যেমন নিরাকার দেবতাদের সাকার রূপ অনেক বিগ্রহ অর্থাৎ মূর্ত্তি আছে। ঠিক সেই প্রকার মন্ত্রগুলির সাকার রূপ হলো যন্ত্র। মন্ত্রের শক্তি তার শব্দগুলির মধ্যে নিহিত থাকে। তাহলে যন্ত্রগুলির শক্তি অঙ্কিত রেখাগুলি এবং ওই রেখাগুলির মধ্যে লিখিত অঙ্কগুলি এবং অক্ষরগুলির মধ্যে নিহিত। প্রত্যেক যন্ত্র অথবা নকশার মধ্যে কিছু রেখা এবং অঙ্ক এবং অক্ষর একটি নিশ্চিত ক্রমে অংকিত হয়ে থাকে। যন্ত্রের মধ্যে অংকিত এইসব রেখাগুলি, এদের বিশিষ্ট আকৃতি এবং ওই রেখাগুলির মধ্যে লেখা অঙ্কগুলি এবং অক্ষরগুলির বিশিষ্ট শক্তি বিস্তার করে থাকে। এর মধ্যে অংকিত অঙ্ক এবং অক্ষর উক্ত সকল দেবদেবী, গ্রহ নক্ষত্রগুলির সম্পর্কিত বিজাঙ্ক জানতে হবে এবং সেই সকল দেবদেবীর শক্তির প্রতীকও। এই কারণেই যন্ত্রে অংকিত অক্ষরগুলি এবং অঙ্কগুলিকে বীজ বলা হয়। কোনো যন্ত্রকে সিদ্ধ করার জন্য উক্ত অক্ষরগুলি এবং অংকের পর দৃষ্টি কেন্দ্রিত করেই মন্ত্রের বিভিন্ন সংখ্যায় সম্পূর্ণ বিধি বিধান সহ জপ করা হয়ে থাকে।
তন্ত্রশাস্ত্রের গ্রন্থতে বলা হয়েছে যে, বিভিন্ন প্রকার যন্ত্রের রেখাগুলি, বিজ্ক্ষর ও বীজাঙ্ক দিব্যশক্তির দ্বারা প্রভাবিত হয়ে থাকে। এই কারণেই সাধক যখন কোনও যন্ত্রের ওপর দৃষ্টি একাগ্র করে বিশিষ্ট মন্ত্র জপ করতে থাকেন, তখন শুধু সাধকের দেহ ও মন ও আশেপাশের আবহাওয়ার ওপরেও শুভ অথবা মন্দ প্রভাব পড়ে এবং সেটাই স্বাভাবিক। এই প্রভাবই সাধককে সফল যন্ত্র লেখক এবং তান্ত্রিক করে তোলে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন