বুধবার, ১৫ মে, ২০১৯

রাশি বিচারে জাতক জাতিকার ফলরচনা (সাধারণ কোষ্ঠী নির্ণয়ের ফলাফল)

রাশি বিচারে জাতক জাতিকার ফলরচনা (সাধারণ কোষ্ঠী নির্ণয়ের ফলাফল)

মেষরাশি- জাতকের প্রকৃতিতে হঠকারী ও স্বাধীনতা প্রীতি দেখা দেবে। জাতক প্রায়সই নিজের মোতে কাজ করবে। অন্যের পরামর্শের বিরুদ্ধে চলবে। জাতকের মেজাজ মাঝে মাঝেই খিটখিটে হবে। সহজেই রেগে যাবে, তার মধ্যে খেয়ালি ভাব থাকবে।  জাতক বন্ধন ভালোবাসবে না। ধরাবাধা কাজ তার পছদের হবে না। একটা বিতৃষ্ণা ভাব থাকবে।  কর্তৃত্ব করা পছন্দ করবে। তার কাজকর্মে কোনোরকম গোপনীয়তা বা রহস্য থাকা সম্ভব।  তার উন্নতির পাশাপাশি পতন অসম্ভব নয়। লোকনিন্দা ও মিথ্যা অপবাদের সম্ভাবনা রয়েছে।  খাওয়ার ব্যাপারে তীব্র ও রুক্ষ আহার পছন্দ করবে, বিশেষত শুস্ক ও ভাজা জিনিস তার পছন্দের হবে।  ডিম,মাংস প্রভৃতি উত্তেজক খাদ্য বর্জনীয়।  তার মাথার কোনো অসুখ বা মাথার কোনোরকম আঘাত লাগার সম্ভাবনা আছে।


বৃষরাশি- জাতকের প্রকৃতিতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ও অধ্যাবসায়শীল ভাব থাকবে। জাতক ধীর,স্থীর আবেগ পরিশুন্য হবে।  তার হরিফই উচ্চভিলাষে পরিপূর্ণ থাকবে। সে নিজের কাজের পূর্ণ সফলতা অর্জন করতে চাইবে।  জাতক পরিবর্তন ও সংস্কারের বিরোধী হবে। জাতকের মধ্যে সহ্যশক্তি গুন্ খুব বেশি থাকবে।  অনবরত চেষ্টা ও পরিশ্রমের দ্বারা জাতক অন্যের কঠিন কাজ ও সিদ্ধ করতে পারবে। জাতকের মধ্যে একটু স্বার্থপরতা ভাব থাকা সত্ত্বেও জাতক সামাজিক, সদালাপী হওয়ায় বন্ধু বা পরিচিত মহলে যথেষ্ট খাতির পাবে।  জাতক ভোগ বিলাসী হবে। জাতকের মধ্যে আকর্ষণী শক্তি থাকবে। চর্বি জাতীয় খাদ্য জাতকের পক্ষে বিশেষ ক্ষতিকারক হবে। মধ্যম উত্তেজক পানীয় গ্রহণে দশ নেই।

মিথুনরাশি- জাতক ইঙ্গিতজ্ঞ ও মেধাবী হবে।  দৈহিক ও মানসিক দুরকমের কাজেই পটু হবে।  হাতের কাজে নৈপুণ্য থাকবে। ভ্রমণ ভালোবাসবে।  নানাধরণের কর্মদক্ষতা থাকবে।  লেখনী, বক্তব্য পেশ,শিল্পকর্ম বা সাংবাদিকতা কাজে দক্ষতার পাশাপাশি দালালি, কেরানিগিরি, কারিগর, প্রভৃতি যোগ্যতাও তার মধ্যে থাকবে।  ভূমি সম্পত্তির ব্যাপারে ব্যায় ও নানারকম ঝঞ্ঝাট ও অশান্তি সম্ভব। খেলাধুলায় বেশ পটুত্ব থাকবে।  জাতক লটারি,জুয়াখেলা,ফাটকা প্রভৃতির দিকেও আকর্ষিত হতে পারে। জাতক অবশ্যই পরিবর্তন প্রিয়। এবং একটু অব্যাবস্থচিত্ত হবে। তার আত্মীয়বর্গের সঙ্গে বিশেষ সদ্ভাব বজায় থাকবে না।  সেইকাৰণে মাঝে মাঝেই তার মানসিক শান্তির অভাব ঘটবে।
খাদ্য হিসেবে দুধ,ফল স্বাস্থ্যের পক্ষে হিতকর হবে। মাংস,ডিম্,প্রভৃতি উত্তেজক খাদ্য জাতক জাতিকার পক্ষে ক্ষতিকর হবে।

কর্কট রাশি - জাতক আরামপ্রিয়।গার্হস্থ ও পারিবারিক জীবনে সুখ তার একান্ত কাম্য।  জাতক মাতৃপ্রিয় হবে। এরা পরিবর্তনশীল ও ভ্রমণপ্রিয় হবে।  যত সদালাপী ও সামাজিক হবে।  তার সহানুভূতি ও মনোবেগ খুব প্রবল। জাতক জাতিকার মধ্যে পারিপার্শ্বিকতার প্রভাব খুব বেশি করে দেখা দেবে।  তার মধ্যে মানিয়ে নেবার শক্তি থাকবে।  স্মরণশক্তি খুব প্রখর হবে।  অনুকরণ স্পৃহা অত্যন্ত প্রবল, সবরকম কলাবিদ্যার প্রতি তার কমবেশি ঝোঁক থাকবে।  উদ্যান, বাগিচা, অথবা কৃষিকর্ম তার প্রিয় হবে।  সম্মোহন,জ্যোতিষ, ভৌতিক ও গুপ্তবিদ্যার দিকে ঝোঁক থাকা সম্ভব।  জলজ অথবা তরল পদার্থের কোনো ব্যাবসায় এবং গৃহ, ভূমি, পথ, প্রভাতী সংক্রান্ত কাজ তার পক্ষে অনুকূল হবে।  জাতক অপরের উপদেশ মতো বা পরের সংস্রবে কাজ করলে বেশি কৃতিত্বের পরিচয় দিতে পারবে।  এছাড়া জাতক অন্তর্মুখী প্রকৃতির হবে।  তার মধ্যে নীতিবাদকে বোরো করে দেখার প্রবণতা থাকবে।  তার স্বভাব ঠাট্টা করা , অপরকে আনন্দ প্রদান, ভাবাবেগে ভেঙে পড়া,ঠান্ডায় বিব্রত থাকা প্রভৃতির দশ গুন্ লক্ষ করা যাবে।
খাদ্য হিসেবে মাছ, মাংস, দুধ হিতকর হবে।

সিংহরাশি- জাতক উচ্চভিলাষী ও প্রভুত্ব প্রিয় হবে।  প্রায় সকল ক্ষেত্রেই সকলের উপর থেকে কর্তৃত্ব করার ক্ষমতা থাকবে।  জাতক উদার,বদান্য,ও উচ্চপ্রকৃতির ব্যাক্তিত্ব নিয়েই জন্মেছে।  সবরকম দুর্নীতির উপর একটা স্বাভাবিক বিরাগ থাকবে।  সাধারণের নিকট সম্মানিত হওয়ার ও সাধারণের সম্মুখে আসবার একটা প্রবল আকাঙ্খা থাকবে।  জাতকের হৃদয়াবেগ বেশ গভীর বলা যায়।  স্নেহপ্রীতির বিষয়ে সহজেই আবেগ প্রবন হয়ে উঠবে।  জাতক ভোগী প্রকৃতির হবে।  তার মধ্যে বিলাসিতার ভাবও দেখা যায়।  অর্থের ব্যাপারে জাতককে সৌভাগ্যবান বলা চলে।  যদিও অর্থের  সম্পদের ব্যাপারে তার বিশেষ ক্ষমতা দেখা যায় না।
খাদ্য হিসেবে নিরামিষ খাদ্য হিতকর। চর্বি ও উত্তেজক খাবার ক্ষতিকর হবে।

কন্যারাশি- জাতক প্রশান্ত ও সদালাপী। মানসিকতা প্রবল এবং স্মৃতিশক্তি খুবই প্রখর। যেকোনো বিষয় সহজেই বুঝে নিতে পারবে।  উচ্চভিলাষের তেমন লক্ষণ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। কর্মবহুল উত্তেজনাপূর্ণ জীবনের চেয়ে শান্তিপূর্ণ জীবনই বেশি বাঞ্চনীয়। জাতক জাতিকা নিজের ব্যাপারে শিথিল প্রকৃতির হবে।  মাতৃস্থানীয়া স্ত্রীলোকদের শত্রূতার জন্য জীবনে বহু অশান্তি বা ঝড়ঝঞ্ঝা বয়ে যেতে পারে, স্বাধীনভাবে কাজ করার চেয়ে পরের অধীনে কাজ করলে বেশি কৃতিত্বের পরিচয় ঘটতে পারে।
খাবার হিসেবে মাছ,মাংস,শাকসবজি,ফলমুল ও দুধ জাতকের পক্ষে হিতকর।

তুলারাশি- জাতক বুদ্ধিমান ও ইঙ্গিতজ্ঞ। বেশ সামাজিক ও মজলিসী প্রকৃতির। বন্ধুবান্ধবের সংস্রবে আনন্দ পাওয়া পছন্দ করবে।  কাব্য, চিত্র ও সংগীতের দিকে তার একটা সহজ আকর্ষণ জন্মাবে।  কলাবিদ্যার দিকে ঝোঁক থাকবে।  কৃতিত্বের পরিচয় ও দিতে পারবে।  জীবনের প্রায় সব কাজই অন্যের সাহচর্যের প্রভাবে তার উপর খুব প্রবলভাবে প্রকাশ পাবে।  বিবাহ তার জীবনে স্মরণীয় ঘটনা হয়ে উঠতে পারে।  জাতক বেশ স্নেহশীল,মিষ্টভাষী এবং দয়ালু প্রকৃতির মানুষ।  নানাবিধ কাজে লিপ্ত থাকা তার পক্ষে সম্ভব।  জাতকের  প্রতি আগ্রহ থাকবে।
অধিক জলপান ও নিরামিষ আহার জাতকের পক্ষে হিতকর।

বৃশ্চিকরাশি- জাতক খুব দৃঢ় চিত্ত ও স্থীর প্রতিজ্ঞপ্রকৃতির। তার মধ্যে আত্মপ্রত্যয় ও আত্মনির্ভরতা ভাব থাকবে।  সে যথেষ্ট কর্ম পটু ও পরিশ্রমী হবে।  ভালোভালো জিনিসের প্রতি তার লোভ থাকবে।  সাংসারিক সুখ সাচ্ছন্দ কামনা করবে।  নিজের মতে টলবে না। পুরোমাত্রায় রক্ষণশীল।  কাজ হাসিল করার জন্য যেকোনো পথ নিতে পারে।  সহজে ক্ষমা করতে জানবে না।  দীর্গদিনের প্রতিশোধের স্পৃহা মনের ভিতর পুষে রাখবে।  তার প্রকৃতিতে ক্রোধ অত্যন্ত প্রবল।  যৌন আকর্ষণ প্রবল। সুরুচি ও শ্লীলতার অভাব লক্ষ করা যাবে। বিবাহিত জীবন বিশেষ সুখকর হয়না। তার মধ্যে অনর্থক ব্যায় ঝোঁক থাকবে।  জীবনে স্বদ্বয় খুব কম ই  হবে।  পিতামাতার দিক থেকে বড় বেশি সুখলাভ সম্ভব নয়।  নীতিবিরুদ্ধ কাজের জন্য জাতক জাতিকার অপবাদ রটতে পারে।
যেকোনো পিত্তপ্রশমনকারী খাদ্য ডাব ও নারকেল প্রভৃতি হিতকর।

ধনুরাশি- জাতক জাতিকা ব্যস্ত ও চঞ্চলপ্রকৃতির।  সবকাজ চটপট শেষ করতে চায়।  ের অত্যন্ত স্বাধীনতা প্রিয়। যেকোনো রকম বন্ধন এদের একেবারেই অপছন্দ। ভ্রমণ ভালোবাসবে এবং জীবনে ভ্রমণ ও অনেক ঘটবে।  এদের মন উচ্চ ও সাধুবাদে পূর্ণ।  হৃদয়ে আন্তরিকতা আছে।  ধর্মজ্ঞান ও বিশ্বাসে  ভরপুর।  অধ্যাত্বিকতা জাতক জাতিকার জীবনে একটা বড়ো অংশ জুড়ে থাকবে।  গুপ্তবিদ্যা , যোগ, সম্মোহন বা অতীন্দ্রিয় বিষয়ের প্রতি যথেষ্ট আগ্রহ থাকতে পারে।  এরা একসঙ্গে একাধিক বিষয়ের কাজে লিপ্ত হতে পারে।  শিক্ষা ও সদসঙ্গের অভাব ঘটলে জাতকের চরিত্রে পাশবিক দিকটার প্রকাশ ঘটতে পারে। খেলাধুলায় ধনুরাশির জাতক জাতিকারা বেশ আনন্দ পেয়ে থাকেন।
নিরামিষ খাদ্য, দুধ,ও ছানা এদের স্বাস্থ্যের পক্ষে হিতকর।

মকররাশি - জাতকের জীবনে অসংখ্য বাধা অতিক্রম করতে হয়।  তবে ের যত বাধা পে ততই এদের জেড বাড়তে থাকে। সুখ্যাতি বা অখ্যাতি যাইহোক এদের প্রসিদ্ধিলাভ কিছু পরিমানে হয়েই থাকবে। জাতক বা জাতিকার মধ্যে প্রবল অধ্যাবসায় লক্ষ করা যাবে। তবে মাঝে মাঝেই নৈরাশ্যের ভাব থাকবে ও আত্মপ্রত্যয়ের অভাব লক্ষ করা যাবে। পারিবারিক ব্যাপারে বা পিতামাতার মধ্যে বনিবনার অভাব বা বিচ্ছেদ প্রভৃতি ঘটতে পারে।  নিজের বিবাহের ব্যাপারে কোনো গুরুজনের সঙ্গে মতভেদ হতে পারে।  বিবাহে শশুর বা শাশুড়ি অমত থাকতে পারে।  চন্দ্র পাপপীড়িত হলে বিবাহ নাও হতে পারে। জাতকের কর্মসংক্রান্ত ব্যাপারে বহু বাধা ও প্রতিদ্বন্দ্বিতা অতিক্রম করতে হবে। তার জীবনে প্রকাশ্যে বা গুপ্তশতরু থাকবেই। শত্রূ রা তার নামে অপবাদ বা কুৎসা রোটাতে পারে।  জাতক নিতান্ত হিসাবি সাবধানী প্রকৃতির মানুষ। আত্মকেন্দ্রিক প্রকৃতির ও বটে।  নিজের দিকেই তার লক্ষ বেশি।  অন্যের সুখ সাচ্ছন্দের  দিকে তেমন দৃষ্টিপাত থাকবে না। জাতক ভোগী প্রকৃতির হলেও অমিতাচারী হবেনা।
সাধারণ উত্তেজক খাদ্য সমুহই এদের পক্ষে ক্ষতিকর।

কুম্ভরাশি- জাতককে বোঝা কঠিন। তাকে খেয়ালি লোক বলে মনে হতে পারে।  সবসময় নতুন কিছু অনুভব করার ইচ্ছা খুব বেশি।  মৌলিক ও অভিনব দিকে ঝোঁক থাকবে।  বর্তমান জগতের চেয়ে বেশি অগ্রসর হওয়ার বাসনা জন্মাতে পারে।  সেইজন্যে সবসময় গূঢ় ও রহস্যের বিদ্যা তাকে আকৃষ্ট করবে। জাতক উদার ও সহানুভূতিশীল লোক।  অন্যের সদিচ্ছা কামনা করে তার বাসনা সেইকাৰণে তাকে অনেক সময় নিরীহ ভালোমানুষ ও সমাজের অবিরোধী বলে মনে হলেও অন্যের সদিচ্ছা কামনার্থে তার মধ্যে স্বাধীনতাপ্রিয় সমাজদ্রোহীতার ভাব লক্ষিত হতে পারে।  প্রকৃত অর্থে এদের জন্মটা নিজের জন্য হয়না। অন্যের সদিচ্ছার কারণেই এরা  পৃথিবীতে জন্মে থাকে।  তাই অধিকাংশ সাধু সন্ন্যাসীর এই রাশিতেই জন্ম হতে দেখা যায়।  স্ত্রীলোক বা মাতৃস্থানীয় কারুর কাছে এরা প্রিয় হয়ে থাকে।  তাদের থেকে কিছু প্রাপ্তির সম্ভাবনাও রয়েছে।  তবে তা সম্ভব যদি চন্দ্র শুভ হয়ে থাকে।  চন্দ্র পাপপীড়িত হলে স্ত্রীলোকের দ্বারা প্রাপ্তির বদলে তাদের দ্বারা অর্থনাশ,ঋণের দ্বারা অশান্তি প্রভৃতি অশুভফলের সম্ভাবনা। জাতকের বিবাহে গোলযোগ বা বিবাহিত জীবনে অশান্তির সম্ভাবনা রয়েছে।

মীনরাশি- জাতকের শরীরে বা মনে চাঞ্চল্য ভাব দেঝা দেবে।  জাতকের দৌড়ঝাঁপ,খেলাধুলা, এবং তাড়াতাড়ি কাজকর্ম করা পছন্দ করে।  ভ্রমণের দিকে ঝোঁক থাকবে।  তার মধ্যে ভাব প্রবণতা থাকবে।  হৃদয় আলোড়নকারি বিষয় পছন্দ করবে।  যুক্তি ও বুদ্ধির চেয়ে অনুভূতি প্রবল।  কাব্য,চিত্র ও সঙ্গীতে স্বাভাবিক আকর্ষণ থাকবে।  দরদী মনের অধিকারী।  রোমান্স ও অদ্ভুত বিষয়ে তাকে বেশি করে টানবে।  সঙ্গ নির্বাচন তার জীবনে প্রধান হয়ে দাঁড়ায়।  সৎসঙ্গে ের স্বর্গবাস করতে পারে আবার অসৎসংগে জীবন বরবাদ হতে পারে।  এদের কথাবার্তা, রচনা, ভাষণ সংযমের বদলে বাহুল্য ভাব বেশি দেখা যায়।  এদের মধ্যে কল্পনা ও অতিরঞ্জনের চেষ্টা লক্ষ করা যাবে।  এরা  সামান্য আশাতেই উৎফুল্ল হয়ে ওঠে, আবার ক্ষুদ্র বাধা পেয়েই হতাশ হয়ে বসে।  সবসময় এদের মধ্যে সহজ জ্ঞানের অভাব এবং সাধারণ পরিহাস বোধের অভাব লক্ষ্য করা যায়।  সাংসারিক উন্নতির পথে এদের অনেক বাধা বিঘ্ন সহ্য করতে হবে।  তাকে অনেক ভাগ্য বিপর্যয় সহ্য করতে হবে।  চন্দ্র দুর্বল হলে খুব বেশি পারিবারিক সুখ পাবে না।  জীবনে অনেক প্রকাশ্য  বা গুপ্ত শত্রূর মোকাবিলা করতে হতে পারে।  এরা  ভোগী প্রকৃতির হয়ে থাকে।  অর্থসংক্রান্ত ব্যাপারে জাতকের বিশেষভাবে দেখেশুনে চলা প্রয়োজন , তা নাহলে কষ্ট অবসম্ভাবী।





শনিবার, ৪ মে, ২০১৯

গ্রহগণের পরস্পরের দৃষ্টিপ্রতিফলন

রবি- চন্দ্র - রবি চন্দ্র কর্তৃক দৃশ্য হলে জাতক ধনী , প্রিয়দর্শন, ভোগী, গর্বিত, পুত্র, কলোহযুক্ত ও সর্বজনপ্রিয় হয়ে থাকে।

রবি-বৃহস্পতি - জন্মকালীন রবিগ্রহের প্রতি বৃহস্পতির দৃষ্টি থাকলে- জাতক সুমন্ত্রী, ব্রতনিষ্ঠা,ধোনি,সংযমী, সুপুত্রএবং রাজপূজ্য হয়ে থাকে।

রবি-শনি- জন্মকালীন রবি শনি কর্তৃক দৃশ্য হলে- জাতক নির্ধন,তেজস্বী,স্ত্রীপুত্র যুক্ত হলেও,বৈভব নষ্ট হেতু তাকে লুকিয়ে থাকতে হয়।

চন্দ্র- রবি- জন্মকালে চন্দ্র গ্রহ রবি কর্তৃক দৃশ্য হলে - জাতক সুমন্ত্রী, পুত্রযুক্ত, জনপ্রিয়, হর্ষযুক্ত ও দেবদ্বিজে ভক্তিপরায়ণ হয়।

চন্দ্র- মঙ্গল- জন্মকালীন চন্দ্রগ্রহের প্রতি মঙ্গলের দৃষ্টি থাকলে- জাতক সর্বগুনবিশিষ্ট , বহুগোধনের অধিকারী,ও সর্বশাস্ত্রে পারদর্শী হয়ে থাকে।

চন্দ্র-বৃহস্পতি- জন্মকালে চন্দ্র বৃহস্পতি কর্তৃক দৃশ্য হলে-জাতক শত্রূ হন্তারক,মহাসৌভাগ্যশীল ,পাপহীন,গুণবান,বিপুল ধনশালী ও লোকপূজ্য হয়ে থাকে।

 চন্দ্র-শুক্র - জন্মকালে চন্দ্রের প্রতি শুক্র দৃষ্টিপাত করলে জাতক শীতার্থ,শ্যামবর্ণ,প্রেমিক,গুণবান,বিক্ষিপ্ত বুদ্ধিযুক্ত ও শ্লেষ্মাপ্রকৃতি বিশিষ্ট হয়ে থাকে।

চন্দ্র-শনি- জন্মকালে চন্দ্রের প্রতি শনির দৃষ্টি থাকলে জাতক সমের সঙ্গে সাম্য এবং শান্ত ব্যাক্তির সহিত শান্ত আচরণ করবে।

মঙ্গল-রবি- জন্মকালে রবিগ্রহ মঙ্গলের প্রতি দৃষ্টিপাত করলে জাতক গ্রাম অথবা নগরের অধিপতি হয়ে থেকে।  এবং এইরূপ জাতক উত্তম যানবহন যুক্ত হয়ে সর্বপ্রকার সুখভোগ করে থাকে।

মঙ্গল-বৃহস্পতি- জন্মকালে বৃহস্পতি মঙ্গলের প্রতি দৃষ্টিপাত করলে জাতক নিষ্পাপ ও রাজতুল্য হয়ে থাকে। আর রাজতুল্য না হলেও প্রভূত যশস্বী একথা নিশ্চিত রূপেই বলা যায়।

মঙ্গল-শুক্র- জন্মকালে শুক্রগ্রহ মঙ্গলের প্রতি দৃষ্টিপাত করলে-জাতক সৎকর্মযুক্ত,মানী, মিত্রভাবাপন্ন, গুণযুক্ত, ও সম্ভোগসুখ ভোগকারী হয়ে থাকে।

বুধ-বৃহস্পতি - জন্মকালে বুধগ্রহ বৃহস্পতি কর্তৃক দৃষ্ট হলে-জাতক যন্ত্রানুরাগী ,অতিথি সেবাপরায়ণ হয়ে থাকে।

বুধ-শুক্র- জন্মকালে শুক্র বুধ গ্রহের প্রতি দৃষ্টিপাত করলে- জাতক বিদ্যান,যশস্বী,গুণবান,ধনবান ও পুত্রযুক্ত হয়ে থাকে।

বৃহস্পতি-রবি- জন্মকালে রবি যদি বৃহস্পতির প্রতি দৃষ্টিপাত করলে- জাতক উগ্র ও অলস হয়ে থাকবে।
বৃহস্পতি-চন্দ্র- জন্মকালে চন্দ্রের প্রতি বৃহস্পতির প্রতি দৃষ্টিপাত করলে-জাতক রাজপূজ্য বুদ্ধিমান,ও সৎকর্মযুক্ত হয়ে থাকে।

বৃহস্পতি-মঙ্গল- জন্মকালে মঙ্গল বৃহস্পতি কোটিক দৃশ্য হলে -জাতক ধনশালী,উগ্রমূর্তি,সুখী,দানশীল,ও রাজপূজ্য হয়ে থাকে।

বৃহস্পতি-শনি- জন্মকালে শনি বৃহস্পতির প্রতি দৃষ্টিপাত করলে-জাতক বিবিধ উপায়ে অর্থ উপার্জন করে।

শুক্র-বৃহস্পতি- জন্মকালে বৃহস্পতি শুক্রগ্রহের প্রতি দৃষ্টিপাত করলে- জাতক মেধাসম্পন্ন,মন্ত্রনাকুশল,দেবদ্বিজে ভক্তি পরায়ণ, রাজপুয ও রাজমন্ত্রী হয়ে থাকে।

শনি-রবি- জন্মকালে শনিগ্রহ রবিদ্বারা দৃশ্য হলে জাতক নিশ্চিতরূপে ধনহীন হয়ে থাকবে।

শনি-চন্দ্র- জন্মকালে শনি চন্দ্র দ্বারা দৃষ্ট  হলে জাতক শারীরিক ও মানসিক কষ্ট ভোগ করে থাকে।

শনি-বৃহস্পতি- জন্মকালে শনিগ্রহ বৃহস্পতি কর্তৃক দৃষ্ট হলে যত বিত্তশালী, বিবিধ রত্নযুক্ত,নারীবিলাস,ও সর্বগুণান্বিত হয়ে থাকে।
.
শনি-শুক্র- জন্মকালে শুক্রগ্রহ শনির প্রতি দৃষ্টিপাত করলে জাতক বিত্তশালী,শত্রূ হীন,দানী ,বিখ্যাত,সুখী,ও বিক্রমশালী হয়ে থাকে।

লগ্নের প্রতি সর্বগ্রহের দৃষ্টিফল  
জন্মকালে সকল গ্রহি লগ্নস্থানের প্রতি দৃষ্টিপাত করলে-জাতক সৎকুলের অধিপতি,সৎগুণযুক্ত,পরোমরোমনীয়, স্ত্রী রত্ন লাভ করে থাকে। এইরূপ জাতক জাতিকা সচারচর রাজা ও প্রশাসকের প্রিয় হয় এবং জাহ্নবী সলিলে প্রাণত্যাগ করে থাকে। 


বুধবার, ১ মে, ২০১৯

জ্যোতিষশাস্ত্র শিখে ১০০০০ থেকে ১২০০০ টাকা আয়ের সুযোগ 

আপনাদের কাজ

১. নাম নথিভুক্ত করতে হবে যারা কোর্স করতে ইচ্ছুক। 
২. ছয় থেকে এক বছরের কোর্সে ভর্তি হতে হবে।
৩. প্রত্যেক তিনমাস অন্তর ক্লাসটেস্ট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।


আমাদের লক্ষ্য

১. উত্তীর্ণ ছাত্রছাত্রীদের সার্টিফিকেট প্রদান করা।
২. বিভিন্ন website -এ registration করিয়ে দেওয়া। (Goastrologer , Astrosage ,Drikpanchang )
৩. Astrological Bio-Data Website -এ পাঠানো।
৪. Website-এ online interview.
৫. Interview তে উত্তীর্ণ হওয়ার পর জ্যোতিষী হিসেবে কাজ করার সুযোগ।
৬. প্রত্যেকদিন ১০ টি করে prediction করে দৈনিক ৪০০ টাকা পর্যন্ত আয়ের সুযোগ।
৭. প্রতি মাসে ৬/৭ তারিখে ১০০০০ থেকে ১২০০০ টাকা পর্যন্ত আয়।
৮. youtube -এ channel  করিয়ে দেওয়া।