মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর, ২০১৯

বাণিজ্য বিষয়ক যোগ :-


১. লগ্নপতি বুধ লগ্নের সপ্তম থেকে বৃহস্পতির সঙ্গে দৃষ্টি বিনিময় করলে সংবাদপত্র বা বই প্রকাশনার ব্যাবসায় জাতক লাভবান হতে পারে।

২. পঞ্চমে বুধ এবং সপ্তমে মঙ্গল ও শুক্র থাকলে চিকিৎসা, ওষুধ, বা রাসায়নিক দ্রব্যাদির ব্যবসা সূচিত করে। সপ্তমস্থান জলরাশি হলে জাতক তরল পদার্থের ব্যবসা করবে এবং শুক্র, চন্দ্র, ও মঙ্গলের মধ্যে যে গ্রহের প্রভাব বেশি পড়বে সেই অনুযায়ী ব্যবসা হতে পারে।

৩. বুধ শুভ হলে এবং সপ্তমে রবি, মঙ্গল, ও শুক্রের সন্মন্ধে যন্ত্রাদি সম্পর্কিত ব্যাবসায়ে বিশেষ কার্যকরী হবে।

৪. বস্ত্র ব্যবসা বা লোকরঞ্জন সম্পর্কিত ব্যাবসায় সপ্তমে চন্দ্র, মঙ্গল ও শুক্রের শুভ যোগ বিশেষ কার্যকরী হয়।

৫. বুধ পঞ্চমপতি হলে বা পঞ্চমপতির সঙ্গে অথবা পঞ্চমভাবের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত হলে এবং রবি ও মঙ্গল বিশেষ বলবান হয়ে বুধ, পঞ্চম্ভাব ও সপ্তমভাবের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত হলে জাতব্যক্তি বিজ্ঞানী, আবিস্কারক, বা ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ের ব্যাবসায় বিশেষ উন্নতি সাধন করতে পারে।

স্ত্রীর মাধমে ধনপ্রাপ্তি যোগ:-

বলবান দ্বিতীয়পতি সপ্তমপতির সঙ্গে থাকলে অথবা সপ্তমপতিকে শুক্র দৃষ্টি প্রদান করলে এবং লগ্নপতি বলবান হলে তবে এই  যোগ সূচিত হয়। এই যোগে জাতব্যক্তি তার স্ত্রীর সাহায্যে অর্থ উপার্জন করে থাকে।

বিবাহে ভাগ্যোন্নতি যোগ - দ্বিতীয়পতি এবং সপ্তমপতির মধ্যে ক্ষেত্র বিনিময় হলে এই যোগের সূচনা হয়। এই যোগে জাতব্যাক্তির বিবাহের পর ভাগ্যোন্নতি হবে।

ভার্যাসহ ব্যাভিচার যোগ :- সপ্তমে চন্দ্র, মঙ্গল, শুক্র এবং শনি এক জোট হলে এই যোগ সূচিত হয়। এই যোগে স্বামী স্ত্রী উভয়ই ব্যাভিচারে লিপ্ত হবে।

সতীস্বাধী পত্নী যোগ :- শুক্র অথবা সপ্তমপতি বুধ বা বৃহস্পতি দ্বারা যুক্ত বা দৃশ্য হলে এই যোগ সূচিত হয়। এই যোগে জাতকের পত্নী, পতিব্রতা, পুণ্যবতী এবং মহান চরিত্রের অধিকারিণী হবেন।  

মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর, ২০১৯

বারোটি গৃহ এবং বারোটি ভাব :-

১. লগ্ন বা প্রথম গৃহ - দেহের রূপ, আকৃতি, যশ, গুন্, চরিত্র, স্বভাব, কাজ বোঝায়। 
২. দ্বিতীয় গৃহ বা ধনভাব - ধনরত্ন সঞ্চয়, আত্মীয়স্বজন, বাক্য, বিদ্যা, মরণভাব। 
৩. তৃতীয় গৃহ ভাব - ভাইবোন, মন, দাসদাসী, পিতামাতার মৃত্যু বোঝায়। 
৪. চতুর্থ গৃহ ভাব - মাতা, বন্ধু, যোগাযোগ বিদ্যা, সুখ, ভূমি ও গৃহ, সাংসারিক জীবন বোঝায়। 
৫. পঞ্চম গৃহ ভাব - পুত্রকন্যা, বিদ্যাবুদ্ধি, মেধা, সুখ, শিল্প, পিতার শুভাশুভ ভাব বোঝায়। 
৬. ষষ্ঠ গৃহ ভাব - শত্রু, দুর্নাম, বিমাতা, স্বাস্থ, মাতুল, ভয়, পিতৃব্য ঋণ বোঝায়। 
৭. সপ্তম গৃহ ভাব - পত্নী, প্রেম, বিবাহ, কলহ, যুদ্ধ, আরোগ্য, মামলা, জলযাত্রা বোঝায়। 
৮. অষ্টম গৃহ ভাব - আয়ু, মৃত্যুস্থান, সুখশান্তি, মৃতের ধন, যুদ্ধ, অপবাদ বোঝায়। 
৯. নবম গৃহ ভাব - ভাগ্য, চরিত্র, পিতা, পৌত্র, তীর্থ, ধর্ম, শ্যালক বোঝায়। 
১০. দশম গৃহ ভাব - কর্ম, পেশা, বৃত্তি, পিতা, মান, যশ, বিদ্যা, বিজ্ঞান, প্রবাস বোঝায়। 
১১. একাদশ গৃহ ভাব - অর্থলাভ, বন্ধুসুখ, কন্যা, সামাজিক জীবন, পরিবার বোঝায়। 
১২. দ্বাদশ গৃহ ভাব - জ্বর, বাধা, দারিদ্র, কারাদণ্ড, দুর্গতি, মিথ্যা ভ্রমণ, স্ত্রীনাশ, ত্যাগ, আধ্যাত্বিক বোঝায়। 

যেভাবে শুভগ্রহ থাকে তার ভাব অশুভ থাকলে খারাপ বোঝায়। তবে গ্রহ আবার শত্রু বা মিত্রে গৃহে পড়ছে, না স্বক্ষেত্রী এবং তার উপর শত্রু মিত্রদের দৃষ্টি দেখে বিচার পুরো করতে হবে। অশুভ গ্রহ, তৃতীয়, ষষ্ঠ, দশম, একাদশে শক্তিমান এবং তা স্বক্ষেত্রী বা মিত্রগৃহে পড়লে এবং মিত্র দৃষ্ট হলে শুভফল দেয়। নাহলে অশুভ ফল দান করে। 
ষষ্ঠ, অষ্টম ও দ্বাদশ গৃহভাবকে অশুভ বলা হয়। কারণ - দুঃখ, শত্রু, ব্যায়, রোগব্যাধি, ঋণ, রাজদণ্ড প্রভৃতি এইসব গৃহ হতে বোঝা যায়। 

সোমবার, ১১ নভেম্বর, ২০১৯

কর্মবিচার (ডাক্তার ও ইঞ্জিনিয়ার )
যেসব যোগে চিকিৎসক বা ডাক্তার হওয়া যায় :-

১. রবি ও শনি একত্রে।
২. শনির ক্ষেত্রে রবি।
৩. রবির উপর শনির দৃষ্টি।
৪. রবির কেন্দ্রে শনি।
৫. শনি ও রবি উভয়ই তুঙ্গে।
৬. শনি সিংহে বা দশমপতি শনি ষষ্ঠে।

যেসব যোগে ইঞ্জিনিয়ার হওয়া যায়:-

১. শুক্র ও শনি শুক্রের ক্ষেত্রে।
২. শুক্র ও শনি শনির ক্ষেত্রে।
৩. শুক্রের উপরে শনির দৃষ্টি।
৪. শনির উপর শুক্রের দৃষ্টি।
৫. শুক্র ও শনি বলি গ্রহ।
৬. শনি ও শুক্র একত্রে।
৭. শুক্রের কেন্দ্রে শনি।

মঙ্গল বলী হলে মেশিনের ও বুধ বলী হলে সিভিল ইঞ্জিনিয়ার হয়। বলী রবি আর বৃহস্পতি অশুভ যুক্ত বা দৃষ্ট না হয়ে দশম স্থানের সঙ্গে সন্মধ করলে বিচারক বা ভালো উকিল , ব্যারিস্টার প্রভৃতি হতে পারে।
দশমে কোনো গ্রহ না থাকলে বা দৃষ্টি না থাকলে উন্নতি মনের মতো হয় না। দশম স্থান কে লগ্ন ধরে নিয়ে তার দশমস্থান ও বিচার করা কর্তব্য। দশমপতি যে নক্ষত্রে সেই নক্ষত্রপতি মিত্র, শত্রু, শুভ না অশুভ তার বিচার করা কর্তব্য।    

নীচস্থ গ্রহ

অশুভ গ্রহ নীচস্থ হলে অশুভ ফল কমে যায়।
নীচস্থ গ্রহ অন্য তুঙ্গী গ্রহের সঙ্গে থাকলে তার নীচস্থ ভাব ভঙ্গ হয় তাকে বলা হয় নীচভঙ্গ যোগ।
শুভ গ্রহ নীচস্থ হলে শুভ ভাব কমে যায়।
তুঙ্গী গ্রহ বক্রী হলে প্রায় নীচস্থ ভাব হয়।  

বিভিন্ন যোগ 


বুধ ও বৃহস্পতি যোগে - লেখক, শিল্পী, সংগীত প্রিয়, এবং অভিনেতা।
বুধ ও শুক্র যোগে - বক্তা, কৌতুকপ্রিয়, ভূমিলাভ।
বুধ ও শনি যোগে - গুরুজনের অবাধ্য, প্রতারক।  শুভ স্থানে থাকলে গম্ভীর, যোগী।
বৃহস্পতি ও শুক্র যোগে - ধনী, বিদ্বান ও ধার্মিক।
বৃহস্পতি ও শনি যোগে - ধনী, চক্ষুরোগী।
বৃহস্পতি ও শনি ( শনি লগ্নপতি হলে ) - শুভ, কৃষিকার্যে বা ব্যাবসায়ে অর্থ। একে বলে সৌরি গুরু যোগ।
শুক্র ও শনি যোগে - লেখক, কুবুদ্ধি নারীর দ্বারা ধনলাভ।
 

কালসর্পদোষ 

জন্মলগ্নে যদি রাহু ও কেতুর একপাশে সবকটি গ্রহ স্থিত হয় তাহলে তাকে বলে কালসর্পদোষ। এই যোগ খুব অশুভ যোগ। এই যোগ থাকলে তা শুভফল এবং রাজযোগ প্রভৃতি নষ্ট করে।
সুতরাং অন্য গ্রহাদির আগে রাহু এবং কেতুর প্রতিকার কর্তব্য।
কয়েকটি ক্ষেত্রে কালসর্পদোষ মন্দ ফল দেয়না।-
১. একাধিক শুভযোগ থাকলে।
২. একাধিক স্বক্ষেত্রী গ্রহ বা মিত্রদৃষ্ট থাকলে।
৩. লগ্নে বুধ বা বৃহস্পতি থাকলে।
৪. রাহু লগ্নের তৃতীয়ে, ষষ্ঠে বা একাদশে থাকলে।


রাহুর স্থিতিফল 

মেষে - সম্পত্তি ও পারিবারিক সুখলাভ। 
বৃষে - সম্পত্তি, অর্থ ও বিদ্যা। 
মিথুনে - স্ত্রী পুত্রের অর্থকষ্ট, শত্রু থেকে চিন্তা। 
কর্কটে - অর্থ, শক্তি ও সম্পত্তি। 
সিংহে - শোক, অর্থনাশ, মানহানি। 
কন্যায় - ঐশ্বর্য, উচ্চ অবস্থা। 
তুলায় - শোক, অর্থক্ষয়। 
বৃশ্চিকে - মান, অর্থ, সম্পদ, শত্রুজয়। 
ধনুতে - সম্পত্তিনাশ, অকৃতকার্য। 
মকরে - ঐশর্য। 
কুম্ভে - রোগ, শোক। 
মীনে - আত্মীয়নাশ, চৌর্যভয়, অগ্নিভয়। 

কেতুর স্থিতিফল 

মেষে - সম্পত্তিনাশ, অবনতি। 
বৃষে - ধর্ম অনুষ্ঠান, যাগযজ্ঞ, তীর্থযাত্রা। 
মিথুনে - সম্মান, যশ, যানবাহন। 
কর্কটে - অর্থনাশ, আধ্যাত্মিক উন্নতি। 
সিংহে - অর্থ, সম্মান, আধ্যাত্মিক শুভ, শিল্পী। 
কন্যায় - বিপদ, অগ্নি, অর্থক্ষয় ও শোক। 
তুলায় - অর্থ, সৎবন্ধু, আত্মীয়সহভাব। 
বৃশ্চিকে - পরাজয়, দৈন্য। 
ধনুতে - গৃহে উৎসব, মান, ভালো অবস্থা। 
মকরে - পুত্রনাশ। 
কুম্ভে - রোগ, ঋণ, বিপদ। 
মীনে - অর্থ, বিদ্যা শিক্ষক, যানবাহন। 
লগ্নে রাহু ও শনি- জাতকের মায়ের পীড়া, প্রসব বেদনা। 
সপ্তমপতি সহ  রাহু ধনু বা মীনে - যৌন প্রবৃত্তি। 
রাহু দশমে দশমপতি ও শনি , তৃতীয় - ধনী , দার্শনিক, দাতা।  



 

 

রবিবার, ১০ নভেম্বর, ২০১৯

লগ্নের বিচারে কোন মূল ধারণীয় তার একটি ভাব দেওয়া হলো।  যদিও আমার ব্যাক্তিগত দৃষ্টি ভঙ্গিতে আমার জ্যোতিষ তত্ত্বে গাছের মূল আমি ধারণ করার পরামর্শ দিই না।  কারণ মূল চেনার ব্যাপার আছে যা সাধারণ মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়। রত্নের ক্ষেত্রে আপনি সার্টিফিকেট পাবেন, টেস্ট করতে পারবেন কিন্তু মূলের ক্ষেত্রে ???? না জেনে ভুলভাল মূল ব্যবহার করে নিজের ক্ষতি ডেকে আনবেন না। তবু ও লগ্নের বিচারে কিছু মূলের উল্লেখ করা হলো :-

মেষলগ্ন - বৃদ্ধদ্বারক ও শ্বেতবেরেলা। 
বৃষলগ্ন - অনন্তমূল ও ব্রহ্মযোষ্টি মূল। 
মিথুনলগ্ন - ব্রহ্মযোষ্টি, অনন্তমূল ও রাম্ বাসকের মূল। 
কর্কটলগ্ন - শ্বেতবেড়েলা, বৃদ্ধদ্বারক ও শ্বেতচন্দন। 
সিংহলগ্ন -  শ্বেতবেড়েলা, শ্বেতচন্দন ও ক্ষিরিকামুল। 
কন্যালগ্ন - ব্রহ্মযোষ্টি, অনন্তমূল ও  রাম্ বাসকের মূল। 
তুলালগ্ন - বিল্বমুল ও  ব্রহ্মযোষ্টি মূল।
বৃশ্চিকলগ্ন - বৃদ্ধদ্বারক ও অনন্তমূল। 
ধনু লগ্ন - রাম্ বাসক ও বৃহনদারকের মূল। 
মকরলগ্ন - বিল্বমুল ও অনন্তমূল। 
কুম্ভ লগ্ন - শ্বেতবেড়েলা, বৃহনদারক ও ক্ষিরিকামুল। 
মীনলগ্ন - রামবাসক ও শ্বেতচন্দন। 


বিভিন্ন রাশির শুভ ব্যবসা ও অন্যান্য জ্ঞাতব্য বিষয়

বিভিন্ন রাশির শুভ ব্যবসা ও অন্যান্য জ্ঞাতব্য বিষয় 

মেষরাশির ব্যবসা  - কেনাবেচা, এজেন্সি, দালালি, বিল্ডিং মেটেরিয়াল,অস্ত্র ব্যবসা,জমি বা ঘড়ি, খাদ্যশস্য,খনিজ দ্রব্য, ঔষধ পত্র,রেশম পশম, পুস্তক ব্যবসা।
শুভ সংখ্যা - ২,৩.৯
শুভরত্ন - পান্না, চুনি ও প্রবাল।
শুভ ধাতু - তামা ও সীসা।
শুভবার - সোম, মঙ্গল  ও বৃহস্পতি।

বৃষরাশির ব্যবসা - কাপড়, সৌখিন দ্রব্য, ফ্যান্সি দ্রব্য, প্যাকিং ব্যবসা, খেলনা, ষ্টেশনারী, স্পোর্টস দ্রব্য, ইলেকট্রনিক্স দ্রব্য, ফুল, ফল, রত্ন, কাগজ, জুতা, পুস্তক, ফিল্ম, শিল্পোদ্রব্য, ঘি।
শুভ সংখ্যা - ৫,৭,৮
শুভ রত্ন - মুক্ত, হীরা ও ওপাল।
শুভ ধাতু - সোনা, রুপা ও তামা।
শুভ বার - বুধ, শুক্র ও শনি।

মিথুনরাশির ব্যবসা - কেনা বেচা সাপ্লাই, ব্রোকারি, এজেন্সি, দালালি, উকিল, ডাক্তার, শাকসবজি, লেখক, শিল্পী, অভিনেতা, কবি অথবা যেকোনো বুদ্ধি খাটানোর ব্যবসা।
শুভ সংখ্যা - ৫,৬ ও ৮।
শুভ রত্ন - পান্না, মুক্ত ও রক্ত প্রবাল।
শুভ ধাতু - শঙ্খ ও তামা।
শুভ বার - বুধ, শুক্র ও শনি। 

কর্কটরাশির ব্যবসা - দুধ, ঘি, তেল, মাছ, তৈলবীজ, পেট্রল, ডিজেল, কেরোসিন, বার, হোটেল, শিল্পী, লেখক, অভিনেতা, কবি, গায়ক। 
শুভ সংখ্যা - ২ ৩ ও ৮
শুভ রত্ন - মুক্ত, মুনস্টোন ও ওপাল। 
শুভ ধাতু - রুপা ও শঙ্খ। 
শুভ বার - সোম ও বৃহস্পতি। 

সিংহরাশির ব্যবসা - রবি শস্য , সবজি ব্যবসা, খাদ্যশস্য, মজুদদারি, ভূষিমাল, ধাতু দ্রব্য, সোনা, ইঞ্জিনিয়ারিং, কন্ট্রাক্টরি, রত্ন ব্যবসা, মহাজনী, টাকা লেনদেন, সুদের ব্যবসা। 
শুভ সংখ্যা - ১,৩ ও ৯। 
শুভ রত্ন - প্রবাল, হীরা ও চুনি। 
শুভ ধাতু - তামা, শঙ্খ  ও সীসা। 
শুভ বার - রবি ও বৃহস্পতি। 

কন্যারাশির ব্যবসা - সুতি, তুলা, কাপড়, মাখন, ঘি, তেল, সুগন্ধি দ্রব্য, আচার, যেকোনো ফ্যান্সি দ্রব্য, ওকালতি, মুহুরী, ডাক্তার, সাপ্লাই, এজেন্সী, জ্যোতিষী, অভিনেতা ও ইঞ্জিনিয়ারিং। 
শুভ সংখ্যা - ৩,৫ ও ৮। 
শুভ রত্ন - মুক্ত, পীত পোখরাজ ও পান্না। 
শুভ ধাতু - নাভি শঙ্খ  ও সোনা। 
শুভ বার - বুধ ও শুক্র। 

তুলারাশির ব্যবসা - সুতা, তুলা, কাপড়চোপড়, ঘি, তেল, সুগন্ধি দ্রব্য, ফ্যান্সি দ্রব্য, ওকালতি, মুহুরী, এজেন্সী, বার, হোটেল, খেলনা, স্পোর্টস দ্রব্য, ফুলফল। 
শুভ সংখ্যা - ৫,৬ ও ৮। 
শুভ রত্ন - চুনি, মুক্ত, পোখরাজ। 
শুভ ধাতু - সোনা, রুপা ও তামা। 
শুভ বার - বুধ, শুক্র ও শনি। 

বৃশ্চিকরাশির ব্যবসা - বিল্ডিং, মেটেরিয়াল, জমি, বাড়ি, ব্রোকারি, কন্ট্রাক্টরি, শয্যা, ক্রিমিনাল ল-ইয়ার , সার্জারি, পুলিশ, মিলিটারি, সাপ্লাই ও অস্ত্র ব্যবসা। 
শুভ সংখ্যা- ১,৩ ও ৯। 
শুভ রত্ন - গোমেদ, নীলা, ও পান্না। 
শুভ ধাতু - সীসা, লোহা ও সোনা। 
শুভ বার - সোম ও বৃহস্পতি। 

ধনু রাশির ব্যবসা - খাদ্য দ্রব্য, খাদ্য শস্য, হোটেল, রেস্টুরেন্ট, মিষ্টির ব্যবসা, পুস্তক ব্যবসা, প্রকাশনা, ভূষিমাল, প্রেস, পত্রিকা, পাট, রেশম, পশম, ফার্নিচার, যাত্রা, থিয়েটার, বাড়িভাড়া, তেজারতি। 
শুভ সংখ্যা - ১ ও ৩। 
শুভ রত্ন - পান্না, এমিথিস্ট, হীরা ও মুক্ত। 
শুভ ধাতু - সোনা, সীসা ও স্টিল। 
শুভ বার - সোম ও বৃহস্পতি। 

মকররাশির ব্যবসা - হার্ডওয়্যার, স্টিল, লোহা, কাঠ, কয়লা, বাস, লরি, ধাতু দ্রব্য, অর্ডার সাপ্লাই, কন্ট্রাক্টরি, ফার্নিচার ও স্টিলের দ্রব্য। 
শুভ সংখ্যা- ৪ ও ৮। 
শুভ রত্ন - নীলা ও জামোনিয়া। 
শুভ ধাতু - সীসা ও স্টিল। 
শুভ বার - বুধ, শুক্র ও শনি। 

কুম্ভ রাশির ব্যবসা - ইন্ড্রাস্ট্রি, ফ্যাক্টরি, মেশিন দ্বারা প্রোডাকশন, কন্ট্রাক্টরি, যানবাহন, কাঠ, কয়লা, স্টিল, ফার্নিচার, প্রেস, প্রকাশনা, জ্যোতিষী, সাধক। 
শুভ সংখ্যা- ৫,৬ ও ৮। 
শুভ রত্ন - ক্যাটসআই, মুনস্টোন ও প্রবাল। 
শুভ ধাতু - সীসা ও স্টিল। 
শুভ বার - বুধ, শুক্র ও শনি। 

মীন রাশির ব্যবসা - পুস্তক, পূজাঅর্চনা, গবেষণা, লেখক, শিল্পী, কবি, সাহিত্যিক, অভিনেতা, প্রকাশক, খাদ্য দ্রব্য, মুদিখানা, হোটেল, মিষ্টির দোকান, রেস্টুরেন্ট, রেশম, পশম, জ্যোতিষী ও গবেষক। 
শুভ সংখ্যা- ৩,৪ ও ৯। 
শুভ রত্ন - এমিথিস্ট, পান্না ও মুক্ত। 
শুভ ধাতু - সীসা, তামা ও শাঁখ। 
শুভ বার - সোম, মঙ্গল ও বৃহস্পতি। 

বুধবার, ৬ নভেম্বর, ২০১৯

অসুস্থ অবস্থায় বর্ণ ও ধাতুর কাজ 

অসুস্থ অবস্থায় নীল রং মঙ্গলদায়ক হবে, তাছাড়া পাঙাস, ধূসর,চাই ও বিচিত্র রং প্রীতিপদ এবং হিতজনক, বেগুনি রং ব্যবহার চলতে পারে। উজ্জ্বল চকচকে রং কখনো ব্যবহার করবেন না।এটি জাতক বা জাটকার পক্ষে অহিতকর। নক্ষত্র দেখে ভারতীয় যোতিষ শাস্ত্রে অনেক কিছু বিচার করা সম্ভব। এই নক্ষত্র বিচার প্রাচীন ভারতীয় শাস্ত্রের এক মহা মূল্যবান সম্পদ। 


রাহুর সঙ্গে যোগ 


রাহু এবং রবি- চক্ষুরোগ, স্নায়ুরোগ, সমস্ত অশুভ প্রভাব বিদ্যমান। 
রাহু এবং চন্দ্র - অর্থনাশ, দুশ্চিন্তাদি, আয়ু কম। 
রাহু এবং মঙ্গল - আঘাত, ভয় এবং দুর্ঘটনা  ভয়। 
রাহু এবং শনি - দুঃখী, উদররোগী, জনসেবায় আত্মনিয়োগ। 
রাহু এবং বৃহস্পতি - গুরুচন্ডাল যোগ বলে।  উউচ্চ  কার্যে  বাধা, মানসিক ক্লেশ। 
রাহু এবং বুধ - শুভভাব, বুদ্ধির কাজে বাধা, চঞ্চলমনা। 
রাহু এবং শুক্র - দুর্বল দেহ, মৌন দুর্বলতা, অর্থলাভ এবং উন্নতি। 

গ্রহদের তুঙ্গী ফল 


রবি তুঙ্গী হলে - দাতা, সুখী, ধার্মিক  নীরোগ। 
চন্দ্র তুঙ্গী হলে - বিদ্বান, ধনী,মানী, বহুমিত্র এবং কীর্তিমান।
মঙ্গল তুঙ্গী হলে - বিদ্বান, মনিমুক্তা, কীর্তিমান। 
বুধ তুঙ্গী হলে - মানী, লোকনায়ক, ভাগ্যবান, সুপুত্র, কন্যা।
বৃহস্পতি তুঙ্গী হলে - ধনী, মন্ত্রী, লোকপালক, সুন্দরী স্ত্রী। 
শুক্র তুঙ্গী হলে - দীর্ঘায়ু, ডাটা, দেবর্ষিভক্ত, ভোগী। 
শনি তুঙ্গী হলে - দীর্ঘায়ু, ধনী, দাতা এবং ভোক্তা। 
রাহু তুঙ্গী হলে - ধনী, শত্রুনাশক, রাজসদৃশ। 
অশুভ গ্রহ তুঙ্গী হলে - ক্ষতি কম হয়ে থাকে। 

মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর, ২০১৯

রাশি বিচারে জাতক জাতিকার ফলরচনা (সাধারণ কোষ্ঠী নির্ণয়ের ফলাফল)

রাশি বিচারে জাতক জাতিকার ফলরচনা (সাধারণ কোষ্ঠী নির্ণয়ের ফলাফল)


সিংহরাশি- জাতক উচ্চভিলাষী প্রভুত্ব প্রিয় হবে।  প্রায় সকল ক্ষেত্রেই সকলের উপর থেকে কর্তৃত্ব করার ক্ষমতা থাকবে।  জাতক উদার,বদান্য, উচ্চপ্রকৃতির ব্যাক্তিত্ব নিয়েই জন্মেছে।  সবরকম দুর্নীতির উপর একটা স্বাভাবিক বিরাগ থাকবে।  সাধারণের নিকট সম্মানিত হওয়ার সাধারণের সম্মুখে আসবার একটা প্রবল আকাঙ্খা থাকবে।  জাতকের হৃদয়াবেগ বেশ গভীর বলা যায়।  স্নেহপ্রীতির বিষয়ে সহজেই আবেগ প্রবন হয়ে উঠবে।  জাতক ভোগী প্রকৃতির হবে।  তার মধ্যে বিলাসিতার ভাবও দেখা যায়।  অর্থের ব্যাপারে জাতককে সৌভাগ্যবান বলা চলে।  যদিও অর্থের  সম্পদের ব্যাপারে তার বিশেষ ক্ষমতা দেখা যায় না। খাদ্য হিসেবে নিরামিষ খাদ্য হিতকর। চর্বি উত্তেজক খাবার ক্ষতিকর হবে। 

কন্যারাশি- জাতক প্রশান্ত সদালাপী। মানসিকতা প্রবল এবং স্মৃতিশক্তি খুবই প্রখর। যেকোনো বিষয় সহজেই বুঝে নিতে পারবে।  উচ্চভিলাষের তেমন লক্ষণ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। কর্মবহুল উত্তেজনাপূর্ণ জীবনের চেয়ে শান্তিপূর্ণ জীবনই বেশি বাঞ্চনীয়। জাতক জাতিকা নিজের ব্যাপারে শিথিল প্রকৃতির হবে।  মাতৃস্থানীয়া স্ত্রীলোকদের শত্রূতার জন্য জীবনে বহু অশান্তি বা ঝড়ঝঞ্ঝা বয়ে যেতে পারে, স্বাধীনভাবে কাজ করার চেয়ে পরের অধীনে কাজ করলে বেশি কৃতিত্বের পরিচয় ঘটতে পারে। খাবার হিসেবে মাছ,মাংস,শাকসবজি,ফলমুল দুধ জাতকের পক্ষে হিতকর

তুলারাশি- জাতক বুদ্ধিমান ইঙ্গিতজ্ঞ। বেশ সামাজিক মজলিসী প্রকৃতির। বন্ধুবান্ধবের সংস্রবে আনন্দ পাওয়া পছন্দ করবে।  কাব্য, চিত্র সংগীতের দিকে তার একটা সহজ আকর্ষণ জন্মাবে।  কলাবিদ্যার দিকে ঝোঁক থাকবে।  কৃতিত্বের পরিচয় দিতে পারবে।  জীবনের প্রায় সব কাজই অন্যের সাহচর্যের প্রভাবে তার উপর খুব প্রবলভাবে প্রকাশ পাবে।  বিবাহ তার জীবনে স্মরণীয় ঘটনা হয়ে উঠতে পারে।  জাতক বেশ স্নেহশীল,মিষ্টভাষী এবং দয়ালু প্রকৃতির মানুষ।  নানাবিধ কাজে লিপ্ত থাকা তার পক্ষে সম্ভব।  জাতকের  প্রতি আগ্রহ থাকবে
অধিক জলপান নিরামিষ আহার জাতকের পক্ষে হিতকর

বৃশ্চিকরাশি- জাতক খুব দৃঢ় চিত্ত স্থীর প্রতিজ্ঞপ্রকৃতির। তার মধ্যে আত্মপ্রত্যয় আত্মনির্ভরতা ভাব থাকবে।  সে যথেষ্ট কর্ম পটু পরিশ্রমী হবে।  ভালোভালো জিনিসের প্রতি তার লোভ থাকবে।  সাংসারিক সুখ সাচ্ছন্দ কামনা করবে।  নিজের মতে টলবে না। পুরোমাত্রায় রক্ষণশীল।  কাজ হাসিল করার জন্য যেকোনো পথ নিতে পারে।  সহজে ক্ষমা করতে জানবে না।  দীর্গদিনের প্রতিশোধের স্পৃহা মনের ভিতর পুষে রাখবে।  তার প্রকৃতিতে ক্রোধ অত্যন্ত প্রবল।  যৌন আকর্ষণ প্রবল। সুরুচি শ্লীলতার অভাব লক্ষ করা যাবে। বিবাহিত জীবন বিশেষ সুখকর হয়না। তার মধ্যে অনর্থক ব্যায় ঝোঁক থাকবে।  জীবনে স্বদ্বয় খুব কম   হবে।  পিতামাতার দিক থেকে বড় বেশি সুখলাভ সম্ভব নয়।  নীতিবিরুদ্ধ কাজের জন্য জাতক জাতিকার অপবাদ রটতে পারেযেকোনো পিত্তপ্রশমনকারী খাদ্য ডাব নারকেল প্রভৃতি হিতকর

ধনুরাশি- জাতক জাতিকা ব্যস্ত চঞ্চলপ্রকৃতির।  সবকাজ চটপট শেষ করতে চায়।  ের অত্যন্ত স্বাধীনতা প্রিয়। যেকোনো রকম বন্ধন এদের একেবারেই অপছন্দ। ভ্রমণ ভালোবাসবে এবং জীবনে ভ্রমণ অনেক ঘটবে।  এদের মন উচ্চ সাধুবাদে পূর্ণ।  হৃদয়ে আন্তরিকতা আছে।  ধর্মজ্ঞান বিশ্বাসে  ভরপুর।  অধ্যাত্বিকতা জাতক জাতিকার জীবনে একটা বড়ো অংশ জুড়ে থাকবে।  গুপ্তবিদ্যা , যোগ, সম্মোহন বা অতীন্দ্রিয় বিষয়ের প্রতি যথেষ্ট আগ্রহ থাকতে পারে।  এরা একসঙ্গে একাধিক বিষয়ের কাজে লিপ্ত হতে পারে  শিক্ষা সদসঙ্গের অভাব ঘটলে জাতকের চরিত্রে পাশবিক দিকটার প্রকাশ ঘটতে পারে। খেলাধুলায় ধনুরাশির জাতক জাতিকারা বেশ আনন্দ পেয়ে থাকেন
নিরামিষ খাদ্য, দুধ, ছানা এদের স্বাস্থ্যের পক্ষে হিতকর

মকররাশি - জাতকের জীবনে অসংখ্য বাধা অতিক্রম করতে হয়।  তবে ের যত বাধা পে ততই এদের জেড বাড়তে থাকে। সুখ্যাতি বা অখ্যাতি যাইহোক এদের প্রসিদ্ধিলাভ কিছু পরিমানে হয়েই থাকবে। জাতক বা জাতিকার মধ্যে প্রবল অধ্যাবসায় লক্ষ করা যাবে। তবে মাঝে মাঝেই নৈরাশ্যের ভাব থাকবে আত্মপ্রত্যয়ের অভাব লক্ষ করা যাবে। পারিবারিক ব্যাপারে বা পিতামাতার মধ্যে বনিবনার অভাব বা বিচ্ছেদ প্রভৃতি ঘটতে পারে।  নিজের বিবাহের ব্যাপারে কোনো গুরুজনের সঙ্গে মতভেদ হতে পারে।  বিবাহে শশুর বা শাশুড়ি অমত থাকতে পারে।  চন্দ্র পাপপীড়িত হলে বিবাহ নাও হতে পারে। জাতকের কর্মসংক্রান্ত ব্যাপারে বহু বাধা প্রতিদ্বন্দ্বিতা অতিক্রম করতে হবে। তার জীবনে প্রকাশ্যে বা গুপ্তশতরু থাকবেই। শত্রূ রা তার নামে অপবাদ বা কুৎসা রোটাতে পারে।  জাতক নিতান্ত হিসাবি সাবধানী প্রকৃতির মানুষ। আত্মকেন্দ্রিক প্রকৃতির বটে।  নিজের দিকেই তার লক্ষ বেশি।  অন্যের সুখ সাচ্ছন্দের  দিকে তেমন দৃষ্টিপাত থাকবে না। জাতক ভোগী প্রকৃতির হলেও অমিতাচারী হবেনা

কুম্ভরাশি- জাতককে বোঝা কঠিন। তাকে খেয়ালি লোক বলে মনে হতে পারে।  সবসময় নতুন কিছু অনুভব করার ইচ্ছা খুব বেশি।  মৌলিক অভিনব দিকে ঝোঁক থাকবে।  বর্তমান জগতের চেয়ে বেশি অগ্রসর হওয়ার বাসনা জন্মাতে পারে।  সেইজন্যে সবসময় গূঢ় রহস্যের বিদ্যা তাকে আকৃষ্ট করবে। জাতক উদার সহানুভূতিশীল লোক।  অন্যের সদিচ্ছা কামনা করে তার বাসনা সেইকাৰণে তাকে অনেক সময় নিরীহ ভালোমানুষ সমাজের অবিরোধী বলে মনে হলেও অন্যের সদিচ্ছা কামনার্থে তার মধ্যে স্বাধীনতাপ্রিয় সমাজদ্রোহীতার ভাব লক্ষিত হতে পারে।  প্রকৃত অর্থে এদের জন্মটা নিজের জন্য হয়না। অন্যের সদিচ্ছার কারণেই এরা  পৃথিবীতে জন্মে থাকে।  তাই অধিকাংশ সাধু সন্ন্যাসীর এই রাশিতেই জন্ম হতে দেখা যায়।  স্ত্রীলোক বা মাতৃস্থানীয় কারুর কাছে এরা প্রিয় হয়ে থাকে।  তাদের থেকে কিছু প্রাপ্তির সম্ভাবনাও রয়েছে।  তবে তা সম্ভব যদি চন্দ্র শুভ হয়ে থাকে।  চন্দ্র পাপপীড়িত হলে স্ত্রীলোকের দ্বারা প্রাপ্তির বদলে তাদের দ্বারা অর্থনাশ,ঋণের দ্বারা অশান্তি প্রভৃতি অশুভফলের সম্ভাবনা। জাতকের বিবাহে গোলযোগ বা বিবাহিত জীবনে অশান্তির সম্ভাবনা রয়েছে

মীনরাশি- জাতকের শরীরে বা মনে চাঞ্চল্য ভাব দেঝা দেবে।  জাতকের দৌড়ঝাঁপ,খেলাধুলা, এবং তাড়াতাড়ি কাজকর্ম করা পছন্দ করে।  ভ্রমণের দিকে ঝোঁক থাকবে।  তার মধ্যে ভাব প্রবণতা থাকবে।  হৃদয় আলোড়নকারি বিষয় পছন্দ করবে।  যুক্তি বুদ্ধির চেয়ে অনুভূতি প্রবল।  কাব্য,চিত্র সঙ্গীতে স্বাভাবিক আকর্ষণ থাকবে।  দরদী মনের অধিকারী।  রোমান্স অদ্ভুত বিষয়ে তাকে বেশি করে টানবে।  সঙ্গ নির্বাচন তার জীবনে প্রধান হয়ে দাঁড়ায়।  সৎসঙ্গে ের স্বর্গবাস করতে পারে আবার অসৎসংগে জীবন বরবাদ হতে পারে।  এদের কথাবার্তা, রচনা, ভাষণ সংযমের বদলে বাহুল্য ভাব বেশি দেখা যায়।  এদের মধ্যে কল্পনা অতিরঞ্জনের চেষ্টা লক্ষ করা যাবে।  এরা  সামান্য আশাতেই উৎফুল্ল হয়ে ওঠে, আবার ক্ষুদ্র বাধা পেয়েই হতাশ হয়ে বসে।  সবসময় এদের মধ্যে সহজ জ্ঞানের অভাব এবং সাধারণ পরিহাস বোধের অভাব লক্ষ্য করা যায়।  সাংসারিক উন্নতির পথে এদের অনেক বাধা বিঘ্ন সহ্য করতে হবে।  তাকে অনেক ভাগ্য বিপর্যয় সহ্য করতে হবে।  চন্দ্র দুর্বল হলে খুব বেশি পারিবারিক সুখ পাবে না।  জীবনে অনেক প্রকাশ্য  বা গুপ্ত শত্রূর মোকাবিলা করতে হতে পারে।  এরা  ভোগী প্রকৃতির হয়ে থাকে।  অর্থসংক্রান্ত ব্যাপারে জাতকের বিশেষভাবে দেখেশুনে চলা প্রয়োজন , তা নাহলে কষ্ট অবসম্ভাবী