায়।  তাদের মধ্যে  ও বাকিগুলি অসামাজিক বিয়ে হতে পারে।  পত্নীপীড়ায় এদের যথেষ্ট অর্থ নষ্ট হয়।  এবং পত্নীর স্বাস্থ বিশেষ ভালো হয়না।  সিংহের জাতক অপেক্ষা তার পত্নী কম সুন্দর হয়।  বয়স কম হলেও পত্নীকে অধিক বয়স্স্কা  বলে মনে হয়।  তবে এদের পত্নী ধর্মশালা ও পতিব্রতা হয়।  ২১ থেকে ২৭ বছরের মধ্যে বিবাহ শুভ।

কন্যা লগ্নের জাতক জাতিকার কর্মস্থল

কন্যার অধিপতি বুধ তাই কন্যার জাতকদের কর্ম ও জন্মের মধ্যে বুধের প্রভাব থাকবে তাতে সন্দেহ নেই।  কন্যার জাতকেরা কিছুটা দ্বমোনা ভাব যুক্ত হয়ে থাকে।  একটি কাজ করতে করতে ভাবে অন্য কাজটি করলে ভালো হতো এইরূপ ধারণার জন্যেই এরা মানসিক শান্তিটুকু হারিয়ে ফেলে। ফলে মনস্তাপে ভুগতে হয়।  আর সবচেয়ে বড় কথা ের লোকের প্রভাবে পতিত হয় এবং তাদেরকে সর্বজ্ঞ মনে করে।  তাদের দ্বারাই পরিচালিত হয়।  এতে কন্যার জাতক জাতিকার ব্যাক্তিস্বাতন্ত্র দুর্বল হয়ে পড়ে ও পরের কাছে হেয় প্রতিপন্ন হয়।  তবে স্বাভাবিক অবস্থায় অন্য রাশি বা লগ্নের জাতকদের তুলনায় ভালো ডাক্তার,ইঞ্জিনিয়ার, বৈজ্ঞানিক, হতে পারে। কন্যার জাতকেরা দালালি করেও জীবিকা নির্বাহ করতে পারে। হিসাব রক্ষক, ব্যাংকার,বীমাকর্মী, প্প্রভৃতিও হোতে পারে। আবার কিছু কুগ্রহের প্রভাবে পড়ে প্রতারক ও হতে পারে।

বিবাহ

কন্যার সপ্তমপতি হলেন দেবগুরু বৃহস্পতি, বুধ ও বৃহস্পতির সম্পর্ক ভালো নয়, কন্যার স্বামী এবং মীনের স্ত্রী হলে , স্ত্রী স্বামীকে বিশেষ স্নেহদৃষ্টিতে দেখেন কিন্তু উল্টো হলে ফল বিপরীত হয়।  লাভ ম্যারেজ করলে কন্যা বরের থেকে উঁচু জাতীয় হবে, তবে দাম্পত্য জীবনে এদের একটাই অশান্তির কারণ হতে পারে। সেটা কন্যার জাতক বা জাতিকা তার স্বামী।স্ত্রী কে বিনা কারণে সন্দেহ করে।



কেতু ও রাহুর ক্রিয়া

https://studio.youtube.com/video/4LCoRA2oAV8/edit
https://studio.youtube.com/video/DmlD6SXbSQc/editকেতু ও রাহুর ক্রিয়া

রবি থেকে শনি পর্যন্ত সবগুলি গ্রহের নিজ নিজ ঘর আছে বটে, কিন্তু রাহু ও কেতুর ঘর সম্পর্কে সুস্পর্ষ্ট ধারণা পাওয়া যায় না। তার কারণ রাহু ও কেতুর নিজস্ব ঘর নেই , রাহু ও কেতুর ঘর না থাকলেও কোনো কোনো ঘরে তারা উচ্চ ক্ষমতা প্রদর্শন করে। তাছাড়া তাদের সম্পর্কে ভারতীয় প্রাচীন জ্যোতিষ শাস্ত্রে যা লিখিত আছে তা কোনো পাশ্চাত্য জ্যোতির্বিদ চিন্তাও করেন নি কখনো। এখানে রাহু কেতুর সম্পর্কে আলোচনা করবো।

রাহুর উচ্চস্থান ও নিম্নস্থান

রাহু মিঠুন রাশির ২০ অংশ পর্যন্ত উচ্চ। রাহু কুম্ভ রাশির মূল ত্রিকোণ।  রাহু কন্যা রাশির স্বগৃহ।  রাহুর শুক্র ও শনির মিত্র। রাহুর রবি, চন্দ্র ও মঙ্গল শত্রু। রাহুর বুধ ও বৃহস্পতি সম বা নিরপেক্ষ বলে মনে করা হয়।

কেতুর উচ্চস্থান ও নিম্নস্থান

কেতু ধনুর ৬ অংশ পর্যন্ত উচ্চ। কেতু সিংহ রাশির মূলত্রিকোন। কেতু মীন রাশির স্বগৃহ।  কেতুর শুক্র ও শনির শত্রু। কেতুর রবি, চন্দ্র ও মঙ্গল মিত্র।  কেতুর বুধ ও বৃহস্পতি সম।

গ্রহদের শুভ ও অশুভ দৃষ্টি

তৃতীয় ও দশম স্থানে গ্রহদের পাপদৃষ্টি বা একপদদৃষ্টি। নবম ও পঞ্চম স্থানে গ্রহদের দ্দিপাদ দৃষ্টি। চতুর্থ ও অষ্টম  স্থানে গ্রহদের ত্রিপাদ  দৃষ্টি।  সপ্তম বা সম সপ্তমে গ্রহদের পূর্ণ দৃষ্টি।
এছাড়া তৃতীয় ও দশম শনি, পঞ্চমে ও নবম বৃহস্পতি, চতুর্থ ও অষ্টমে মঙ্গল পূর্ণ দৃষ্টি দান করে থাকেন।

রাহুর দৃষ্টি 

রাহুর দৃষ্টি বিভিন্ন স্থানে পৃথক প্রথক হয়ে থাকে।  কারণ সে বিপরীত পথে ভ্রমণ করেন। রাহুর পূর্ণ দৃষ্টি ৫ম, ৭ম,৯ম,১২ম স্থানে।  রাহুর দিপাদ দৃষ্টি দ্বিতীয় ও দশম স্থানে। রাহুর অর্ধদৃষ্টি তৃতীয়, চতুর্থ, ষষ্ঠ ও অষ্টম স্থানে।  দৃষ্টি নেই স্বস্থানে ও একাদশে।

যাদের কোষ্ঠিতে রাহু ও কেতুর ভাব দেখা যায় তারা এই পোস্ট টি দেখুন নিজেরাই বিচার করতে পারবেন। আর কোনো সমস্যা হলে যোগাযোগ করুন।

সোমবার, ২২ অক্টোবর, ২০১৮

গ্রহে গ্রহে মিত্রতা ও শত্রুতা এবং নিরপেক্ষতা

গ্রহে গ্রহে মিত্রতা ও শত্রুতা এবং নিরপেক্ষতা 

গ্রহ                                        মিত্র                                   নিরপেক্ষ                                   শত্রু

রবি                           চন্দ্র ,মঙ্গল , বৃহস্পতি                      বুধ                                       শুক্র , শনি              
চন্দ্র                           রবি , বুধ                              মঙ্গল, বৃহস্পতি ,শুক্র,শনি                    নেই        
মঙ্গল                         রবি ,চন্দ্র ,বৃহস্পতি                 শুক্র , শনি                                         বুধ
বুধ                            রবি, শুক্র                             মঙ্গল,বৃহস্পতি,শনি                              চন্দ্র
বৃহস্পতি                     রবি,চন্দ্র,মঙ্গল                       শনি                                               বুধ,শুক্র
শুক্র                           বুধ, শনি                               মঙ্গল, বৃহস্পতি                               রবি, চন্দ্র
শনি                           বুধ, শুক্র                               বৃহস্পতি                                   রবি,চন্দ্র, মঙ্গোল
রাহু                           শুক্র, শনি                               বুধ ,বৃহস্পতি                           রবি,চন্দ্র, মঙ্গোল
কেতু                          রবি ,চন্দ্র, মঙ্গল                      বুধ,বৃহস্পতি                                 শুক্র,শনি

উপরের তালিকাতে গ্রহদের শত্রু,মিত্র,ও নিরপেক্ষতা দেখানো হলো , নিজেরদের গ্রহ গত অবস্থান দেখে নিজেরাই বিচার করতে পারবেন।

জন্মমাস অনুযায়ী রাশি ও নক্ষত্রের প্রভাব 

জন্মমাস                                        রাশির প্রভাব                                    নক্ষত্রের প্রভাব 

বৈশাখ                                              মেষ                                                  অশ্বিনী ,ভরনী ,কৃত্তিকা
জ্যৈষ্ঠ                                                বৃষ                                                  কৃত্তিকা, রোহিনী,মৃগশিরা
আশার                                            মিথুন                                               মৃগশিরা,আদ্রা,পুনর্বসু
শ্রাবন                                              কর্কট                                               পুনর্বসু, পুষ্যা, অশ্লেষা
ভাদ্র                                                 সিংহ                                                মঘা,পূর্বফাল্গুনী ,উত্তরফাল্গুনী
আশ্বিন                                            কন্যা                                                উত্তরফাল্গুনী,হস্তা ,চিত্রা
কার্তিক                                           তুলা                                                 চিত্রা ,স্বাতী ,বিশাখা
অগ্রহায়ণ                                         বৃশ্চিক                                              বিশাখা,অনুরাধা,জ্যেষ্ঠা
পৌষ                                               ধনু                                                   মুলা , পূর্বষাঢ়া ,উত্তরাষাঢ়া
মাঘ                                                মকর                                                 উত্তরাষাঢ়া,শ্রবণা , ধনিষ্ঠা
ফাল্গুন                                             কুম্ভ                                                   ধনিষ্ঠা,শতভিষা ,পূর্বভাদ্রাপাদ
চৈত্র                                                মীন                                                  পূর্বভাদ্রাপাদ , উত্তরভাদ্রাপাদ , রেবতী 

এই তালিকাতে যাদের কোষ্ঠী বানানো নেই তারা বাংলার জন্মমাস অনুযায়ী নিজেদের রাশি ও নক্ষত্র নির্বাচন করতে পারবেন সহজেই।

রবিবার, ২১ অক্টোবর, ২০১৮

গ্রহদের সঞ্চার ফল এবং মানব জীবনে তার প্রভাব

গ্রহদের সঞ্চার ফল এবং মানব জীবনে তার প্রভাব কিরূপ সৃষ্টি করে তা দেখানো হলো 

রবিগ্রহ সঞ্চার ফল  প্রতি রাশিতে একমাস করে থাকে 

লগ্নের দ্বিতীয় থাকলে ---- বিভিন্ন কারণে জাতকের ভয় ও উদ্বেগের সৃষ্টি হয়। 
লগ্নের তৃতীয় থাকলে ---- অর্থ উপার্জন ও ঐশর্য লাভ হয়ে থাকে। 
লগ্নের চতুর্থে থাকলে ---- জাতক বা জাতিকার সম্মান হানি হওয়ার সম্বাবনা থাকে। 
লগ্নের পঞ্চমে থাকলে ---- জাতক বা জাতিকার মানসিক দুর্বলতা দেখা যায়। 
লগ্নের ষষ্ঠে থাকলে  ---- শত্রু পরাজিত হয়। 
লগ্নের সপ্তমে থাকলে --- নানা কারণে ব্যায় বৃদ্ধি পেতে থাকে। 
লগ্নের অষ্টমে থাকলে --- দৈহিক রোগ ও পীড়া বৃদ্ধি পেতে থাকে। 
লগ্নের নবম থাকলে ---- দৈহিক রোগ ও পীড়া বৃদ্ধি পেতে থাকে। 
লগ্নের দশম থাকলে ---- নতুন কর্মলাভ ও উন্নতি হতে থাকে।  
লগ্নের একাদশে থাকলে - নানাদিক থেকে সম্পত্তি ও অর্থলাভ হওয়ার থাকে। 
লগ্নের দ্বাদশে থাকলে --- অর্থনাশ ও নানাবাধা দেখা যায়। 



চন্দ্রের সঞ্চারফল প্রতি রাশিতে সোয়া দুদিন থাকে 

চন্দ্র জন্মরাশি বা লগ্নে থাকলে ---- নানাদিকে অর্থলাভ হতে দেখা যায়। 
চন্দ্র জন্মরাশি বা লগ্নে দ্বিতীয় থাকলে --- নানাদিকে অর্থ নষ্ট হতে দেখা যায়। 
চন্দ্র জন্মরাশি বা লগ্নের তৃতীয় থাকলে ---- নানাদিকে অর্থ ও দ্রব্বাদি লাভ হয়। 
চন্দ্র জন্মরাশি বা লগ্নের চতুর্থে থাকলে ----- চোখ ও মুখমন্ডলের রোগের সম্ভাবনা দেখা যায়। 
চন্দ্র জন্মরাশি বা লগ্নের পঞ্চমে থাকলে ----- কর্মে বাধা ও নানাকষ্ট দেখা যায়। 
চন্দ্র জন্মরাশি বা লগ্নের ষষ্ঠে থাকলে  ------ অর্থলাভ হয়। 
চন্দ্র জন্মরাশি বা লগ্নের সপ্তমে থাকলে ------ অর্থলাভ ও নারী সঙ্গে প্রণয় হওয়ার সম্ভাবনা দেখা যায়। 
চন্দ্র জন্মরাশি বা লগ্নের অষ্টমে থাকলে  ----- রোগ ও মৃতবৎ অবস্থা সূচিত করে। 
চন্দ্র জন্মরাশি বা লগ্নের নবম থাকলে ------ রাজভয় ও মামলাদির ভয় সূচিত করে। 
চন্দ্র জন্মরাশি বা লগ্নের দশম থাকলে ------ মহাসুখ ও শান্তি প্রদান করে। 
চন্দ্র জন্মরাশি বা লগ্নের একাদশ এ থাকলে --- ধর্ম ও সম্পদ বৃদ্ধি হয়। 
চন্দ্র জন্মরাশি বা লগ্নের দ্বাদশ এ থাকলে ---- দৈহিক রোগ ও অর্থনাশ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। 


মঙ্গলের সঞ্চারফল প্রতি রাশিতে ৪০ দিন করে থাকে 

মঙ্গল  জন্মরাশি বা লগ্নে থাকলে ----  শত্রু ভয়,বিপদের সম্ভাবনা ও রক্তপাতের সম্ভাবনা।
মঙ্গল জন্মরাশি বা লগ্নে দ্বিতীয় থাকলে --- নানাদিকে অর্থনাশ
মঙ্গল জন্মরাশি বা লগ্নের তৃতীয় থাকলে ----  নানাদিকে অর্থলাভ। 
মঙ্গল জন্মরাশি বা লগ্নের চতুর্থে থাকলে ----- শত্রু ভয়,বিপদের সম্ভাবনা ও রক্তপাতের সম্ভাবনা।
মঙ্গল জন্মরাশি বা লগ্নের পঞ্চমে থাকলে ----- সন্তানদের অশুভ ও মৃতবৎ অবস্থা।
মঙ্গল জন্মরাশি বা লগ্নের ষষ্ঠে থাকলে  ------নানাপথে অর্থ উপার্জন। 
মঙ্গল জন্মরাশি বা লগ্নের সপ্তমে থাকলে ------শোকের সম্ভাবনা। 
মঙ্গল জন্মরাশি বা লগ্নের অষ্টমে থাকলে  -----অস্ত্রাঘাতের সম্ভাবনা। 
মঙ্গল জন্মরাশি বা লগ্নের নবম থাকলে ------বিভিন্ন কাজে বাধা ও অর্থনষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা। 
মঙ্গল জন্মরাশি বা লগ্নের দশম থাকলে ------অত্যন্ত শুভ ফল। 
মঙ্গল জন্মরাশি বা লগ্নের একাদশ এ থাকলে ---ভূমি ও সম্পত্তি লাভ। 
মঙ্গল জন্মরাশি বা লগ্নের দ্বাদশ এ থাকলে ----রোগ , শোক , অর্থনাশ , ও সম্মানহানি , অমর্যাদা। 

বুধের সঞ্চারফল প্রতি রাশিতে ১৮ দিন করে থাকে 

বুধ  জন্মরাশি বা লগ্নে থাকলে ---- বন্ধন ভয় , মামলা মোকদ্দমার সম্ভাবনা।  
বুধ জন্মরাশি বা লগ্নে দ্বিতীয় থাকলে --- নানাপথে অর্থলাভ।
বুধ জন্মরাশি বা লগ্নের তৃতীয় থাকলে ----মৃতবৎ অবস্থা ও শত্রু ভয়। 
বুধ জন্মরাশি বা লগ্নের চতুর্থে থাকলে ----- নানাপথে অর্থলাভ।
বুধ জন্মরাশি বা লগ্নের পঞ্চমে থাকলে -----দৈহিক পীড়াদি  ভয়। 
বুধ জন্মরাশি বা লগ্নের ষষ্ঠে থাকলে  ------সম্পদ ও স্থান লাভ। 
বুধ জন্মরাশি বা লগ্নের সপ্তমে থাকলে ------ নানা শারীরিক রোগ।
বুধ জন্মরাশি বা লগ্নের অষ্টমে থাকলে  ----- নানাপথে অর্থলাভ।
বুধ জন্মরাশি বা লগ্নের নবম থাকলে ------ কঠিন রোগের সম্ভাবনা।
বুধ জন্মরাশি বা লগ্নের দশম থাকলে ------ অত্যন্ত শুভফল।
বুধ জন্মরাশি বা লগ্নের একাদশ এ থাকলে --- প্রচুর অর্থলাভের যোগ।
বুধ জন্মরাশি বা লগ্নের দ্বাদশ এ থাকলে ---- নানাপথে ধননাশ। 


বৃহস্পতির সঞ্চারফল প্রতি রাশিতে ১ বছর করে থাকে 

বৃহস্পতি  জন্মরাশি বা লগ্নে থাকলে ----  নানাদিকে দুশ্চিন্তা ও ভয়।  
বৃহস্পতি জন্মরাশি বা লগ্নে দ্বিতীয় থাকলে ---প্রচুর অর্থলাভ। 
বৃহস্পতি জন্মরাশি বা লগ্নের তৃতীয় থাকলে ---- অর্থলাভ কিন্তু দৈহিক কষ্ট।
বৃহস্পতি জন্মরাশি বা লগ্নের চতুর্থে থাকলে ----- অর্থনাশের আশঙ্কা। 
বৃহস্পতি জন্মরাশি বা লগ্নের পঞ্চমে থাকলে ----- অতীব শুভফল।
বৃহস্পতি জন্মরাশি বা লগ্নের ষষ্ঠে থাকলে  ------ নানা অশুভফল।
বৃহস্পতি জন্মরাশি বা লগ্নের সপ্তমে থাকলে ------  রাজপূজা ও প্রচুর উন্নতি।
বৃহস্পতিবুধ জন্মরাশি বা লগ্নের অষ্টমে থাকলে  ----- নানাপথে ধননাশ। 
বৃহস্পতি জন্মরাশি বা লগ্নের নবম থাকলে ------  প্রচুর ধনবৃদ্ধি
বৃহস্পতি জন্মরাশি বা লগ্নের দশম থাকলে ------প্রেম ও কষ্ট, কর্মে উন্নতি। 
বৃহস্পতি জন্মরাশি বা লগ্নের একাদশ এ থাকলে ---ধনধান্য ও স্থানলাভ 
বৃহস্পতি জন্মরাশি বা লগ্নের দ্বাদশ এ থাকলে ----  শরীর ও মানসিক কষ্ট। 


শুক্রের সঞ্চারফল প্রতি রাশিতে ১৮ দিন করে থাকে 


শুক্র জন্মরাশি বা লগ্নে থাকলে ----  শত্রুনাশ ও উন্নতি  
শুক্র জন্মরাশি বা লগ্নে দ্বিতীয় থাকলে ---প্রচুর অর্থলাভ। 
শুক্র জন্মরাশি বা লগ্নের তৃতীয় থাকলে ---- প্রচুর শুভফল।
শুক্র জন্মরাশি বা লগ্নের চতুর্থে থাকলে ----- ধনলাভ ও উন্নতি।  
শুক্র জন্মরাশি বা লগ্নের পঞ্চমে থাকলে ----- সুন্দর পুত্রলাভ
শুক্র জন্মরাশি বা লগ্নের ষষ্ঠে থাকলে  ------ শত্রুবৃদ্ধি হতে থাকে।
শুক্র জন্মরাশি বা লগ্নের সপ্তমে থাকলে ------    শোকের সম্ভাবনা প্রচুর থাকে।
শুক্র জন্মরাশি বা লগ্নের অষ্টমে থাকলে  -----  নানাপথে অর্থলাভ। 
শুক্র জন্মরাশি বা লগ্নের নবম থাকলে ------নানাপথে অর্থলাভ। 
শুক্র জন্মরাশি বা লগ্নের দশম থাকলে ----- অশুভ। 
শুক্র জন্মরাশি বা লগ্নের একাদশ এ থাকলে --- নানাপথে ধনাগম।
শুক্রজন্মরাশি বা লগ্নের দ্বাদশ এ থাকলে ---- প্রচুর ধনাগম ও চরম উন্নতি। 


শনির সঞ্চারফল প্রতিরাশিতে আড়াইবছর করে 

শনি জন্মরাশি বা লগ্নে থাকলে ----  অর্থনষ্ট ও মানসিক ক্লেশ  
শনি জন্মরাশি বা লগ্নে দ্বিতীয় থাকলে ---অর্থনষ্ট ও মানসিক ক্লেশ  
শনি জন্মরাশি বা লগ্নের তৃতীয় থাকলে ---- শত্রুনাশ ও অর্থলাভ
শনি জন্মরাশি বা লগ্নের চতুর্থে থাকলে ----- শত্রুবৃদ্ধি ও ভয়। 
শনি জন্মরাশি বা লগ্নের পঞ্চমে থাকলে -----নানা অশুভ লক্ষণ।
শনি জন্মরাশি বা লগ্নের ষষ্ঠে থাকলে  ------ অর্থলাভ ও উন্নতি।
শনি জন্মরাশি বা লগ্নের সপ্তমে থাকলে ------   নানা অনিষ্ট।
শনি জন্মরাশি বা লগ্নের অষ্টমে থাকলে  ----- দৈহিক রোগভোগ।  
শনি জন্মরাশি বা লগ্নের নবম থাকলে ------নানাপথে অর্থনষ্ট। 
শনি জন্মরাশি বা লগ্নের দশম থাকলে ----- মানসিক উদ্বেগ। 
শনি জন্মরাশি বা লগ্নের একাদশ এ থাকলে --- নানাপথে ধনাগম।
শনি জন্মরাশি বা লগ্নের দ্বাদশ এ থাকলে ---- ভয়াবহ অনর্থ। 


রাহুর সঞ্চারফল প্রতিরাশিতে দেড় বছর।

রাহু জন্মরাশি বা লগ্নে থাকলে ----  অর্থনষ্ট ও মানসিক ক্লেশ  
রাহু জন্মরাশি বা লগ্নে দ্বিতীয় থাকলে ---শত্রুভয় , কর্মনাশ, রোগ , প্রবাস। 
রাহু জন্মরাশি বা লগ্নের তৃতীয় থাকলে ---- সাময়িক কিছু উন্নতির যোগ।
রাহু জন্মরাশি বা লগ্নের চতুর্থে থাকলে ----- নানাপথে অশুভ যোগ।  
রাহু জন্মরাশি বা লগ্নের পঞ্চমে থাকলে -----নানাপথে অশুভ যোগ।
রাহু জন্মরাশি বা লগ্নের ষষ্ঠে থাকলে  ------ কিছু সামান্য শুভ ফল।
রাহু জন্মরাশি বা লগ্নের সপ্তমে থাকলে ------   মৃত্যুভয় , কষ্ট , রোগ, কর্মহানি।
রাহু জন্মরাশি বা লগ্নের অষ্টমে থাকলে  ----- অতীব অশুভ।  
রাহু জন্মরাশি বা লগ্নের নবম থাকলে ------ন্যায় পথ , মানসিক ও দৈহিক কষ্ট।
রাহু জন্মরাশি বা লগ্নের দশম থাকলে ----- সাময়িক অশুভফল।
রাহু জন্মরাশি বা লগ্নের একাদশ এ থাকলে --- প্রচুর উন্নতি, ও শত্রুরা পরাজিত হয়।
রাহু জন্মরাশি বা লগ্নের দ্বাদশ এ থাকলে ---- শত্রুভয়, রোগ, শোক, ভীষণ বিপদ, মৃতুবৎ অবস্থা।  


কেতুর সঞ্চারফল প্রতিরাশিতে দেড় বছর করে 

কেতু জন্মরাশি বা লগ্নে থাকলে ----    সম্মান , ভোগ ও উন্নতি 
কেতু জন্মরাশি বা লগ্নে দ্বিতীয় থাকলে --- অশুভ।
কেতু জন্মরাশি বা লগ্নের তৃতীয় থাকলে ---- অর্থলাভ , উন্নতি ও ভোগ।
কেতু জন্মরাশি বা লগ্নের চতুর্থে থাকলে ----- অশুভ।
কেতু জন্মরাশি বা লগ্নের পঞ্চমে থাকলে -----অশুভ।
কেতু জন্মরাশি বা লগ্নের ষষ্ঠে থাকলে  ------ রাজপূজা , সুখ , অর্থাদি লাভ।
কেতুজন্মরাশি বা লগ্নের সপ্তমে থাকলে ------   অশুভ।
কেতুজন্মরাশি বা লগ্নের অষ্টমে থাকলে  -----   অশুভ।  
কেতু জন্মরাশি বা লগ্নের নবম থাকলে ------ অশুভ।
কেতু জন্মরাশি বা লগ্নের দশম থাকলে ----- অর্থসঞ্চয়, পুণ্যসঞ্চয় , ও উন্নতি।
কেতু জন্মরাশি বা লগ্নের একাদশ এ থাকলে ---সম্মান, ভোগ, রাজপূজা , সুখ, অর্থলাভ। 
কেতু জন্মরাশি বা লগ্নের দ্বাদশ এ থাকলে ----অত্তান্ত অশুভফল। 

 তবে এগুলি সম্পূর্ণ কোষ্ঠী বিচার করে রবির অবস্থান দেখে বুঝতে হয়।  আপনাদের যাদের কোষ্ঠী করা আছে তারা জানতে পারবেন কখন রবির সঞ্চার ঘটছে।  আর যাদের কোষ্ঠী নেই তারা বানিয়ে নিন। এই ব্লগ এ প্রতিদিন আপডেট দেওয়ার চেষ্টা করবো, এবং জ্যোতিষ সংক্রান্ত প্রাথমিক জ্ঞান যেটুকু দেওয়ার আমি দেব যার সাহায্যে কোনোরকম কোর্স ছাড়াই আপনারা নিজেরদের সুসময় দুঃসময় জানতে পারবেন, ফলাফল জানতে পারবেন।  তার সাথে টোটকা , যন্ত্র , মন্ত্র , সমৃদ্ধশালী কবজ প্রভৃতি বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ বিষয় জানাবো।  যাতে আপনাদের উপকার হয়।

জ্যোতিষ সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ টোটকা মানব জীবনের উন্নতিকল্পে

জ্যোতিষ সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ টোটকা মানব জীবনের উন্নতিকল্পে 

১. অশ্লেষা নক্ষত্রে বট গাছের পাতা এনে ঘরে রেখে দিলে কোনোদিন অন্নকষ্ট হয়না। 
২. মঘা নক্ষত্রে অশত্থ গাছের মূল এনে নিজের কাছে রাখলে দুঃস্বপ্ন দেখা বন্ধ হয়। 
৩. পূর্বফাল্গুনী নক্ষত্রে আম গাছের মূল এনে দুধের সাথে পেষণ করে খাওয়ালে বন্ধ্যানারির সন্তান লাভ হয়। 
৪. উত্তরফাল্গুনী নক্ষত্রে নীম গাছের মূল এনে নিজের কাছে রাখলে সন্তান লাভ হয়। 
৫. জ্যেষ্ঠা নক্ষত্রে জাম গাছের মূল এনে নিজের কাছে রাখলে রাজসম্মান লাভ হয়। 
৬. ১২ ভাগ তামা , ১৬ ভাগ রুপা , ১০ ভাগ সোনা এই তিনটি পৃথক প্রথক তার তৈরী করে রবিবার যুক্ত পুষ্যা নক্ষত্রে বা বৃহস্পতি বার যুক্ত পুষ্যা নক্ষত্রে অমৃতযোগে দুটি আংটি তৈরী করে নিন।  এবং পঞ্চামৃত দ্বারা জিতেন্দ্র প্রভুর অভিষেক করে সেই অভিষেকে উক্ত আংটি টি ধুয়ে ডান হাতের তর্জনীতে পরুন।  এর ফলে সর্বপ্রকার দারিদ্রতা দূর হবে। 
৭. অশোক বৃক্ষের মূল এনে তার একটি ছোট টুকরো কোনো পবিত্র স্থানে রেখে প্রত্যহ ধুপ দীপ দ্বারা পূজা করলে গৃহের ধনসম্পপতি বৃদ্ধি পায়। 
৮. শ্বেত জয়ন্তীর মূল এনে মাথায় ধারণ করলে জ্বর সেরে যায়। 
৯. আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে ত্রিফলার উল্লেখ আছে।  তার একটির নাম বহেড়া।  রবিবার পুষ্যা নক্ষত্রে দিন ওই বহেড়া গাছের মূল এবং পাতা এনে তার পূজা করবেন , এরপর এগুলি লাল কাপড়ের টুকরোয় বেঁধে ভাণ্ডারে বা অর্থের সিন্দুকে বা টাকার বাক্সে রাখবেন।  এরফলে অর্থ আসবে।  এটি খুব সমৃদ্ধিশালী টোটকা। 
১০. ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের তিথিতে যেদিন ভরনী নক্ষত্র আসবে, সেইদিন চারটি কলস জল ভর্তি করে কোনো পৃথক ঘরে রেখে দিন।  দ্বিতীয় দিন যে কলস টি খালি মনে হবে তাকে পৃথক স্থানে রেখে তাতে কাঁচা আনাজ ভোরে দেবেন , বাকি কলসি গুলির জল সেখানে ছিটিয়ে দেবেন।  তারপর যে কলসি আনাজ ভরা আছে তাকে পূজা করতে থাকবেন।  তাতে মাতা অন্নপূর্ণা দেবী প্রসন্ন হবেন এবং সাধকের গৃহে শান্তি শৃঙ্খলা বৃদ্ধি পাবে। 

গৃহ শান্তির যন্ত্র , মন্ত্র , কবজ , টোটকার জন্যে যোগাযোগ করুন ১০০% কাজ হবে ব্যবহার করে দেখুন।

জ্যোতিষের প্রাথমিক জ্ঞান


                                                 জ্যোতিষ শাস্ত্রের প্রাথমিক জ্ঞান 

শুরু করার আগে প্রথমে জানতে হবে সর্বমোট কতগুলি রাশি আছে এবং তাদের অধিপতি কারা।  তাহলে চলুন জানা যাক ১২ টি রাশির নাম ও তাদের অধিপতি।
১. মেশ ও বৃশ্চিক রাশির অধিপতি হলেন মঙ্গল।
২. বৃষ ও তুলা রাশির অধিপতি হলেন শুক্র।
২.মিথুন ও কন্যা রাশির অধিপতি হলেন বুধ।
৪. ধনু ও মীন রাশির অধিপতি হলেন বৃহস্পতি।
৫.মকর ও কুম্ভ রাশির অধিপতি হলেন শনি।
৬.সিংহ রাশির অধিপতি হলেন রবি।
৭. কর্কট রাশির অধিপতি হলেন চন্দ্র।

এক রাশির অধিপতি এক বা একাধিক গ্রহ থাকে, যে গ্রহের ঘর যে রাশিতে সেই রাশিতে তিনি বেশি ফল দিতে সমর্থ হন। এবং সুফল প্রদান করেন। আবার একটি গ্রহ বিপরীত গ্রহের রাশিতে থাকলে ততটা সুফল প্রদান করতে পারেনা।
যেমন মীন রাশি ও ধনু রাশির বৃহস্পতির ঘর।  ওই রাশিতে শনি এলে ততটা সুফল দিতে পারেনা।  কিন্তু মকর ও কুম্ভ শনির নিজের ঘর ওই ঘরে সে বেশি সুফল দিতে পারে। ঠিক লগ্ন বিচারের সময় একই হিসাব দেখা যায়।

প্রতি ব্লগ এ নতুন নতুন বিষয় জানতে পারবেন। আর কোনো বিষয় জ্যোতিষ সংক্রান্ত জানার থাকলে বা কোষ্ঠী কোনো সমস্যা থাকলে যোগাযোগ করুন।
দেবার্পন চক্রবর্তী
৮০১৩৭০৬৮৯২।

নবগ্রহের ভাববিচার, প্রকৃতি ও ক্রিয়া

নবগ্রহের অবস্থান অনুযায়ী তাদের শুভাশুভ ফল প্রতিপন্ন হয়ে থাকে।  নবগ্রহের মধ্যে কোনো কোনো গ্রহের শুভ ফল দানের পরিমান হয় বেশি , যেমন শুক্র, বৃহস্পতি প্রভৃতি।  আবার কোনো কোনো গ্রহের অশুভ ফল দানের পরিমান হয় বেশি যেমন, মঙ্গল, রাহু, শনি প্রভৃতি।  তাই তাদের শুভ বা অশুভ গ্রহ বলাহয়।
তবে সময় বিশেষে অশুভ গ্রহ ও শুভ ফল দিতে পারে।  সেটা নির্ভর করে সেটি কোথায় কিভাবে আছে তার উপর।  সাধারণত একাদশ ও তৃতীয় (রাশি বা লগ্ন থেকে) স্থানে কোনো গ্রহ থাকলে তা শুভ ফল দেয়।  তার অশুভ ফল থাকেনা। এমনকি একাদশে এরাহু বা শনি থাকলেও শুভ ফল প্রদান করে।

রবি বা সূর্যের ভাববিচার

সাধারণত রবি প্রতি রাশিতে একমাস করে অবস্থান করেন। যেমন বৈশাখে মেসে , জ্যৈষ্ঠে বৃষে , আষাঢ়ে মিথুনে এইভাবে চলে। চৈত্রে রবি আসেন মীন এ।