বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০১৯

লগ্নের বিভিন্ন গ্রহের দৃষ্টিফল 


রবির দৃষ্টি- লগ্নে জাতকের রবির দৃষ্টি থাকলে জাতক পাপী,ভৃত্যসুলভ, কার্যরত,প্রবাসী,রুক্ষদেহী ,তস্কর ও চপল হয়ে থাকবে। 

চন্দ্রের দৃষ্টি- লগ্নে জাতকের চন্দ্রের দৃষ্টি থাকলে জাতক ধীর, দীর্ঘায়ু, সুশীল, পন্ডিত,বহুসন্তান যুক্ত ও প্রিয়দর্শন যুক্ত হয়ে থাকে। 

মঙ্গলের দৃষ্টি- লগ্নে জাতকের মঙ্গলের দৃষ্টি থাকলে জাতক পাপী, শত্রূযুক্ত, পরোক্ষবাদী, রোগগ্রস্ত ও আততায়ী কর্তৃক পরিবেষ্টিত হয়। 

বুধের দৃষ্টি - লগ্নে বুধের দৃষ্টি থাকলে কাব্বশাস্ত্র অনুরাগী, উপস্থিত বুদ্ধিসম্পন্ন, বলশালী, চতুর ও গণিতজ্ঞ হয়ে থাকে। 

বৃহস্পতির দৃষ্টি- লগ্নে বৃহস্পতির দৃষ্টি থাকলে কোনো পাপগ্রহ জাতকের অনিষ্ট করতে পারে না। বৃহস্পতির দৃষ্টিদানে পাপগ্রহগণ নিস্তেজ হয়। 

শুক্রের দৃষ্টি- লগ্নে শুক্রের দৃষ্টি থাকলে জাতক কুলশ্রেষ্ঠ হয় এবং শত্রূজয়ী হয়। 

শনির দৃষ্টি - লগ্নে শনির দৃষ্টি থাকলে জাতক খল,দাসকার্যরত , নির্ধন, মূর্খ, কুরুপ,মলিন, ও বিধর্মী হয়ে থাকে। 

দশমস্থানে গ্রহগণের দৃষ্টিফল 


জন্মকালীন লগ্নের দশমস্থানে রবির দৃষ্টি থাকলে ------------- জাতক বীর হয়। 
                                                চন্দ্রের                  .................. সুচতুর হয়। 
                                                 মঙ্গলের              ................... রাজতুল্য সম্মান। 
                                                বুধের                   ....................  অর্থশালী হয়। 
                                                বৃহস্পতি              ....................  ধনধান্য, রত্নাদিযুক্ত হয়। 
                                               শুক্রের                 .....................  দেবদ্বিজে ভক্ত হয়। 
                                               শনির                    .....................  ক্রূঢ়ভাষী ও অর্থবান হয়। 
                                                রাহুর                    ..................... লৌহবাবস্যা ধনি হয়।   

বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০১৯

গ্রহগণের কেন্দ্রস্থফলের উল্লেখ 

রবি - জাতক ক্রূর , কৃতান্ত সদৃশ, শ্রবণশক্তিহীন,অতিমূঢ, সদা ক্ষুধিত, মস্তক ও চক্ষুরোগী,পরদাররত, এবং প্রবাসী হয়। 

চন্দ্র - জাতক বন্ধুজনের উপকারী, বিভবশালী,বিনীত,স্মৃতিশাস্ত্র বিশারদ, দীর্ঘায়ু, ও মনোরম স্ত্রীযুক্ত হয়। 

মঙ্গল - কদাকার শরীর, অস্বচরিত্র, বাসনাযুক্ত, কুকর্মে বায়কারী, আত্মীয়গণের অর্থনাশকারী, চিররুগ্ন, পরস্ত্রী তে আসক্ত হয়। 

বুধ - জাতক প্রভূত বুদ্ধিমান, বহুস্ত্রীযুক্ত, বিদ্যানুরাগী,গুরুভক্ত, বিপ্র ও সাধুজনের ভক্ত, এবং ধর্মপরায়ণ হয়। 

বৃহস্পতি- জাতক অতিধর্মপরায়ণ,রাজতুল্য,অথবা মন্ত্রী হওয়ার যোগ থাকে। ধর্মার্থ কাম ইত্যাদিতে সদা অভিলাষী, সুন্দরী স্ত্রী যুক্ত এবং রূপবান হয়। 

শুক্র - জাতক সুখী, সুপরিচ্ছদধারী, স্বজনানুরাগী,সুপত্নী যুক্ত, গুণবান,ধনবান,সুবুদ্ধি সম্পন্ন,কুলপ্রদীপ স্বরূপ, এবং দীর্ঘজীবী হয়। 

শনি- জাতক খল স্বভাব, চিরদরিদ্র,রোগী, কুরুপ, বাসনযুক্ত কুদাররত, পরোকার্য নাশকারী,এবং অপরের দাস হয়। 

রাহু - জাতক অতিশয় খলপ্রকৃতিযুক্ত, কদাকার শরীরবিশিষ্ট, কুমতিযুক্ত,কুকার্যরত,পরোপকারী,পরভাগ্গে ভোগী, রোগী, বাসনানুরাগী, এবং পরদারগামী হয়।  

মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০১৯

যন্ত্র ব্যবহার করে সফলতা পান

১. সুখশান্তি আনন্দ প্রদায়ক যন্ত্র (দত্তাত্রেয় যন্ত্র)

২. উত্তম  বিবাহ সম্পাদন যন্ত্র।

৩. মহালক্ষী কৃপা যন্ত্র।

৪. গ্রহপিড়া নাশক যন্ত্র।

৫. ভাগ্যোন্নতির যন্ত্র।

৬. অর্থলাভের যন্ত্র।

৭. ধনসম্পদ প্রদায়ক শক্তিশালী যন্ত্র।

৮. চাকরির জন্য সুলেমানি যন্ত্র।

৯. দরজায় অঙ্কিত করার যন্ত্র।

১০. দেওয়ালে লেখার যন্ত্র।

১১. ব্যবসা বাণিজ্যে পূর্ণ সফলতা যন্ত্র

১২. সর্বপ্রকার সিদ্ধি প্রদায়ক যন্ত্র।

১৩. পঞ্চদশী যন্ত্র।

১৪. মানসম্মান বৃদ্ধি প্রদায়ক যন্ত্র।

১৫. বিদ্যাশিক্ষার সরস্বতী যন্ত্র।

যন্ত্রের জন্য যোগাযোগ করুন।  যন্ত্রের গঠন ক্ষেত্রে মূল্যের  তারতম্য হতে পারে। সব যন্ত্রের মুল্য সমান নয়। 

সোমবার, ১৫ এপ্রিল, ২০১৯

কোষ্ঠী কি ও কেন ???

কোষ্ঠী শব্দের অর্থ গৃহ অর্থাৎ ঘর।  এই কোষ্ঠ  শব্দ হতেই কোষ্ঠী কথার উদ্ভব। জ্যোতিষ শাস্ত্রের হিসাবে মানবের সমগ্র জীবন কালের ভূত-ভবিষৎ-বর্তমান নামক ঘটনা প্রবাহ বারো রাশি রূপ কোষ্ঠ বা ঘরে গ্রহ সমূহের অবস্থান দৃষ্টে অবগত হওয়া  যায়। ভারতীয় মোতে কোষ্ঠীকে জন্ম পত্রিকা বা জন্ম কুণ্ডলী নামেও অভিহিত করা হয়।
শাস্ত্রে উল্লেখ আছে যার শুভাশুভ ফল প্রকাশিকা কোষ্ঠী বা জন্মপত্রিকা নেই তার জীবন রাত্রিকালের প্রদীপহীন গৃহের মতোই অন্ধকারাছন্ন।
জন্মতারিখ, সময়, ও স্থানের উপর ভিত্তি করে জন্মপত্রিকা প্রস্তূত করা হয়। কোষ্ঠী তে জাতক জাতিকার জন্মকালে কোন গ্রহ কোন রাশিতে,কোন নক্ষত্রে ও কত অংশ কলায় অবস্থান করছে তার উল্লেখ করা হয়।  গ্রহাদির এইরূপ অবস্থান গত ফলাফল দৃষ্টিজনিত ফল , বিভিন্ন শুভ বা অশুভ যোগাদি , গ্রহ কৃত রিষ্টি , পতাকিচক্র,ত্রিপাপচক্র ,অষ্টবর্গ, দশা ও অন্তর্দশা,প্রভৃতি ফল ও উল্লিখিত হয়ে থাকে।
কোষ্ঠী গণনা শিক্ষা করতে গেলে জ্যোতিষের সংজ্ঞা সমূহ যথা- গ্রহ, রাশি, ভাব ও ভাবপতি গ্রহের কারকতা বিচার ও মানবজীবনের সঙ্গে গ্রহ সম্পর্ক বিষয়ে জ্ঞান শিক্ষালাভ করতে হয়। গ্রহের কারকতা ভাবের কারকতা প্রভৃতি জ্ঞান লাভের পর নিজস্ব বিচার বুদ্ধি দ্বারা দেশ, কাল, পাত্র, বংশ, পরিবেশ প্রভৃতি লক্ষ্য রেখে কোষ্ঠীবিচার কর্তব্য। নিজ্বস্ব বিচার বুদ্ধি প্রয়োগ সম্পর্কে জ্যোতিষিদের সর্বদা নিরপেক্ষ বিচার সম্পন্ন দৃষ্টিভঙ্গি থাকা আবশ্যক। সেই সঙ্গে বিচারবুদ্ধি ও প্রখর হওয়া  উচিত। এই প্রকারেই শাস্ত্রসম্মত ভাবে কোষ্ঠী বিচার করা উচিত। এরই দ্বারা সঠিক ফলাফল নির্দেশ করা সম্ভব।
সাধারণ কোষ্ঠী বা ঠিকুজি কোষ্ঠীর চেয়েও সংক্ষিপ্ত হয়ে থাকে। ঠিকুজিতে সচারচর জন্মতারিখ, জন্মনক্ষত্র ,গণ, অষ্টোত্তরি বা বিংশোত্তরি মতে প্রথম দশা এবং রাশিচক্রের উল্লেখ দেখা যায়। কোনো ফলাফল বিশেষ চোখে পড়েনা।
বিশেষভাবে স্মরণে রাখা কর্তব্য, জাতক-জাতিকার জীবনে কোন সময়ে কি ঘটছে, বর্তমানে কি ঘটছে, ভবিষ্যতে কি ঘটতে চলেছে, একমাত্র কোষ্ঠী বিচার করেই জানা সম্ভব।

দেবার্পন চক্রবর্তী
(বারুইপুর)
৮০১৩৭০৬৮৯২

বুধবার, ১০ এপ্রিল, ২০১৯

রুদ্রাক্ষ কথা

                                                                   রুদ্রাক্ষ কথা

রুদ্রাক্ষ এক উপকার অনেক - রুদ্রাক্ষ শব্দটি দুটি শব্দের মিলনে সৃষ্টি হয়েছে।  যেমন রুদ্র + অক্ষ।  রুদ্র অর্থাৎ ভগবান শিব এবং অক্ষ  অর্থাৎ নেত্র।  একত্রে বলা হয় রুদ্রাক্ষ। সাধারণ মানুষ এই থেকেই জানে রুদ্রাক্ষ হলো শিবের চক্ষু।
স্কন্ধ পুরানে দেখা যায় যে , রাজা ' ময়ের ' অত্যাচারে দেবতাগণ ভয়ে ভীত হয়ে মহাদেবের শরণাপন্ন হন।  ফলে ময়ের  সঙ্গে মহাদেবের প্রবল সংগ্রামে মহাদেব বিজয়লাভ করে দেবতাদের বিপদমুক্ত করেন। তারপর তিনি উচহাস্য করতে থাকেন। তখন তার সেই প্রসন্নতার হাসি থেকে চারটি অশ্রুবিন্দু পতিত হয়।  এই চারটি অশ্রূকণা থেকে রুদ্রাক্ষের অংকুর ফুটে ওঠে। তাকে রুদ্রাক্ষ নামে অভিহিত করা হয়।
প্রাকৃতিক দিক থেকে রুদ্রাক্ষ এক থেকে চোদ্দো মুখ পর্যন্ত হয়ে থাকে। রুদ্রাক্ষের নকল ও অনেক দেখা যায়। আসল রুদ্রাক্ষের অশেষ গুন্। রুদ্রাক্ষ এবং রুদ্রাক্ষের মালা আয়ুর্বেদিক ওষুধ এবং পূজাঅর্চনা কাজে ব্যবহার করা হয়। মোটাদানার রুদ্রাক্ষ সহজেই পাওয়া যায় , ছোটোগুলি দামি এবং দুর্লভ বলা যায়।
একমুখী রুদ্রাক্ষ সর্বশ্রেষ্ঠ বলা হয়েছে।  এটি অর্থ, সুখ, এবং সন্তানাদি বৃদ্ধি করে ও তাদের কল্যাণ করে।  ধারণ করলে রক্তচাপ রোগে উপকার হয়।
তামার পাত্রে জল ভর্তি করে রাতে তাতে যেকোনো রুদ্রাক্ষ দেবেন এবং সকালে খালি পেটে সেই জল নিয়মিত রূপে পান করলে সুগার, রক্তচাপ, ও হৃদরোগে আরাম পাওয়া যায়।
রুদ্রাক্ষ ধারণ করলে মানসিক শান্তি পাওয়া যায়।  রুদ্রাক্ষ দুধে ফুটিয়ে সেই দুধ পান করলে স্মরণ শক্তি বৃদ্ধি হয়। রুদ্রাক্ষ যত মুখী হোক না কেন লাল অথবা যেকোনো পাথরের ওপর চন্দনের মত ঘষে খেলে বুকের সর্ব প্রকার রোগ অর্থাৎ জ্বলন , পেটের  যন্ত্রনা, চর্মরোগ প্রভৃতি আরোগ্য হয়। রোগীও আরাম পায়।
ছয়মুখী রুদ্রাক্ষ ধারণ করলে স্ত্রী রোগ দূর হয়।
অষ্টমুখী রুদ্রাক্ষ ''রাহু '' দ্বারা পীড়িত ব্যক্তির পীড়া বা কুফল দূর হয়। নবমুখী রুদ্রাক্ষ নারীর গর্ভ রক্ষা করে।  দশমুখী  রুদ্রাক্ষ বিভিন্ন কুপ্রভাব দূর করে। বারমুখী রুদ্রাক্ষ দুর্ঘটনা থেকে ধারণকারীকে রক্ষা করে।
তেরমুখী রুদ্রাক্ষ যোগীগণের যোগবল ও তপস্যাকে বৃদ্ধি করে।  এবং ভোগীদের সর্ব সুখ প্রদান করে। চোদ্দো মুখী রুদ্রাক্ষ শিবের তৃতীয় নয়ন থেকে উৎপন্ন বলা হয়েছে , তাই এটি অগাধ ধন এবং সুখ প্রদান করে থাকে।
বিশেষ ভাবে পঞ্চমুখী রুদ্রাক্ষ সুর্বসুলভ।  এটি সহজেই পাওয়া যায়।  যত প্রকার মালা আছে , তার মধ্যে রুদ্রাক্ষের মালা সর্বশ্রেষ্ঠ। এটি দ্রুত ফল প্রদান করে থাকে।