জাতকের দ্বাদশ ভাব বিচার
লগ্নভাব বিচার :-
লগ্নপতি অষ্টমে স্থিত হওয়ায় জাতক দীর্ঘজীবী,কৃপণ ও ধনসঞ্চয়ী হবে। জাতক গুহ্যবিদ্যায় পারদর্শী বা সিদ্ধবিদ্যাবিশারদ হতে পারে। জাতক মহাক্রোধী ও পরনারী ভোগে লিপ্ত হতে পারে।
লগ্নে বৃহস্পতি রাহু গুরুচন্ডালি যোগ সৃষ্টি করছে। লগ্নে বক্রী বৃহস্পতি মিত্র গৃহগত হওয়ায় জাতক মর্যাদাসম্পন্ন,প্রাজ্ঞ,উদার,রাজপ্রিয়,শান্ত,সুশ্রী,চারুদেহ,ভোগী,দানি ও সদাশয় ব্যাক্তি হতে পারে। জাতক পন্ডিত ও জনহিতকর কার্যে খ্যাতিলাভ ঘটাবে। সে ন্যায় নীতিজ্ঞ ও ধার্মিক হবে। অন্তরাত্মায় সৎ চিন্তা স্থান পাবে। পারলৌকিক জ্ঞান মুক্তিই তার ভবিষ্যৎ চিন্তা হয়। ধনসম্পত্তি ভোগের নিমিত্তে ব্যয় হবে। জাতক কবি,সঙ্গীতপ্রিয়,দার্শনিক,দানশীল,সুচিপরায়ণ,সৌম্যদর্শন,ভোক্তা,রাজা বা শ্রেষ্ঠজন পূজিত,দেব ব্রাম্ভন সেবাপরায়ণ,নীতিজ্ঞ এবং বিত্তশালী হবেন।
রাহুর অবস্থানে লগ্নের শুভত্ব অনেকাংশে হ্রাসপ্রাপ্ত হয়ে থাকে।বর্তমানে রাহুর মহাদশা ও রাহুর অন্তর্দশা সময়কালে জাতকের ভিতরে অস্থিরতা ব্যাপক ভাবে কাজ করবে। জাতক শত্রুজয়ী,অসাধু বুদ্ধি সম্পন্ন রুগ্ন দেহী ও শিরোরোগের সমস্যায় ভুগতে পারে। ০৫/০৩/২০২৬ সাল পর্যন্ত জাতকের লগ্নভাবে নেতিবাচক প্রভাব থাকবে। তবে এই রাহু জাতককে স্বর্ণ জাতীয় মূল্যবান সম্পদ লাভ ঘটাবে ভবিষ্যতে। রাহু লগ্নে থাকায় নানা প্রকার ব্যাধির প্রভাব ঘটাবে। অজীর্ণ রোগ,শূল পীড়া,আকস্মিক পীড়া এবং তীব্র হতাশায় আত্মহত্যার ইচ্ছা প্রকাশ ঘটাবে। লগ্নে রাহু এবং রাহুর মহাদশা চলার ফলে এই সকল রোগব্যাধির প্রাবল্য দেখা দিতে পারে।
ব্যাধি - জাতকের ধাত শ্লেষ্মা - প্রধান হবে। গুহ্যপীড়া,হৃদরোগ,চোখের সমস্যা,অস্থিসংক্রান্ত সমস্যা,রক্তচাপ বৃদ্ধি ও ডায়বেটিস দেখা দিতে পারে।
দ্বিতীয় বা ধনস্থান বিচার :-স্ত্রী
ধনপতি ভাগ্যস্থানে শুভ স্থানগত হওয়ায় জাতক উচ্চমনা,ধার্মিক,ভাগ্যবান এবং দানশীল হবে। তার গুরুভক্তি থাকবে। জাতক ধনবান,উদ্দমী,কর্মদক্ষ হয়ে থাকবে বাল্যকালে রোগগ্রস্থ হবার সম্ভাবনা থাকছে। জাতক ধর্মপদেশ দান ও ব্যাবসার মাধ্যমে অর্থোপার্জন করে থাকবে। জাতক সৌম্য,দাতা হবেন।
জাতক ভাগ্যশালী হবে। ভবিষ্যতে ধন,যানবাহন,এবং সন্তান হতে অশান্তি,বন্ধু ও আত্মীয়গণের সঙ্গে অসদ্ভাব গড়ে উঠতে পারে। জাতকের সম্পদবৃদ্ধি প্রাপ্ত হবে। ভবিষ্যতে স্ত্রীর সঙ্গে তার আত্মীয়গণের বিরোধ সৃষ্টি হবে। লোভের কারণে কারণে তার কর্মফল বিনষ্ট হতে পারে।
জাতক সংগীতকলা বিদ্যায় অনুরক্ত,উৎকৃষ্ট অন্ন ও বস্ত্র ভূষণাদি প্রিয় হবে। জাতক রমণী মনোরঞ্জনকারী,রসিক,বাচাল,মিষ্টভাষী,সুমধুর ব্যাবহারযুক্ত,পরধনে ধনী,যশস্বী,নানাবিদ্যায় পারদর্শী,ধার্মিক ও যৌবনবস্থায় কৃশ দেহী হয়ে থাকবে। জাতকের নানাবিধ ধনোপার্জন এবং যানবাহনাদি লাভ হবে। তার শোভন মুখশ্রী ও তীক্ষ্ণবুদ্ধি সকলকে আকৃষ্ট করবে। জাতক সুন্দরী স্ত্রী লাভ করবে। সে শিল্পকলাভিজ্ঞ হবে।
তৃতীয় বা সহোদর ভাব বিচার:-
তৃতীয়পতি অষ্টমে অবস্থান করায় জাতব্যাক্তির অনুজ হানি ঘটতে পারে। তার আট ও নয় পর্যন্ত অনুজের পীরাভোগ ঘটে থাকবে। তার ভাই বোনের বিপদ যোগ সূচিত হয়। জাতকের সম্পত্তিলাভের সম্ভাবনা থাকে।
জাতক শৈশবে রোগী ও সুখবিবর্জিত হয়ে থাকবে।তার মাঙ্গলিক কর্মে সিদ্ধিলাভ ঘটে। জাতক ব্যবসা বৃত্তিতে সাফল্যলাভ করবে। জাতব্যক্তি বুদ্ধিবলে শত্রুকেও বশীভূত করতে সক্ষম হবে। জাতকের যৌবন বয়সে অধিক ভোগাসক্তি থাকে,কিন্তু পরে ভোগাসক্তি ক্রমশ কমতে থাকবে এবং শেষ বয়সে সে বৈষয়িক আসক্তি ত্যাগ করে থাকবে। সে তার ভ্রাতৃবর্গের প্রতি বিশেষ অনুরক্ত হবে। আত্মীয়গণের দ্বারা সে সাহসিক কাজকর্মে প্ররোচিত হবে এবং চিত্তশুদ্ধি রহিত ও সহোদর সুখে সুখী হবে।
চতুর্থ বা মাতৃভাব বিচার:-
চতুর্থপতি চতুর্থে অবস্থান করার ফলে জাতক মানী,ধার্মিক,সুখী,খ্যাতিমান এবং বহু ভূসম্পত্তির অধিকারী হবে। সে সর্বসম্পদ যুক্ত,বুদ্ধিমান,হৃদয়বান,সুখবান,ধনবান এবং স্ত্রীর প্রিয়পাত্র হয়ে থাকবে। সরকারি দপ্তর বা প্রশাসনে মন্ত্রক হতে পারে।
চতুর্থে মঙ্গল শনি যোগে জাতকের বাল্যকালে মাতার অমঙ্গল সূচিত হয়। জাতকের শারীরিক ক্লেশ,প্রবাস,বন্ধুবান্ধব হতে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া ও ক্রূর মেজাজি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তার গৃহ ও জানবাহনাদি দ্বারা বিপদের সম্ভাবনা সূচিত হয়। জাতক সরকারের থেকে ভূমি,বস্ত্র ও অনুগ্রহ লাভ করে থাকবে। চতুর্থে মঙ্গল স্বক্ষেত্রাদি হওয়ার ফলে জাতক প্রভূত ক্ষমতা ও সর্বকার্যে সাফল্য লাভ ঘটবে। শনি যুক্ত থাকায় ভূমিনাশ,কলহ,স্ত্রীহানি,মাতৃপীড়া,পারিবারিক অশান্তি ও অভদ্র বন্ধু থেকে ক্ষতির সম্ভাবনা ভবিষ্যতে রয়েছে।
জাতকের মানসিক সাংসারিক শান্তি বিনষ্ট হতে পারে। মাতার কারণে মনে দুঃখ উপস্থিত হবে। জাতকের বন্ধুবর্গ হতে নিন্দা লাভ ঘটবে। তার পৈতৃক সম্পত্তি এবং বাসস্থান নষ্ট হতে পারে। জাতক পিতামাতার সন্তাপের কারণ হয়ে উঠতে পারে। পিতৃধন থেকে সে বঞ্চিত হতে পারে। ভবিষ্যতে সে বাত পীড়ায় কষ্ট পাবে। তার বাসভবন ভগ্নপ্রায় হয়ে থাকবে এবং সে দুঃখপীড়িত ও স্থানভ্রষ্ট হয়ে পড়ে। জাতক দুশ্চিন্তায় ব্যাকুল হয়ে পড়ে। জাতকের মাতার বায়ুরোগের সম্ভাবনা এবং শস্ত্রাঘাতে আঘাত প্রাপ্তির যোগ রয়েছে। শুভ চন্দ্রের দৃষ্টির ফলে কিছুটা পাপফল নাশ হয়ে থাকবে।
জাতকের চতুর্থস্থান দুর্বল।
পঞ্চম বা পুত্রস্থান,বিদ্যা,উচ্চবিদ্যা বিচার:-
পঞ্চমপতি লগ্নে বক্রী অবস্থান কোর্সের ফলে জাতক বুদ্ধিমান ও ও পন্ডিত হবে। তার কৃপণ স্বভাব ও স্বার্থপর বুদ্ধি থাকবে। সে যশস্বী,মায়াবীও মিষ্টভাষী হবে।
জাতক প্রতিভাশালী,জ্ঞানী,বুদ্ধিমান,মতিমান,মন্ত্রকুশলী,মধুরভাষী,সৎপুত্রের জনক,বাহন অধিকারী ও ধনবান হবে। সন্তানের জন্মদান ব্যাপারে কিছু প্রতিবন্ধকতা আসবে। জাতক সুলেখক,কল্পনাশক্তিসম্পন্ন,ও ভোগী হবে। তার কর্মফল লাভের সময় নানা বিঘ্ন উপস্তিত হতে পারে।
ষষ্ঠ বা শত্রুস্থান বিচার:-
ষষ্টপতি পাপযুক্ত হয়ে চতুর্থে অবস্থান করার ফলে তার সন্তানগণ শত্রু হয়। সে রোগী হয়। তার পৈতৃক সম্পত্তি থেকে বিবাদ উৎপন্ন হয়। ওই সম্পত্তি সে নষ্ট করে। তার লক্ষ্মী নিজ ক্ষমতায় স্থায়ী থাকেন। সে মাতৃপীড়ক অথবা তার মাতৃসুখের হানি ঘটে। জাতক মনস্বী ব্যাক্তি ও প্রভূত ধনবান হয়। পিতামাতার রোগগ্রস্থ হবার সম্ভাবনা থাকে। সে প্রবাসী হয়ে থাকবে।
জাতিকার দ্বাদশ ভাব বিচার
লগ্নভাব বিচার :-জাতিকার লগ্নপতি ষষ্ঠ স্থানে পাপগৃহগত ও পাপগ্রহের সঙ্গে অবস্থান করার ফলে জাতিকা মন্ত্রণা কুশল,মর্মগ্রাহী,অসাধারণ দূরদর্শী,ধূর্ত,পুরুষের মনোরঞ্জনকারী,শত্রুসৃষ্টিকারী ও বিপদ যোগের ইঙ্গিত বহন করে। জাতিকা সিংহ সদৃশ পরাক্রমী,সম্মানীয়া ও সম্পদশালিনী হবে। জাতিকার বন্ধন ভয় উপস্থিত হয়।
লগ্নে মঙ্গলের দৃষ্টি জাতিকার মতিভ্রম,হঠকারীভাব,সাহস ও উগ্রতা দান করবে। তার অর্শ ও নানাবিধ স্ত্রীলোক ঘটিত রোগভোগের সম্ভাবনা থাকছে। বাল্যকালে তার অজীর্ণ পীড়া,দন্তপীড়া,শ্লেষাধাতু যুক্ত হয়ে থাকবে। জাতিকার বন্ধন ভয় ও অগ্নি থেকে বিপদের সম্ভাবনা থাকছে। তার স্বামী ও পুত্রের নানাপ্রকার রিষ্ট থাকে। জাতিকা সিংহের ন্যায় কর্মোদ্যমী হবে কিন্তু তার যেকোনো কাজ করার পরে ফললাভের সময় নানাপ্রকার উপসর্গ উপস্থিত হয়ে মনকে তাপিত করে থাকবে।
বর্তমান দশা ও অন্তর্দশার ওপর নির্ভর করে জাতিকার সময়কাল শুভ নয়। সেই সাথে পূর্ণ মাত্রায় কালসর্পযোগ ও পিত্রদোষ থাকায় শত্রুবৃদ্ধি,স্বাস্থহানি এবং লেখাপড়ার ওপর বিরূপ প্রভাব দেখা দেবে। জাতিকা বহু নেতিবাচক পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হবে। ১২/০৬/২০২৫ এর পর থেকে পরিস্তিতি কিছুটা স্বাভাবিক হবে তবে রোগভোগের সম্ভাবনা থাকছে। চন্দ্র দুর্বল হওয়ায় মানসিক অশান্তি,স্নায়বিক দুর্বলতা,সর্দিকাশি প্রভৃতি সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। বিশেষ কিছু প্রতিকার আবশ্যক ,জাতিকার লগ্নস্থান দুর্বল।
দ্বিতীয় বা ধনস্থান বিচার:-ধনপতি ষষ্ঠ স্থানে অবস্থান করার ফলে জাতিকা শত্রুমধ্য হতে ধনোপার্জন করে ও সে শত্রুহন্তা হয়। ধন সঞ্চয়ে তৎপর হবে। সে সাহসী ও শত্রুজয়ী হবে কিন্তু বন্ধুহানির জন্য দুঃখিত থাকে। সংসার পরিচালনায় ভবিষ্যতে ক্লেশ ভোগ করে থাকবে। চুরির কারণে তার অর্থ ক্ষতির সম্ভাবনা থাকছে। শারীরিক দিক থেকে তার নানা ভোগান্তি থাকে।
জাতিকা সুশীলা,শান্ত,কান্তিমান,সুখী,সত্যবাদী,ধনবান ও বিদ্বান হয়ে থাকবে। সে উত্তম বক্তা ও বুদ্ধিমান হয় এবং বিদগ্ধ বা প্রাজ্ঞ সমাজে তার শোভা ও সম্মান বৃদ্ধি পেয়ে থাকবে। শিল্পকলা জ্ঞানী,চিত্র বিদ্যায় পারদর্শিতা লাভ করে ধন উপার্জন করে থাকবে। জাতিকার সাহিত্যে ও ব্যাখ্যশাস্ত্রে দক্ষতা জন্মে থাকবে। মস্তিস্ক আলোড়নে বুদ্ধির পরিচয়দানে খ্যাতিলাভ করে থাকবে। বুধাদিত্য যোগে জাতিকা উচ্চ বিদ্যায় পারদর্শী হয়ে কৃতিত্ব দেখাতে পারে। জাতিকার ধনস্থান মোটের উপর শুভ। বুধের দশা বা অন্তর্দশা সময় বা বুধ গোচরে পঞ্চম,নবম ও দশম স্থানে অবস্থান করলে সম্পূর্ণ সুফল লাভ করবে। বর্তমান সময়ে বহু প্রতিবন্ধকতা আছে।
তৃতীয় বা সহোদর স্থান বিচার:-তৃতীয়পতি পঞ্চমে অবস্থান করার ফলে জাতিকা সন্তান ও অনুজ দ্বারা প্রতিপালিত হয়ে থাকবে তার সৎ আত্মীয় লাভ হবে। সে দীর্ঘায়ু ও পরোপকারী হবে। জাতিকা সদা সুখী,বিত্তশালিনী,স্বামীযুক্তা,সুবুদ্ধিপরায়ণ হবে। সাধারণত প্রবাস বা গৃহ থেকে দূরে বাস করতে হতে পারে।
জাতিকা কৃপণ,পরাক্রমশালিনী,স্বামী পুত্র দ্বারা অসুখী ও অজীর্ণ রোগী হয়ে থাকবে। ধনবান হলেও দেখে নিঃস্ব মনে হবে। সৌজন্যের অভাব পরিলক্ষিত হবে। সে আত্মীয়যুক্ত হবে। জাতিকা রাজপূজিতো অথবা শ্রেষ্ঠ সম্ভ্রমশালী ব্যাক্তির দ্বারা পূজিত হবে। সে কৃপণ ভ্রাতৃযুক্ত হয়ে থাকবে। নিজ অন্তরঙ্গ বন্ধুর প্রতি কৃতঘ্ন হয়ে থাকবে। কর্মক্ষেত্রে বা রাষ্ট্রীয় ব্যাপারে সম্মানলাভ করবে তবে এক্ষেত্রে বৃহস্পতির বলাবল বিশেষ ভাবে লক্ষণীয়। বিদ্যাশিক্ষায় বুৎপত্তি লাভ করে থাকবে। তার অগ্নি ও চতুস্পদ জন্তু থেকে সাবধানে থাকতে হবে। সে ধনবতী ও আনন্দ লাভ করবে।
বর্তমান দশা ও অন্তর্দশা বিচারে আত্মীয় হানি বা শোক প্রাপ্তির সম্ভবনা থাকছে। তবে অন্তর্দশার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। তৃতীয় স্থানে শনির দৃষ্টি জাতিকা পরাক্রমী ও বহুজনের প্রতিপালক ভবিষ্যতে হবে। তার ক্ষমতার প্রভাব হেতু তার পরিবেশের জনচিত্ত কখনও শান্তিলাভ করতে পারবে না। তার ভাগ্যোন্নতি নিরাপদে হবে না। সে মিতভাষী ও প্রতিজ্ঞায় দৃঢ়চেতা থাকায় ব্যাক্তিগত ভাবে অসুখী থাকবে। সে অপ্রিয় সত্যবাদী বলে লোকের নিকট স্কলিতভাষী হবে।
নীচস্থ শনির দৃষ্টি তৃতীয় স্থানে থাকার ফলে তার অনুজহানি এবং প্রতিবেশী হতে অশান্তি লাভ হয়ে থাকে। যাতায়াতের পথে বিঘ্ন সৃষ্ট হয়। তার নিচসঙ্গ লাভ হয়ে থাকবে। জাতিকা সাহসী হবে। শুভ বৃহস্পতির দৃষ্টি থাকায় পাপফল কিছু অংশে হ্রাস পেয়ে থাকবে। কালসর্পদোষ ও পিত্রদোষের কারণে তৃতীয় স্থান বিশেষ ভাবে নেতিবাচক ফলাফল প্রদান করে থাকবে। জাতিকার তৃতীয় স্থান শুভ নয়।
চতুর্থ বা মাতৃস্থান বিচার:-চতুর্থপতি সপ্তমে অবস্থান করার ফলে জাতিকা পিতৃধন ত্যাগী হয়ে থাকবে ও যেকোনো স্থানে জড়প্রকৃতি প্রদর্শন করে থাকবে। তার জামাতা বা পুত্রবধূ অযত্ন করে থাকবে। জাতিকা বিদ্বান ও বহুশাস্ত্রে বিশারদ হবে। সে নানা বিদ্যায় ভূষিত হবে। ব্যবসা ও বিবাহের মাধ্যমে ভাগ্যোন্নতি ঘটে থাকবে। শেষ বয়সে নিজ পরিবার কর্তৃক লাঞ্চিত হবার সম্ভাবনা থাকে।
জাতিকার মাতার বিপদ যোগ সূচিত হয়। জাতিকার শারীরিক ক্লেশ,প্রবাস, বন্ধুবান্ধব হতে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া ও ক্রূর মেজাজি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তার গৃহ ও জানবাহনাদি দ্বারা বিপদের সম্ভাবনা সূচিত হয়। জাতক সরকারের থেকে ভূমি,বস্ত্র ও অনুগ্রহ লাভ করে থাকবে। দাম্পত্য জীবনে একটানা শান্তিলাভ হবে না। তার বক্ষ সংক্রান্ত ব্যাধি বা আঘাত প্রাপ্তির সম্ভাবনা রয়েছে।
বর্তমানে চন্দ্রের অন্তর্দশা সময় জাতিকার মাতার পক্ষে শুভ নয়। চন্দ্রের বল না থাকার দরুন এবং চন্দ্র মাতৃকারক গ্রহ হওয়ায় এই অন্তর্দশা সময়কালীন মাতার বিপদ যোগ সূচিত হয়। শুধু তাই নয় ১২/০৬/২০২৫ এর পর মঙ্গলের অন্তর্দশা শুরু হলে এই যোগ আরো প্রবল আকার ধারণ করতে পারে। সেক্ষেত্রে মাতাকে অবশ্যই চন্দ্রপ্রবজ্ঞা কবচ ধারণীয়। সেক্ষেত্রে রোগভোগের সম্ভাবনা থাকবে বড় অমঙ্গল থেকে মুক্তি লাভ ঘটতে পারে। কারণ অশুভ দশা ও অন্তর্দশা সাথে কালসর্পযোগের প্রভাব ও এক্ষেত্রে কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে ,তাই এই দোষ গুলি প্রশমন আবশ্যিক। জাতিকার মাতৃস্থান দুর্বল।
পঞ্চম বা বিদ্যা পিতৃস্থান বিচার:-পঞ্চমপতি ভাগ্যস্থানে অবস্থান করার ফলে জাতিকা উচ্চ শিক্ষিতা,কবি,সংগীতজ্ঞ,গ্রন্থকার,বিখ্যাত এবং সরকার দ্বারা সম্মানিত হতে পারে। সে আদর্শবান ও দেবদ্বিজে ভক্তিমতী হয়। সে রাজতুল্য পুত্রের জন্মদাত্রী হবে। সন্তান কৃতি ও রাজতুল্য ক্ষমতা ভোগী হবে।
জাতিকার সকলপ্রকার কাব্য শাস্ত্রে অধিকার জন্মে। সে সংগীতজ্ঞ ও সন্তান সুখে সুখী হন। সে রাজদরবারে সম্মান লাভ করে থাকে। জাতিকা কলা বিভাগ,অভিনয় শিক্ষা,নাচ গান,সাংবাদিকতা,সাহিত্য বিষয়ক ক্ষেত্রে উচ্চ শিক্ষা লাভ করে থাকবে। দর্শন বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করলে দ্রুত সাফল্য লাভ ঘটবে। রাষ্ট্র সংক্রান্ত রাষ্ট্রবিজ্ঞান নিয়ে লেখাপড়ায় সাফল্য লাভ ঘটবে।গ্রন্থকার বিভাগে লেখাপড়ায় সাফল্য মিলবে। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি নিলে শুভ ফল প্রাপ্তি ঘটবে। তবে অশুভ দোষঃ খণ্ডন আবশ্যক অন্যথায় নানা প্রকার বাধা বিঘ্ন সাফল্যের পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়াবে।
ষষ্ঠ বা শত্রু,রোগ স্থান বিচার:- ষষ্ঠপতি নবম স্থানে অবস্থান করার ফলে জাতিকা কাঠ,লোহা,পাথর ইত্যাদির ব্যাবসায় উন্নতি করে থাকবে। তার আচার আচরণে স্থিতিশীলতা থাকে না। তার ধন সম্পদ দীর্ঘস্থায়ী থাকে না। এই অবস্থান জাতিকার ক্ষেত্রে দুর্ভাগ্য আনয়ন করে। জীবন উত্থান পতনে ভরে ওঠে। সে খোসামোদপ্রিয় হয়ে থাকবে। বিশেষ সময় মূর্খতা গ্রাস করবে।
ষষ্ঠ স্থানে রবি শত্রুগৃহগত ও কেতু যুক্ত থাকার ফলে সে শত্রুহননকারী হয়। তার বন্ধু দ্বারা এবং রাজদণ্ডে অর্থহানি ঘটে থাকবে। তার মাতৃকুলে বিপদ,যানবাহন হতে পতন এবং চতুস্পদ জন্তু দ্বারা দুঃখ লাভ করে থাকবে। বহু শত্রু উৎপন্ন হবে এবং তা সহজে বিনাশ ঘটবে। রবি কেতু যুক্ত হওয়ার ফলে জাতিকার আকস্মিক বিপদ ও অপযশ লাভ হয়ে থাকবে। তার মাতৃকুলের সঙ্গে শত্রুতা হবে। অশুভ রাহুর দৃষ্টিতে সকল প্রকার অশুভ ফল লাভ হবে। জাতিকার শিরঃপীড়া,অম্লশূল,হৃদকম্প,পিত্তপীড়া ও বিষয পীড়ায় ভুগতে হতে পারে। জাতিকার মস্তকে ক্ষত দেখা দিতে পারে।
জাতিকা কলহপ্রিয়া,অলস,পীড়িত দেখ,নিষ্ঠুর প্রকৃতি ও শত্রু পীড়িত হয়ে থাকবে। কিন্তু তার শত্রুগণ বশ্যতা স্বীকার করে থাকবে। শত্রুদিগকে বশীভূত এবং রিপুসমূহকে নিরোধ করে জাতিকা ইন্দ্রিয় জয়ের জ্ঞান লাভ করে থাকবে। জাতিকা সদ্ব্যায়ী হয়ে থাকবে। মাতুল বংশের উন্নতি কিছুটা ঘটবে সেটা গ্রহের গোচর ও দশা অন্তর্দশার ওপর নির্ভর করে। তার অজীর্ণ,স্মৃতিশক্তিহীনতা দেখা দিতে পারে।
কেতু ষষ্ঠভাবে অবস্থান করার ফলে শত্রু তার সঙ্গে পেরে উঠবে না। তার মনের মধ্যে উঁচু মনের পরিচয় মিলবে না। এবং মাতুল কুল হতে তার অপমান হয়ে থাকবে। তার বাত ,দণ্ডসুল,উদারাময়,বায়ুরোগ,স্ত্রী জনিত গুপ্ত রোগের সম্ভাবনা থাকছে।
কেতুর মহাদশায় এই সমস্ত অশুভ ফল লাভের সম্ভাবনা থাকছে। এবং পূর্ণ মাত্রায় কালসর্পযোগ উপস্থিত থাকার ফলে স্বাস্থ্য ও পরিবেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব বিস্তার করবে। এই বিষয়ে সতর্ক থাকা উচিত।
রবি কেতু যোগ ফল:
এই যোগে উল্লেখযোগ্য কোনও ফল পাওয়া যায়না। এই যোগে জাতিকা সচারচর নিশ্চেষ্ট ও অবসাদগ্রস্ত হয়ে পরে। তার কোনো কিছু ভালো লাগে না। নিজের মধ্যে গুটিয়ে থাকতে ও নিজের চিন্তাতেই বিভোর থাকতে মন চায়। এই যোগে অতিমাত্রায় আত্মকেন্দ্রিকতা প্রকাশ পায়। এটি একটি স্বার্থপরতা যোগ বলা যায়।
রবি বুধ যোগ ফল:
এই যোগটি জাতিকার জন্মকুণ্ডলীতে অশুভ ভাবে প্রকাশ পাওয়ার ফলে মানসিক ক্ষেত্রে চাঞ্চল্য ভাব দেখা যাবে। এই যোগে বুদ্ধির বিপরীত ভাব,বাচালতা,বৃথা দুশ্চিন্তা প্রভৃতি ঘটে থাকে। দেহপীড়া,মনস্তাপ ও স্বামী পুত্রের পীড়া হেতু ক্লেশ ভোগ হয়ে থাকে।
জাতিকার ষষ্ঠ স্থান দুর্বল।
সপ্তম বা বিবাহ,ব্যবসা স্থান বিচার:-সপ্তমপতি নবম স্থানে অবস্থান করার ফলে জাতিকা চরিত্রবতী ও তেজস্বী ও জেদি প্রকৃতির হবে। সে দীর্ঘসূত্রী ও সচারচর স্বামী ভীরু প্রকৃতির হয়ে থাকে। জীবনে পুরুষ সান্নিধ্য লাভ ঘটে থাকবে।
জাতিকার বিবাহ স্থানে মঙ্গল শত্রু গৃহগত এবং পূর্ণ মাত্রায় মাঙ্গলিক দোষঃ থাকার কারণে এই স্থান শুভ নয়। জাতিকার স্বামীর স্বাস্থ্য ভালো যাবে না। স্বামীর প্রকৃতির মধ্যে জেড,ক্রোধ ও চঞ্চলতা ভাব থাকবে। তার কর্ম প্রাপ্তির ক্ষেত্রেও নানা প্রতিবন্ধকতা উপস্থিত হবে,স্থায়ী কর্ম প্রাপ্তি ঘটবে না। স্বামীর মেজাজ চড়া হবে সে উচ্চগ্রামে কথা বলবে। জাতিকা নানাবিধ রোগগ্রস্থ,শত্রু পীড়িত ও সাংসারিক বিষয়ে অসুখী হয়ে থাকবে। স্বামী হতে নানা অশান্তি লাভ হবে। মঙ্গল শত্রুগৃহগত হওয়ার ফলে তার নানাপ্রকার অনর্থক নিষ্ফল চিন্তা এবং উপসর্গ দেখা দিয়ে সর্বদা তার চিত্তবিভ্রম ঘটে। স্বামীর বিপদ যোগ থাকে।
নবাংশ কুন্ডলি অনুযায়ী সপ্তমে রবি মঙ্গল অবস্থান করার ফলে স্বামীর স্বাস্থ্য নিয়ে একটা চিন্তা থাকবে। শরীরে পিত্ত ধাতুর প্রাবল্য লক্ষ্য করা যাবে। অর্থভাগ্য বিশেষ ভালো নয়। চাকরিতে দুর্ভোগ থাকে। সাফল্যের ব্যাপারে অনেক দুর্গমতা অতিক্রম করতে হয়। বিদ্যায় বাধা থাকে। তবে অভিজাত পরিবারে বিবাহ হতে পারে। জন্ম কুন্ডলি অনুযায়ী দ্বি-বিবাহের সম্ভাবনা থাকছে।
যেহেতু জাতিকা পূর্ণ মাত্রায় মাঙ্গলিক সেক্ষেত্রে এমন পাত্রের সাথে বিবাহ দিতে হবে যার জন্ম কুণ্ডলীতে পূর্ণ মাত্রায় মাঙ্গলিক দোষঃ বর্তমান আছে। কর্কট,কন্যা,তুলা,ধনু ও মীন রাশি জাত এবং শুক্লপক্ষ জাত বৈশাখ,জ্যৈষ্ঠ মাসে জন্ম এমন সুলক্ষণ যুক্ত পাত্র এবং জোটক বিচারে অন্তত ২৪ টি গুন মেলে এমন বিবাহ শুভকর হতে পারে বলে মনে করা হয়। এবং ২৮ বছরের পর বা মঙ্গলের অন্তর্দশা বা শুক্রের অন্তর্দশায় বিবাহ দেওয়া যেতে পারে। তার আগে বিশেষ রত্ন ও দৈবিক প্রতিকার আবশ্যিক।
অষ্টম বা নিধনস্থান বিচার:-অষ্টমতি নবম স্থানে অবস্থান করার ফলে জাতিকা পাপকর্মে লিপ্ত হতে পারে। তার হাতে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। জাতিকা নিঃসঙ্গ প্রিয়া,মমতাহীন ও শ্লেষ্পরায়ণা হয়। সে পূজনীয় ব্যাক্তিকে অসম্মান প্রদর্শন করে। জাতিকা আদর্শচ্যুত হয়ে পড়ে। সন্তান ব্যাপারে ঝঞ্ঝাট থাকে। জাতিকা নাস্তিক হয়ে পড়তে পারে। সন্তান প্রাপ্তির ক্ষেত্রে প্রবন্ধকতা লাভ হয় ও স্বামীর প্রতি আসক্ত হয়। অপরের ধন সম্পদ ও পরপুরুষের প্রতি তার আসক্তি জন্মায়।
জাতিকার পিতৃগৃহ চিরস্থায়ী ও দেহ নীরোগ হয়না। তার স্বামী সর্বদা শ্বশুর শাশুড়ির সাথে ঝগড়া বিবাদে রত থাকে। জাতিকার অষ্টম স্থান শুভ নয়।
নবম বা ভাগ্যস্থান বিচার:-
নবমপতি সপ্তমে অবস্থান করার ফলে জাতিকার ব্যবসা বৃত্তি থেকে অর্থোপার্জনের যোগ দেখা যায়। তার কার্য প্রায় সময় ব্যার্থ হয়ে থাকে। দাম্পত্যজীবন সুখের হয় না। তবে অর্থ রোজগারের প্রাবল্য বৃদ্ধি পেয়ে থাকে।
ভাগ্যস্থানে শনি নীচস্থ অবস্থান করার ফলে জাতিকা চঞ্চল ভাগ্য নিয়ে জন্ম নেয়। সে প্রথম বয়সে বিপথগামী এবং পরে ধার্মিক হয়। তার সব কাজে শৈথিল্য ও জড়তার ভাব থাকবে। সে সংসার ভোগে বিরতিভাবাপপন্ন হবে। জাতিকা ত্যাগপরায়ণা ও যোগশাস্ত্রজ্ঞ হয়ে থাকবে। তার ভ্রাতাভগ্নি,আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুগণের নিকট হতে দুঃখ লাভ ঘটে থাকে। জাতিকা দুর্বলদেহী,মন্দমতি,স্বধর্ম ত্যাগী ও দরিদ্র হয়ে পড়তে পারে। মেষের শনি মানুষের দুঃখ বাড়িয়ে তোলে।
তবে বৃহস্পতির উপস্থিতিতে কিছুটা অশুভ ফলের বিনাশ ঘটে থাকবে। তবে এক্ষেত্রে বৃহস্পতির বল বৃদ্ধি আবশ্যক। জাতিকা সৎকর্মে নিযুক্ত,গুণবতী,রাজপ্রিয়,কীর্তিমান হতে পারে। তার প্রকৃতির মধ্যে গভীর অনুভূতিমূলক দর্শন জ্ঞান জন্মে থাকবে। জাতিকার রাজতুল্য ধনবতী হবার সম্ভাবনা থাকে। সে বিরাট অট্টালিকা নির্মাণ করে থাকবে। সাধারণত ৪২ থেকে ৪৫ বছর বয়সে ভাগ্যোন্নতি ঘটবে। কারণ ভাগ্যস্থানে শনি নীচস্থ এবং শনি বৃদ্ধকারক গ্রহ। কালসর্পদোষ ও পিত্রদোষ ভাগ্যোন্নতির পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়াবে। জাতিকার ভাগ্যস্থান দুর্বল।
জাতিকার দ্বাদশ ভাব বিচার
লগ্নভাব বিচার :-
জাতিকার লগ্নপতি ষষ্ঠ স্থানে পাপগৃহগত ও পাপগ্রহের সঙ্গে অবস্থান করার ফলে জাতিকা মন্ত্রণা কুশল,মর্মগ্রাহী,অসাধারণ দূরদর্শী,ধূর্ত,পুরুষের মনোরঞ্জনকারী,শত্রুসৃষ্টিকারী ও বিপদ যোগের ইঙ্গিত বহন করে। জাতিকা সিংহ সদৃশ পরাক্রমী,সম্মানীয়া ও সম্পদশালিনী হবে। জাতিকার বন্ধন ভয় উপস্থিত হয়। জাতিকা তার মাতুল বা পিতৃব্য দ্বারা বিশেষ ভাবে উপকৃত হয়ে থাকবে।
লগ্নে চন্দ্র দুর্বল ভাবগত হওয়ায় নীচতা,চঞ্চল চিত্ততা,উন্মত্ততা প্রভৃতি উৎপন্ন করে থাকবে। চন্দ্রের প্রভাব না থাকায় এই ফল গুলি পাওয়ার সম্ভাবনা থাকছে। জাতিকা অধার্মিক,ক্ষীণদেহী,নির্ধন,বুদ্ধিহীন ও বধিরতা দেখা দিতে। পারে জাতিকা প্রস্রাবগত পীড়া এবং ক্লান্তিযুক্ত হয়ে পড়তে পারে। তার জলমগ্ন হবার ভয় আছে। শনি চন্দ্র যুক্ত হওয়ায় লগ্নস্থান বিশেষ ভাবে বিড়ম্বিত।
লগ্নে শনি অবস্থান করার ফলে জাতিকা অসন্তুষ্ট,অতিলোভী,স্থূলদৃষ্টি সম্পন্ন,ও দুরাকাঙ্খী হয়ে থাকবে। সে ওপরের উন্নতিতে ঈর্ষাকাতর হয়ে থাকবে। এবং মনে মনে কষ্ট পাবে। তার দাম্পত্য জীবনে বাধা উৎপন্ন হবে। লগ্নে শনি যে অবস্থাতেই থাকুক দাম্পত্য সুখের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াবে। জাতিকা ধনী হলেও তার দুরাশায় বা অতৃপ্ত আকাঙ্খায় সে সর্বদা চিন্তাক্লিষ্ট,স্থুল দৃষ্টিসম্পন্ন বুদ্ধির জড়তায় সুক্ষ বিচারে অসমর্থ হবে। জাতিকা মানসিক অশান্তি ভোগ করে থাকবে। পরশ্রীকাতর দোষে তার চরিত্রে প্রভাব বিস্তার করে বলে বিষদৃষ্টিযুক্ত হয়। গ্রহদোষে সমূহ চরিত্রে থাকায় তার চিত্ত সর্বদা উদ্বিঘ্ন থাকবে। এই অবস্থানে জাতিকার বাত,মানসিক রোগ এবং অনিদ্রা জনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে। জাতিকার লগ্নস্থান অত্যন্ত দুর্বল। আর লগ্ন দুর্বল হলে সমগ্র কুণ্ডলীর ওপর নেতিবাচক প্রভাব প্রতিফলিত হবে। লগ্ন সংস্কার প্রয়োজন।
চন্দ্র শনি যোগ:
এই যোগে পারিপার্শ্বিকের মধ্যে ও দৈহিক ব্যাপারে অবসাদ এনে দেবে। দেহে পুষ্টির অভাব ঘটবে। পরিপাক শক্তির বৈলক্ষণ্য কিংবা বাত ও শ্লেষ্মাজনিত পীড়ার প্রবণতা দেখা দেবে। মানসিক দুশ্চিন্তা ও আত্মীয় বা বন্ধু বিয়োগজনিত কোনোরূপ মনকষ্ট,বিষাদখিন্নতা প্রভৃতি কারণে ও অতিরিক্ত পরিশ্রমের জন্য স্বাস্থ্যহানি ঘটবে। মাতা বা মাতৃতুল্য কারোর জন্য অশান্তি উপস্থিত হবে। কর্ম প্রায়ই মনের মতো হবে না। প্রত্যেক কাজে বাধা বা বিলম্ব উপস্থিত হবে। কর্মহানি বা মানহানির মতো ব্যাপারেও উপস্থিত হতে পারে। বর্তমানে শনির মহাদশা ও চন্দ্রের অন্তর্দশা সময়কাল শুভ নয়। ২৪/০৩/২০২৭ পর্যন্ত নানা নেতিবাচক সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। বিদ্যাশিক্ষায় বাধা,মাতার ও নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি যত্নশীল হতে হবে।
বসুমতি যোগ:- লগ্ন অথবা চন্দ্রের উপচয়স্থানে সকল শুভগ্রহ অবস্থান করার ফলে বসুমতি যোগ সৃষ্ট হয়েছে। এই যোগে জাতিকা স্বাধীনচেতা এবং প্রভূত সম্পদের অধিকারী হবে।
দ্বিতীয় বা ধনস্থান বিচার:-
দ্বিতীয়পতি লগ্নে অবস্থান করার ফলে জাতিকার আর্থিক অবস্থা স্বচ্ছল হবে এবং সে কৃপণ,উদ্যোগী,ধন ব্যয় বিমুখ,আত্মীয় কুটুম্বের বিরোধী ও দয়ামায়াহীন হবে। সে পরোকার্যে দক্ষ হয়ে থাকবে। জাতিকা ভাগ্যশালিনী,ভোগশালিনী ও ব্যাবসায়ী হবে।
জাতিকা ধনশালিনী হবে। আত্মীয়স্বজনের সম্প্রীতির ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টিকারি হবে। বিপরীত লিঙ্গের ব্যাক্তির প্রতি আকৃষ্ট হবে। জাতিকা অস্থিরচিত্তের হবে। নিজ বুদ্ধির দোষে নানা সমস্যায় পড়তে হতে পারে। বর্তমানে দশা ও অন্তর্দশা বিচারে পরিবারে কিছু অর্হতিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে।
তৃতীয় বা সহোদর স্থান বিচার:-
তৃতীয়পতি ষষ্ঠে অবস্থান করার ফলে জাতিকা চক্ষুরোগী,বিত্তবান ও বন্ধুদ্বেষী হবে। জাতিকার ভ্রাতা বা ভগিনী শত্রু হয় তার মাতুল সুখ থেকে বঞ্চিত হতে হয়। জাতিকা মহাধনী হয়ে থাকবে। প্রভূত ভূসম্পত্তির অধিকারিণী হয়ে থাকবে। ভ্রাতাভগিনী রোগগ্রস্থ হতে পারে। এবং তার মধ্যে মাঝে মাঝেই জ্ঞাতি বিরোধ ঘটে থাকবে।
তৃতীয়ভাবে বৃহস্পতি অশুভ মঙ্গের দৃষ্টি থাকায় জাতিকা কৃপণ,পরাক্রমশালিনী,স্বামী পুত্র দ্বারা অসুখী এবং অজীর্ণরোগী হয়ে থাকবে। জাতিকা কৃপণ,পরাক্রমশালিনী,স্বামী পুত্র দ্বারা অসুখী ও অজীর্ণ রোগী হয়ে থাকবে। ধনবান হলেও দেখে নিঃস্ব মনে হবে। সৌজন্যের অভাব পরিলক্ষিত হবে। সে আত্মীয়যুক্ত হবে। জাতিকা রাজপূজিতো অথবা শ্রেষ্ঠ সম্ভ্রমশালী ব্যাক্তির দ্বারা পূজিত হবে। সে কৃপণ ভ্রাতৃযুক্ত হয়ে থাকবে। নিজ অন্তরঙ্গ বন্ধুর প্রতি কৃতঘ্ন হয়ে থাকবে। কর্মক্ষেত্রে বা রাষ্ট্রীয় ব্যাপারে সম্মানলাভ করবে তবে এক্ষেত্রে বৃহস্পতির বলাবল বিশেষ ভাবে লক্ষণীয়। বিদ্যাশিক্ষায় বুৎপত্তি লাভ করে থাকবে। তার অগ্নি ও চতুস্পদ জন্তু থেকে সাবধানে থাকতে হবে। সে ধনবতী ও আনন্দ লাভ করবে।
বর্তমানে দশা ও অন্তর্দশা বিচারে পারিবারিক মনোমালিন্য ভ্রাতা ভগ্নীর সাথে কলহ ও বিদ্যার ব্যাপারে প্রতিবন্ধকতা দেখা দিতে পারে।
চতুর্থ বা মাতৃস্থান বিচার:-
চতুর্থপতি ষষ্ঠে থাকার ফলে সে কুসঙ্গে লিপ্ত হতে পারে। সে পিতার অর্থহানি করে এবং পিতৃশত্রু যুক্ত হয়ে থাকে। জাতিকা পিতার রিপু দোষ লাভ করে থাকে। তার পুত্র সঞ্চয়ী হয়ে থাকে। সে ক্রোধী ও বন্ধুহীন হয়ে পড়ে। তার পিতা ধনবান ও পুত্র দীঘায়ু নিয়ে জন্মায়। সে সুখী,ভাগ্যশালিনী,জনপ্রিয়,সৎপুত্রবতী এবং স্ব উপার্জিত অর্থে বিত্তবান হয়ে থাকবে।
জাতিকা শুভমতি ও সরল বুদ্ধি সম্পন্ন হবে। তার উত্তম বিদ্যা লাভ হয়ে থাকে কিন্তু বাধা থাকবে। সে ধনধান্য যুক্ত এবং কর্মে উন্নতি লাভ করে থাকবে। গীতবাদ্যে অনুরাগ জন্মায় এবং উত্তম বাহন লাভ করে থাকবে। জাতিকা সরকারের প্রধান করণিক বৃত্তিতে পদলাভ ঘটে। সে অতিশয় বিস্বস্ত বন্ধু লাভ করে থাকবে। বর্তমানে শনির মহাদশা ও চন্দ্রের অন্তর্দশা চতুর্থ স্থানে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। চন্দ্র মাতৃকারক গ্রহ ও দুর্বল হওয়ায় মাতার স্বাস্থ্যহানি ও দুরারোগ্য রোগভোগের সম্ভাবনা রয়েছে। এই বিষয়ে সতর্ক থাকা উচিত। ২৭/০৩/২০২৭ সাল পর্যন্ত এই ক্ষেত্রে সময় শুভ নয়।
পঞ্চম বা পিতৃ,বিদ্যা স্থান বিচার:-
পঞ্চমপতি ষষ্ঠে অবস্থান করার ফলে জাতিকা রোগী হতে পারে। সে সন্তান হতে শত্রুতা লাভ করে থাকবে। নিজের বুদ্ধি দ্বারা শত্রু সৃষ্টি করবে সে সম্মানহীন ও ধনহীন হয়ে পড়তে পারে। সন্তানের স্বাস্থ ভালো যায়না। সে বিবিধ কর্মে লিপ্ত হতে পারে। গৃহে অশান্তি লেগে থাকবে। সন্তানের বিপদ যোগ সূচিত হয়।
রবি পঞ্চমভাবে রাহু দৃষ্ট হওয়ায় জাতিকা চপল,সুখহীন,উদ্ভ্রান্তচিত্ত এক সন্তান বিশিষ্ট ও শিবভক্তি পরায়না হয়ে থাকবে। তার প্রথম সন্তানের বিপদ যোগ থাকে। তার কুশাগ্র বুদ্ধি থাকবে এবং সে চতুর ও মন্ত্রবিদ্যায় পারদর্শী হবে। রবি নীচস্থ দুর্বল হাওয়ায় সন্তান দ্বারা সে অসুখী হবে।
জাতিকার পঞ্চমে কেতু অবস্থানের ফলে তার উদরপীড়া হয়। তার স্বল্প সন্তান লাভ হয়। জাতিকা মন্ত্র ও ধর্মশাস্ত্র বিচারে দক্ষ হয়,কিন্তু সে ধর্মসাধনায় বিরত থাকবে। সে মানসিক ও মানসিক দক্ষ হওয়া সত্ত্বেও ওপরের দাসত্ব গ্রহণ করে থাকবে।
জাতিকা গবেষণা ও উচ্চশিক্ষা,মনস্তত্ব,আইন প্রশাসন,জ্যোতিষ,দর্শন,ইতিহাস,বিদেশে পড়াশোনা বা গবেষণার সুযোগ থাকছে। ইঞ্জিনিয়ারিং এবং মেডিটেশন,হিলিং,মন সংক্রান্ত চিকিৎসা বিদ্যায় পারদর্শিতা লাভ করতে পারে। পঞ্চমে রাহুর অবস্থান ও তার প্রভাব বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য।
বর্তমান দশা ও অন্তর্দশা এবং পূর্ণ মাত্রায় পিত্রদোষ থাকার দরুন বিদ্যা শিক্ষায় কিছু বাধার সম্মুখীন হতে হবে। পরবর্তীকালে বহু সাফল্য লাভ ঘটবে। মানসিক একাগ্রতা বাড়িয়ে লেখাপড়ায় মনোনিবেশ করলে দ্রুত সাফল্যলাভ ঘটবে।
এই যোগে উল্লেখযোগ্য কোনও ফল পাওয়া যায়না। এই যোগে জাতিকা সচারচর নিশ্চেষ্ট ও অবসাদগ্রস্ত হয়ে পরে। তার কোনো কিছু ভালো লাগে না। নিজের মধ্যে গুটিয়ে থাকতে ও নিজের চিন্তাতেই বিভোর থাকতে মন চায়। এই যোগে অতিমাত্রায় আত্মকেন্দ্রিকতা প্রকাশ পায়। এটি একটি স্বার্থপরতা যোগ বলা যায়।
ষষ্ঠ বা শত্রু রোগ স্থান বিচার:-
ষষ্ঠপতি নবম স্থানে অবস্থান করার ফলে জাতিকা কাঠ,লোহা,পাথর ইত্যাদির ব্যাবসায় উন্নতি করে থাকবে। তার আচার আচরণে স্থিতিশীলতা থাকে না। তার ধন সম্পদ দীর্ঘস্থায়ী থাকে না। এই অবস্থান জাতিকার ক্ষেত্রে দুর্ভাগ্য আনয়ন করে। জীবন উত্থান পতনে ভরে ওঠে। সে খোসামোদপ্রিয় হয়ে থাকবে। বিশেষ সময় মূর্খতা গ্রাস করবে।
বুধ ষষ্ঠ ভাবগত হওয়ার ফলে সে অলস,পীড়িত দেহ,নিষ্ঠূর প্রকৃতি সম্পন্ন ও শত্রুপীড়িত হয়ে থাকবে। কিন্তু তার শত্রুগণ বশ্যতা স্বীকার করবে। শত্রুদিগকে বশীভূত এবং রিপুসমুহকে নিরোধ করে জাতিকা ইন্দ্রিয় জয়ের জ্ঞান লাভ করে থাকবে। জাতিকা সৎ ব্যায়ী হয়ে থাকবে। মাতুলকুলের উন্নতি ঘটাতে সাহায্য করবে। অজীর্ণ,হিস্টিরিয়া,স্মৃতিশক্তি হীনতা ইত্যাদি রোগ ভোগের সম্ভাবনা থাকে।
শুক্রের অবস্থানে জাতিকা শত্রুভয়ে ভীত,কামহীন হয়ে পড়তে পারে। তাকে চিরকাল শত্রু মধ্যে বাস করতে হতে পারে। গুরুজনের নিকট হতে সুখলাভ ঘটে না। তাকে কুমন্ত্রণা দিয়ে অনেকে তাপিত করতে পারে। জাতিকার মাতুলকুলের বিপদ যোগ থাকে। রোগ কারক গ্রহ হিসেবে অবস্থান করার ফলে প্রদর,প্রস্রাবের সমস্যা,উপদংশ,গর্ভাশয়ের অশুভ ও চোখের রোগ দেখা দিতে পারে। গলা বা মুখে পীড়া জন্মাতে পারে।
বুধ ও শুক্র যোগ:
এই যোগে জাতিকার জীবন আনন্দে কাটবে। জাতিকা উচ্চপদাধিকারী ব্যাক্তি ও মিত্রের অনুকূলে সম্পদ ও সুখলাভ করে থাকবে। ব্যবসা বাণিজ্যে যুক্ত হলে প্রচুর লাভবান হবে। যোগটি শুভ ভাবে অবস্থান করার ফলে জাতিকা কূপ-পুস্করিণী প্রতিষ্ঠা,সৎকথা ও পুরাণাদি পাঠ এবং দান ধর্মাদি দ্বারা পুন্য অর্জন করবে। তবে হৃদরোগের সম্ভাবনা থাকে।
সপ্তম বা বিবাহ স্থান বিচার:-
সপ্তমপতি তৃতীয় অবস্থান করার ফলে জাতিকা বন্ধুপ্রিয় ও আত্মনির্ভরশীল হবে। সে সুন্দর স্বামী লাভ করবে। কিন্তু ওই স্বামী জাতিকার অনুজের প্রতি আসক্ত চিত্ত থাকে থাকবে এবং জাতিকা ব্যাথিত চিত্তে বাস করবে। জাতিকার পুত্রের রিস্টযোগ থাকবে। জাতিকা ভ্রাতা ভগিনী দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তার সুমি ঈশ্বর ভক্তি পলায়ন হবে।
লগ্নে শনি চন্দ্রের দৃষ্টি থাকার ফলে স্বামীর চরিত্র দশ জন্মাতে পারে। সে চঞ্চল ও অলস প্রকৃতির হবে। স্বামীর মেজাজ রুক্ষ ও খিটখিটে প্রকৃতির হবে। স্বামীর রোগ ভোগের সম্ভাবনা রয়েছে। দাম্পত্য জীবনে সুখলাভ ঘটে না। এবং এই বিয়াবাহ বোঝা হয়ে দাঁড়াতে পারে। স্বামীর আকস্মিক বিপদের সম্ভাবনা থাকছে। জাতিকা বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আসক্ত চিত্ত হলেও তাদের থেকে সুখলাভ করতে পারবে না। জাতিকা লোভী ও শত্রু পীড়িত হয়ে থাকবে। জাতিকা নির্ধন হতে পারে।
নবাংশ কুন্ডলি অনুযায়ী বিবাহস্থানে বৃহস্পতি স্বক্ষেত্রী হওয়ার ফলে স্বামী অভিজাত পরিবারের সন্তান হবে। তার স্বভাবে গাম্ভীর্যের ভাব থাকবে। তার স্বাস্থ্য মেদবহুল হলেও ভালো হবে। সে সাত্ত্বিক,বিদ্বান,নিষ্ঠাবান ও দেবদ্বিজে ভক্তিমান হবে। তার শিক্ষা সংক্রান্ত কর্মে বা বিদ্যাচর্চার দ্বারা জীবিকা নির্বাহ হবে।
সাধারণ ভাবে ২৮ থেকে ৩২ বছরের মধ্যে বিবাহ সুখকর হতে পারে। তুলা,কুম্ভ,সিংহ ও মেষরাশি জাত,তৃতীয়া,ষষ্ঠী,দশমী ও ত্রয়োদশী তিথিজাত পাত্রের সহিত সিদ্ধ,ব্রম্ভ ও অমৃতযোগে বিবাহ সুখকর হবে এবং উভয়ের কুন্ডলি অন্তত ১৮ টি গুন্ মিলতে হবে।
মনে রাখতে হবে আংশিক মাঙ্গলিক যোগ ও পিত্রদোষের জন্য কিছু বাধা বা বিলম্ব উপস্থিত হতে পারে।
অষ্টম বা নিধন স্থান বিচার:-
অষ্টমপতি লগ্নে অবস্থান করার ফলে জাতিকার দ্বি-বিবাহের যোগ দেখা যায়। তার নানাপ্রকার বাধার সৃষ্টি হবে। জাতিকা আকস্মিক রুগ্না হতে পারেন। সে শুভ আলোচনা হীন,কুবাক্য প্রিয় হবে। সরকারি অনুগ্রহে লাভবান হবে। জাতিকা রোগ শোক,সন্তাপ ভোগ করে থাকবে।
জাতিকা রোগক্লিষ্ট,স্বামী,ধনাদি বিষয়ে অসুখী,দেশ দেশান্তরে ভ্রমণরত,নীচে ব্যাক্তির হস্তে লাঞ্চিত ও দুঃখী হতে পারে। সাধু সজ্জনের নিকট হতে মঙ্গল লাভের অভাব ঘটে। তার অর্থের অভাব সহজে যায়না। সে রোগপীড়িত ও ওপরের দোষঃ অন্নেষণ করে বেড়াবে এবং খুব বুদ্ধিমতী হবে। জাতিকা দীর্ঘায়ু হয়ে থাকবে।
নবম বা ভাগ্যস্থান বিচার:-
নবমপতি লগ্নে অবস্থান করার ফলে জাতিকা সরকারি কর্মী,সাহসী,বুদ্ধিমতী,দেব ও গুরুভক্তি পরায়ন হবে। সে প্রশান্ত বদন ও ভাগ্যবতী হবে। কিন্তু কিন্তু কৃপণতা দোষে দৃষ্ট থাকবে। জাতিকা গুণবতী এবং লোকপূজ্য হয়ে থাকবে। তার কার্য কখনো ব্যর্থ হয়ে থাকবে।
ভাগ্যস্থানে মঙ্গল বৃহস্পতি দৃষ্ট থাকায় জাতিকা নির্মল বুদ্ধিসম্পন্না,শিল্পানুরাগী ও ভাগ্যবতী হবে। তার সকল কার্যে খ্যাতিলাভ ঘটবে। তার পিতৃসুখ নাশ হয়ে থাকবে। মঙ্গল শত্রুগৃহ গত হলেও শুভ বৃহস্পতির দৃষ্টি থাকায় মঙ্গলের অশুভ প্রভাব অনেকগসে হ্রাস পেয়ে থাকে। জাতিকার জন্মকুণ্ডলীতে পিত্রদোষ থাকার ফলে ভাগ্যোন্নতিতে বাধা বা বিলম্ব উপস্থিত হবে।
দশম বা কর্মস্থান বিচার:-
দশম পতি তৃতীয় স্থানে অবস্থান করার ফলে জাতিকা ভ্রাতাভগিনী বৎসল হবে,অধীনস্ত ব্যাক্তি তার ক্ষতি করতে অক্ষম হয়ে থাকবে এবং সমাজসেবায় যশ লাভ করে থাকবে। জাতিকা মনস্বী,গুণী,সুবক্তা,সত্যবাদী ও ধার্মিক হয়ে থাকবে। জাতিকা নানা কর্মেরত ভ্রাতৃ বলে বলীয়ান ও বিদেশ ভ্রমণ করে থাকবে।
জাতিকা নানা প্রকারের ধনসম্পদের অধিকারিণী হবে। সে ক্ষমতাবান,বিদ্বান এবং রাজসম্মানের অধিকারী হবে। রাজমন্ত্রী,আমলা,ব্যাবস্থাপক সভার আইনপ্রণয়নকারী,অধ্যাপক বৃত্তি দ্বারা প্রভূত যশ অর্জন করতে পারে। দার্শনিক,ধর্মপ্রচারক,সাংবাদিকতা,উকিল এই সমস্ত যেকোনো কর্মে উন্নতি ঘটাতে পারে।
জন্মকুন্ডলী ও দশমাংশ কুন্ডলি বিচারে জাতিকা সুলেখিকা,সাহিত্যবোধ বিচার,রচনা,পরীক্ষা প্রভৃতি বিষয়ে কৃতিত্ব দেখাতে পারে। সংগীতবিদ্যা,তাল-লয়-জ্ঞান,নৃত্যগীত,সর্বপ্রকার নৃত্যসঙ্গীত পরিচালনা,বাদ্যযন্ত্রের সম্যক জ্ঞান,চিত্রবিদ্যা,সকলপ্রকার কলাবিদ্যা,ললিত কলা প্রভৃতি বিষয়ে কৃতিত্ব অর্জন করে জীবিকা নির্বাহ করতে পারে। অভিনয় সম্মন্ধে জ্ঞান,বোধ ও রুচিজ্ঞান,নাটক রচনা,পরিচালনা প্রভৃতি ক্ষেত্রে উন্নতি করবে। সর্বপ্রকার ধাতু রত্নাদির জ্ঞান,সোনারূপোর ব্যাবসা,অলংকারাদি প্রস্তুত প্রভৃতি আয়ত্তে আস্তে পারে। জাতিকা উক্ত কোনো কাজে ব্রতী হয়ে যশ মান বজায় রেখে বহুজন পরিচিত হয়ে প্রচুর অর্থের অধিকারিণী হতে পারেন। জাতিকা বিনয়ী,ধনী,যশস্বী, ও সৎ স্বভাব সম্পন্না হবে। জাতিকা সাহিত্যিক ও রাজনীতিবিদ হতে পারে। অভিনয়ে দক্ষতা তার থাকবে দর্শন ও পদার্থ বিজ্ঞানে উন্নতি করতে পারে।
সুগন্ধি দ্রব্য,বস্ত্র,প্রসাধন সামগ্রী,স্বর্ণ ও মনিরত্নাদি,খাদ্যদ্রব্য,হোটেল ব্যবসা,পানশালা,রঙ্গমঞ্চ,নাট্যশালা,যাত্রা নাটকাদি,অভিনয়,আবৃত্তি,কাব্য,বিজ্ঞানচর্চা,চিত্রাভিনয়,সাজসজ্জা,কারুকার্য,সঞ্চালন,রিসেপশন,রসায়ন বা কেমিক্যাল দ্রব্য।
বর্তমানে শনির মহাদশা ও রাহুর অন্তর্দশা সময় শুভ নয় ,জাতিকার ২৬-২৭ বছরের মধ্যে চাকুরী প্রাপ্তির সম্ভাবনা রয়েছে। সরকারি প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় এই বয়সসীমায় সাফল্য আসবে। তবে বহু প্রতিবন্ধকতা আছে সে বিষয়ে মনোবল ঠিক রাখা জরুরি।
একাদশ বা আয়স্থান বিচার:-
একাদশপতি ভাগ্যস্থানে অবস্থান করার ফলে জাতিকা ধার্মিক এবং নানা শাস্ত্রে পান্ডিত্ব অর্জন করতে পারে। জাতিকা সত্যবাদী ও স্বধর্মেরত হবে। জাতিকা বুদ্ধিমান,প্রবল ধনবান,রাজপূজ্য হবে। সে যাজক বা অধ্যাপিকা হতে পারে।
একাদশে রাহু রবি দৃষ্ট হওয়ায় জাতিকা প্রভূত বিত্তশালিনী,সুখী ও বিজয়ী হবে। তার সর্ব মনোরথ সিদ্ধ হবে। মেষের রাহু জাতিকাকে সর্বদা শুভফল প্রদান করবে।
দশা ও অন্তর্দশা বিচারে এই সময় পারিবারিক কল্যাণসাধন ও অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটে থাকে। তবে পিত্রদোষের কারণে ভবিষ্যতে আয়ের পথে প্রতিবন্ধকতা আসবে।
দ্বাদশ বা ব্যয় স্থান বিচার:-
দ্বাদশপতি ষষ্ঠে অবস্থান করার ফলে জাতিকার বিপদ যোগ সৃষ্ট হয়ে থাকে। তার নিন্দিত চরিত্র ও কৃপণ স্বভাব দেখা দিতে পারে। মাতার বিপদ যোগ থাকে। জাতিকা ক্রোধী,সন্তানজনিত কারণে দুঃখী,পর পুরুষে আসক্তি মাতার সাথে মনোমালিন্য ঘটে থাকবে। সে শত্রু বেষ্টিত হয়ে থাকবে।
দ্বাদশ স্থানে বুধ ও শুক্রের দৃষ্টি থাকার ফলে তার গৃহে সজ্জন ও ব্রাম্ভন গণের যাতায়াত থাকবে। তার সঙ্গে সংগ্রামে শত্রুরা ভীত হয়ে পলায়ন করে। জাতিকা নিজ কর্মে নিপুণা হবে। সে অত্যন্ত বুদ্ধিমতী হবে। জাতিকার অন্যায় কর্মে অর্জিত সম্পদাদি ভোগ শঠ ব্যাক্তিগন ও সমর্থন করবে। জাতিকা আত্মীয়গণের ওপর ক্ষমতাশালী হবে। সে দেবদ্বিজে ভক্তিপরায়ণ ও অতিথি বৎসল হবে। সে কামবিষয়ে চিন্তারত,নির্দয় হয়ে থাকবে। তার আয় অপেক্ষা ব্যয় বেশি হয়ে থাকবে। তার ধনাগমের পথ কখনো ও রুদ্ধ হবে না। জাতিকা সমৃদ্ধশালিনী ও জাকজমক প্রিয় হয়ে থাকবে। সে ক্রীড়াকার্যে ও উত্তমকার্য সম্পাদন করে সুখী হবে। জাতিকার কীর্তির পরাভব হয়। সে মিত্রের সাথে শত্রুতা করে থাকবে।
রত্ন প্রতিকার
উৎকৃষ্ট মুক্ত ৬-৭ রতি।
উৎকৃষ্ট রক্তপ্রবাল ৭-৮ রতি।
উৎকৃষ্ট পোখরাজ ৪-৪.৫ রতি।
উৎকৃষ্ট গোমেদ ৭-৮ রতি।
দৈবিক প্রতিকার
প্রতি রবিবার নিরামিষ আহার।
মহামৃত্যুঞ্জয় কবচ ধারণ।
বাস্তুদোষ নিবারণ যন্ত্র স্থাপন।
সিদ্ধ মঙ্গল যন্ত্র স্থাপন ও আরাধনা।
গৃহে সিদ্ধ বিষ্ণু মহাযন্ত্র স্থাপন।
দ্বাদশভাব বিচার
প্রথম বা লগ্নস্থান বিচার:-
লগ্নপতি ষষ্ঠ স্থানে পাপগৃহগত ও পাপগ্রহের সঙ্গে অবস্থান করার ফলে জাতক মন্ত্রণা কুশল,মর্মগ্রাহী,অসাধারণ দূরদর্শী,ধূর্ত,পুরুষের মনোরঞ্জনকারী,শত্রুসৃষ্টিকারী ও বিপদ যোগের ইঙ্গিত বহন করে। জাতিকা সিংহ সদৃশ পরাক্রমী,সম্মানীয়া ও সম্পদশালিনী হবে। জাতিকার বন্ধন ভয় উপস্থিত হয়।
বর্তমানে শুক্রের মহাদশা ও রবির অন্তর্দশা সময় কাল শুভ নয়। মানসিক অশান্তি,রোগভোগ ও স্বাস্থ্যোন্নতিতে বিলম্ব উপস্থিত হবে। ২৩/০২/২০২৬ এর পর থেকে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হবে।
দ্বিতীয় বা ধনস্থান বিচার:-
দ্বিতীয়পতি সপ্তমে অবস্থান করার ফলে জাতকের সুখদায়িনী স্ত্রী লাভ হয়ে থাকবে। স্ত্রী বিলাসী,ভোগপরায়ণা এবং সদাহাস্যমুখী থাকবে। তার স্ত্রী ধনসঞ্চয়ে পটু হবে। জাতক প্রায়শই রোগাক্রান্ত হবে। সে সচারচর পরদারগামী হতে পারে। জাতক বিবাহ ভাগ্যে ব্যাবসার মাধ্যমে অর্থোপার্জন করে থাকবে। সে প্রফুল্ল ভোগী এবং বিলাসী হবে।
ধনস্থানে শনির দৃষ্টি থাকার ফলে জাতক অসাধু কর্ম দ্বারা ধনবান,নিকৃষ্ট বিদ্যায় রত ও মানসিক ভাবে অসুখী হবে। জাতক মানসিক শান্তি লাভ করতে পারবে না। সে পরনিন্দাকারী,খুঁতখুঁতে,মেজাজি,বিবাদপ্রিয় ও দরিদ্র হয়ে পড়তে পারে। তার দাঁতের রোগ ও বাত পিত্তের পীড়া জন্মাতে পারে। সে কুটুম্বের প্রতি কটুবাক্য বর্ষণ করে থাকবে। অখাদ্য কুখাদ্যে তার অরুচি হবে না। জাতক প্রবাসীও হয়ে থাকতে পারে। টেকনিক্যাল বিষয়ে উন্নতি করতে পারে। সে আত্মসুখের জন্য আত্মীয়-স্বজন থেকে দূরে অবস্থান করবে। তার মানসিক শক্তি হ্রাস পাবে। সে রুক্ষ ও তিক্তভাষী হয়,কিন্তু বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে ওই প্রকার ব্যবহার করবে না। শেষ জীবনে শনির শুভ প্রভাব কিছুটা লাভ হবে।
বর্তমান দশা ও অন্তর্দশা বিচারে বিশেষ ক্ষেত্রে কিছু আর্থিক ক্ষতির আশংকা আছে।
তৃতীয় বা সহোদর স্থান বিচার:-
তৃতীয়পতি তৃতীয় স্থানে অবস্থান করার ফলে জাতক সাহসী,সৎবন্ধুযুক্ত এবং সরকারের অনুগ্রহ লাভ করে থাকবে। সে গুরুভক্তিপরায়ণ হবে। জাতক পরাক্রমশালী,পুত্রবান,ধনবান,প্রফুল্ল ও সুখভোগী হবে। সরকারি ক্ষেত্রে উচ্চপদস্থ ব্যাক্তির সান্নিধ্যলাভ ঘটে থাকবে।
তৃতীয়ভাবে বৃহস্পতি অবস্থান করার ফলে জাতক কৃপণ,পরাক্রমশালি,স্ত্রী পুত্র দ্বারা
অসুখী
এবং
অজীর্ণরোগী হয়ে
থাকবে। ধনবান
হলেও
দেখে
নিঃস্ব
মনে
হবে।
সৌজন্যের অভাব
পরিলক্ষিত হবে।
সে
আত্মীয়যুক্ত হবে।
জাতক রাজপূজিত অথবা
শ্রেষ্ঠ সম্ভ্রমশালী ব্যাক্তির দ্বারা
পূজিত
হবে।
সে
কৃপণ
ভ্রাতৃযুক্ত হয়ে
থাকবে।
নিজ
অন্তরঙ্গ বন্ধুর
প্রতি
কৃতঘ্ন
হয়ে
থাকবে।
কর্মক্ষেত্রে বা
রাষ্ট্রীয় ব্যাপারে সম্মানলাভ করবে
তবে
এক্ষেত্রে বৃহস্পতির বলাবল
বিশেষ
ভাবে
লক্ষণীয়। বিদ্যাশিক্ষায় বুৎপত্তি লাভ
করে
থাকবে।
তার
অগ্নি
ও
চতুস্পদ জন্তু
থেকে
সাবধানে থাকতে
হবে।
সে
ধনবান ও
আনন্দ
লাভ
করবে।
বৃহস্পতি মূলত্রিকোণগত হওয়ার ফলে বৃহস্পতির দ্দশা,অন্তর্দশা,বা শুভ গৃহের গোচরে সর্ব শুভফল লাভ করবে। এক্ষেত্রে বৃহস্পতির বল বৃদ্ধি আবশ্যক।
চতুর্থ বা মাতৃস্থান বিচার:-
চতুর্থপতি অষ্টমে অবস্থান করার ফলে জাতক দুষ্কৃতিপরায়ণ কর্ম,দরিদ্র,রোগা হবে। সে নিজ মৃত্যুর জন্য সর্বদা ইচ্ছা প্রকাশ করবে। জাতক পিতৃসুখ যুক্ত,অসুখী,রতিক্রিয়ায় অক্ষম বা শক্তিহীন হয়ে পড়তে পারে। জাতকের ভূসম্পত্তি বিনষ্ট হয়।
চতুর্থে রবি অবস্থান করার ফলে জাতক অসুখী এবং নির্ধন হয়ে পড়তে পারে। তার কোনস্থানে স্থায়ী বসবাস হয়না। সে পিতৃধন হরণকারী হবে। সে প্রবাসী হবে। চিত্ত কখনো শান্তিলাভ করবে না। জাতকের মানসিক শান্তি সর্বাংশে থাকে না। মাতা ও সংসার থেকে অশান্তি লাভ ঘটে। বন্ধু দ্বারা ক্ষতির সম্ভাবনা প্রবল। সে নিয়ত শোক লাভ করে থাকবে।
বুধের অবস্থানে জাতকের শুভমতি ও সরল বুদ্ধি সম্পন্ন হবে। তার উত্তম বিদ্যালাভ ঘটে,সে ধনধান্য যুক্ত ও কর্মে উন্নতি করে থাকবে। গীতবাদ্যে অনুরাগ জন্মায় ও উত্তম বাহন লাভ ঘটে থাকে। তার সরকারে প্রধান করণিক বৃত্তিতে পদলাভ ঘটে থাকবে।
রাহু অবস্থান জাতককে অসুখী করে তুলবে। জাতক হিসুক ও দীন হয়ে পরে। তার মাতৃসুখ লাভ হয়না। সে নীচজাতের গৃহে বাস করে থাকে। তার আত্মীয়হানি,অশান্তিকর ভ্রমণ ও পুত্রমিত্র বিষয়ে অসুখ প্রদান করে। হৃদয়ের জ্বালায় সর্বদা ব্যাকুল হতে হয়। তার মাতা রুগ্না হন। সন্তান ও বন্ধুবান্ধব হতে অশান্তি লাভ ঘটে। জাতক অবৈধ সন্তানের জনক হতে পারে।
রবি বুধ যোগ ফল:
এই যোগটি জাতকের জন্মকুণ্ডলীতে অশুভ ভাবে প্রকাশ পাওয়ার ফলে মানসিক ক্ষেত্রে চাঞ্চল্য ভাব দেখা যাবে। এই যোগে বুদ্ধির বিপরীত ভাব,বাচালতা,বৃথা দুশ্চিন্তা প্রভৃতি ঘটে থাকে। দেহপীড়া,মনস্তাপ ও স্ত্রী পুত্রের পীড়া হেতু ক্লেশ ভোগ হয়ে থাকে।
পঞ্চম বা পিতৃ বিদ্যাস্থান বিচার:-
পঞ্চমপতি অষ্টমে অবস্থান করার ফলে জাতকের আত্মধ্বংসকারী বুদ্ধি জন্মে থাকবে। তার সন্তানহানি,স্ত্রী রুগ্না,এবং ভ্রাতা পুত্র থেকে অশান্তি লাভ হয়। সে শ্বাসকাশ রোগী ও ক্রোধপরায়ণ হয়। জাতক ধনবান হতে পারে। স্ত্রীর কারণে বিশেষ মানসিক কষ্ট ভোগ করে থাকবে। দাম্পত্যজীবন সুখবিহীন হতে পারে।
জাতকের সন্তান মানসিক দুঃখভোগ করে থাকবে। তার ধন ও বিত্ত অস্হায়ী হয়ে থাকে। সে কুটিলবুদ্ধিপরায়ণ,নাস্তিক ও শাস্ত্রবিরোধী হতে পারে। বন্ধুগণের সহিত তার বিবাদ হয়। জাতক অজীর্ণ রোগী ও মলিন চিত্তবিশিষ্ট ও দরিদ্র হয়ে পড়তে পারে। জাতক মানুষকে ভালোবেসে দুখলাভ করে থাকবে।
ষষ্ঠস্থান বা শত্রুস্থান বিচার:-
ষষ্ঠপতি তৃতীয় অবস্থান করার ফলে জাতক চঞ্চল স্বভাবযুক্ত,দ্বেষপরায়ণ,রক্তচক্ষুবিশিষ্ট ও মহাক্রোধী হয়ে থাকবে। কিন্তু জাতক মনস্বী ব্যাক্তি হয়ে প্রভূত ধনবান হবে। সে ধনবান হলেও রোগগ্রস্থ হয়ে থাকবে। জাতক ভ্রাতৃহীন ও প্রবাসী হবে।
শুক্র ষষ্ঠভাবে অবস্থান করার ফলে জাতক শত্রুভয়ে ভীত,কামহীন হয়ে থাকে। রমণীকূল তাকে অপছন্দ করে। তাকে চিরকাল শত্রু নিয়ে বাস করতে হয়। গুরুজনের নিকট হতে তার সুখলাভ হয়না। তাকে কুমন্ত্রণা দিয়ে অনেকে তাপিত করে থাকবে। জাতক মাতুলহীন হয়। তার রোগ শোক বৃদ্ধি পে। তার কুৎসিত ব্যাধি দেখা যায়। জাতকের বাসনাসক্ত জীবনযাপন হয়। এবং রিপু দোষঃ জন্মায়। রোগ কারক হয়ে শিকড় ষষ্ঠ স্থানে অবস্থান করার ফলে তার প্রদর,জ্বরাতিসার,বহুমূত্র,উপদংশ,পেটের অসুখ ও নেত্ররোগ হয়। তার গলায় বা মুখে রোগের সম্ভাবনা দেখা যায়। স্ত্রীর স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বিঘ্ন হতে হয়।
বর্তমানে শুক্রের মহাদশা ও রবির অন্তর্দশায় শত্রুবৃদ্ধি,রোগভোগ মানসিক অশান্তি বৃদ্ধি পেতে পারে। ২৩/০২/২০২৬ এর পর পরিস্থিতি জাতকের আয়ত্তে আসবে। কিছু প্রতিকার আবশ্যিক।
সপ্তম বা বিবাহ ও ব্যবসা স্থান বিচার:-
সপ্তমপতি সপ্তমে অবস্থান করার ফলে জাতক তেজস্বী,দীঘায়ু ও পবিত্র স্বভাবের হয়। সে অধিক স্নেহশীল হয়। জাতক সুন্দরী স্ত্রী লাভ করে থাকে। জাতক নির্ধন হয়ে থাকে। তার বাত ও হৃদরোগ ঘটিত রজার সম্ভাবনা থাকে। সে বিচক্ষণ হয়ে থাকবে।
সপ্তমে মঙ্গলের স্বক্ষেত্রে উপস্থিত এবং চন্দ্রের দৃষ্টি থাকায় মঙ্গলের সর্বপ্রকার শুভফল লাভ হবে না। জাতক মাঙ্গলিক হওয়ায় কিছু সমস্যা দাম্পত্যজীবনে থাকবে। জাতক নানাবিধ রোগগ্রস্থ,শত্রুপীড়িত ও সাংসারিক বিষয়ে অসুখী হয়ে থাকবে। জাতকের স্ত্রী হতে অশান্তি লাভ হয়ে থাকে। জাতক বিরুদ্ধপক্ষের আঘাতে বারংবার পরাজিত হয়। অশুভ চন্দ্রের দৃষ্টি থাকায় দাম্পত্যজীবনে বহু প্রতিবন্ধকতা দেখা দেবে। এক্ষেত্রে লগ্ন ও সপ্তমস্থানে বিশেষ প্রতিকার প্রয়োজন। জাতক উচ্চ পর্যায়ে কর্মরত,কোনো ব্যবসা বা প্রতিষ্ঠানের পরিচালক বা সরকারি উচ্চপদে নিযুক্ত হয়ে বিশেষ খ্যাতি অর্জন করতে পারে। স্ত্রীর শারীরিক গঠন ভালো হলেও তার চেহারায় নারীসুলভ কমনীয়তা লক্ষ্য করা যাবে। স্ত্রীর গাত্রবর্ণে রক্ত গৌরবর্ণ ভাব থাকতে পারে। স্ত্রীর মেজাজ চড়া হতে পারে। কথা বলবে উচ্চগ্রামে। স্বামীর ওপর প্রভাব বিস্তার করতে চাইবে। বিবাহিত জীবনে শান্তি কম হবে।
নবাংশ কুন্ডলি অনুযায়ী সপ্তমে কেতু অবস্থান করার ফলে জাতকের অতিরিক্ত ইন্দ্রিয়পরায়ণতা জন্মে থাকে। জাতক ভ্রষ্টা বা চরিত্রহীনা রমণীর প্রতি আকৃষ্ট হতে পারে এবং তার সংশ্রবের ফলে ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। জাতকের স্ত্রীপুত্রাদির রোগভোগে অর্থব্যয় এবং চিত্তচাঞ্চল্য ঘটে থাকবে। জাতক ভ্রমণপ্রিয় হতে পারে। জল থেকে সাবধানে থাকা দরকার। তার অর্থাগমের পথ সুগম হয়। তার কলত্র পীড়া,ব্যয় ও ব্যগ্রতা কেউ আটকাতে পারে না। জাতকের স্ত্রীর বিপদ যোগ থাকে। স্বামীর সাথে স্ত্রীর মতের মিল হয়না। সংসারজীবন খুব সুখের হয়না।
অষ্টম বা নিধন স্থান বিচার:-
অষ্টমপতি ষষ্ঠে অবস্থান করার ফলে জাতকের প্রস্রাবপীড়া এবং চক্ষুরোগ দেখা দিতে পারে। সে নিত্যরোগী হয়ে থাকবে বাল্যকালে জলমগ্ন বা সর্পদষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
জাতকের শনি অষ্টম ভাবগত হওয়ার ফলে সে অলস,রোগক্লিষ্ট,স্ত্রী ও ধনাদিবিষয়ে অসুখী,দেশ দেশান্তরে ভ্রমণরত,চৌর্য অপরাধে নীচ ব্যাক্তির হস্তে লাঞ্চিত ও দুঃখী হতে হয়। তার সাধু সজ্জন ব্যাক্তির থেকে মঙ্গললাভ কম ঘটে। সে রোগপীড়িত ও ওপরের দোষঃ অন্বেষণ করে বেড়াবে এবং অতিশয় ধূর্ত ব্যাক্তি হবে। তার স্ত্রী বা প্রেমিকার সাথে বিচ্ছেদ হতে পারে। কিন্তু বিপরীত লিঙ্গের ধন সম্পত্তি বা কারুর মৃত্যুর পর তার সম্পত্তি জাতকের ভাগ্যে জুটতে পারে। তার জীবন মন্থর গতিতে শেষ হয়। সজ্ঞানে গঙ্গাপ্রাপ্তি ঘটে থাকে।
নবম বা ভাগ্যস্থান বিচার:-
নবমপতি চতুর্থে অবস্থান করার ফলে জাতক পিতার কর্মদ্বারা বিখ্যাত হতে পারে। তার সৎকীর্তি থাকে। সে ভূসম্পত্তির অধিকারী হয় এবং বন্ধুবর্গের হিতকামী হয়ে থাকে। জাতক মন্ত্রী,জননায়ক,পুলিশ বা কোনো প্রশাসনিক বিভাগে উচ্চ পদমর্যাদা সম্পন্ন ব্যাক্তি হতে পারে। সে পুণ্যবান,সুখী,সাহসী,সুবক্তা হবে। তার যানবাহন লাভ ঘটে।
ভাগ্যস্থানে শুভ বৃহস্পতির দৃষ্টি থাকায় জাতক সৎকর্মপরায়ণ,দেবদ্বিজে ভক্তি পরায়ণ,সর্বশাস্ত্রবিদ,গুণবান,পরমার্থজ্ঞানী,রাজপ্রিয়,রাজকর্মী,কীর্তিমান, সৌভাগ্যবান হবে। চরিত্র নির্মল হয়। সে ধর্মবিরুদ্ধ কাজে সাধারণত অগ্রসর হবে না। তার প্রকৃতির ভিতর গভীর অনুভূতিমূলক দর্শনজ্ঞান জন্মে থাকবে। সে রাজতুল্য ধনবান হতে পারে। জাতক বিরাট অট্টালিকা নির্মাণ করতে পারে।
দশম বা কর্মস্থান বিচার:-
দশমপতি লগ্নে অবস্থান করার ফলে জাতক মাতৃবৈরী,পিতৃভক্ত,দুঃখী ও বাল্যকালে পিতৃহীন হতে পারে। জাতক কাব্য শক্তির অধিকারী হয়ে থাকবে। বাল্যকালে রোগগ্রস্ত হয়ে থাকবে। জাতক ক্রমশ আর্থিক উন্নতিলাভ করে থাকবে।
জাতকের দশমে কেতু রবি,বুধ ও রাহু দৃষ্ট হওয়ায় সর্বপ্রকার ছলনা,কর্মক্ষেত্রে অসাধু পন্থা অবলম্বন,কপটতা ও গোপন কাজকর্মে যুক্ত হবার সম্ভাবনা থাকছে। মনে একরকম চিন্তা করে ও মুখে একরকম বলে থাকবে। এই স্থানে কেতু দুর্বল হওয়ার ফলে তার মানসিক সুখ ও পৈতৃক ধনসম্পত্তি থাকে না। সে ভাগ্যহীন হয়ে পড়বে। লগ্ন থেকে চন্দ্র দুর্বল,রবি শত্রু গৃহগত হওয়ার ফলে কর্মক্ষেত্র বিশেষ ভাবে বিড়ম্বিত হতে পারে। অসাধু কাজের অভিযোগে অধস্তন কর্মীর দ্বারা লাঞ্চিত ও প্রতারিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তার বৈদেশিক বাণিজ্যে বিনিয়োগ,গুপ্তবিদ্যা প্রভৃতি বিষয়ে কর্মে উন্নতি ঘটতে পারে। রবির অশুভ দৃষ্টিতে সে ভীত প্রকৃতির হয়ে থাকবে। বুধের দৃষ্টির ফলে জাতক অর্থশালী হবে এবং রাহুর দৃষ্টি থাকার ফলে লৌহ দ্রব্যের ব্যাবসায়ে উন্নতি করে থাকবে। জাতক শেষ জীবনে সংসারত্যাগী বা আধ্যাত্মিক দিক থেকে উন্নতি করে থাকবে। জাতক প্রবঞ্চনার দায়ে অভিযুক্ত হতে পারে। জাতক সংখ্যাতত্ত্ব,গণিতজ্ঞ,জ্যোতিষী ও গৃহবিদ্যাবিশারদ ক্ষেত্রে উন্নতি করতে পারে।
দশমাংশ কুন্ডলি বিচারে দশমপতি দ্বাদশে অবস্থান করার ফলে জাতক কর্মক্ষেত্রে শত্রুর দ্বারা নির্যাতিত হয়। জাতক চতুর,গুণবান ও কখনো সুখী হয়ে থাকবে। তার নানাবিধ দুঃখ কষ্ট ভোগ করতে হয়। জাতক অলস প্রকৃতির ও কর্মবিমুখ হয়ে পড়তে পারে। গ্রহ প্রতিকারে বিপদ হতে মুক্তিলাভ ঘটে।
বর্তমানে শুক্রের মহাদশা ও রবির অন্তর্দশা সময় জাতকের কর্মক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব বিস্তার করবে। এই সময়কালে কর্ম স্থান হতে অসন্তোষ বৃদ্ধি,অধস্তন কর্মচারীদের সাথে মনোমালিন্য এবং নানাপ্রকার হেনস্থার শিকার হতে হবে। রবির দৃষ্টি কর্মস্থানে থাকার ফলে এই সমস্ত পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হবে। ২৩/০২/২০২৬ এর পর থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে তবে গ্রহ প্রতিকার ও দৈবিক প্রতিকার আবশ্যক।
একাদশ বা আয়স্থান বিচার:-
একাদশপতি চতুর্থে অবস্থান করার ফলে জাতক ধার্মিক,পিতৃভক্ত ও দীর্ঘায়ু হয়ে থাকবে। সে সকল কাজে যোগ্যতা লাভ করলেও কর্মজীবনে নানা বাধা বিপত্তির সম্মুখীন হতে হয়। জাতক তীর্থ ভ্রমণে তৎপর হবে। ভূসম্পত্তির অধিকারী হয়ে থাকবে।
জাতক সঙ্গীতপ্রিয়,গুণবান,সৎকর্মপরায়ণ,বহুবিত্তবান ও সরকার অনুগ্রগে ধনবান হয়ে থাকবে। ব্যাক্তি প্রতাপশালী হয়। সোনার ব্যাবসায়ে ধনোপার্জন করতে পারে। সে চঞ্চল প্রকৃতির ও গৃহাশ্রমী হয়। তবে তার বন্ধুরা কৃতঘ্ন হয়ে থাকবে। জাতকের সন্তান হতে দুখলাভ ঘটবে। স্ত্রীর গর্ভপীড়া জন্মে থাকবে। জাতক পুত্রবধূ ও জামাতা থেকে শান্তিলাভ করে না।
বর্তমান দশা ও অন্তর্দশা বিচারে আয়ের ক্ষেত্রে বহু প্রতিবন্ধকতা দেখা দেবে। এই অন্তর্দশার পর কিছুটা স্বাভাবিক অবস্থা দেখা দিতে পারে তবে ব্যয় বৃদ্ধি ঘটবে।
দ্বাদশ বা ব্যয়স্থান বিচার:-
দ্বাদশপতি চতুর্থে অবস্থান করার ফলে জাতক রোগী,দুঃখী এবং তার পুত্র স্ত্রীর বিপদ যোগ থাকে। তার পুত্র সুখ হয়না। জাতক মাতৃসুখ থেকে বঞ্চিত হতে পারে। জাতকের ভূসম্পত্তি,যানবাহন ও গৃহাদি ব্যাপারে ক্রমশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকবে। জাতকের পিতার বিপদ বা রিষ্ট থাকে। তার পিতৃধন বিনষ্ট হতে পারে। তার পরগৃহে বাস হতে পারে। তাকে নানা কষ্টভোগ স্বীকার করতে হয় এবং মাতার অমঙ্গল সাধিত হয়।
জাতক নিজকর্মে নিপুন হয়ে থাকে। সে অত্তনো ধূর্ত হয়ে থাকবে। জাতকের অন্যায় কর্মে অর্জিত ধনসম্পদাদি ভোগ শঠ ব্যাক্তিগন সমর্থন করবে। সে আত্মীয়স্বজনের ওপর ক্ষমতা প্রদর্শন করে থাকবে। সে আত্মীয় স্বজন দ্বারা ত্যাক্ত হয়ে থাকবে। তার বন্ধন ভয় ও মামলা মোকদ্দমায় বহু সময় অতিবাহিত হয়ে থাকবে।
বিঃ দ্রঃ:- বর্তমান দশা ও অন্তর্দশার ওপর ভিত্তি করে সময় শুভ নয় বলা যায়। শুক্র ষষ্ঠ ও রবি চতুর্থে অশুভ অবস্থানে মামলা মোকদ্দমাজনিত সমস্যা ,আয়ের অনেকটা অংশ ব্যয় প্রভৃতির ইঙ্গিত বহন করে। তবে অন্তর্দশার পর অর্থাৎ ২৩/০২/২০২৬ এর পর চন্দ্রের অন্তর্দশা শুরু হলে কিছুটা স্বস্তি লাভ হবে তবে মনে রাখতে হবে চন্দ্র দুর্বল হয়ে থাকায় প্রতিকার আবশ্যিক। এবং মানসিক স্থিতি ঠিক রেখে এগিয়ে চলতে হবে চন্দ্রের অন্তর্দশার মধ্য ভাগ থেকে মামলা মোকদ্দমাজনিত সমস্যা অনেকাংশে হ্রাস পাবে।
রত্ন প্রতিকার
উৎকৃষ্ট সাদা মুক্তা ১০-১১ রতি।
উৎকৃষ্ট রক্তপ্রবাল ১০-১১ রতি।
উৎকৃষ্ট হলুদ পোখরাজ ৪-৪.৫ রতি।
উৎকৃষ্ট রুবি ৪-৫ রতি।
দৈবিক প্রতিকার
প্রতি সোমবার নিরামিষ আহার।
সিদ্ধ সঙ্কটমোচন কবচ ধারণ।
গৃহে সিদ্ধ মঙ্গলযন্ত্র স্থাপন ও আরাধনা।
গৃহে সিদ্ধ দেবী সম্পূর্ণ বগলামুখী যন্ত্র স্থাপন ও আরাধনা।
দেবী বগলামুখী মন্ত্রের আরাধনা (তান্ত্রিক প্রয়োগ)
সিদ্ধ হনুমান পূজন যন্ত্র স্থাপন ও আরাধনা।
ষষ্ঠে রাহুর অবস্থানজনিত সাধারণ ফল
রাহু ষষ্ঠভাবগত হলে জাতকের দৈহিক বলবীর্য,অর্থ,সম্পদ ও মনোবল বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। তার মন স্থির থাকে এবং কেউই তার সমকক্ষ হতে সহজে পারে না। শত্রুদের ওপর করে। তার বিধর্মী সমাগম ঘটে। পশুভয় ও কোমর অংশে পীড়া জন্মায়।
ষষ্ঠে রাহু বলবান হলে সর্ব বিষয়ে শুভফল দান করে। রাহু দুর্বল হলে ষষ্ঠভাবের বিষয়কে অবলম্বন করে মনে অশান্তি সৃষ্টি হয়। সাধারণত শুভ বলবান রাহু ষষ্ঠে অবস্থান করলে বিধর্মী সহায়তায় জাতক জীবনে উন্নতি করে থাকে।